শুক্রবার, ১১ মে, ২০১২

বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে ৬৫০ স্থাপনা ও সংগঠন



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশজুড়ে অসংখ্য স্থাপনার নামকরণ করা হয়েছে। একই সময় এ পরিবারের নাম ব্যবহার করে জন্ম নিয়েছে দু’শতাধিক ‘ভুঁইফোড়’ সংগঠন। রাজধানী থেকে শুরু করে মফস্বলের ইউনিয়ন পর্যন্ত একই অবস্থা। দেশের অন্তত ৫৬ জেলায় এ পরিবারের সদস্যদের নামে কমপক্ষে ৪০৭টি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি সাড়ে ৬শ’র বেশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক হল, সড়ক, সেতু, হাট-বাজার, ক্রীড়া ক্লাব থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নাম এ পরিবারের সদস্যদের নামের সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টাকায় গড়ে ওঠা অনেক জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নামও পারিবারিক বিবেচনায় রাখা হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নতুন করে নামকরণের হিড়িক পড়েছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামে গড়ে ওঠা সংগঠনগুলো জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্লাব ও কার্যালয় বানিয়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। সরকার সমর্থক এসব সংগঠনের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও টিআর, কাবিখা, সরকারি বরাদ্দ নেয়ার ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমার দেশ-এর স্টাফ রিপোর্টার, সব ব্যুরো চিফ ও জেলা প্রতিনিধিদের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের জয়লাভের পর সারাদেশে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণের তোড়জোড় শুরু হয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় হাইকমান্ডকে খুশি রাখতে পরিবারের সদস্যদের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করছেন। নামকরণের মাত্রা এতই প্রকট যে, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাখা স্থাপনার নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এসব নামকরণ চলছে। সরকারের বরাদ্দ পাওয়ার আশায় অনেক ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, দেশের একমাত্র নভোথিয়েটারের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া হয়েছিল ‘ভাসানী নভোথিয়েটার’। পরে ‘ভাসানী’ নামটি বাদ দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’র নামে নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান নাম ‘বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার’। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের সর্বোচ্চ স্বীকৃতির খেতাব পাওয়া বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমানের নামে করা ‘বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম’-এর নাম বর্তমান সরকার পরিবর্তন করেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের নামে এ স্টেডিয়ামের নাম ‘শেখ আবু নাসের
বিভাগীয় স্টেডিয়াম’ করেছে। একই ব্যক্তির নামে খুলনায় ‘শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল’ ও বাগেরহাটে ‘শহীদ শেখ আবু নাসের মহিলা ডিগ্রি কলেজ’ রয়েছে। শেখ আবু নাসের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা ও শেখ হেলালের বাবা। দেশের একমাত্র স্যাটেলাইট ভূ-উপগ্রহ উেক্ষপণ কেন্দ্রের নাম শেখ হাসিনার বাবার নামে রাখা হয়েছে। সাভারে জাতীয় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ‘শেখ হাসিনা যুবকেন্দ্র’ নামকরণ করা হয়েছে। এ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুনভাবে নির্মিত ও নির্মিতব্য হলগুলোর প্রায় সবই ‘শেখ’ পরিবারের নামে রাখা হচ্ছে।
সারাদেশে নামকরণের হিড়িক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, ভাই শেখ জামাল, শেখ কামাল, শেখ রাসেলসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে সারাদেশে নামকরণের হিড়িক পড়েছে। দেশের অন্তত ৫৬টি জেলায় কমপক্ষে ৪০৭টি স্থাপনার নাম এ পরিবারের সদস্যদের নামে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জেলায় অন্তত ১২৮টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলায় ৪৩টি, রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় অন্তত ৩৫টি, বরিশাল বিভাগের ৫ জেলায় অন্তত ৪৪টি, রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ৮৬টি, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৫৫টি ও সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় অন্তত ১৬টি স্থাপনার নাম ‘শেখ’ পরিবারের নামে রাখা হয়েছে। এর বাইরে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি ৩৩টি স্থাপনা বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এর পরের স্থানে রয়েছে নাটোর, ঢাকা ও বরিশাল। নাটোরে এ পরিবারের নামে ৩০টি, ঢাকায় ২৩টি ও বরিশালে ২০টি স্থাপনা রয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য জেলা হচ্ছে—মৌলভীবাজারে ১২টি, নওগাঁয় ১২টি, বাগেরহাটে ১৫টি, সিরাজগঞ্জে ৯টি, পিরোজপুরে ৮টি, রংপুর, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি, কুমিল্লায় ৮টি, নারায়ণগঞ্জে ১৬টি ও টাঙ্গাইলে ২০টি। তবে ৮ জেলায় এ পরিবারের নামে কোনো স্থাপনা পাওয়া যায়নি। সব জেলায় এ পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক সংগঠন রয়েছে। জেলাওয়ারী স্থাপনার নামগুলো উল্লেখ করা হলো—
ঢাকা বিভাগ : আওয়ামী লীগের দুই শাসনামলে জাতীয় অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের ১৪ জেলায় অন্তত ১২৮টি স্থাপনার নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে ৩৩টি, টাঙ্গাইলে ২০টি, ময়মনসিংহে ৭টি, গাজীপুরে ৬টি, জামালপুরে ৫টি ও মাদারীপুরে ৫টি স্থাপনার নাম পাওয়া গেছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র’ নামকরণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামে করা নভোথিয়েটারের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার’ করা হয়েছে। গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম’। সাভারে অবস্থিত জাতীয় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্র’ রাখা হয়েছে। জিরানী বাজার এলাকায় শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে শেখ হাসিনার মায়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং ইনস্টিটিউট’। এছাড়া ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, মিরপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা টেকনিক্যাল কলেজ, ধানমন্ডিতে শেখ কামাল সরণি, পান্থপথে শেখ রাসেল স্কয়ার, যাত্রাবাড়ীতে সুলতানা কামাল সড়ক, ডেমরায় সুলতানা কামাল ব্রিজ, বঙ্গবন্ধু সেতু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু হল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সাভারের চক্রবর্তী এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং ইনস্টিটিউট (নির্মাণাধীন), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল (নির্মিতব্য), ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (নির্মাণাধীন) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল (নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন) রয়েছে।
গাজীপুরে ৬টি স্থাপনা ও অনেক সংগঠন রয়েছে। স্থাপনাগুলো হচ্ছে—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হাইস্কুল, কালিয়াকৈরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ও শেখ রাসেল স্মৃতি ক্লাব। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলায় অন্তত ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্টেডিয়ামসহ স্থাপনা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের নামে ৩০টি ক্লাব। স্থাপনাগুলো হচ্ছে- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ, শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, শেখ কামাল আধুনিক স্টেডিয়াম, শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি অডিটোরিয়াম, শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, মৌলভীপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেছা রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু সড়ক, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভবন ( আইনজীবী সমিতি) ও শেখ মুজিব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (বোড়াশী ইউনিয়ন), টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স, শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শেখ সাহেরা খাতুন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিঙ্গিপাড়া খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ত্রিপল্লী শেখ আবু নাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল শিশু নিকেতন, শেখ রাসেল সংস্থা, শেখ রাসেল দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, শহীদ শেখ জামাল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বঙ্গমাতা কিন্ডার গার্টেন স্কুল, শেখ মুজিব স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ মুসা উচ্চ বিদ্যালয়, বালাডাঙ্গা শেখ মারুফ কমিউনিটি ক্লিনিক, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পুলিশ ভবন ও শেখ লুত্ফর রহমান সেতু (পাটগাতী সেতু), কোটালীপাড়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্যবিমোচন প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স, শেখ লুত্ফর রহমান সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়, শেখ হাসিনা আদর্শ মহাবিদ্যালয় ও শেখ রাসেল মহাবিদ্যালয় এবং মুকসুদপুর উপজেলায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মহিলা মাদরাসা। এছাড়া রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জেলার ৫ উপজেলায় অন্তত ৩০টি ক্লাব রয়েছে। ময়মনসিংহের ১২ উপজেলায় শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অন্তত ৩৩টি সংগঠন ও স্থাপনার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেগুলো হচ্ছে- ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর পরিষদ, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (বাকৃবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল (বাকৃবি), বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, ফুলপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ, চরপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, গফরগাঁও উপজেলায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, ত্রিশাল উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, বঙ্গবন্ধু সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তাগাছায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, বঙ্গবন্ধু হাইস্কুল ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, ভালুকা উপজেলায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, আমরা মুজিবসেনা, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, হালুয়াঘাট উপজেলায় বঙ্গবন্ধু ক্লাব, শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ, শেখ রাসেল ক্রীড়া সংঘ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, ধোবাউড়া উপজেলায় শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ, নান্দাইল উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক সংঘ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, গৌরীপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়, শেখ রাসেল ক্রীড়া সংঘ ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ।
টাঙ্গাইলে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও অনেক সংগঠন ও তাদের কার্যালয় রয়েছে। টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্রে জেলা সদর সড়কে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। এছাড়াও টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন চারতলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ শেখ মজিবুর রহমান ছাত্র হল করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে কালিহাতী উপজেলার বাগুনতা নামক স্থানে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল কলেজ নির্মাণাধীন রয়েছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল কলেজের সিংহভাগই শেষ হয়েছে। যমুনা সেতু পূর্ব থানার নামকরণ হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বথানা। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ছনখোলা ইউনিয়নে শেখ ফজিলাতুন্নেছা গার্লস হাইস্কুল রয়েছে। এ উপজেলার জামুরিয়ায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন স্থানে শেখ রাসেল ও মুজিব আদর্শ সংঘের মতো প্রায় অর্ধশত সংগঠন গড়ে উঠেছে। জেলার মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শেখ রাসেল, মুজিব সেনা ও বঙ্গবন্ধু ক্লাবসহ বিভিন্ন নামে রয়েছে অর্ধশত ভুঁইফোড় সংগঠন। টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা সদরে মুজিব ডিগ্রি কলেজ ও সখিপুর আবাসিক মহিলা ডিগ্রি কলেজে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল রয়েছে। এছাড়াও শেখ হাসিনা চেতনা ও গবেষণা পরিষদ বাংলাদেশ শাখা, টাঙ্গাইল জেলা বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদসহ সখিপুরে বঙ্গবন্ধু নামে ৩৬টি ক্লাব রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত। এছাড়াও জেলার গোপালপুর, ভূঞাপুর, দেলদুয়ার, বাসাইল, মির্জাপুর ও কালিহাতী উপজেলা সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অসংখ্য ক্লাব ও সংগঠন গড়ে উঠেছে। শরীয়তপুর জেলায় ৪টি স্থাপনা ও ৮৩টি সংগঠনের সন্ধান পাওয়া গেছে। জাজিরার বিকে নগরে বঙ্গবন্ধু কলেজ ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগায় বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, জাজিরার সেনেরচরে শেখ হাসিনা উচ্চ বিদ্যালয় ও গোসাইরহাটের মাছুয়াখালীতে ফজিলতুন্নেছা দাখিল মাদরাসা রয়েছে। এছাড়া বর্তমান এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ ও জাতির পিতা স্মৃতি সংসদ নামে ৮৩টি সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। অধিকাংশ সংগঠন সরকারের অনুদানে সাইনবোর্ড সর্বস্ব হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় সরিষা বঙ্গবন্ধু কলেজ, নেত্রকোনা জেলায় বঙ্গবন্ধু মহাবিদ্যালয়, ফরিদপুরে শেখ জামাল স্টেডিয়াম ও ফরিদপুর শেখ রাসেল পৌর শিশুপার্ক, মানিকগঞ্জ সদরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, মাদারীপুর সদরে বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ, শিলারচর ইউনিয়নে শেখ ফজিলাতুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজৈর উপজেলায় শেখ রাসেল কলেজ, শিবচর উপজেলায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কালকিনি উপজেলায় শেখ হাসিনা ইউমেন্স মহিলা কলেজ রয়েছে। এসব জেলায় অনেক সংগঠনের নাম পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জে ১৬টি ও জামালপুরে ৮টি স্থাপনা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কের নাম বঙ্গবন্ধু সড়ক, সদর থানার সৈয়দপুর এলাকায় বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহরের পাইকপাড়ায় বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্দর এইচএম সেন রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার (সিটি করপোরেশনের জায়গায় অবস্থিত), পুলিশ লাইনে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, সদর থানার হাজীগঞ্জে শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংঘ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম পরিষদ, বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাজার এলাকায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, বন্দর বাজার এলাকায় শেখ রাসেল স্মৃতিসংসদ, সোনারগাঁওয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশনে শেখ মুজিবর রহমান ও শেখ রাসেলের ভাস্কর্য, রূপগঞ্জে সুলতানা কামাল সেতু (শেখ কামালের স্ত্রী), কায়েতপাড়ায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকাকে বর্তমানে শেখ রাসেলনগর হিসেবে বিভিন্ন পোস্টার ফেস্টুনে ব্যবহার করা হচ্ছে। জামালপুরের স্থাপনাগুলো হচ্ছে- গরপাড়া শেখ ফজলুল হক মনি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাটমাগুরা শেখ রেহেনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিনোদটঙ্গি বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফিসারী কলেজ, শেখ রাসেল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কলেজ (মেলান্দহ), বঙ্গবন্ধু স্কুল অ্যান্ড কলেজ (সদর উপজেলা) ও বঙ্গবন্ধু কলেজ (সরিষাবাড়ী)।
ঢাকা বিভাগের মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও শেরপুর জেলায় শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কোনো স্থাপনা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগ : শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলায় অন্তত ৪৩টি স্থাপনার সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৬টি, নোয়াখালীতে ২টি, কক্সবাজারে ৫টি, কুমিল্লায় ৮টি, বান্দরবানে ১টি, বাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি, চাঁদপুরে ৫টি, খাগড়াছড়িতে ৪টি, লক্ষ্মীপুরে ৫টি ও রাঙামাটিতে ১টি স্থাপনা রয়েছে। ফেনী জেলায় কোনো স্থাপনার নাম পাওয়া যায়নি। সবকটি জেলায় এ পরিবারের সদস্যদের নাম ব্যবহারকারী অনেক সংগঠনের শাখা কমিটি রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যালয় রয়েছে। এ পরিবারের নামে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসটিসি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রাবাস, শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রাবাস ও বঙ্গবন্ধু মেরিন একাডেমি (প্রস্তাবিত), বান্দরবানে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ, খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু পার্ক, রামগড়ে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, পানছড়িতে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, স্কোয়ার ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, রাঙামাটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সরকারি মুজিব মহাবিদ্যালয় ও হাতিয়ায় বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় নাম রাখা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি স্থাপনা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ, বেগম ফয়জুন্নেছা মুজিব স্কুল, নাটাই ইউনিয়নের বটতলীবাজারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাইস্কুল, ঘাটুরা গৌতমপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কুল, দত্তখলায় শেখ মুজিবুর রহমান হাইস্কুল ও আশুগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারিগরি মহাবিদ্যালয়। লক্ষ্মীপুরে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে—মেঘনা রোডে বঙ্গবন্ধু পৌর আডিয়েল কলেজ, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, তেমোহনীতে শেখ রাসেল সড়ক, বঙ্গবন্ধু পাঠাগার ও বঙ্গবন্ধু শিল্পগোষ্ঠী। এ জেলার ৫ উপজেলায় টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ নেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পিআইও অফিস থেকে বরাদ্দ তুলে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, চকরিয়ার মালুমঘাট এলাকায় বন বিভাগের জমি দখল করে বঙ্গবন্ধু ক্লাব ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আলিশাহ বাজার এলাকায় জমি দখল করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের নামে স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। উখিয়া উপজেলায় রয়েছে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ। মহেশখালীতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ। কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ, ঠাকুরপাড়া এলাকায় ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা বহুমুখী কারিগরি কলেজ’, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়য় বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, নাগাইশ বঙ্গবন্ধু কলেজ, শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মেঘনা উপজেলায় মানিকারচর বঙ্গবন্ধু কলেজ ও নাঙ্গলকোটে বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল অ্যান্ড কমার্স কলেজ। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ নামকরণ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কলেজের পরিচালনা পরিষদ কাগজপত্রে এ নাম দিয়েছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনও নতুন নামের ছাড়পত্র আসেনি। এছাড়াও চাঁদপুর সরকারি কলেজে শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা আলিম মাদরাসা, কচুয়ায় বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ও শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজ।
রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৮৬টি স্থাপনা ও ক্লাবের নামকরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে শুধু নাটোর জেলাতে রয়েছে ৩০টি স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। এছাড়া বগুড়া জেলায় সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নে কয়েকদিন আগে ‘শেখ মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। শহরে নামমাত্র রয়েছে ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ’। শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাটে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি কলেজ’ প্রতিষ্ঠার ৩ বছরের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে গেছে। আদমদীঘি উপজেলার শান্তাহারে রয়েছে ‘ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ’। আদমদীঘি ও শান্তাহারে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’, গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুরে ‘শেখ রাসের স্মৃতি বিদ্যাপীঠ’, সোনাতলা উপজেলা বন্দরে ‘ফজিলাতুন্নেছা শেখ মুজিব মহিলা কলেজ’ ও ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ’, কাহালু উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু সড়ক’ ও সরাইলে ‘শহীদ রাসেল স্মৃতি সংসদ’, ধুনটে ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’, শেরপুর উপজেলায় ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’, ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট’, ও ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’, দুপচাচিয়া উপজেলায় আলতাফনগর বাজারে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ’, জিয়ানগরে ‘বঙ্গবন্ধু ক্লাব’ রয়েছে। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ৩ শতক জমি ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া আক্কেলপুর উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ’ রয়েছে। নওগাঁ জেলায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যের নামে ১২টি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—জেলা সদরে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, আত্রাই উপজেলায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ (সাহেবগঞ্জ বাজার), শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ (মির্জাপুর বাজার), শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ (বান্দাইখাড়া বাজার), মান্দা উপজেলায় বঙ্গবন্ধু জাগরণী সংঘ, বদলগাছী উপজেলায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ (সদরবাজার), সাপাহার উপজেলায় বঙ্গবন্ধু ক্লাব (নতুন বাসস্ট্যান্ড), পোরশা উপজেলায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ (নিতপুর) ও বঙ্গবন্ধু ক্লাব (নিতপুর), ধামইরহাট উপজেলায় শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ (সদর) ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ (বীরগ্রাম চারমাথা)। নাটোর জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যেসব প্রতিষ্ঠন রয়েছে তা হচ্ছে—নাটোর সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ ( যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের মেয়ে মৌসুমী অধ্যক্ষ) ও মির্জাপুর দিয়ারায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, বড়াইগ্রাম উপজেলায় বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ, বনপাড়ায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, ফুলবতিতে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, জোনাইলে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ ও ধানাইদহে শেখ রাসেল যুব সংঘ। গুরুদাসপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার, শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, বঙ্গবন্ধু ক্লাব, বালসায় শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার, বিলচলন শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, খুবজীপুর বাজারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, মাশিন্দায় শেখ মুজিব সেনা সংঘ ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, বিয়াঘাট বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, দুর্গাপুরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, দস্তনানগরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, সাবাগাড়ী বাজারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংঘ, নাজিরপুর বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, বেরগঙ্গারামপুরে বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিএম ইনস্টিটিউট, পাঁচশিসায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও নয়াবাজার মোড়ে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ। সিংড়া উপজেলায় শেরকোল বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, জয়নগর বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, চৌগ্রাম কাজীপাড়া বঙ্গবন্ধু স্মৃতিচারণ ক্লাব, তেরবাড়িয়া শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, তেলিপাড়া শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ ও ইতালি ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু ক্লাব। লালপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংঘ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বঙ্গবন্ধু সাধারণ পাঠাগার ও আরামবাগে বঙ্গবন্ধু ক্লাব রয়েছে। পাবনা জেলার সুজানগরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ক্লাব, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, ঈশ্বরদীতে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনায় শেখ রাসেল শিশুপার্ক, শেখ হাসিনা উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও শেখ রাসেল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সেতু, ইকোপার্ক, সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, বঙ্গবন্ধু থানা পশ্চিমপাড়, বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের ওপর শেখ রাসেল শিশুপার্ক সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সামনে মুজিব সড়ক, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ, একই উপজেলার সোনামুখীতে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, শাহজাদপুর পৌর এলাকার ডাকবাংলোপাড়ায় বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মহাবিদ্যালয় ও মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের কুন্দাইল গ্রামে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। রাজশাহী শহরের আলপট্টি মোড়কে বঙ্গবন্ধু চত্বর নামকরণ করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিতব্য হলের নাম শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল নামকরণ করা হয়েছে। এ সরকারের আমলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পরিষদ ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম নামে দুটি সংগঠনের জন্ম হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে শেখ রাসেল স্মৃতিসংঘ নামে ক্লাব তৈরির হিড়িক পড়েছে। বাঘা উপজেলার আড়ানী, তেঁতুলিয়া, পীরগাছা, বাউসা, কামারপাড়া বাউসা, আড়পাড়া, খায়েরহাট, পাকুড়িয়া, মনিগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু, শেখ রাসেল, শেখ কামাল নাম ব্যবহার করে অর্ধশত ক্লাব তৈরি করা হচ্ছে।
খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, নড়াইল ও যশোর জেলায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৫৫টি স্থাপনা ও সংগঠন রয়েছে। সরকার সমর্থক এসব সংগঠনের নামে বিভিন্ন সময়ে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব বরাদ্দ ক্ষমতাসীন দলীয় নেতারা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতির খেতাব পাওয়া ফ্লাইট লে. মতিউর রহমানের নামে করা ‘বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের নাম বর্তমান সরকার পরিবর্তন করে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাইয়ের নামে ‘শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম’ নামকরণ করেছে। একই ব্যক্তির নামে খুলনায় ‘শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল’ ও বাগেরহাটে ‘শহীদ শেখ আবু নাসের মহিলা ডিগ্রি কলেজ’ রয়েছে। খুলনা জেলায় রূপসা উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু কলেজ’, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু হলের নির্মাণকাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এবার ক্ষমতায় আসার পর রাতের আঁধারে ‘বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম’-এর সাইনবোর্ড অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সরিয়ে ফেলে। পরে ওই স্টেডিয়ামের নাম শেখ মুজিবুর রহমানের ভাইয়ের নামে ‘শহীদ শেখ আবু নাসের বিভাগীয় স্টেডিয়াম’ রাখা হয়। নগরীর গোয়ালখালিতে ‘শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল’ রয়েছে। এ দফায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর অতি উত্সাহী কিছু নেতাকর্মী রাতের অন্ধকারে নগরীর নূরনগর এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের দেয়ালের গায়ে ‘বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক’ সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। রেডিও সেন্টারের সামনে দিয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়ক রয়েছে। হঠাত্ লাগানো এ সাইনবোর্ড নগরীতে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলে জেলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় সাইনবোর্ডটি অপসারণ ও তদন্ত করে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। পিআইডির এক হ্যান্ড আউটে এ তথ্য জানানো হয়। দু’বছরের বেশি পার হলেও ‘বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক লেখা’ সাইনবোর্ড অপসারণ হয়নি। এ নামকরণ কারা করেছিলেন তা আজও জানে না খুলনাবাসী। বাগেরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, ভাই শেখ রাসেল, ফুফাত ভাই শেখ হেলাল ও চাচা শেখ আবু নাসেরের নামে স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—বাগেরহাট সদর উপজেলায় ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’, কচুয়া উপজেলায় ‘শহীদ শেখ আবু নাসের মহিলা ডিগ্রি কলেজ’, মোল্লারহাট উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়’, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দাখিল মাদরাসা’, ‘রাসেল স্মৃতি সংঘ’ (মোল্লারহাট) ও ‘রাসেল স্মৃতি সংঘ’ (কোদালিয়া, মোল্লারহাট), ফকিরহাট উপজেলায় ‘ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়’ ও ‘শেখ হাসিনা কারিগরি মহাবিদ্যালয়’ চিতলমারী উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ’ ও ‘শেখ হেলালউদ্দিন একাডেমী’, রামপাল উপজেলায় ‘শেখ হেলালউদ্দিন কলেজ’ মংলা উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ’ ও ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদরাসা’ মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ‘শেখ রাসেল স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ ও শরণখোলা উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু যুব সেন্টার’ রয়েছে। এছাড়াও বাগেরহাটের ৯টি উপজেলাতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যালয় রয়েছে। মাগুরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মাগুরা সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য কল্যাণ পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে সাংস্কৃতিক পরিষদের সামান্য কর্মকাণ্ড থাকলেও বাকিগুলো নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
কুষ্টিয়ায় শেখ পরিবারের নামে ৬টি স্থাপনা রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে—দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ। শিক্ষার্থীর অভাবে বর্তমানে কলেজটি বন্ধ রয়েছে। পৌরসভার নতুন সুপার মার্কেটের নাম ‘বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট’ নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছাত্রাবাস’ ও ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণাধীন দুটি ভবনের একটি নামকরণ করা হয়েছে—একটি শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস ও অন্যটি ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন। যশোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবার সদস্যদের নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেশ কিছু সংগঠন রয়েছে। তা হচ্ছে—ঝিকরগাছা শহরের কৃষ্ণনগর এলাকায় অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’, ঝিকরগাছা শহরের কীর্তিপুর এলাকায় অবস্থিত ‘রাসেল স্মৃতি সংসদ’, শার্শার নাভারণে অবস্থিত ‘ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ’, শার্শার বেনাপোলে অবস্থিত ‘রাসেল স্মৃতি সংসদ’, কেশবপুরের বগা গ্রামে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু আদর্শ ক্লাব’, চৌগাছার হাকিমপুর গ্রামে অবস্থিত ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’, চৌগাছার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু ক্লাব’, চৌগাছার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্থিত ‘রাসেল স্মৃতি ক্রীড়াচক্র’ ও চৌগাছার তিলকপুর গ্রামে অবস্থিত ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’। চুয়াডাঙ্গা জেলায় শেখ রাসেলের নামে একটি ক্লাব রয়েছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নামে জেলার ৪টি উপজেলায় প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ জেলায় আধুনিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, স্টেডিয়ামটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা হবে। এ বিভাগের নড়াইল জেলার নড়াগাতী বড়দিয়া এলাকায় ‘ফজিলাতুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়’, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ এবং মেহেরপুরে রাসেল স্মৃতি পরিষদ, মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজ, মুজিবনগর কমপ্লেক্স, মুজিবনগর থানা, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও গাংনীতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ক্লাব রয়েছে। সাতক্ষীরা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—কলারোয়ায় বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, সরসকাঠিতে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়া বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, মিঠাবাড়িতে বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জামালপুরের কানাইদিয়ায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ ও শ্যামনগরের আটুলিয়ায় হেঞ্চি বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
বরিশাল বিভাগ : বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় অন্তত ৪৪টি পার্ক, স্কুল-কলেজ, সড়ক, সরকারি নৌযান ও কমিউনিটি সেন্টারের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তামন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা, ফুফা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ও ফুফাত ভাইয়ের ছেলে সুকান্ত বাবুর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ নামে ক্লাব রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বরিশাল শহরের বেলস পার্কের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু উদ্যান রাখা হয়েছে। এছাড়া শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত কলেজ, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত শিক্ষক প্রশিক্ষক ইনস্টিটিউট, দপদপিয়ায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত গেট, আগৈলঝাড়া উপজেলায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজ ও বঙ্গবন্ধুর বোন আমিনা বেগম মহিলা মাদরাসা, গৌরনদী সরকারি কলেজে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ছাত্রাবাস, একই উপজেলায় সুকান্ত বাবু সঙ্গীত বিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ উপজেলায় আবদুর রব সেরনিয়াবাত জুনিয়র বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শেখ রাসেল পাঠাগার, উজিরপুর উপজেলায় শিকারপুর শেখ কামাল পাঠাগার ও ক্লাব, বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল, মুলাদী উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, উপকূলীয় এলাকায় চলাচলরত সি-ট্রাক এসটি শেখ কামাল, এসটি শেখ জামাল, এসটি শেখ রাসেল ও এসটি সুকান্ত বাবু নামে নামকরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নামে স্কুল রয়েছে। স্কুলটির নাম শেখ হাসিনা একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা আলিম মাদরাসা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এতিম খানা, বঙ্গবন্ধু কলেজ, বঙ্গবন্ধু কলোনি (মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরে প্রায় আড়াই একর সরকারি জমিতে স্থাপিত), মঠবাড়িয়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধু ক্লাব ও নাজিরপুর উপজেলায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয় রয়েছে। ভোলায় শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চরফ্যাশন উপজেলার একটি ইউনিয়নের নাম রাখা হয়েছে মুজিব নগর ইউনিয়ন। এছাড়া ভোলা জেলা সদরে ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়, লালমোহনে বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট, তজুমদ্দিন উপজেলায় সরকারি ফজিলাতুনেছা বালিকা বিদ্যালয় ও দৌলতখান উপজেলায় জাতির পিতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে। পটুয়াখালী সদরে রাসেল শিশুপার্ক, দুমকি উপজেলায় শ্রীরামপুর থেকে গাবতলী পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়ক, কলাপাড়া আন্দারমানিক নদীতে শেখ কামাল সেতু, হাজিপুর সোনাতলা নদীতে শেখ জামাল সেতু, কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে শিববাড়িয়া নদীতে শেখ রাসেল সেতু, কলাপাড়ার কুয়াকাটায় বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গলাচিপায় বঙ্গবন্ধু নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু সড়ক রয়েছে। বরগুনা জেলায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স নামের কমিউনিটি সেন্টার, আমতলী উপজেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধু টাউন হল ও বামনা উপজেলায় বঙ্গবন্ধু গরুরহাট রয়েছে।
রংপুর বিভাগ : রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অন্তত ৩৫টি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর বাইরে এ পরিবারের নাম ব্যবহার করে শতাধিক সংগঠন ও ক্লাব রয়েছে। রংপুর জেলায় শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে করতোয়া নদীর ওপর ড. ওয়াজেদ সেতু ও পীরগঞ্জে ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন রয়েছে। এছাড়া খালাশপুর বঙ্গবন্ধু কলেজ, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ রয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় শেখ হাসিনার মায়ের নামে শেখ ফজিলাতুনেছা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে। এ জেলায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শেখ মুজিব স্মৃতি সংসদ, জলঢাকা উপজেলায় বঙ্গবন্ধু কালীগঞ্জহাট, বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, সৈয়দপুর উপজেলায় রাসেল স্মৃতি সংসদ, শেখ জামাল স্মৃতি সংঘ, বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট ও নীলফামারী সদর উপজেলায় শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র রয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বঙ্গবন্ধু কলেজ ও বঙ্গবন্ধু সড়ক রয়েছে। পঞ্চগড়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কারিগরি মহাবিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু চাকলাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ রাসেল স্মৃতি ক্লাব ও ডাঙ্গিরহাট বঙ্গবন্ধু মহাবিদ্যালয় রয়েছে। মহাজোট সরকার গঠনের পর লালমনিরহাট জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে লালমনিরহাট শেখ কামাল স্টেডিয়াম নামকরণ করেছে। এছাড়া সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ ও শেখ রাসেল সাহিত্য পরিষদ এবং পাটগ্রাম উপজেলায় শেখ রাসেল পরিষদ ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ রয়েছে।
সিলেট বিভাগ : সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলায় ১৬টি স্থাপনা ও সংস্থার নাম পাওয়া গেছে। এর বাইরেও আরও কিছু প্যাড সর্বস্ব সংগঠন রয়েছে বলে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নামে গড়ে ওঠা সংগঠনগুলোর নামে বিভিন্ন সময় সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ বিভাগে যেসব স্থাপনা ও সংগঠনের নাম পাওয়া গেছে তা হলো—সিলেটে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক দুটি আবাসিক হলের নাম ‘বঙ্গবন্ধু হল’ নামকরণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বর্তমান শাসনামলে এ নামকরণ করা হয়। মৌলভীবাজারে ১২টি স্থাপনা ও সংগঠন রয়েছে। সংগঠনগুলোর কার্যালয় রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—মৌলভীবাজার শহরের গোমড়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, কুলাউড়া উপজেলায় ভুকশিমুল ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, কমলগঞ্জ উপজেলায় শেখ রাসেল ক্রীড়া সংস্থা, সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, রাজনগর উপজেলায় শেখ মণি স্মৃতি সংঘ ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শেখ রাসেল শিশু উদ্যান এবং কুলাউড়া উপজেলায় শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারারবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ‘বঙ্গবন্ধু বাজার’ ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সংগঠনের ছড়াছড়ি : শেখ মুুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দু’শতাধিক সংগঠন রয়েছে বলে জানা গেছে। বেশিরভাগই নামসর্বস্ব। এসব সংগঠনের শাখা কমিটি গঠনের নামে বাণিজ্য ও সরকারি বরাদ্দ নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড এসব সংগঠনের দলীয় বা সাংগঠনিক স্বীকৃতি না দিলেও দলের অনেক শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা এ সংগঠনের গোলটেবিল আলোচনা, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি হতে দেখা যাচ্ছে। বিনিময়ে তারা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের কাছ থেকে টিআর, কাবিখাসহ সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ নিচ্ছেন। এসব বরাদ্দের ব্যবহার নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সাহস পান না সরকারি কর্মকর্তারা। দলীয় ও সরকারি বৈধ কোনো অনুমোদন না থাকলেও এসব সংগঠনের নেতাদের দৌরাত্ম্য এতই বেশি যে তারা সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন। এসব সংগঠনের তদবিরবাজ নেতাদের দাপটে তটস্থ সরকারিক কর্মকর্তারা। অনেকে এসব সংগঠনকে মৌসুমী চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। উল্লেখযোগ্য এসব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে—রাসেল স্মৃতি সংসদ, রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমী, শেখ রাসেল শিশু পরিষদ, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু একাডেমী, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় লেখক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারা লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী হকার্স ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধু চিন্তাধারা পরিষদ, চেতনায় মুজিব, আমরা মুজিব সেনা, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, জননেত্রী পরিষদ ইত্যাদি।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads