শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১২

‘টিপাইমুখ নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচার করছে’



স্টাফ রিপোর্টার: টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য অতিশয় হুমকি এ বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সরকার লুকোচুরি করছে। কারণ, এ বাঁধ নির্মাণে সরকার কদিকে ভারতকে মৌন সম্মতি দিচ্ছে, অন্যদিকে বলছে টিপাইমুখ বাঁধে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হলে বাধা দেয়া হবে, যা স্ববিরোধী এবং জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচার। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও জাতীয় নদী  রক্ষা আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে টিপাইমুখ ড্যাম বিষয়ে যৌথ সমীক্ষা কমিটিতে পানি, নদী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবদুল মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, স্থপতি ইকবাল হাবিব, আলমগীর কবির, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপা’র নির্বাহী সদস্য ড. মাহবুব হোসেন প্রমুখ। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা টিপাইমুখ বাঁধের পক্ষে না বিপক্ষে জনগণের সামনে তা স্পষ্ট করুন।’ তিনি বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের যৌথ সমীক্ষা দলের পক্ষ থেকে যে কয়েকজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তারা শুরু থেকেই টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের পক্ষেই সাফাই গেয়ে আসছেন। নিরপেক্ষ প্রতিনিধি দল ছাড়া টিপাইমুখের সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘যৌথ সমীক্ষা কমিটিতে পানি, নদী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সিলেট জনসভায় বলেছেন, টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণে দেশের ক্ষতি হলে বাংলাদেশ মানবে না। অথচ ভারতীয় পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশের মৌন সম্মতির বিষয়টি প্রকাশ পেলেও সরকার কোন প্রতিবাদ করেনি। এ প্রেক্ষাপটে সমীক্ষা প্রক্রিয়াটি তৃতীয় দেশের কোন নিরপেক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে করানোর দাবি জানান তিনি। অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারাও এ বাঁধের বিষয়ে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তারা বলেন, টিপাইমুখ ড্যাম নিয়ে সরকার আগে থেকেই অবহেলা করেছে। যেমন একান্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে টিপাইমুখ বাঁধের যৌথ প্রতিনিধি দল গঠনের মধ্য দিয়ে সরকার এই ‘সিরিয়াস’ বিষয়টিতে তাদের নির্মোহ পরিবেশ, দেশ ও জনগণের স্বার্থপন্থি অবস্থানকে প্রথমেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে জনগণ এখন হতাশ হয়ে পড়েছে। সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের আস্থার দিকটি বিবেচনা নিয়ে অনভিজ্ঞ সদস্যদের বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি শক্তিশালী বাংলাদেশী টিম যৌথ সমীক্ষা দলে নিশ্চিত করতে হবে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads