দেশে কিছু ঘটলেই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের ওপর দায়ভার চাপানোর মানসিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শাসকদলের এ তৎপরতা দেশবাসীর কাছে প্রায় দিবালোকের মতোই স্পষ্ট হয়ে পড়ছে। এতে ক্ষমতাসীনদের ভাবমর্যাদা যে মোটেও বাড়ছে না, তা নিশ্চয়ই তাদের বোধগম্যের মধ্যে রয়েছে বলে আমরা মনে করতে চাই। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, এর লক্ষণ আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে না। সম্প্রতি দু’জন বিদেশী নাগরিক হত্যা ও তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে গ্রেনেড হামলার জন্য জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে জড়িয়ে ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এমনকি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকেও একই সুরে কথা বলে বাজিমাতের জন্য ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। পুলিশ নেমে পড়েছে কর্তার হুকুমে সন্ত্রাসী আটক করতে। একইভাবে পাকড়াও করা হচ্ছে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে। জড়ানো হচ্ছে জামিনের অযোগ্য মামলায়। এমনই দুর্বিষহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশে। বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকা নেতাদেরও জড়ানো হচ্ছে এসব মামলায়। এছাড়া ঘরোয়া অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়েও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী হামলার আসামী বানানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতি যখন নিজেই গৃহবন্দী তখন এদেশে গণতন্ত্রের কী দুর্দিন তার বর্ণনা প্রয়োজনহীন বৈকি।
দিন-রাত সকল পর্যায়ের নেতা-নেত্রীদের মুখে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দোষ চাপিয়ে এবং দেশীয় মিডিয়ায় সিন্ডিকেটেড রিপোর্ট করেও যখন পার পাওয়া যাচ্ছে না, তখন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষের আইনজীবীদের গ্রেফতার-রিমান্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। শুধু তাই নয়, বিদেশী সাংবাদিকও ভাড়া করে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে প্রচারণার জন্য। অবশ্য ক্ষমতাসীনদের এসব অরাজনীতিক সুলভ অপতৎপরতা ও প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ করা হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত-শিেিবরর তরফ থেকে। কিন্তু উপযুক্ত প্রচার পায় না। ফলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই অন্ধকারে থাকছেন। কিন্তু যাদের চোখ-কান খোলা তারা ঠিকই প্রকৃত পরিস্থিতি অনুধাবন করে যাচ্ছেন। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দমিয়ে রাখবার হীনউদ্দেশ্যে যতই জুলুম-নির্যাতন চালানো হোক না কেন, শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, একদিন না একদিন শাকের ভেতর থেকে মাছ বেরিয়ে পড়বেই। অর্থাৎ কোনও মিথ্যাচার গোপন থাকবে না। সত্যের আগুন দাবানল হয়ে ছড়িয়ে পড়বে চতুর্দিকে। ক্ষমতাসীনরা হয় তো মনে করছেন যে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফাঁসিয়ে কিংবা তাদের জেলে পুরে রেখে তারা উদ্দেশ্য হাসিল করতে সক্ষম হবেন। তারা যা করবেন তাই গণতন্ত্র বলে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু এ কথা মনে রাখা জরুরি যে, ‘চিরদিন সবার সমান নাহি যায়।’ সুতরাং বৈরিতা, হিংসা, প্রতিহিংসা কখনই ভালো ফল দেয় না, এটা ক্ষমতাসীনদেরই সবচেয়ে বেশি বুঝা উচিত।
গণতন্ত্র মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার থেকে নাগরিকদের বেশিদিন বঞ্চিত করে রাখা যায় না। এর পরিণতিও হয় না সুখকর। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দাবিয়ে রাখতে যতই মামলা-হামলা চালানো হোক, জনগণ কিন্তু চোখ-কান খুলে রেখেছেন। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের যতই দোষ দেয়া আর তাদের মামলায় জড়িয়ে জেলে পুরে রাখা হোক না কেন, সচেতন জনগণ কিন্তু সবই দেখছেন। সবকিছু বুঝছেনও। আর সব দোষ কেবল নন্দ ঘোষের ওপর চাপিয়ে যে পার পাওয়া যাবে না- তা নিশ্চয়ই সরকার বুঝেন। এই বুঝটা অবশ্যই বিবেকের একটা সতর্ক বাণী। সরকার এটা উপলব্ধি করুন, হিংসা বৈরিতার পথ থেকে সবাই ফিরে আসুন, জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক এটা দেশের সবাই চায়।
দিন-রাত সকল পর্যায়ের নেতা-নেত্রীদের মুখে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দোষ চাপিয়ে এবং দেশীয় মিডিয়ায় সিন্ডিকেটেড রিপোর্ট করেও যখন পার পাওয়া যাচ্ছে না, তখন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষের আইনজীবীদের গ্রেফতার-রিমান্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। শুধু তাই নয়, বিদেশী সাংবাদিকও ভাড়া করে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে প্রচারণার জন্য। অবশ্য ক্ষমতাসীনদের এসব অরাজনীতিক সুলভ অপতৎপরতা ও প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ করা হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত-শিেিবরর তরফ থেকে। কিন্তু উপযুক্ত প্রচার পায় না। ফলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই অন্ধকারে থাকছেন। কিন্তু যাদের চোখ-কান খোলা তারা ঠিকই প্রকৃত পরিস্থিতি অনুধাবন করে যাচ্ছেন। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দমিয়ে রাখবার হীনউদ্দেশ্যে যতই জুলুম-নির্যাতন চালানো হোক না কেন, শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, একদিন না একদিন শাকের ভেতর থেকে মাছ বেরিয়ে পড়বেই। অর্থাৎ কোনও মিথ্যাচার গোপন থাকবে না। সত্যের আগুন দাবানল হয়ে ছড়িয়ে পড়বে চতুর্দিকে। ক্ষমতাসীনরা হয় তো মনে করছেন যে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফাঁসিয়ে কিংবা তাদের জেলে পুরে রেখে তারা উদ্দেশ্য হাসিল করতে সক্ষম হবেন। তারা যা করবেন তাই গণতন্ত্র বলে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু এ কথা মনে রাখা জরুরি যে, ‘চিরদিন সবার সমান নাহি যায়।’ সুতরাং বৈরিতা, হিংসা, প্রতিহিংসা কখনই ভালো ফল দেয় না, এটা ক্ষমতাসীনদেরই সবচেয়ে বেশি বুঝা উচিত।
গণতন্ত্র মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার থেকে নাগরিকদের বেশিদিন বঞ্চিত করে রাখা যায় না। এর পরিণতিও হয় না সুখকর। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দাবিয়ে রাখতে যতই মামলা-হামলা চালানো হোক, জনগণ কিন্তু চোখ-কান খুলে রেখেছেন। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের যতই দোষ দেয়া আর তাদের মামলায় জড়িয়ে জেলে পুরে রাখা হোক না কেন, সচেতন জনগণ কিন্তু সবই দেখছেন। সবকিছু বুঝছেনও। আর সব দোষ কেবল নন্দ ঘোষের ওপর চাপিয়ে যে পার পাওয়া যাবে না- তা নিশ্চয়ই সরকার বুঝেন। এই বুঝটা অবশ্যই বিবেকের একটা সতর্ক বাণী। সরকার এটা উপলব্ধি করুন, হিংসা বৈরিতার পথ থেকে সবাই ফিরে আসুন, জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক এটা দেশের সবাই চায়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন