সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২


গোমর ফাঁস! প্রথম আলো তাদের রিপোর্ট সরিয়ে ফেলছে! হলুদ সাংবাদিকতার দিন শেষ, তরুণ প্রজন্মের বাংলাদেশ !!!!!!!!

by Abdul Aziz on Monday, 19 March 2012 at 17:49 ·
বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারনার জবাবে জাতির ঘুম ভাঙ্গালেন অন-লাইন এক্টিভিস্টরা
প্রথম আলোর দিল্লি প্রতিনিধি দীপাঞ্জন রায়কে দিয়ে আইএসআই এর সাবেক প্রধান দুররানীর নাম ভাঙ্গিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় ডিজিটাল দুনিয়া বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যখন ষড়যন্ত্রকারী কপটদের শৈল্পিকভাবে বস্ত্রহরন করছিল- মির্জা ফখরুলরা, আমাদের মিডিয়া তথা পুরো জাতি তখনও বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারেই ছিল!

এক্ষেত্রে অন-লাইন এক্টিভিস্টদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রথম আলোর পরিকল্পিত ও বানোয়াট রিপোর্টের বিষয়ে সাধারন পাঠকেরা অনেক যৌক্তিক ও তথ্যনির্ভর মন্তব্য করায় তারা রিপোর্টগুলো প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করন থেকে মুছে দিয়েছে।

সরিয়ে ফেলা রিপোর্টগুলোর লিঙ্ক দেখুন......

প্রথম আলোর দিল্লি প্রতিনিধি Dipanjan Roy এর মাধ্যমে প্রচারিত বিএনপি-আইএসআই সংক্রান্ত রিপোর্টের রেশ ধরে নানা অজুহাতে ভারতবান্ধব কপট সুশীল মিডিয়া তাদের প্রপাগান্ডা অব্যাহত রেখেছিল-

আইএসআইয়ের টাকার প্রসঙ্গে বিএনপির উৎকণ্ঠা


অন-লাইন এক্টিভিস্টরা কপটতা ও মিথ্যাচার ধরে ফেলায় প্রথম আলো তাদের এ সংক্রান্ত সবগুলো রিপোর্ট সরিয়ে ফেলেছে! ভারতের কাছ থেকে বস্তা বস্তা টাকা নিয়েছে আ.লীগ


উল্লখ্যে গোমর ফাঁস হওয়ার আগে প্রকাশিত রিপোর্টগুলো আছে, কারন সেগুলোতে পাঠক প্রথম আলোর ধোকাবাজির রিপোর্টকে অনেকটাই বিশ্বাস করে বিএনপিকে ধোলাই দিয়েছিল। কিন্তু অনলাইন এক্টিভিস্টরা গোমর ফাঁস করে দেওয়ার পরে গত ১৮ তারিখের ২টি রিপোর্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আর কোন নতুন রিপোর্ট তারা করেনি। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তারা তাদের কপটতার গোমর ফাঁস হওয়ার জবাবে নতুনভাবে আরেকটি রিপোর্ট সহসাই করার চেষ্টা করছেন।

ব্লগসমূহ নেতিবাচক নেশার বিপরীতে একটি ইতিবাচক প্লাটফর্ম। দেশে বর্তমানে প্রায় ৯ কোটি মোবাইল ও ২ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। অদূর ভবিষ্যতে নেটের খরচ কমে যাওয়ার কারনে এবং গতি বেড়ে যাওয়ার কারনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়ে যাবে(২ বছরের মধ্যে)। সেক্ষেত্রে ব্লগগুলো পাবে নতুন মাত্রা। তরুণদের ফেসবুকে বিভিন্ন কারনে সীমাহীন সময় দেওয়া কিংবা নেতিবাচক সাইটগুলো থেকে গঠনমূলক সাইটে বা কাজে ব্যস্ত রাখা না গেলে ডিজিটালের প্লাবন জাতির উন্নতির পরিবর্তে সর্বনাশ ঢেকে আনতে পারে।

বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী ব্লগিং বিষয়টি অত্যন্ত আলোচিত। চলতি বছর মধ্যপ্রাচ্যের আন্দোলনে ব্লগারদের ভূমিকা, পাশ্চাত্যের আগ্রাসন ও অনিয়মের প্রতিবাদে আন্দোলনের নেতৃত্ব ও শান্তিতে নারী ব্লগারের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির ঘটনা উল্লেখ করার মত।

মাহাথীর মোহাম্মদ থেকে শুরু করে অনেক বিশ্বনেতারাও ব্লগিং জগতে আমাদের সবার জন্য বিশেষ করে তরুণদের জন্য অন্যরকম অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশেও মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সচিব ও বিভিন্ন বয়স ও শ্রেনীর পেশার অনেকেই ব্লগিং এ আসছেন।

বাংলাদেশেও জাতীয় স্বার্থে ব্লগারদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। অতীতে ফেলানী ইস্যুতে মূল ভূমিকা ব্লগাররাই রেখেছেন। ফ্যালানি ইস্যু নিয়ে বাংলা ব্লগগুলোর ভুমিকাও ইন্ডিয়ার কিছু ফোরামে আলোচনার ঝড় তুলেছিলো। আজকে বিচারপতি, আইনজীবি, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, শ্রমিক, কৃষক সব জায়গাতেই ২ দলে বিভক্ত। বিদেশী শকুনদের হাত থেকে দেশের সম্পদকে রক্ষা করে সামনে এগুতে ব্লগারদের শক্তিশালী ভূমিকা সময়ের দাবীও বটে। তবে সবসময় ব্লগারদের দর্শন হতে হবে ন্যায় ও দেশ।

সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো ব্লগ আসার পর প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া যা ইচ্ছা তাই করতে পারে না।

আগে এই ২ মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করত মিডিয়া এখন এদের নিয়ন্ত্রন করবে অনলাইন এক্টিভিস্টরা।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া কোন হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নিলে তা বিচক্ষণ ব্লগারদের নজর এড়াতে পারেনি। ফলে হলুদ সাংবাদিকতার জন্য ব্লগারদের কলমের আঁচড়ে নাস্তাবুদ হতে হচ্ছে এসব মিডিয়াকে।

হলুদ সাংবাদিকতার দিন শেষ,
তরুণ প্রজন্ম ও ব্লগের বাংলাদেশ

একথা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি সূচনালগ্ন থেকে বর্তমান অবধি এসবি ব্লগ জাতীয় স্বার্থের ব্যাপারে সর্বদা ছিল সোচ্চার।

আশাকরি, সকল অপপ্রচার সত্ত্বেও দেশের স্বার্থে ব্লগসমূহের ঈর্ষণীয় অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। সুত্র:সোনার বাংলাদেশ

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads