দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কোনো দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ না ঘটলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দাপট ও দৌরাত্ম্যে জনগণ অস্বস্তির মধ্যে জীবনযাপন করে। এটা দেশ ও সরকারের জন্য কোনো ভাল খবর নয়। কোনো সরকার যখন জবাবদিহিতার দায়িত্ব ভুলে যায়, তখন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার চাতুর্যে মগ্ন থাকে। এমন অবস্থায় তারা বিরোধী দলকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেয় না, বরং কোমর ভেঙে দেয়ার আয়োজনে ব্যস্ত থাকে। সরকারের এমন ফ্যাসিবাদী চেহারায় শুধু বিরোধী দলে নয়, জনমনেও ক্ষোভের মাত্রা বাড়তে থাকে। অথচ সরকার কিংবা সরকারী দলের নেতা-কর্মীরা তা উপলব্ধি করতে চায় না। এমন অগণতান্ত্রিক পরিবেশে বিরোধী দলের ম্রিয়মান চেহারা লক্ষ্য করে সরকারী ঘরানার লোকদের মধ্যে অহংকার ও দাম্ভিকতার মাত্রা বেড়ে যায়। তখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও লুটেপুটে খাওয়ার জন্য সরকারী দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এমন চিত্রই আমরা এখন লক্ষ্য করছি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে।
শাসকদল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী এখন ব্যস্ত- চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও খুনোখুনিতে। স্বার্থের লড়াইয়ে লিপ্ত হয়ে তারা এখন নিজেরাই নিজেদের মারছেন। গত বৃহস্পতিবার দিনভর সিলেটের শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পক্ষের গুলী ও ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রাণ হারাল অপরপক্ষের কর্মী সুমন চন্দ্র দাস (২২)। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও। আহত হন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সংঘর্ষের জের ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একই দিন রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম ও বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার বড় ভাই আবুল মনসুর ভূঁইয়া নিহত হন, আহত হন আরও ১৫ জন। সংঘর্ষের পর জেলা প্রশাসন নান্দাইল উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করে। আর নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার তিতাসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রিয়াজুল করিম সেন্টু নামে এক পথচারী প্রাণ হারান। শাসকদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের আরও বহু ঘটনা পত্রিকার পাতায় স্থান পেয়েছে। সেই ফিরিস্তি আর বাড়াতে চাই না।
শাসক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও খুনোখুনির ঘটনায় নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষরা কিছুটা খুশি হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় দৃষ্টিতে বিবেচনা করলে এখানে খুশির উপাদানের চাইতে বরং অস্বস্তির উপাদানই বেশি পাওয়া যাবে। হিংসা ও হানাহানির এই রাজনীতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? আমরা কি এভাবে আমাদের সমাজকে নাগরিকদের বসবাসের অযোগ্য করে তুলছি না? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাজি, দখলবাজি, আধিপত্য, মাদক ব্যবসা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বসহ নানা কারণে একের পর এক খুন হচ্ছেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। তারা এ কথাও বলছেন যে, রাজনীতিসহ অধিকাংশ মহানগর, জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের শত্রু এখন আওয়ামী লীগ। আসলে এমন পরিস্থিতির পেছনে আইনের শাসন তথা সুশাসনের অভাবকে চিহ্নিত করা যায়। ফ্যাসিবাদী চেতনার কারণে শাসকদল নিজেদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে গেছে। এখন নেতা-কর্মীদের ওই দানবীয় চরিত্র নিজেদের জন্যও কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদী চরিত্র কারো জন্যই মঙ্গলজনক হতে পারে না। বিষয়টি উপলব্ধি করলে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথেই হাঁটতে হবে সরকারকে। সরকার সেই পথে হাঁটে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
শাসকদল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী এখন ব্যস্ত- চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও খুনোখুনিতে। স্বার্থের লড়াইয়ে লিপ্ত হয়ে তারা এখন নিজেরাই নিজেদের মারছেন। গত বৃহস্পতিবার দিনভর সিলেটের শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পক্ষের গুলী ও ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রাণ হারাল অপরপক্ষের কর্মী সুমন চন্দ্র দাস (২২)। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও। আহত হন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সংঘর্ষের জের ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একই দিন রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম ও বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার বড় ভাই আবুল মনসুর ভূঁইয়া নিহত হন, আহত হন আরও ১৫ জন। সংঘর্ষের পর জেলা প্রশাসন নান্দাইল উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করে। আর নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার তিতাসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রিয়াজুল করিম সেন্টু নামে এক পথচারী প্রাণ হারান। শাসকদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের আরও বহু ঘটনা পত্রিকার পাতায় স্থান পেয়েছে। সেই ফিরিস্তি আর বাড়াতে চাই না।
শাসক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও খুনোখুনির ঘটনায় নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষরা কিছুটা খুশি হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় দৃষ্টিতে বিবেচনা করলে এখানে খুশির উপাদানের চাইতে বরং অস্বস্তির উপাদানই বেশি পাওয়া যাবে। হিংসা ও হানাহানির এই রাজনীতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? আমরা কি এভাবে আমাদের সমাজকে নাগরিকদের বসবাসের অযোগ্য করে তুলছি না? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাজি, দখলবাজি, আধিপত্য, মাদক ব্যবসা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বসহ নানা কারণে একের পর এক খুন হচ্ছেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। তারা এ কথাও বলছেন যে, রাজনীতিসহ অধিকাংশ মহানগর, জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের শত্রু এখন আওয়ামী লীগ। আসলে এমন পরিস্থিতির পেছনে আইনের শাসন তথা সুশাসনের অভাবকে চিহ্নিত করা যায়। ফ্যাসিবাদী চেতনার কারণে শাসকদল নিজেদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে গেছে। এখন নেতা-কর্মীদের ওই দানবীয় চরিত্র নিজেদের জন্যও কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদী চরিত্র কারো জন্যই মঙ্গলজনক হতে পারে না। বিষয়টি উপলব্ধি করলে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথেই হাঁটতে হবে সরকারকে। সরকার সেই পথে হাঁটে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন