মানব জাতির মধ্যে বৈচিত্র্য আছে, অনেক বিষয়ে পার্থক্যও আছে, তারপরও মানুষ তো মানুষই। মানুষ মানুষের সাথে মানবিক আচরণ করবে- এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বিজ্ঞান প্রযুক্তির এত উন্নতির পরও মানুষ এখনো অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের প্রতি মানবিক ও সভ্য আচরণে সক্ষম হচ্ছে না। মানুষ এখনো সভ্যতার সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ কারণেই হয়তো ভারতের হরিয়ানায় দলিত সম্প্রদায়ের দুই শিশুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে পারলো স্থানীয় রাজপুত সম্প্রদায়ের লোকজন। ১৯ অক্টোবর রাত তিনটার দিকে রাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর ফরিদাবাদের বল্লবগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত শিশু দু’টির বাবা-মা আগুনে দগ্ধ হয়। তাদের নয়াদিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফরিদাবাদে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত শিশু দু’টির বাবা জিতেন্দ্র বলেন, কিছুদিন ধরেই রাজপুত পরিবারের লোকজন আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা আমাদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলে। আমরা এলাকা ছেড়ে চলে না যাওয়ায় ঘটনার দিন রাতে তারা ঘরের জানালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আমাদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চালায়।
মানুষকে পুড়িয়ে মারার তৎপরতা কোনো সভ্য দেশে চলতে পারে না। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো চমৎকার সব বিশেষণে বিশেষিত রাষ্ট্রগুলোতেও এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা। এমন ঘটনায় মানুষ উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। ফরিদাবাদের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও। ওই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর খাত্রাকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যার মত ঘটনা প্রতিরোধে সরকার ও প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তো সমাজ আর মানুষের বসবাসযোগ্য থাকবে না। এখন দেখার বিষয় হলো, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে উগ্রতা ও নিষ্ঠুরতার মাত্রা যেন বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে ভারতের লেখক সমাজ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেক লেখক প্রাপ্ত পদক ও সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে ভারতের উগ্রতা ও সাম্প্রদায়িকতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মুক্তমনা লেখকরা নিহত হচ্ছেন, গো-মাংস খাওয়ার কারণে নিহত হচ্ছেন সংখ্যালঘু মুসলমানরাও। লক্ষণীয় বিষয় হলো, নির্মল বিনোদন মাধ্যম অভিজাত ক্রিকেট অঙ্গনেও উগ্রতা এবং সাম্প্রদায়িক চেতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আম্পায়ার আলিমদারের পর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার পঞ্চম ওয়ানডের আগেই ফিরে যেতে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আকতারকে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনার হুমকিতে ওই দুই ক্রিকেট তারকাকে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)-এর কার্যালয়ে শিবসেনার আকস্মিকভাবে প্রবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় নিরাপত্তা ইস্যুতে ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আকতারকে পঞ্চম ওয়ানডের আগেই পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় স্টার স্পোর্টস। এই চ্যানেলটির ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ বিষয়ক বিশেষ প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য ভারতে আসেন পাকিস্তানের ওই দুই সাবেক ক্রিকেটার। ভারতের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় আনলে উপলব্ধি করা যায়, নানা কর্মকাণ্ডে দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় হলো, সরকার তাদের সংবিধান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে কতটা সক্ষম হয়।
মানুষকে পুড়িয়ে মারার তৎপরতা কোনো সভ্য দেশে চলতে পারে না। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো চমৎকার সব বিশেষণে বিশেষিত রাষ্ট্রগুলোতেও এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা। এমন ঘটনায় মানুষ উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। ফরিদাবাদের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও। ওই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর খাত্রাকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যার মত ঘটনা প্রতিরোধে সরকার ও প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তো সমাজ আর মানুষের বসবাসযোগ্য থাকবে না। এখন দেখার বিষয় হলো, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে উগ্রতা ও নিষ্ঠুরতার মাত্রা যেন বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে ভারতের লেখক সমাজ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেক লেখক প্রাপ্ত পদক ও সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে ভারতের উগ্রতা ও সাম্প্রদায়িকতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মুক্তমনা লেখকরা নিহত হচ্ছেন, গো-মাংস খাওয়ার কারণে নিহত হচ্ছেন সংখ্যালঘু মুসলমানরাও। লক্ষণীয় বিষয় হলো, নির্মল বিনোদন মাধ্যম অভিজাত ক্রিকেট অঙ্গনেও উগ্রতা এবং সাম্প্রদায়িক চেতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আম্পায়ার আলিমদারের পর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার পঞ্চম ওয়ানডের আগেই ফিরে যেতে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আকতারকে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনার হুমকিতে ওই দুই ক্রিকেট তারকাকে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)-এর কার্যালয়ে শিবসেনার আকস্মিকভাবে প্রবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় নিরাপত্তা ইস্যুতে ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আকতারকে পঞ্চম ওয়ানডের আগেই পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় স্টার স্পোর্টস। এই চ্যানেলটির ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ বিষয়ক বিশেষ প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য ভারতে আসেন পাকিস্তানের ওই দুই সাবেক ক্রিকেটার। ভারতের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় আনলে উপলব্ধি করা যায়, নানা কর্মকাণ্ডে দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় হলো, সরকার তাদের সংবিধান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে কতটা সক্ষম হয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন