সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সকল হত্যা-গুমের বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার


বাংলাদেশে নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা, জুলুম-নির্যাতন ও গ্রেফতার-হয়রানির বিরুদ্ধে সাংবিধানিক গ্যারান্টি প্রদান এবং জীবন-সম্মান, সম্পত্তি ও সন্তানের নিরাপত্তা বিধানের যে পবিত্র দায়িত্ব পালনের ভার আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অর্পিত ছিল এবং এখনো আছে তা পালনে তারা ব্যর্থ হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। পক্ষান্তরে অনেকে মনে করছেন যে, এই সরকারের আমলে পরিকল্পিতভাবে তাদের আসল দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে দলীয় স্বার্থে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বাহনে পরিণত হচ্ছেন। তারা যে, নিরপেক্ষ, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং নাগরিক অধিকার রক্ষার প্রতিভু এ কথাটি অনেকে ভুলে যাচ্ছেন। সরকার কর্তৃক অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূত কাজে তাদের ব্যবহার এবং অতিমাত্রায় দলীয়করণ অপরাধীদের উৎসাহিতকরণ প্রভৃতি এই বাহিনীর বেশ কিছু সদস্যকে বেপরোয়া করে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ অনুযায়ী এরা ভাড়ায় খেটে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের খুন করতেও দ্বিধাবোধ করছে না। তারা সরাসরি গুলী করে মানুষ হত্যা করছে, গুমে অংশ নিচ্ছে এবং নাটক সাজিয়ে বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারের নামে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও তাদের ছাত্রফ্রন্টের প্রতিশ্রুতিশীল ব্যক্তিদের খুন করছে। তাদের অনেকে দেশের নব্বই ভাগ নাগরিকের ধর্ম ইসলাম নির্মূলের প্রকাশ্য অভিযানে নেমেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
(দুই)
রাজনৈতিক অঙ্গনে গত কয়েক বছরে প্রতিদ্বন্দ্বী নির্মূলে দলন-পীড়নের পাশাপাশি সব চেয়ে ভয়াবহ যে প্রবণতাটি দেখা গেছে তা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিকদের পাশাপাশি তাদের সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়-স্বজনের উপর নির্যাতন। তাদের গ্রেফতার, রিমান্ড ও বিকলাঙ্গ করার নির্মম প্রবণতা। প্রতিটি সভ্য দেশে আইন-আদালত আছে। অপরাধীদের অপরাধ প্রমাণ হলে তাদের শাস্তি দেয়ার বিধান আছে। কিন্তু আদালতের বিচারের সুযোগ না দিয়ে নির্মমভাবে প্রহার করে হত্যা অথবা হাত-পা, মেরুদন্ড গুঁড়িয়ে বিকলাঙ্গ করে দেয়া সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজে কল্পনা করা যায় না। দুর্ভাগ্যবশত: আমাদের সমাজে এ বিষয়টি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
(তিন)
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক-এগারোর সরকারের আমলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দু’ছেলে আরাফাত রহমান ও তারেক রহমানের উপর রিমান্ডে বর্বরোচিত নির্যাতন একটি কলঙ্কিত ঘটনা। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে ক্ষমতাসীন সরকার, ব্যবস্থা তো নেয়া দূরের কথা বরং নিপীড়নের খড়গ আরো শাণিত করেছেন। এ জিঘাংসার দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াত নেতৃবৃন্দের সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়-স্বজন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা যখন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বী নেতৃবৃন্দকে (তাদের ভাষায় দুষ্কৃতিকারী) নির্বংশ করার ঘোষণা দেন তখন মনে হয় না যে, আমরা সভ্য জগতে বসবাস করছি। কে অপরাধী এবং কে অপরাধী নয়- তা নির্ধারণের দায়িত্ব আদালতের। আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক শাস্তি প্রদান আদালত ও আইনের শাসনকে উপেক্ষা করার সামিল।
গত সপ্তাহে ঢাকা মহানগরী জামায়াতের আমীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য জনাব রফিকুল ইসলাম খানের ছেলেকে পুলিশের গ্রেফতার নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। ছেলেটি এসএসসি পরীক্ষার্থী, পরীক্ষা দিয়ে হল থেকে বের হবার পর বিনা ওয়ারেন্টে তাকে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন ব্যক্তি জবরদস্তি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তার খোঁজ না পেয়ে তার মা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন পেরেশান হয়ে পড়েন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে। বহু খোঁজাখুঁজি করে শেষ পর্যন্ত ডিবি অফিসে তার সন্ধান মেলে। সম্ভবত: পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে তার অবস্থানের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাকে আদালতে চালান দেয়া হয় এবং পুলিশ তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থী একটি ছেলে কার্যত: একটি শিশু। হাস্যকর হচ্ছে, ফেসবুকে সরকার বিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি শিশুর ফেসবুক স্ট্যাটাস যে সরকার সহ্য করতে পারেন না তার আদৌ গণভিত্তি আছে কি না তা ভেবে দেখার বিষয়। সরকার এবং জাতি উভয়ের জন্য এ বিষয়টিকে আমি লজ্জাজনক বলে মনে করি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই শিশুটিকে গ্রেফতারেরও আর সময় পেলেন না। পরীক্ষার মধ্যে গ্রেফতার করে তার ক্যারিয়ারটি ধ্বংস করার ব্যবস্থা করলেন। আদালতও পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী একটি শিশুকে রিমান্ডে দিলেন। এই লজ্জা রাখার জায়গা আছে বলে আমি মনে করি না। সংগঠন হিসেবে জামায়াত এবং তার নেতাদের সাথে ক্ষমতাসীনদের গরমিল থাকাটা স্বাভাবিক। ব্যবধান আদর্শিক। সরকার আদর্শ দিয়ে আদর্শের মোকাবিলা না করে এবং তাদের বশে আনতে না পেরে ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও অন্যান্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নির্মূল করতে চাচ্ছেন। সরকার প্রণীত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় রফিকুল ইসলাম খানের নামও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৭১ সালে তার পিতা সিরাজগঞ্জের একজন স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জামায়াত করার অপরাধে যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেলেন। অথচ ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল মাত্র ৩/৪ বছর। মুক্তিযোদ্ধা পিতা স্বাধীনতার জন্য রণাঙ্গনে লড়াই করেছেন আর তার ৩/৪ বছর বয়সী শিশুপুত্র পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দোসর সেজে যুদ্ধাপরাধ করেছেন, কি মজা! এ ধরনের মজার তথ্য একমাত্র আওয়ামী লীগই দিতে পারে। ছিঃ ছিঃ করবো, না হাসবো- বুঝে উঠতে পারছি না। তার ছেলে শিশু আব্দুল্লাহকে আমি বাহবা দেই। কেননা তার ভয়ে প্রবল প্রতাপশালী সরকার থর থর করে কাঁপে।
(চার)
আমি বাংলাদেশে হত্যা-গুম এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড নিয়ে কথা বলছিলাম। গত ছয় বছরে মানবাধিকার সংস্থাগুলো পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী ১১ সহস্রাধিক ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। গুমের শিকার হয়েছেন আরো সমসংখ্যক হতভাগ্য ব্যক্তি। তাদের স্বজনরা জানেন না তাদের অপরাধ কি এবং কোথায় আছে। হাল আমলে এমন কোনও দিন নেই যেদিন কেউ না কেউ হত্যা-গুমের শিকার হচ্ছে না। এর হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই স্তম্ভে ইতঃপূর্বে আমি বলেছিলাম যে, ভারতবর্ষসহ আমাদের এই অঞ্চলে এক সময় নরবলি প্রথা চালু ছিল। বিভিন্ন কাজ ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে নরবলি দেয়া হতো। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনও কিছু লোকের মধ্যে এই বিশ্বাস প্রচলিত ছিল যে, বড় বড় পুল ও বৃহৎ নির্মাণ কাজকে টেকসই করার জন্য নরবলি দেয়া অপরিহার্য। ঐ সময়ে ছেলেধরাদের উৎপাত ছিল লক্ষ্যণীয়। পল্লী এলাকায় ছেলেধরারা ছোট ছোট ছেলেদের ফুসলিয়ে কিংবা জবরদস্তি অপহরণ করে ঠিকাদাররা নির্মাণ স্থাপনা বা ব্রিজের ফাউন্ডেশনের তলায় তাদের বলি দিতো। এতে নাকি দেবতারা তুষ্ট হতেন এবং এর ফলে ঐ স্থাপনা টেকসই ও মজবুত হতো। এই নির্মম কাজে গ্রাম এলাকার বহু শিশু ঠিকাদারদের বলির শিকার হয়েছিল এবং অনেকের পিতামাতা এবং আত্মীয়-স্বজন পাগলও হয়ে গিয়েছিলেন। কালপরিক্রমায় এই কুসংস্কারটি বাংলাদেশ থেকে দূরীভূত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন ছেলেধরা ও অপহরণকারীদের একটি অংশ বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে ছেলে-মেয়েদের অপহরণ করে এবং সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই অপহরণকারীদের খপ্পর থেকে আমাদের সরকার প্রধানের বাবুর্চির মেয়েও রক্ষা পায়নি। দু’বছর আগে তাকে মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধ পল্লীতে পাওয়া গিয়েছে। তবে ছেলে ও মেয়ে শিশু অপহরণ ছাড়াও এখন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ও পদ ব্যবহার করে একশ্রেণীর অপহরণকারীর দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে মনে হয়। এরা রাজনীতিবিদদের অপহরণ করে গুম করে দিচ্ছে। অপহৃত এসব ব্যক্তিকে এখন ব্রিজ বা বড় ধরনের স্থাপনা নির্মাণের বেদিতে বলি দেয়া হচ্ছে না। তাদের বলি দেয়া হচ্ছে রাজনৈতিক দলসমূহের ক্ষমতায় টিকে থাকার দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের বেদিমূলে। ইলিয়াস আলী ও তার ড্রাইভার, সিলেটের ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডজন খানেক শিবির নেতাসহ গত ছয় বছরে অপহৃত শত শত রাজনৈতিক নেতাকর্মী এই ক্ষমতা প্রকল্পের বলি হয়েছেন কিনা আমি জানি না। তবে ঘটনা পরম্পরায় মনে হচ্ছে যে, তাদের বলি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আরেকটি কথা, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট হত্যা-গুমকে ইস্যু করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মুক্তির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন শুরু করেছে তাকে ভ-ুল করার জন্য সরকার বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দিয়েছিল তা তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে একই ধরনের ঘটনায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলসহ সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং দলটির কেন্দ্রীয় ও মহানগরী দফতর পুলিশ কর্তৃক অঘোষিতভাবে বন্ধ করে দেয়া এবং অন্য নেতা-কর্মীদের পাইকারীহারে গ্রেফতার করায় যারা উল্লসিত হয়েছিলেন কিংবা চুপ ছিলেন তাদের অনেকেই এখন সরকারের আসল উদ্দেশ্য উপলব্ধির চেষ্টা করছেন বলে মনে হয়। আমাদের সংবিধানের ৩৩ নং অনুচ্ছেদে পরিষ্কার বলা আছে, গ্রেফতারকৃত কোনও ব্যক্তিকে যথাসম্ভব শীঘ্র গ্রেফতারের কারণ জ্ঞাপন না করে প্রহরায় আটক রাখা যাবে না এবং উক্ত ব্যক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবীর সাথে পরামর্শের এবং তার আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এতে আরো বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃত ও প্রহরায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্টেটের সম্মুখে হাজির করা হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তাকে তদতিরিক্তকাল প্রহরায় আটক রাখা যাবে না। আমাদের সরকার তার পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংবিধানের এই অনুচ্ছেদটি মানছেন না। একইভাবে তারা মানছেন না এ ব্যাপারে প্রদত্ত দেশের উচ্চ আদালতের দিক-নির্দেশনাও।
(পাঁচ)
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আদালতের বিকল্প হোক কিংবা তাদেরকে কেউ এ কাজে ব্যবহার করুক দেশবাসীর তা কাম্য নয়। হত্যা-গুম, গ্রেফতার, ডিটেনশান ও রিমান্ডের নামে রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনের উপর নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আমাদের সংবিধানের ৩৩ নং অনুচ্ছেদ নাগরিকদের গ্রেফতার এবং ডিটেনশনের ব্যাপারে সুরক্ষা প্রদান করেছে। ৩৫ (৪) ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ তাদের বিচার ও শাস্তির বৈধ প্রক্রিয়া ও ইনসাফের নিরাপত্তা প্রদান করেছে। একইভাবে সংবিধানের ৩৬ ও ৩৭ নং অনুচ্ছেদ মানুষকে চলাফেরা ও সমাবেশ করার অধিকার প্রদান করেছে। দেশে জরুরি অবস্থা নেই এবং সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারসমূহ পরিপূর্ণভাবে বহাল রয়েছে। জামায়াত, শিবির অথবা বিএনপি কিংবা ছাত্রদলসহ তাদের কোনও অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধ কোনও সংগঠন নয়। এই অবস্থায় তারা সভা-সামবেশ করলে তা গোপন বৈঠক ও নাশকতার ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত হবে কেন তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দরকার। পাশাপাশি অবিলম্বে নাগরিক অধিকার পুনঃস্থাপন করাও জরুরি বলে আমি মনে করি। সকল বিচার-বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও গুমের বিচার-বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
তা যদি না করা হয়, তাহলে জাতিসংঘের কোনো সংস্থা এ তদন্ত করতে পারে। ইতোমধ্যেই ২০ দলের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
ড. মোঃ নূরুল আমিন 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads