শনিবার, ২২ মার্চ, ২০১৪

কেউ ভোলে না কেউ ভোলে : আওয়ামী লীগের একদিনের সহিংসতার খতিয়ান


ইচ্ছে ছিল চতুর্থ দফা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে লিখবো। কিন্তু সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। কারণ চতুর্থ দফা ইলেকশন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ শে মার্চ অর্থাৎ আজ রোববার, যখন আমার লেখা ইতোমধ্যে ছাপা হয়ে গেছে। আমার পরবর্তী কলাম ছাপা হবে আগামী রোববার অর্থাৎ ৩০শে মার্চ। পঞ্চম ও শেষ দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার পরদিন, অর্থাৎ ৩১শে মার্চ সোমবার। আর আমার কলাম বের হবে ৬ই এপ্রিল। সুতরাং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যখনই লেখি না কেন, সেটি হবে বাসি লেখা। তবুও সেই ইলেকশন নিয়ে আমার বিশ্লেষণ পাঠক ভাই-বোনদের কাছে অন্তত পাঠাতে পারবো তো।
গত শুক্রবার ঢাকার একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকের চার কলামব্যাপী প্রধান সংবাদের শিরোনাম, ‘চতুর্থ দফায় ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা।’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘উপজেলা নির্বাচনে (২৩ মার্চ) ভোট দেয়ার নামে যদি কারও খায়েশ হয় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার, আর ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর আমাদের কর্মীরা তাদের দেখে আবার যদি মাথা গরম হয়ে যায়, আবার ফাটিয়ে দেয়া এবং মারতে মারতে মেরেও ফেলে তাহলে আমরা কিছু করতে পারবো না। আমার পোলিং এজেন্টদের সামনে প্রকাশ্যে সিল মারতে হবে। স্থানীয় এক নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন আরও বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে কেউ যদি পোলিং এজেন্ট হয়ে দায়িত্ব পালন করতে যায়, আর আমার কর্মীরা যদি তাদের মেরে ফেলে তাতে আমি দায়ী থাকবো না। তিনি আরো বলেন, আজ (বুধবার) থেকে বিএনপি-জামায়াতের হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযান শুরু হবে। এর হাত থেকে বাঁচতে চাইলে এলাকা ছেড়ে চলে যান। ২৩ তারিখের পর আসতে হবে। তাহলে এ জনপদ রক্তাক্ত হবে না। এর বিকল্প কিছু করতে চাইলে তা হবে বুমেরাং।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কেন্দ্র দখলের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কর্মীদের বলছি, আপনারা ২৩ তারিখ ভোর ৬টার মধ্যে ভোটকেন্দ্রের চার দিকে ব্যুহ রচনা করবেন যাতে আপনাদের ভেদ করে কেউ ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারে। নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ভোটের দিন আপনারা বিরোধী পক্ষের লোকজনদের বাড়ি বাড়ি খুঁজবেন এবং পুলিশে সোপর্দ করবেন। এই কাজটি করতে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হলে হাত তুলে জানান। তাহলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’ (দৈনিক যুগান্তর, ২১-০৩-২০১৪)।
আসলে এই নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে সন্ত্রাস ও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই আশঙ্কা কতদূর সঠিক ছিল, অথবা সেই সহিংসতা কিভাবে কার্যকর হয় সেটি দেখার জন্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে রাজনৈতিক মহল এই দিনটির দিকে তাকিয়ে আছেন।
দুই
এখন যাচ্ছি ভিন্ন প্রসঙ্গে। সেটি হলো বিরোধীদলীয় কর্মসূচিতে বিশেষ করে হরতাল ও অবরোধে সহিংসতা ও রক্তপাতের কথা বলে তাদের আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র এবং মানুষ মারার আন্দোলন বলে সরকার গত তিন চার মাস আগে থেকে জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছে। হরতাল বা অবরোধের মধ্যে কোনো ভাঙচুর হবে না, অগ্নিসংযোগ হবে না, ককটেল মারা হবে না, যদি এই রকম হরতাল বা অবরোধ হয় তাহলে আমাদের চেয়ে সুখী আর কেউ হবে না। সরকারের প্রোপাগান্ডা মেশিন এত জোরদার যে, এই ধরনের প্রচারণায় জনগণ বিভ্রান্ত হন এবং ক্ষেত্র বিশেষে জনগণ তা কিছুটা বিশ্বাসও করেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে যে, রাজপথের আন্দোলন কোনোদিন গান্ধীবাদী অহিংস হয় না এবং প্রায় ক্ষেত্রে সেটি সহিংস হয়ে ওঠে।
এর জ্বলন্ত প্রমাণ হলো বেগম জিয়া তথা বিএনপি’র দুই দফা শাসনামলে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের চরম শ্বেত ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কায়েম করা। ১৯৯৬ সালের ২০শে মার্চ ঢাকার একটি দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠার সংবাদের অংশ বিশেষ এখানে উল্লেখ করছি। শিরোনামটি দেয়া হয়েছে, আট কলাম জুড়ে। শিরোনামটি হলোÑ ‘প্রধান বিরোধী দলসমূহ আহূত ‘সংসদ ঘেরাও’ কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশের গ্যাস সেল ও গুলীবর্ষণ/রাজধানীর ব্যাপক এলাকা রণক্ষেত্র : ব্যাংক ও সরকারি অফিসে আগুন : ২০টির বেশি গাড়ি ভস্মীভূত : ব্যাপক বোমাবাজি।’
খবরে বলা হয়েছে, ‘পূর্বাহ্নের ঢাকা ছিল অসহযোগে অচল অপরাহ্নের ঢাকা ছিল অগ্নিগর্ভা। রাজধানীর ব্যাপক এলাকাজুড়ে চলছে গুলী, বোমা, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও। পুলিশি অ্যাকশন যথারীতি আহত করেছে পেশাগত কাজে ব্যস্ত সাংবাদিক, বিরোধীদলীয় কর্মী, সমর্থক ও পথচারীদের। আহত হয়েছে শতাধিক। ৪০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৫ জনকে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে জনরোষে ভস্মীভূত হয়েছে ২০টির বেশি গাড়ি। বেশকিছু সরকারি অফিস, ব্যাংকে আগুন দেয়া হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। সচিবালয়ের দেয়াল ঘেঁষে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদপত্রের গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। শেষ বিকেল হতে রাত পর্যন্ত ফার্মগেট, সোবহানবাগ, গ্রীনরোড়, ধানমন্ডির বিভিন্ন এলাকা, তেজকুনীপাড়া, কাওরান বাজার প্রভৃতি এলাকা ছিল রণক্ষেত্র। প্রধান প্রধান বিরোধী দল আহূত সংসদ ঘেরাও কর্মসূচি ঠেকাতে গৃহীত পুলিশি ব্যবস্থার ফসল গতকাল অপরাহ্নের এই সব ঘটনা।’
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, ‘গতকাল অপরাহ্নের এই বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে বেশকিছু সরকারি অফিসে আগুন দেয়া হয়। রমনা পরিবার পরিকল্পনা অফিস, মতিঝিল আইসিটি অফিস, ধানমন্ডি পরিবার পরিকল্পনা অফিস, পরিবেশ অধিদফতরের অফিস, তেজগাঁও বিআরটিসি ট্রাক ডিপো, খিলজী রোড়ে স্থানীয় সরকার অফিস, বাবর রোড়ে প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বনানী বাজার পাওয়ার স্টেশন, গুলিস্তান ও রমনা পার্ক এলাকায় দু’টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। বাংলা মোটরে বিএনপি অফিসে আগুন দেয়া হয়। বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ও ইংলিশ রোড়ে পুলিশ ভ্যানে বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। কাওরান বাজার আরব বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা, জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখা ও কাওরান বাজার ন্যাশনাল ব্যাংকেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মালিবাগে পেট্রল পাম্পে আগুন দেয়া হয়েছে। এইসব সংঘর্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। ২৯নং ওয়ার্ড কমিশনার এনামুল হক সর্দারের ১০৩/এ উত্তর মুগদাপাড়াস্থ বাসভবনে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় কমিশনরের একমাত্র পুত্রের শয়নকক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়।
পৌনে ৬টায় সোবহানবাগস্থ পরিবেশ অধিদফতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এই অধিদফতরের গ্যারেজে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করলে ৩টি পাজেরো, ১টি জিপ, ১টি মাইক্রোবাস, ২টি প্রাইভেটকার, ২টি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। তবে প্রতিটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোড়ে পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর হামলা করে। গ্যাস সেল ও গুলীবর্ষণ করলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সন্ধ্যায় ২৭ নম্বরের গলিতে গলিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় ১০-১২টি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সোবহানবাগে দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিকদের বহনকারী বেবিটেক্সি (ঢাকা-০২-১১৬৩) ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সন্ধ্যার পর কাওরান বাজার এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। দুপুরের দিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনতা ব্যাংকের ভেতরে একটি পড়ে আগুন ধরে যায়। পুলিশ দ্রুত ছুটে গিয়ে কয়েক রাউন্ড গ্যাস সেল নিক্ষেপ করে আগুন নেভানোর কাজ করে। সন্ধ্যার দিকে পুনরায় ব্যাংকটিতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ গ্যাস সেল নিক্ষেপকারী ৫ জন পিকেটারকে গ্রেফতার করে। মেডিকেল রিপোর্টার জানান, সকাল পৌনে ৭টায় ফার্মগেট ওভার ব্রিজের সামনে পিকেটাররা একটি বাসে বোমা নিক্ষেপ করলে বাসযাত্রী বিজয় (৪০) ও টগর (৩০) আহত হয়। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গোটা ফার্মগেট, পান্থপথ ও কাওরান বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় কাওরান বাজার এলাকায় রেজাউল করিম (২৩), সাধন (৪০) ও আকবর আলী (৪৫) বোমায় আহত হয়। ফার্মগেট এলাকায় আনোয়ার হোসেন (২১), মুক্তার (২৩), সবুজ (২২), হারুনুর রশিদ (২০), লিটন (২৫), ইসমাইল (১৫), মাহাবুব (২৬), মানিক (১২), মামুন (২৫), মোস্তাক (২০), মো. আলম (২৩), আকবর আলী (৪৫), নুরুন্নবী (৪০) ও রুবেল (২৩) আহত হন।
সোবহানবাগ মসজিদ অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে একদল যুবক ধানমন্ডি ১৫ নম্বর (নতুন) সড়কের প্রথম বাড়িতে অবস্থিত পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভাঙচুর এবং গেট ভেঙে ভেতরে রাখা ২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। বিক্ষুব্ধ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিপরীত দিক থেকে পুলিশ প্রথমে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। কিন্তু মারমুখো মিছিলকারীরা বোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে পুলিশকে ধাওয়া করে। সোয়া ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত গোটা এলাকা ছিল রণক্ষেত্র। প্রাণ ভয়ে এলাকার বাসাবাড়ির লোকজন মেঝেতে শুয়ে পড়ে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোবহানবাগ ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে ১৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। মেডিকেল রিপোর্টার জানান, গতকাল রাজধানীতে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় আহত ৪০ ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ফার্মগেট এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ও গুলীতে আহত ২১ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। এছাড়াও সকাল সাড়ে ৯টায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি বাসে বোমা নিক্ষেপ করলে বাসযাত্রী মোজাম্মেল হক (৪৫) ও তার ছেলে মোমেন (১৪) আহত হন। সকাল ১০টায় যাত্রাবাড়ী ভাঙা প্রেস এলাকায় একটি বাড়ির ছাদে বোমা বিস্ফোরণে আব্দুল জলিল (১৬) আহত হয়। বেলা ২টায় মতিঝিল এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে ইসমাইল (২৫), মোস্তফা (২২) ও আকবর আলী (৩৫) আহত হন। বিকেল ৪টায় বিডিআর ২ নম্বর গেটে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলের ওপর হামলা চালান হলে স্বপন (১৫) ও পিন্টু (১৮) আহত হয়। বিকেল ৫টায় হাজারীবাগ বটতলায় স্থানীয় একটি গার্মেন্টস শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার পথে তাদের ওপর বোমা হামলা চালানো হলে গার্মেন্টস শ্রমিক নাদিম (২৫), আলমগীর হোসেন জুঁই (২০), নার্গিস (২৩), রাশেদ (২৫) বোমায় আহত হন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তেজগাঁও নাবিস্কোর মোড়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বোমাবাজি হলে মো. কবির (১৮) আহত হয়।’
 তিন
মাত্র একদিন অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের ১৯শে মার্চের ঘটনাবলি বললাম। আওয়ামী লীগ যে কত দূর ধ্বংসাত্মক হতে পারে তার নমুনা ওপরের ওই একদিনের ঘটনা। তাদের এ ধরনের ধ্বংসাত্মক তৎপরতার ফিরিস্তি, অর্থাৎ পত্রিকার ক্লিপিং আমার কাছে অনেক আছে। তবে আফসোস হয় প্রধান বিরোধী দলের ওপর। এদের কোনো রিসার্চ সেল আছে বলে মনে হয় না। এরা কোনো হোমওয়ার্ক করে না। এরা গরিব মানুষদের ভাত, কাপড়, বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, নুন এইসব নিয়ে আন্দোলন করে না। আওয়ামী লীগের ভিত্তিহীন এবং ওয়াইল্ড অভিযোগের জবাব দিতে পারে না। সেজন্যই তারা রাজনীতির মাঠে ব্যাক সিটে আছে। কতদিন থাকবে সেটি আল্লাহই জানেন।

ইনসেট
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, ‘গতকাল অপরাহ্নের এই বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে বেশ কিছু সরকারি অফিসে আগুন দেয়া হয়। রমনা পরিবার পরিকল্পনা অফিস, মতিঝিল আইসিটি অফিস, ধানমন্ডি পরিবার পরিকল্পনা অফিস, পরিবেশ অধিদফতরের অফিস, তেজগাঁও বিআরটিসি ট্রাক ডিপো, খিলজী রোড়ে স্থানীয় সরকার অফিস, বাবর রোডে প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বনানী বাজার পাওয়ার স্টেশন, গুলিস্তান ও রমনা পার্ক এলাকায় দু’টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। বাংলামটরে বিএনপি অফিসে আগুন দেয়া হয়। বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ও ইংলিশ রোড়ে পুলিশভ্যানে বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। কাওরান বাজার আরব বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা, জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখা ও কাওরান বাজার ন্যাশানাল ব্যাংকেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মালিবাগে পেট্রোল পাম্পে আগুন দেয়া হয়েছে। এইসব সংঘর্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। ২৯নং ওয়ার্ড কমিশনার এনামুল হক সর্দারের ১০৩/এ উত্তর মুগদাপাড়াস্থ বাসভবনে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় কমিশনরের একমাত্র পুত্রের শয়ন কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads