লক্ষ্মীপুর যুবদল নেতা সুমনকে না পেয়ে তার বৃদ্ধা মা শামসুন্নাহারকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। আটকের ৫ দিন পরও আদালতে হাজির না করায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পরিবার। এ ঘটনায় শনিবার বিকালে লক্ষ্মীপুর শহরের স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের লোকজন। উল্লেখ্য যে, সুমন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধার পুত্রবধূ মনোয়ারা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড়ালিয়া গ্রামের দেওয়ানজী বাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। এ সময় সুমনকে না পেয়ে আমার বৃদ্ধা শাশুড়িকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাকে ছাড়ছে না। আদালতে হাজিরও করছে না। আমার শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় কিংবা কোথাও কোনো ধরনের মামলা কিংবা জিডি নেই। শুধুমাত্র দেবর সুমন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ অন্যায়ভাবে শাশুড়িকে আটক করে নিয়ে যায়। এর আগেও একাধিকবার পুলিশ তাদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া থানা হেফাজতে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেও বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
শুধু আলোচ্য ঘটনায়ই নয়, বর্তমান সময়ের বহু ঘটনাতেই পুলিশের আচরণ ও তৎপরতা নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের মূল কাজ তো দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। তবে এই দায়িত্ব পালন করতে গেলে অনুরাগ ও বিরাগের বাইরে থেকে ন্যায়-নীতির আলোকে কর্তব্য সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের কর্মকান্ডে এমন চেতনার উপস্থিতি কমই লক্ষ্য করা যায়। তাদের আচরণে মনে হয় সরকারি দলের সবাই সাধু এবং বিরোধী দলের সবাই অপরাধী। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে তাদের নিষ্ঠুর ও বেপরোয়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। বিরোধী দলের সাথে যুক্ত থাকাই যেন এখন একটি অপরাধের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা সুমনকে বাড়িতে না পেয়ে তার বৃদ্ধা মাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেল কোন কা-জ্ঞানে? আর আটকের ৫ দিন পরেও তাকে ছেড়ে দেয়া তো হয়ইনি, এমনকি আদালতেও হাজির করা হয়নি। এমন কর্মকান্ডে জনগণের কাছে পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। পুলিশ তো কোনো দলের নয় বরং রাষ্ট্রের বাহিনী। তাই এই বাহিনীর সদস্যদেরকে আইন-কানুনের আলোকেই সবার সাথে আচরণ করতে হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বর্তমান সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশকে পেশাগত উজ্জ্বল অবস্থানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। আর তাদের চাইতেও বেশি দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন সরকারের। নইলে এ সমাজ আর মানুষের বসবাসযোগ্য থাকবে না। এর পরিণতি সবার জন্যই ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের পর এই জনপদের মানুষ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে। আর এই স্বাধীন রাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল ন্যায়, সামাজিক সুবিচার ও গণতান্ত্রিক অধিকার। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি স্বাধীনতার লক্ষ্যই যেন ভুলে গেছে! ফলে রাজনীতির সাথে সাথে প্রশাসনসহ আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্রমেই ম্লান হয়ে পড়ছে। এটা একটি স্বাধীন জাতির জন্য গ্লানির বিষয়। এই গ্লানি দূর করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে এলেই জাতির মঙ্গল।
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধার পুত্রবধূ মনোয়ারা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড়ালিয়া গ্রামের দেওয়ানজী বাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। এ সময় সুমনকে না পেয়ে আমার বৃদ্ধা শাশুড়িকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাকে ছাড়ছে না। আদালতে হাজিরও করছে না। আমার শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় কিংবা কোথাও কোনো ধরনের মামলা কিংবা জিডি নেই। শুধুমাত্র দেবর সুমন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ অন্যায়ভাবে শাশুড়িকে আটক করে নিয়ে যায়। এর আগেও একাধিকবার পুলিশ তাদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া থানা হেফাজতে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেও বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
শুধু আলোচ্য ঘটনায়ই নয়, বর্তমান সময়ের বহু ঘটনাতেই পুলিশের আচরণ ও তৎপরতা নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের মূল কাজ তো দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। তবে এই দায়িত্ব পালন করতে গেলে অনুরাগ ও বিরাগের বাইরে থেকে ন্যায়-নীতির আলোকে কর্তব্য সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের কর্মকান্ডে এমন চেতনার উপস্থিতি কমই লক্ষ্য করা যায়। তাদের আচরণে মনে হয় সরকারি দলের সবাই সাধু এবং বিরোধী দলের সবাই অপরাধী। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে তাদের নিষ্ঠুর ও বেপরোয়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। বিরোধী দলের সাথে যুক্ত থাকাই যেন এখন একটি অপরাধের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা সুমনকে বাড়িতে না পেয়ে তার বৃদ্ধা মাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেল কোন কা-জ্ঞানে? আর আটকের ৫ দিন পরেও তাকে ছেড়ে দেয়া তো হয়ইনি, এমনকি আদালতেও হাজির করা হয়নি। এমন কর্মকান্ডে জনগণের কাছে পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। পুলিশ তো কোনো দলের নয় বরং রাষ্ট্রের বাহিনী। তাই এই বাহিনীর সদস্যদেরকে আইন-কানুনের আলোকেই সবার সাথে আচরণ করতে হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বর্তমান সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশকে পেশাগত উজ্জ্বল অবস্থানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। আর তাদের চাইতেও বেশি দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন সরকারের। নইলে এ সমাজ আর মানুষের বসবাসযোগ্য থাকবে না। এর পরিণতি সবার জন্যই ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের পর এই জনপদের মানুষ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে। আর এই স্বাধীন রাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল ন্যায়, সামাজিক সুবিচার ও গণতান্ত্রিক অধিকার। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি স্বাধীনতার লক্ষ্যই যেন ভুলে গেছে! ফলে রাজনীতির সাথে সাথে প্রশাসনসহ আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্রমেই ম্লান হয়ে পড়ছে। এটা একটি স্বাধীন জাতির জন্য গ্লানির বিষয়। এই গ্লানি দূর করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে এলেই জাতির মঙ্গল।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন