সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

সুষ্ঠু নির্বাচনের জানাজা


যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা-ই হয়েছে। চতুর্থ দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভোট ডাকাতির মহোৎসবে পরিণত হয়েছিল। এই উৎসবের নির্মম পরিণতিতে মারা গেছেন চারজন। আহত হয়েছেন অন্তত তিন শতাধিক। আমেরিকায় অবকাশ যাপনে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এলাকা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা শুধু কেন্দ্র দখলই করেনি, সকালে সাধারণ মানুষ ভোট দিয়েছেন এমন কয়েকটি কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে এনে পুড়িয়েও দিয়েছে। এ ছবি প্রায় সব সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট সম্পন্নœ করার জন্য নির্বাচন কমিশনারেরা অবশ্য সন্তুষ্ট। তারা এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনার মোবারক হোসেন ভোট শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, আল হামদুলিল্লাহ। আমরা সন্তুষ্ট।
নির্বাচনের আগের দিন হঠাৎ করে আমেরিকা থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দিন আহমদ। তিনি ই-মেইল করে নির্বাচনে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে চিঠি দিয়ে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা রোধে অনুরোধ জানানো হয়। সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হয়, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। সেভাবে তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। হঠাৎ করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনী তৎপর হবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এ জন্য কর্মপরিকল্পনা দরকার। নির্বাচনে সেভাবে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। নির্বাচনের আগের দিন নির্বাচন কমিশনের এই তৎপরতা ছিল আইওয়াশ মাত্র। প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। শুধু সেনাবাহিনীকে চিঠি নয়, নির্বাচনের আগের দিন ছয় জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়। এগুলো ছিল নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার এক অদ্ভুত নাটক। যেসব এলাকার পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে সেসব এলাকায় কেন্দ্র দখলের ঘটনা বেশি ঘটেছে। সাতক্ষীরার কলারোয়া ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হত্যা, আঙুল কেটে নেয়া এমনকি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না আসার জন্য প্রচারণা চালান। এর প্রমাণ হিসেবে প্রার্থীর ভিডিও বক্তব্য হাজির করা হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো তার অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ জন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। অথচ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কুমিল্লার বরুড়ায় একজন প্রিজাইডিং অফিসারকে বেঁধে রাখে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। মারধরের কারণে আহত হলে পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোট ডাকাতি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েও পাননি বলে এই কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একসাথে সব উপজেলায় নির্বাচন না করে ধাপে ধাপে নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়া হয়, যাতে নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা যায়। বিরোধী দলের চেয়ে বেশি উপজেলায় বিজয়ী হওয়ার মরিয়া চেষ্টার কারণে ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন সহিংসতার মাত্রাকে যেন বাড়িয়ে তুলছে। নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততায় অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
প্রথম থেকে চতুর্থ দফা পর্যন্ত নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, যত বেশি মানুষ নিহত হয়েছে কিংবা ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে তত বেশি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হচ্ছেন। সহিংসতার সাথে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পাল্লা ভারী হচ্ছে। প্রথম দফা নির্বাচনে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তাতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৪ জন বিজয়ী হন। বিএনপি সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থী ছিলেন ৪৫ জন, জামায়াত সমর্থিত ছিলেন ১২ জন। দ্বিতীয় দফায় ভোট দখল ও জালভোটের আধিক্য থাকলেও কেন্দ্র দখল ও হতাহতের ঘটনা ছিল কম। এ দফায় আওয়ামী লীগ ৪৬ জন। বিএনপি সমর্থিত ৫২ ও জামায়াত আটটিতে বিজয়ী হয়। তৃতীয় দফা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসে। আর হারা যাবে না ব্যস। ফলাফলে ধারাবাহিক চিত্র বদলে যায়। এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয় ৪০টিতে, বিএনপি সমর্থিত ২৭টিতে এবং জামায়াত সমর্থিত বিজয়ী হয় আটটিতে।
চতুর্থ দফায় আর কোনো রাখঢাক নেই। এবার সরাসরি অ্যাকশন। চারজনের মৃত্যু, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের পর ৯১ উপজেলায় নির্বাচনে ৮৮টি উপজেলার ফলাফলে আওয়ামী লীগ ৫৬, বিএনপি ২৩ আর জামায়াত পেয়েছে পাঁচটি। তিনটি উপজেলার ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। বাকিগুলো পেয়েছে অন্য দলের প্রার্থীরা।
আমরা লক্ষ করছি সরকারের প্রভাবশালী কয়েকজন মন্ত্রীর এলাকায় সহিংসতার মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্বাচনী এলাকা ভোলায় বিরোধী দলের সমর্থকেরা শুধু বিজয়ী হতে ব্যর্থ হয়নি, তাদের ভোট পাওয়ার হারও অস্বাভাবিক। ভোলার সাতটি উপজেলায় সাতটিতেই বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। চতুর্থ পর্বের নির্বাচনে ভোলার মনপুরায় আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থী সেলিনা আক্তার চৌধুরী পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শামসুদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী পেয়েছেন এক হাজার ২২ ভোট।
এরপর সহিংসতার মাত্রা ছিল বৃহত্তর বরিশালে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু তার নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠিতে সক্রিয় ছিলেন বলে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ পেয়েছে। জনসভায় উন্নয়নের স্বার্থে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই জেলায় চারটি উপজেলার চারটিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ঝালকাঠি সদরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সুলতান হোসেন খান ৮৮ হাজার ২২১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সরদার এনামুল হক এলিন পেয়েছেন মাত্র আট হাজার ৪০০ ভোট। অবশ্য সকাল থেকে কেন্দ্র দখল আর ব্যালট পেপারে গণসিল মারার পর দুপুরের আগেই চার উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
বৃহত্তর নোয়াখালীতে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। এ এলাকার প্রভাবশালী মন্ত্রী হচ্ছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহত্তর নোয়াখালীর ২০টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন আটটিতে আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন চারটিতে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এলাকা ফেনীর ছয়টি উপজেলার পাঁচটিতে নির্বাচন হয়েছে। সবগুলোয় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। বৃহত্তর নোয়াখালীতে কেমন নির্বাচন হচ্ছে তার একটি উদহারণ দেয়া যাক। ফেনীর সোনাগাজীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেড এম কামরুল আনাম এক লাখ ৭৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত এ কে এম নাজেম ওসমানী পেয়েছেন আট হাজার ২১ ভোট। আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র চার হাজার ৯৪০ ভোট। বেগম খালেদা জিয়ার আরেকটি নির্বাচনী এল কায় ফেনীর ফুলগাজীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী একরামুল হক একরাম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২৫৯ ভোট। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৪৯২ ভোট। এসব নির্বাচনী এলাকায় বেগম খালেদা জিয়া বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। সেখানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এই ভোট পাওয়া শুধু অবিশ্বাস্য ভোট ডাকাতির অনন্য নজির হয়ে থাকবে।
এ ধরনের জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পরও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে নাকি প্রমাণ হয়েছে দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। কেমন জনপ্রিয়তা বেড়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে পিরোজপুরের একটি উপজেলার ফলাফল থেকে। মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নির্বাচনী এলাকা জিয়ানগর উপজেলা। এখানে সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিয়ে ভোটাধিকার নিশ্চিত করে। এই উপজেলায় নির্বাচনে মাওলানা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ২১ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল খালেক গাজী পেয়েছেন ছয় হাজার ৫২২ ভোট। হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এ এলাকায় সাঈদীপুত্রের এই বিজয় নিশ্চয় আমাদের গণমাধ্যমের একপেশে প্রচারণার নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তারা এমন রিপোর্ট হাজির করতে পারেন ভোটারেরা সাঈদীপুত্রের প্রতীকে ভুল করে ভোট দিয়েছেন।
ভোট ডাকাতি আর জালিয়াতির এ ধরনের নির্বাচন আয়োজন করে শুধু নির্বাচন কমিশনার সন্তুষ্ট নন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম দাবি করেছেন আগের তিন পর্বের চেয়ে চতুর্থ পর্বের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করে বলেছেন, তারা অত্যন্ত কঠোর ও শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ পর্বের এই আয়োজনে সন্তুষ্ট।
ভোটের দিন সকালে ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার শাহাবুদ্দিন ইয়াকুব কুরাইশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে জানান দেশের মানুষ বিভিন্ন নির্বাচনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। ভারতের সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের এই নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতের নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্যে আমরা পুলকিত বোধ করছি। আগামী মাসের ৭ তারিখ থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। এই নির্বাচনে কতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় তা এখন দেখার বিষয়। তবে অতীতে লোকসভা নির্বাচনে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। তার পরও বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য ভারত খুশি। ভারতের নিজের জন্য এক ধরনের গণতন্ত্র আর প্রতিবেশী দেশে আরেক ধরনের গণতন্ত্র দেখতে চায়। সে গণতন্ত্রে যে নির্বাচন হবে তাতে শুধুই ভারতের অনুগত দল ক্ষমতাসীন হবে। মালদ্বীপ ও নেপালে তারা এমন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। মালদ্বীপে তারা হোঁচট খেয়েছে। নেপাল ও বাংলাদেশে সফল হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের সমর্থন দিয়ে ভারতীয় চেষ্টায় এ দেশে নতুন ধরনের হাইব্রিড গণতন্ত্র সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এতে প্রকৃত গণতন্ত্রের বারোটা বেজে গেছে। এখন আর ভোট দেয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন গায়েবি ভোটে। 

আলফাজ আনাম


 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads