মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও কানাডাসহ নয়টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা সহিংসতা বন্ধ করে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার এবং সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরির আহবান জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশান অফিসে দু’ঘণ্টার বৈঠক শেষে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়া এবং হত্যা ও সহিংসতা চলতে থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। মানুষের জীবন যাতে স্বাভাবিক ও ভীতি-আতংকমুক্ত হতে পারে সে লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। সহিংসতা এড়িয়ে সংলাপে বসার জন্যও তাগিদ দিয়েছেন কূটনীতিকরা। তারা আরো বলেছেন, চলমান সহিংসতার অবসান হওয়া এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার চর্চার সুযোগ থাকা দরকার। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া তাদের জানিয়েছেন, সংলাপে বসতে তার দল ও জোট সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। তারা সরকারের প্রতি বারবার আহবানও জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু সরকার এই আহবানের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করছে না। সরকার সংলাপে বসার উদ্যোগ নিলে তারা চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন বলে আশ্বাস দেয়ার পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়া কূটনীতিকদের বলেছেন, তার দল সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নয়। সহিংসতা বন্ধ করার এবং এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য এরই মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে, অনেককে নানা ভয়ংকর পন্থায় বিনাবিচারে হত্যা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়ও হস্তক্ষেপ করছে বলে উল্লেখ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি সরকারের দিক থেকে সংলাপ এবং সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
আমরা বিদেশী কূটনীতিকদের এই উদ্যোগ ও আহবানকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করি। বস্তুত গত ৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে তার অফিসে অবরুদ্ধ করার পর থেকে চলমান অবরোধকেন্দ্রিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা একদিকে সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অন্যদিকে সংকট কাটিয়ে ওঠার উদ্দেশে সংলাপ ও সমঝোতা তথা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই আহবান তারা বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন। একই আহ্বান জানিয়ে ১ মার্চ তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারও আগে গত মাসে (ফেব্রুয়ারিতে) ১৬ জন কূটনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি যৌথ চিঠি লিখেছেন। এ দুটি উপলক্ষেও কূটনীতিকরা সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার প্রক্রিয়াকে জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, পারস্পরিক আস্থা এমন হতে হবে যা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহিংসতার অবসান ঘটাবে এবং সব রাজনৈতিক দলই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মকা- পরিচালনার সুযোগ পাবে। এভাবেই চলমান সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হতে পারে বলেও তারা মতপ্রকাশ করেছেন। লক্ষ্যণীয় যে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোট তো বটেই, অন্য সব দলও এই আহবানে সাড়া দিয়েছে। ঘাড় বাঁকিয়ে রেখেছেন শুধু ক্ষমতাসীনরা। সমঝোতার পরিবর্তে উল্টো পথে হাঁটতে গিয়ে তারা একথা পর্যন্ত বলে চলেছেন যে, ‘খুনি’ ও ‘সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না। তারা এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার মতো তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশপ্রেমিক প্রধান জাতীয় নেত্রীকেও ‘সন্ত্রাসের রানী’ নামে অভিহিত করেছেন। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, ক্ষমতাসীনদের বর্ণিত ‘খুনি’ ও ‘সন্ত্রাসী’ আসলে কারা এবং অবরোধের আড়াল নিয়ে কারা দেশজুড়ে পেট্রোল বোমা দিয়ে নিরীহ মানুষদের পুড়িয়ে মারছে সে বিষয়ে এখনো কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যার ভিত্তিতে বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করা যাবে। বিভিন্ন ঘটনার পর্যালোচনায় বরং এমন সব তথ্যই বেরিয়ে এসেছে, যেগুলো ক্ষমতাসীনদের পাশাপাশি অন্যকিছু বিশেষ দিকেই ইঙ্গিত করে। আমরা মনে করি, এসব বিষয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের কাছেও তথ্য-প্রমাণ যথেষ্টই থাকার কথা। সুতরাং এমন ভাবনা ঠিক নয় যে, ক্ষমতাসীনরা চাইলেই তাদের দেয়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কূটনীতিকদের অন্তত বিশ্বাস করাতে পারবেন। প্রসঙ্গক্রমে রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের আহবানের গুরুত্ব অনুধাবন করা দরকার। তারা শুধু সহিংসতার অবসান ঘটানোর পরামর্শ দেননি, মানুষের জীবন যাতে স্বাভাবিক হতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়ার এবং সহিংসতা এড়িয়ে সংলাপে বসার জন্যও তাগিদ দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই আহ্বান ও তাগিদ থেকে শিক্ষণীয় রয়েছে আসলে ক্ষমতাসীনদের। সরকারের উচিত অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিনাবিচারে হত্যাসহ ফ্যাসিস্ট কর্মকান্ড বন্ধ করা এবং বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করা।
আমরা বিদেশী কূটনীতিকদের এই উদ্যোগ ও আহবানকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করি। বস্তুত গত ৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে তার অফিসে অবরুদ্ধ করার পর থেকে চলমান অবরোধকেন্দ্রিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা একদিকে সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অন্যদিকে সংকট কাটিয়ে ওঠার উদ্দেশে সংলাপ ও সমঝোতা তথা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই আহবান তারা বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন। একই আহ্বান জানিয়ে ১ মার্চ তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারও আগে গত মাসে (ফেব্রুয়ারিতে) ১৬ জন কূটনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি যৌথ চিঠি লিখেছেন। এ দুটি উপলক্ষেও কূটনীতিকরা সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার প্রক্রিয়াকে জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, পারস্পরিক আস্থা এমন হতে হবে যা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহিংসতার অবসান ঘটাবে এবং সব রাজনৈতিক দলই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মকা- পরিচালনার সুযোগ পাবে। এভাবেই চলমান সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হতে পারে বলেও তারা মতপ্রকাশ করেছেন। লক্ষ্যণীয় যে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোট তো বটেই, অন্য সব দলও এই আহবানে সাড়া দিয়েছে। ঘাড় বাঁকিয়ে রেখেছেন শুধু ক্ষমতাসীনরা। সমঝোতার পরিবর্তে উল্টো পথে হাঁটতে গিয়ে তারা একথা পর্যন্ত বলে চলেছেন যে, ‘খুনি’ ও ‘সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না। তারা এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার মতো তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশপ্রেমিক প্রধান জাতীয় নেত্রীকেও ‘সন্ত্রাসের রানী’ নামে অভিহিত করেছেন। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, ক্ষমতাসীনদের বর্ণিত ‘খুনি’ ও ‘সন্ত্রাসী’ আসলে কারা এবং অবরোধের আড়াল নিয়ে কারা দেশজুড়ে পেট্রোল বোমা দিয়ে নিরীহ মানুষদের পুড়িয়ে মারছে সে বিষয়ে এখনো কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যার ভিত্তিতে বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করা যাবে। বিভিন্ন ঘটনার পর্যালোচনায় বরং এমন সব তথ্যই বেরিয়ে এসেছে, যেগুলো ক্ষমতাসীনদের পাশাপাশি অন্যকিছু বিশেষ দিকেই ইঙ্গিত করে। আমরা মনে করি, এসব বিষয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের কাছেও তথ্য-প্রমাণ যথেষ্টই থাকার কথা। সুতরাং এমন ভাবনা ঠিক নয় যে, ক্ষমতাসীনরা চাইলেই তাদের দেয়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কূটনীতিকদের অন্তত বিশ্বাস করাতে পারবেন। প্রসঙ্গক্রমে রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের আহবানের গুরুত্ব অনুধাবন করা দরকার। তারা শুধু সহিংসতার অবসান ঘটানোর পরামর্শ দেননি, মানুষের জীবন যাতে স্বাভাবিক হতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়ার এবং সহিংসতা এড়িয়ে সংলাপে বসার জন্যও তাগিদ দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই আহ্বান ও তাগিদ থেকে শিক্ষণীয় রয়েছে আসলে ক্ষমতাসীনদের। সরকারের উচিত অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিনাবিচারে হত্যাসহ ফ্যাসিস্ট কর্মকান্ড বন্ধ করা এবং বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন