মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৪

মেজর জলিলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জবানবন্দী


বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সবচেয়ে বড় সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর জলিল। সেই মেজর জলিলের আরেকটা পরিচয়ও আছে- তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম গৃহবন্দি এবং খুব সম্ভবত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সেনা কর্মকর্তা, যাকে হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। একজন সেক্টর কমান্ডারকে কেন গৃহবন্দি করা হলো? কেন কেড়ে নেয়া হলো তাকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া সম্মান সূচক পদক? কি ছিল মেজর জলিলের অপরাধ?
১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে অসুস্থ মাকে দেখতে মেজর জলিল তার কর্মস্থল পাকিস্তানের মূলতান থেকে ছুটি কাটাতে বরিশালে নিজবাড়িতে আসেন। ছুটি শেষ হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তখন তিনি নিজ কর্মস্থলে যোগদান করা থেকে বিরত থাকেন। মার্চের শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মেজর জলিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতি আনুগত্য ছিন্ন করে মহান মুক্তি-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্থানের নিপীড়িত মানুষের পরাধিনতা থেকে মুক্তির পণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্বাধীনতা-সংগ্রামে।
১৯৭১ সালের গঠিত ১১টি সেক্টরের মধ্যে সাহসী সেনা মেজর জলিলকে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখলী, ফরিদপুর এবং খুলনার কিছু এলাকা নিয়ে গঠিত ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডারের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। দীর্ঘ ৯ মাস তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করেন, যার মধ্যে ৭ এপ্রিল খুলনা রেডিও সেন্টার মুক্ত করার অপারেশন উল্লেখযোগ্য। অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের মাধ্যমে তিনি যুদ্ধের শেষদিন ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত জীবন-পণ যুদ্ধ করেন।
ভৌগোলিক নৈকট্যে আর সব সেক্টর কমান্ডারের চেয়ে জলিলই ছিলেন ভারতীয় বাহিনীর সবচেয়ে কাছাকাছি। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়ই তিনি বাড়তি সুবিধাদি পেয়েছেন। এমনকি মে মাসের শুরুতে সুন্দরবনের বুড়ি গোয়ালিনী রেঞ্জে পাক বাহিনীর এমবুশে দুটি লঞ্চ বোঝাই অস্ত্র খোয়ানোর পর কলকাতায় ভারতীয় সেনা সদর ফোর্ট উইলিয়ামে মেজর জলিলকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও সে দায় থেকে তিনি মুক্তি পান এবং পরবর্তী সময়ে জেনারেল অরোরার আস্থাভাজনদের একজন ছিলেন খুলনা মুক্ত হওয়া পর্যন্ত। তাহলে জলিল পরবর্তীতে কার রোষের শিকার?
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে হালকা অস্ত্র, অল্প প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে পাকিস্তানী সেনাদের মতো একটি সুপ্রশিক্ষিত ও ভারি অস্ত্র সজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে সামনা-সামনি লড়াইয়ে নামা ছিল আত্মহত্যারই নামান্তর। গোটা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সাফল্যের ভিত্তি ছিল হিট অ্যান্ড রান। গেরিলা যুদ্ধের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি এটি। ৯ নম্বর সেক্টর প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের সীমান্ত পাড়ির সবচেয়ে নিরাপদ জায়গাগুলোর একটি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে ততদিনে। অল্প দিনের ট্রেনিং নিয়ে গেরিলাদের দেশের ভেতরে অপারেশনের এ পদ্ধতি সামরিক বাহিনীতে ইনডাকশন বলে পরিচিত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মেজর জলিলের অংশগ্রহণের অদ্বিতীয় কারণ ছিল তৎকালীন পাকিস্তানী শোষকদের হাত থেকে পূর্ব-পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণকে মুক্ত করা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি যেমনি ছিলেন আপসহীন, তেমনি স্বাধীনতা-উত্তর ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের বিরুদ্ধেও তিনি ছিলেন বজ্রকণ্ঠ। মুক্তিবাহিনীকে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতার নেপথ্যের কারণ জানতে পেরে মেজর জলিলের মধ্যে ক্ষোভের তীব্র আগুন জ্বলতে শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর পরিবর্তে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করানো হয় জেনারেল নিয়াজীকে। অনুরূপভাবে ১৭ ডিসেম্বর খুলনার সার্কিট হাউস ময়দানে ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাকিস্তানী বাহিনীকে সেক্টর প্রধান হিসেবে মেজর জলিলের কাছে আত্মসমর্পণ না করিয়ে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল দানবীর সিংয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করানো হয়।
মেজর জলিল ৯নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। দক্ষিণাঞ্চল ছিল তার যুদ্ধক্ষেত্র। যুদ্ধের শুরু থেকেই নানা বিষয়ে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের সাথে তার মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। অবশ্য শুধু তার সাথে নয়, প্রায় সব সেক্টর কমান্ডারের সাথেই ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের বিরোধ চলছিল। পাকিস্তান আর্মির আত্মসমর্পণের পর মুক্তবাংলায় ভারতীয় বাহিনী লুটপাটে অংশ নিল। বাংলার সম্পদ পাচার শুরু করল। এ সময় ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানী বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রসহ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুটে নিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এ লুটেরাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মেজর জলিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতীয় বাহিনীর নানা ঘটনাসহ স্বাধীনতা-পরবর্তী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বাংলাদেশীদের সম্পদ লুণ্ঠনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাধা দেয়ায়ই তখনকার সরকার মেজর জলিলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। মেজর জলিল ভারতীয় বাহিনীর লুণ্ঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানী এবং ভারতীয় পূর্বাঞ্চলের সর্বাধিনায়ক জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নিকট পত্র লিখেন, যা ১৭ ডিসেম্বর তাদের পৌঁছানো হয়। ভারতীয় বাহিনীর বেপরোয়া লুটতরাজের বিরুদ্ধে ক্রমেই ক্রোধে অগ্নিরূপ ধারণ করেন মেজর জলিল। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল দানবীর সিংকে বলতে বাধ্য হন, ‘দেখামাত্র গুলীর হুকুম দিয়েছি আমি, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লুটতরাজ করা থেকে বিরত রাখুন।’ মেজর জলিল পরবর্তী কয়েকদিন জাহাজে চড়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং ভোলার বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে জনসাধারণকে ভারতীয় বাহিনীর লুটতরাজ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন।
ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ার, গোলাবারুদ, যুদ্ধ সরঞ্জাম, কলকারখানার মেশিনপত্র সবকিছুই লুট করে ভারতে পাচার করতে থাকে। এসব লুটপাটের বিরুদ্ধে মেজর জলিলের বিরোধিতা ও তার সাহসিকতা অন্যান্য সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদেরও ‘মিত্র বাহিনীর’ লুটপাটে বাধা প্রদানে উৎসাহিত করে তোলে। কিন্তু মেজর জলিল যদি জানতেন, যে দেশের জন্য তিনি রুখে দাঁড়ালেন, সেই দেশ তার সাথে কি ব্যবহার করতে যাচ্ছে! একসময় জরুরি ভিত্তিতে এক মিটিংয়ে তলব করা হয় সব সেক্টর কমান্ডারকে। সেই মিটিংয়ে যোগ দেবার পথে গ্রেফতার করা হয় মেজর জলিলকে। এভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক লুণ্ঠনের প্রতিবাদ করায় ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি হিসেবে মেজর জলিলকে বন্দি করে যশোর সেনা ছাউনির একটি নির্জন কক্ষে রাখা হয়। এ বিষয়ে তিনি এক আত্মকথায় বলেন, ‘আমারই সাধের স্বাধীন বাংলায় আমিই হলাম প্রথম রাজবন্দি।’
২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টা সাড়ে ১০টায় আক্রমণকারী বাহিনীর হাতে বন্দি হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আসল রূপের প্রথম দৃশ্য দেখলাম আমি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মদদে বাংলাদেশ স্বাধীন করার অর্থ এবং তাৎপর্য বুঝে উঠতে আমার তখন আর এক মিনিটও বিলম্ব হয়নি। ১৯৭১ সালের সেই ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটের কথা আমি কোনো দিনই ভুলতে পারব না। যশোর সেনা ছাউনির অফিসার কোয়ার্টারের একটি নির্জন বাড়িতে আমাকে বেলা ১১টায় বন্দি করা হয়। বাড়ি না- যেন হানাবাড়ি। ঘুটঘুটে অন্ধকার, আশপাশে বেশকিছু নরকঙ্কাল পড়ে আছে। ঘরের ভেতর মানুষের রক্তের দাগ। কোনো ধর্ষিতা বোনের এলোমেলো ছেঁড়া চুল। বাইরে কাক, শকুন, শেয়াল একযোগে ব্যস্ত। ভেতরে মশারা কামান দাগিয়ে আছে। বাথরুমে পানি নেই। ডিসেম্বরের ভিজে শীত। বাইরে সেন্ট্রির বুটের কটমট আওয়াজ। সারাদিন গেল কোনো খাওয়া বা খাবার পানি পর্যন্ত এলো না। ৫ রুমবিশিষ্ট বাড়িটির রুমে রুমে যেন কান্না আর হাহাকার। সন্ধ্যা হতেই প্যাটার গোঙানি শুরু হয়। সহযোগী ভূতুকও পেছনে পড়ে নেই। বাড়িটার একটা রুমেও লাইট নেই। একটা খাটের ওপর একটা আধছেঁড়া কম্বল এবং তখন সেটাই আমার আপন একমাত্র আশ্রয়স্থল। কোনোমতে কম্বলটা জড়িয়ে বসে আছি। রাত ১২টা ১ মিনিটে যশোর সেনাছাউনি নতুন বছরের উজ্জীবনী গীতিতে মুখর হয়ে উঠল। নারী-পুরুষের যৌথ কণ্ঠের মনমাতানো সঙ্গীত নাচ, হাততালি, ঘুঙুরের ঝনঝনানি, উল্লাস, উন্মাদনা সবই ভেসে আসছিল কর্ণকুহুরে। আমার মাটিতে প্রথম নববর্ষেই আমি অনুপস্থিত। এ কথা ভাবতেই আমি কানে আর কিছুই শুনতে পেলাম না। শুনলাম কেবল একটা ব্যঙ্গাত্মক অট্টহাসি- ‘রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা আনলে তোমরা’ যার অর্থ দাঁড়ায় কতকটা এরকম।
রাতের ঘুটঘুটে সেই অন্ধকারে আমি সেদিন কম্বল জড়িয়েও ঘেমে উঠেছিলাম, শিহরিয়ে উঠেছিলাম পুনঃ পুনঃ। স্বাধীনতার সতের বছর পরেও আমি নিশ্চিত হতে পারছি না। অন্ধকারে আজো আমি একইভাবে শিহরে উঠি আর যেন শুনতে পাই- ‘রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা আনলে তোমরা।’ একজন ম্যাজিস্ট্রেট এসেছিলেন বন্দিদের সঙ্গে পাওয়া জিনিসপত্রের সিজার লিস্ট করতে। সবার ব্যাগেই কাপড় ও গুলী ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর আসে জলিলের ব্যাগ খোলার পালা। তার অনুপস্থিতিতে এই ব্যাগ খোলার ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদের পরও সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে তালা ভাঙা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট ব্যাগের ওজন সন্দেহজনক বলে রায় দেন তার আগে। খোলার পর এতে পাওয়া যায় বিখ্যাত সমর নায়কদের লেখা গেরিলা যুদ্ধের মোটা মোটা সব বই, যা কলকাতা থেকে ফেরার পথে বিভিন্ন বুকস্টল থেকে কিনে আনতেন জলিল। মূলত স্বাধীন একটা দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিশেষ করে অফিসারদের আধুনিক রণকৌশল এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত বলেই মনে করতেন মেজর জলিল। সে কারণেই ভারত থেকে এ বইগুলো সংগ্রহ করেছিলেন তিনি । যাই হোক, হতভম্ব ম্যাজিস্ট্রেট এরপর স্টাফ অফিসার মোস্তফাকে জানান, তাকে বলা হয়েছিল মেজর জলিল ও তাদের সঙ্গীরা খুলনা থেকে লুট করা ব্যাগ ভর্তি সোনাদানা, অলঙ্কার ও টাকা-পয়সা নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে!
ষড়যন্ত্রের জাল ফেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সমগ্র জাতি সরকারের ঐ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ১১ মার্চ ১৯৭২ বরিশালে মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণের এক বিশাল সমাবেশে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার জোর দাবি উত্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালো দাবি উত্থাপিত হয়েছিল, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করে, ‘সেনাবিধি অনুসারে হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য, বিদ্রোহ এবং খুলনা পতনের পর লুটতরাজ পরিচালনার পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তার বিভিন্ন বিরোধিতামূলক বক্তব্য ও পদক্ষেপের অপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অর্থাৎ কোর্ট মার্শালে বিচার করা হবে।’ সরকারের ঐ ঘোষণার পর বিক্ষোভ আরো বৃদ্ধি পায়। আর্মি, মুক্তিযোদ্ধা এবং জনগণ ক্ষেপে ওঠে। এভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম রাজবন্দি। তার নিজের কথায়, ‘আমারই সাধের স্বাধীন বাংলায় আমিই হলাম প্রথম রাজবন্দি।’ এসব বিষয় স্বাধীনতা অর্জনের পরে তুলেছিল তুমুল ঝড়।
জিবলু রহমান 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads