বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১২

নগরকান্দার ইউএনও অফিস কিনল আওয়ামী লীগ নেতারা




ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের পুরনো ভবন নিলাম ছাড়াই নামমাত্র মূল্যে কিনে নিলেন আওয়ামী লীগের সাত নেতা। এ ঘটনায় খোদ আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ বিক্ষুব্ধ হলেও দলের চাপে চুপ থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে পুরনো ভবন ভেঙে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, নগরকান্দা উপজেলার পুরনো ভবন ভেঙে নতুন একটি ভবনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। ওই স্থানে ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি ভবন রয়েছে। সম্প্রতি পুরনো এসব ভবন ভাঙার জন্য নিলাম আহ্বানের উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে বাদ সাধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মুন্নু মাতব্বর, বাবলু চেয়ারম্যান, মিজান, লিয়াকত, নিয়ামতসহ কয়েকজন নেতা। জানা গেছে, তারা নিলাম ডাকা থেকে বিরত রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। ফলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে এবং কোনো প্রকার নিলাম না করে পুরনো কয়েকটি ভবন মাত্র আড়াই লাখ টাকায় কিনে নেন আওয়ামী লীগের সাত নেতা। এদের মধ্যে একজন অন্যদের কাছ থেকে পুরনো ভবনের মালামাল কিনে নেন। এ ঘটনায় নগরকান্দাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকদফা যোগাযোগ করা হলে তারা কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্থানীয় কয়েক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, যেসব ভবন মাত্র আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে তার দাম কম করে হলেও পনের লাখ টাকা হবে। তাছাড়া সরকারি সম্পত্তি কোনো প্রকার নিলাম ছাড়া কীভাবে বিক্রি করা হলো তা জনসম্মুখে প্রকাশ হওয়া দরকার। স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিলাম ছাড়াই পুরনো ভবনগুলো বিক্রি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম কাদেরের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে, ক্রেতা মুন্নু মাতব্বর বলেন, 'আমি ভাই মুরবি্ব মানুষ। এত প্যাঁচগোজ বুঝি না। আমাকে সঙ্গে রেখেছে তাই আমি আছি। এখানে কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে আমার কোনো দোষ নেই।'বাংলাদেশ প্রতিদিন ৩০ মার্চ ২০১২ 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads