রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২


আমি অবাক হয়ে যাই, আওয়ামীলীগের মিথ্যাচার দেখে আর বিএনপির বোকামি দেখে!!
যে আশঙ্কা করেছিলাম, হাসিনা আর দীপু যখন নাচতেছে, তখন ঘটনা একটা কিছু আছে। মানে - ডালমে কুছ কালা হ্যায়। তাই হলো।

মিয়ামারের বিরুদ্ধে রায় আমাদের পক্ষে গেছে, এমন কথা বলতে বলতে বিটিগুলা পারলে শাড়ি খুলে নাচে। আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে, রায় হয়েছে মিয়ানমারের যুক্তি অনুযায়ী, মানে “সমদূর
ফর্মুলায়।” আর এতে করে বাংলাদেশ কতগুলি গ্যাস ক্ষেত্র ১৮,২৩, ২৮ সম্পূর্ন হারাচ্ছে, এবং ১৩,১৭,২২ আংশিক হারাচ্ছে। আর বেকুব দীপু দাঁত কেলিয়ে বলে বেড়াচ্ছে, “আমরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে” রায় পেয়েছি। আর আহাম্মকের দল (বিএনপি) না বুঝেই বলে, “আমরা খুশী।” আরে ফরমুলা হবে, হাসিনা যখন বলবে চিল কান নিছে, তখন প্রথমেই কানে হাত দিতে হবে..আছে, নাকি গেছে। ওর যে আজন্ম মিথ্যায় ভরা, এটা বাংলার মানুষ বার বার ভুলে যায় কেনো?

এটা পড়ে দেখুন, ওদের চাপাবাজির কি ধরন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুতত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম মনে করেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সমুদ্র সীমানা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের রায় বাংলাদেশের পক্ষে গেছে, এমন দাবি করা বাস্তবসম্মত নয়। বাংলাদেশ সরকার বলছে, মিয়ানমারের দাবি অনুযায়ী এই সীমানা নির্ধারণে সমদূরত্বের নীতি অবলম্বন করা হয়নি বরং বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী ন্যায়পরায়নতার নীতি অবলম্বন করা হয়েছে৷ [এ নিয়ে আমরা আগেই দেখেছি, রায় হয়েছে মিয়ানমায়ের যুক্তি মোতাবেক। রায়ের ১৫৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বংলাদেশের দাবী নাকচ হয়েছ। বাংলাদেশ চেয়েছিলো ন্যায্যতার ভিত্তিতে, আর সে দাবী নাকচ করেছে ট্রাইবুনাল।সবমিলিয়ে এ মামলায় সমুদ্রসীমা নির্ধারণে মিয়ানমারের যুক্তি অনুযায়ী ‘সমদূরত্ব’কেই নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা’র পরে আরো গভীর সমুদ্রে ‘মহাদেশীয় ঢাল’ অংশে বাংলাদেশ দাবি অনুযায়ী সীমানা পায়নি।] বদরুল ইমাম মন্তব্য করেন, এ রায়কে বাংলাদেশের জন্য সমুদ্র বিজয় বলা যায় না৷ এ রায়টি নিয়ে সরকারি মহল ও এর সঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিক্রিয়াকে 'ওভারব্লোন' বা 'অতিরিক্ত ফুলিয়ে ওঠানো' বলা যেতে পারে৷ কারন:

প্রথমত. এ রায়ে নির্ধারিত সীমানার ফলে বাংলাদেশ পূর্বদিকে মিয়ানমার সমুদ্র সীমানাসংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্যাস ব্লক হারাবে, অর্থাত্‍ বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র গ্যাস ব্লক নং ১৮, ২৩ ও ২৮ পুরোটাই মিয়ানমারের পক্ষে চলে যাবে৷ অধিকন্তু বাংলাদেশের আরো কয়েকটি গভীর সমুদ্র ব্লকের (১৭, ২২, ২৩ ও ১৩ নং) অংশ বিশেষ মিয়ানমারের পক্ষে চলে যাবে৷

দ্বিতীয়ত. বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বর্ধিত মহীসোপান বা এক্সটেন্ডেড কন্টিনেন্টাল শেলফ এলাকাটি বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী দেয়া হয়নি৷ যদিও বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমুদ্র আইন অনুযায়ী অনুসরণ করে বৈজ্ঞানিক উপাত্ত পেশ করেছে যে_ বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র তলদেশে প্রাকৃতিকভাবে পলি জমে (ভূবিজ্ঞানের ভাষায় ডিপ সি ফ্যান) ভূখণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বর্ধিত অংশ বিদ্যমান৷ তবে জাতিসংঘের সমুদ্র আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি দেশ উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একান্ত অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে পেয়ে থাকার নিয়ম, সেটি বাংলাদেশ পেয়েছে৷ এ ব্যাপারে ভারত ও মিয়ানমার তাদের আপত্তি করেছিলো। সব মিলিয়ে রায় হয়েছে ফিফটি-ফিফটি।


আর এ কারনেই বর্মীরা এ রায়কে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এখন বুঝুন দশা!!

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads