শনিবার, ১৯ মে, ২০১২

প্রধানমন্ত্রীকে কাদের সিদ্দিকীর প্রশ্ন নামাজি মানুষ হয়ে হিন্দুর কথায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে দিলেন কিভাবে?



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী প্রশ্ন করেছেন, যতদূর জানি আপনি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। নামাজি মানুষ হয়ে একজন হিন্দুর কথায় সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে দিলেন কিভাবে? আপনি হজ করেছেন। আন্তঃধর্ম বিবাহ আইন করে মুসলমানের ঘরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান জন্মানোর ব্যবস্থা করতে পারলেন কিভাবে? 
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আগুন নিয়ে খেলা করবেন না, ছারখার হয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে নিরপেক্ষ নির্বাচন ও দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব প্রশ্ন করেন তিনি।
মুসলিক লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের। আলোচনায় অংশ নেন বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরিয়ত মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফি, সাংবাদিক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, আবদুল আজিজ হাওলাদার, আবদুল মোতালিব আখন্দ ও আকবর হোসেন পাঠান।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশের মানুষ আজ বড় কষ্টে আছে। তারা পাকিস্তান আমলের চেয়েও খারাপ আছে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি বোরখা পরে রাস্তায় আসুন। মানুষের অবস্থা দেখুন। দেখবেন পা পেছলে রাস্তায় পড়ে গেলে চাটুকারের দল আপনাকে টেনে তুলতেও এগিয়ে আসবে না। আটক বিরোধীদলীয় নেতাদের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের হরতালে চাকর হয়ে এক পুলিশ যেভাবে দেশের মালিকের গলা টিপে ধরেছে, সেটা একটা খুনের চেয়ে বড় অপরাধ। এভাবে দেশ চলতে থাকলে বিদেশীরা আমাদের দেশের গলাকে ওভাবেই টিপে ধরবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, চোর-ডাকাত যেই হোক প্রত্যেক নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। দেশ পরিচালনায় সরকার যেমন ব্যর্থ হয়েছে তেমনি বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিও ব্যর্থ হয়েছে। ২৪ এপ্রিল হরতাল চলাকালে বিএনপি অফিসে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার অফিসে গিয়ে আমি পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছি অথচ খালেদা জিয়া এজন্য নিন্দা পর্যন্ত করেননি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রেক্ষাপটে মুসলিম লীগের ভূমিকার সমালোচনা করে দেশবাসীর কাছে এজন্য প্রয়োজনে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, মানুষের কাছে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া একটি রাজনৈতিক দলের জন্য কেবলই সম্মানের। তিনি বলেন, শত বছরের পুরনো একটি রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে। কারণ পুরনো চাল ভাতে বাড়ে।
সভাপতির বক্তব্যে মুসলিম লীগ সভাপতি নুরুল হক মজুমদার সরকারের প্রতি দাবি জানান, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণের।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads