মহান স্বাধীনতা দিবসের এই শুভলগ্নে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রিয় এই জনপদের সব মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই জনপদের সংগ্রামী মানুষ স্বাধীনতার চূড়ান্ত সংগ্রাম শুরু করেছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে। জনগণের স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তির যুদ্ধ বিজয় লাভ করে ১৬ ডিসেম্বর। জাতি প্রতিবছর গভীর শ্রদ্ধার সাথে ২৬ মার্চ পালন করে মহান স্বাধীনতা দিবস। আমাদের স্বাধীনতার ৪৪ বছর পূর্ণ হবে এই মার্চে। জাতীয় ইতিহাসের পাতায় বিগত ৪৪ বছরে যুক্ত হয়েছে আনন্দ-বেদনার নানা ঘটনা। এমন প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার উল্লাস প্রকাশের পাশা-পাশি আমাদের পালন করতে হবে আত্মসমালোচনার দায়িত্বও। কারণ আত্মসমালোচনা ছাড়া কোনো জাতি তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না।
ইতিহাসের পাঠক মাত্রেই একথা জানেন যে, এই জনপদের মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা দীর্ঘদিনের একটি লালিত বিষয়। স্বাধীনতার লক্ষ্যে তারা যুদ্ধ করেছে ইংরেজদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের জালেম শাসকদের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পরিক্রমায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকি নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা, শহীদ তিতুমীর, নবাব সলিমউল্লাহ, শেরে বাংলা এ, কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ জিয়াউর রহমানসহ আরো অনেক মহান নেতাকে। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বিশেষভাবে অবদান রেখেছেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়াউর রহমান। জাতির স্থপতি হিসেবে আজ স্বীকৃতি পেয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা জানি যে, স্বাধীনতা অর্জনের চাইতেও কঠিন বিষয় হলো স্বাধীনতা রক্ষা এবং স্বাধীনতার লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা। এক্ষেত্রে ফসল না হলে স্বাধীন রাষ্ট্র ও পরিণত হতে পারে ব্যর্থ রাষ্ট্রে। এই বিষয়টি জাতির স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান বেশ ভাল ভাবেই উপলব্ধি করেছিলেন। তাই তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁরা জানতেন যে, স্বল্প সম্পদ নিয়েও ঐক্য ও সংহতির বদৌলতে জাতিকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া যায়। এমন চেতনাকে সমুন্নত রাখাই ছিল দেশের রাজনীতিবিদদের প্রধান দায়িত্ব।
স্বাধীনতার ৪৪ বছরে আমরা শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গিয়ে গেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি তথা সহিষ্ণুতার অভাবে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির ক্ষেত্রে আমরা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছি। এই ব্যর্থতার কারণে আমরা কাক্সিক্ষত উন্নয়ন, জীবনমান, সুশাসন ও নিরাপত্তালাভে সমর্থ হইনি। আরো লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, পরমত সহিষ্ণুতার অভাবে বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আজ দেশে-বিদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ফলে আজ দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক, পত্র-পত্রিকার বিশ্লেষণ এবং রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নানা উপদেশে জর্জরিত হতে হচ্ছে আমাদের সরকার ও রাজনীতিবিদদের। এমন চিত্র কোনো স্বাধীন দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। দেশের মানুষ তো চায় সরকার ও রাজনীতিবিদদের কর্মকান্ডে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত হবে। দেশের মানুষ মৌলিক অধিকার ও চায়, চায় নিরাপত্তা এবং জীবনমানের উন্নয়ন। কিন্তু জনগণের এমন আকাক্সক্ষা পূরণে আমাদের সরকার ও রাজনীতিবিদদের কর্মকান্ড কতটা যৌক্তিক পথে পরিচালিত হচ্ছে? স্বাধীনতার ৪৪ বছর পূর্তির এই সময়ে তাই আত্মসমালোচনার দায়িত্ব পালনও আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আজ দমন-পীড়ন, গুম, হরতাল-অবরোধ এবং হিংসা ও হানাহানির যে পরিবেশ লক্ষ্য যাচ্ছে, নির্বাচনে যেভাবে সন্ত্রাস ও ভোট জালিয়াতি হয়, ব্যাংক-বীমা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যেভাবে লুটপাট চলছে? সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে যেভাবে জাতীয় স্বাতন্ত্রবিপর্যস্ত হচ্ছে, ভোগ-বিলাস ও নৈতিক অবক্ষয়ের বাতাবরণে আমাদের মেরুদন্ড যেভাবে জীর্ণ হচ্ছে, তাতে স্বাধীনতার লক্ষ্যগুলো সন নাগরিকের আবার পুনঃপাঠ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সচেতন না হলে আমাদের স্বাধীনতার আনন্দ-অনুষ্টান অর্থবহ হবে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। আত্মসমালোচনা, আত্মোপলব্ধি ও কর্তব্য নির্ধারণের দায়িত্ব পারন আমাদের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে পারে। এ ব্যাপারে সময়ের দাবি পূরণে আমরা এগিয়ে আসতে পারি কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইতিহাসের পাঠক মাত্রেই একথা জানেন যে, এই জনপদের মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা দীর্ঘদিনের একটি লালিত বিষয়। স্বাধীনতার লক্ষ্যে তারা যুদ্ধ করেছে ইংরেজদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের জালেম শাসকদের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পরিক্রমায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকি নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা, শহীদ তিতুমীর, নবাব সলিমউল্লাহ, শেরে বাংলা এ, কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ জিয়াউর রহমানসহ আরো অনেক মহান নেতাকে। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বিশেষভাবে অবদান রেখেছেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়াউর রহমান। জাতির স্থপতি হিসেবে আজ স্বীকৃতি পেয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা জানি যে, স্বাধীনতা অর্জনের চাইতেও কঠিন বিষয় হলো স্বাধীনতা রক্ষা এবং স্বাধীনতার লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা। এক্ষেত্রে ফসল না হলে স্বাধীন রাষ্ট্র ও পরিণত হতে পারে ব্যর্থ রাষ্ট্রে। এই বিষয়টি জাতির স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান বেশ ভাল ভাবেই উপলব্ধি করেছিলেন। তাই তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁরা জানতেন যে, স্বল্প সম্পদ নিয়েও ঐক্য ও সংহতির বদৌলতে জাতিকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া যায়। এমন চেতনাকে সমুন্নত রাখাই ছিল দেশের রাজনীতিবিদদের প্রধান দায়িত্ব।
স্বাধীনতার ৪৪ বছরে আমরা শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গিয়ে গেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি তথা সহিষ্ণুতার অভাবে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির ক্ষেত্রে আমরা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছি। এই ব্যর্থতার কারণে আমরা কাক্সিক্ষত উন্নয়ন, জীবনমান, সুশাসন ও নিরাপত্তালাভে সমর্থ হইনি। আরো লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, পরমত সহিষ্ণুতার অভাবে বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আজ দেশে-বিদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ফলে আজ দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক, পত্র-পত্রিকার বিশ্লেষণ এবং রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নানা উপদেশে জর্জরিত হতে হচ্ছে আমাদের সরকার ও রাজনীতিবিদদের। এমন চিত্র কোনো স্বাধীন দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। দেশের মানুষ তো চায় সরকার ও রাজনীতিবিদদের কর্মকান্ডে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত হবে। দেশের মানুষ মৌলিক অধিকার ও চায়, চায় নিরাপত্তা এবং জীবনমানের উন্নয়ন। কিন্তু জনগণের এমন আকাক্সক্ষা পূরণে আমাদের সরকার ও রাজনীতিবিদদের কর্মকান্ড কতটা যৌক্তিক পথে পরিচালিত হচ্ছে? স্বাধীনতার ৪৪ বছর পূর্তির এই সময়ে তাই আত্মসমালোচনার দায়িত্ব পালনও আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আজ দমন-পীড়ন, গুম, হরতাল-অবরোধ এবং হিংসা ও হানাহানির যে পরিবেশ লক্ষ্য যাচ্ছে, নির্বাচনে যেভাবে সন্ত্রাস ও ভোট জালিয়াতি হয়, ব্যাংক-বীমা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যেভাবে লুটপাট চলছে? সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে যেভাবে জাতীয় স্বাতন্ত্রবিপর্যস্ত হচ্ছে, ভোগ-বিলাস ও নৈতিক অবক্ষয়ের বাতাবরণে আমাদের মেরুদন্ড যেভাবে জীর্ণ হচ্ছে, তাতে স্বাধীনতার লক্ষ্যগুলো সন নাগরিকের আবার পুনঃপাঠ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সচেতন না হলে আমাদের স্বাধীনতার আনন্দ-অনুষ্টান অর্থবহ হবে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। আত্মসমালোচনা, আত্মোপলব্ধি ও কর্তব্য নির্ধারণের দায়িত্ব পারন আমাদের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে পারে। এ ব্যাপারে সময়ের দাবি পূরণে আমরা এগিয়ে আসতে পারি কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন