অবরোধের সঙ্গে শুরু হয়েছে ৭২ ঘণ্টার হরতাল। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে ১৫ লাখ এস এস সি পরীক্ষার্থী। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সরকারের মন্ত্রী শাজাহান খানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার হুমকির কয়েক ঘণ্টা পরেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সব মিলিয়ে দেশে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে না। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ নেতারা যেমন বোঝেন, তেমনি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদেরও না বোঝার কথা নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, অনাকাক্সিক্ষত এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ একজন সাধারণ নাগরিকও জানেন যে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে না আসলে সবার জন্যই অপেক্ষা করছে ক্ষতি এবং ক্ষতি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকট-সমাধানের লক্ষ্যে দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদরা কথা বলছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কে এম বদরুদ্দোজা বলেছেন, সকল রাজনীতিক দলের অংশ গ্রহণে কার্যকর সংলাপই চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।
গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করতে সন্তু লারমার সঙ্গে বসতে পারেন, তবে দেশের এই চরম সংকটে এখন সংলাপে বসতে পারবেন না কেন? খালেদা জিয়ার অফিসের বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ঘটনাকে তিনি জঘন্য ও নিকৃষ্ট বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের রাজনৈতিক কলঙ্ক। এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে বর্তমানে সাংবিধানিক শাসন নেই। আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া বন্ধ করতে হবে, আর সরকারকে ইয়াহিয়া-আয়ুবীয় শাসন বন্ধ করতে হবে। এটি গণতন্ত্র নয়, স্বৈরতন্ত্র।
দলকানা ব্যক্তিরা ছাড়া যে কোনো বিবেকবান নাগরিকই একথা বিশ্বাস করেন যে, উগ্রতা ও অহংকার দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। সমাধানের জন্য সংকটের প্রকৃত কারণগুলো চিহ্নিত করতে হয় এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে এগুতে হয়। এ বিষয়টি আমাদের সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতা-নেত্রীদের না বোঝার কথা নয়। আমরা দেখছি যে, ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে। এর আগে একই অবস্থার মধ্যে পড়েছে ‘ও লেভেল’ ও ‘এ লেভেলের’ পরীক্ষার্থীরা। সামনে আরো পরীক্ষা হবে। বিদেশী মেহমানরা আসবেন। দেশের কলকারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্যও চলতে হবে। সমস্যা শুধু তো এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে নয়। আমরা এ কথা ভাল করেই জানি যে, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটের রাজনৈতিক সমাধান না হলে আমাদের সংকটের মাত্রা বাড়তে থাকবে এবং অভাব-অনটনে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। বিশ্বে আমাদের ইমেজ নষ্ট হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক এই দুনিয়ায় আমরা আরো পিছিয়ে পড়বো। তাই বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে আন্দোলনরত বিরোধী দল ও শাসক সরকারের এখনই অর্থবহ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। দেশ-বিদেশের প্রাজ্ঞজনদের পরামর্শের ভিত্তিতে সরকার জাতীয় স্বার্থে উদারমনে কোনো পদক্ষেপ নিলে তাতে বরফ গলতে পারে। সরকার সময়ের ডাকে প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে সমর্থ হলে, তা জাতির জন্য এক বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে বিরোধী দলের জন্যও তা পথ নির্দেশনায় সাহায্য করবে। জাতিকে সংকটমুক্ত করতে সরকার এবং বিরোধী দল কী ভূমিকা গ্রহণ করে সেটাই এখন সবার দেখার বিষয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকট-সমাধানের লক্ষ্যে দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদরা কথা বলছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কে এম বদরুদ্দোজা বলেছেন, সকল রাজনীতিক দলের অংশ গ্রহণে কার্যকর সংলাপই চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।
গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করতে সন্তু লারমার সঙ্গে বসতে পারেন, তবে দেশের এই চরম সংকটে এখন সংলাপে বসতে পারবেন না কেন? খালেদা জিয়ার অফিসের বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ঘটনাকে তিনি জঘন্য ও নিকৃষ্ট বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের রাজনৈতিক কলঙ্ক। এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে বর্তমানে সাংবিধানিক শাসন নেই। আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া বন্ধ করতে হবে, আর সরকারকে ইয়াহিয়া-আয়ুবীয় শাসন বন্ধ করতে হবে। এটি গণতন্ত্র নয়, স্বৈরতন্ত্র।
দলকানা ব্যক্তিরা ছাড়া যে কোনো বিবেকবান নাগরিকই একথা বিশ্বাস করেন যে, উগ্রতা ও অহংকার দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। সমাধানের জন্য সংকটের প্রকৃত কারণগুলো চিহ্নিত করতে হয় এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে এগুতে হয়। এ বিষয়টি আমাদের সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতা-নেত্রীদের না বোঝার কথা নয়। আমরা দেখছি যে, ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে। এর আগে একই অবস্থার মধ্যে পড়েছে ‘ও লেভেল’ ও ‘এ লেভেলের’ পরীক্ষার্থীরা। সামনে আরো পরীক্ষা হবে। বিদেশী মেহমানরা আসবেন। দেশের কলকারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্যও চলতে হবে। সমস্যা শুধু তো এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে নয়। আমরা এ কথা ভাল করেই জানি যে, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটের রাজনৈতিক সমাধান না হলে আমাদের সংকটের মাত্রা বাড়তে থাকবে এবং অভাব-অনটনে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। বিশ্বে আমাদের ইমেজ নষ্ট হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক এই দুনিয়ায় আমরা আরো পিছিয়ে পড়বো। তাই বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে আন্দোলনরত বিরোধী দল ও শাসক সরকারের এখনই অর্থবহ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। দেশ-বিদেশের প্রাজ্ঞজনদের পরামর্শের ভিত্তিতে সরকার জাতীয় স্বার্থে উদারমনে কোনো পদক্ষেপ নিলে তাতে বরফ গলতে পারে। সরকার সময়ের ডাকে প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে সমর্থ হলে, তা জাতির জন্য এক বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে বিরোধী দলের জন্যও তা পথ নির্দেশনায় সাহায্য করবে। জাতিকে সংকটমুক্ত করতে সরকার এবং বিরোধী দল কী ভূমিকা গ্রহণ করে সেটাই এখন সবার দেখার বিষয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন