শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

আওয়ামী ও আনন্দ বাজারী আষাঢ়ে গল্প


ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে সেই প্রবাদ প্রবচনটিও বিশ্বাস করার মত অবস্থা হয়েছে। সেটি হল, ‘গাঁজার নৌকা পাহাড় বইয়া যায়’। তথাকথিত প্রগতিবাদী বন্ধুরা জামায়াত এবং শিবিরকে ইলাস্টিকের মত টেনে লম্বা করেছে এবং গোলায়াথ বা হারকিউলেক্সের মত বলশালী করেছে। তা না হলে যারা আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষমতায় যায়নি তারা একেবারে পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম পর্যন্ত দখল করতে যাচ্ছে কিভাবে? এই ধরনের ঘটনা যে ঘটে না, তা নয়। এই ধরনের ঘটনা ঘটে কল্পনায়, ঘটে স্বপ্নে এবং গাঁজার কল্কিতে। তাই যদি না হবে তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনার কথা এল কোত্থেকে? বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মুখ চেনা খবরের কাগজ বিষয়টি নিয়ে খুব তোলপাড় করে। কিন্তু তাদের সমস্ত উন্মাদনার মাথায় পানি ঢেলে দিয়েছে খোদ ভারতীয় সংস্থা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশী কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কোনো তথ্য দেয়নি ভারত। গত রোববার প্রথম আলোয় এ খবর দেয়া হয়েছে।
এদিকে গত রবিবার বর্ধমানের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) এক সূত্রের উল্লেখ করে বিবিসি জানায়, ওই ঘটনায় যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে তাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যা চেষ্টার কথা আদৌ উল্লেখ করা হয়নি। কারণ এ বিষয়টি নিয়ে তারা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন।
বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ১২ পলাতক জঙ্গিকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য এনআইএ পুরস্কার ঘোষণা করে। ১২জন পলাতক জঙ্গির মধ্যে চারজন বাংলাদেশি আছে বলে দাবি করছে ভারতের তদন্ত সংস্থা। এই ১২ জঙ্গির মধ্যে পাঁচজনের জন্য ১০ লাখ রুপি, তিনজনের জন্য পাঁচ লাখ এবং বাকি চারজনের জন্য তিন লাখ রুপি করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর বোমা বানাতে গিয়ে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে নিহত হন শাকিল আহমেদ ও সুবহান মন্ডল নামের দুই জঙ্গি। ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে সে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়, তাঁরা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
তবে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, বর্ধমানের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশিদের জড়িত থাকার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারের কোনো তথ্য র‌্যাবের কাছে নেই। তবে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে র‌্যাব সম্প্রতি কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্ধমানের ঘটনায় সরকারিভাবে কোনো তথ্য তাঁদের কাছেও নেই। তিনি মনে করেন, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশি হিসেবে যে জঙ্গিদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলো তাঁদের আসল পরিচয় নয়। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিরা এমনিতেই অনেকগুলো নাম ব্যবহার করে। যদি তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাঁদের একটি স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে। সেই জঙ্গিদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পেলে সেগুলো যাচাই করে তাদের আসল পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
দুই
এদিকে বিবিসির খবরে আরো বলা হয়, বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তের সূত্র ধরে পুলিশ ও তদন্তকারীরা যে জঙ্গি নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছেন, বাংলাদেশের মাটিতে তাঁদের সত্যিই কত বড় হামলা ঘটানোর ক্ষমতা ছিল তা নিয়ে সন্দেহ ক্রমেই বাড়ছে। ওই জঙ্গি নেটওয়ার্কের যে লোকবল, অর্থবল বা অস্ত্র সম্ভারের হদিস পাওয়া গেছে সেগুলো দেখেও ধারণা হয় যে একটা বড় মাপের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট ক্ষমতা ছিল না। এনআইএ অর্থাৎ ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা তেমন ধারণাই করেন।
কী ছিল জঙ্গিদের উদ্দেশ্য? এক মাসের ওপর হলো এনআইএ এই ঘটনার তদন্ত করছে। যারা ধরা পড়েছেন তাদের কেউ কেউ বলেছেন যে বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তম ইসলামী রাষ্ট্র গঠন ও সেখানে শরীয়া শাসন প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কেউ কেউ বলেছেন, বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে সেখানে প্রকৃত ইসলামী শাসনের পথ সুগম করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।
কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে এই তদন্ত চালানোর পর গোয়েন্দারা ক্রমেই বুঝতে পারছেন যে এগুলো অনেকটাই শেখানো বুলি কিংবা নিছকই কথার কথা। কতটা শক্তিশালী ছিল এই নেটওয়ার্ক? বর্ধমানে ছিল এই জঙ্গি মডিউলটির অস্ত্র কারখানা, যেখানে বিস্ফোরক মজুত করা হতো ও আইডি তৈরি করা হতো। তবে আরডিএক্স বা আরও শক্তিশালী বোমা তৈরির উপাদান কিন্তু সেখানে মেলেনি। এই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত দুটো মাদরাসারও সন্ধান মিলেছে। এনআইএ বলছে, এই মাদরাসাগুলোতে জেএমবির সদস্য মোট ১৪ জন মহিলা ক্যাডার জেহাদী প্রশিক্ষণ দিতেন।
এই নেটওয়ার্কের অনেকটা অর্থায়ন হতো আসামের বরপেটা জেলায় এক হাতুড়ে ডাক্তার শাহনূর আলমের মাধ্যমে। ব্যাপক তদন্তের পর চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সেগুলোতে লেনদেন বন্ধ ছিল মাস তিনেক আগে থেকেই। সীমান্তে গরু পাচার, জাল নোটের কারবারই ছিল এই জঙ্গিদের টাকার উৎস এবং হাওয়ালার মাধ্যমেও তাদের কাছে টাকা পাঠানো হতো বলে গোয়েন্দারা ধারণা করছেন।
এখানে সংগত ভাবেই একটি প্রশ্ন এসে যায়। সেটি হল, যারা গরু পাচার বা হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এবং সেই কাজেও নেতৃত্ব দেয় একজন হাতুড়ে ডাক্তার তাদের পক্ষে কি বস্তা বস্তা টাকা বা শত শত কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব? শত শত কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন নাকি সারদা বাবু। সেটিও চিট ফান্ডের টাকা। চিট ফান্ডের টাকা জেএমবির ক্যাডাররা পেয়েছে এমন কথা ভারতের কোন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়নি।
তিন
তদন্তে রাজনীতির ছায়া পড়েছে বলে ভারতীয় পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জী সরকারের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, এই তদন্তে তারা শুরু থেকেই বাধা দিচ্ছেন। কিন্তু এখন এই নেটওয়ার্কের মূল হোতা হিসেবে যাকে  চিহ্নিত করা হচ্ছে সেই শেখ সাজিদ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতেই ধরা পড়ার পর সেই অভিযোগ যে কতটা মিথ্যে ছিল তা এখন প্রমাণিত হয়েছে বলে তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের তরফ থেকে দাবী করা হচ্ছে।
তৃণমূলের একজন এমপি বলেছেন, তাদের সন্দেহ, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু- মুসলিম মেরুকরণের রাজনীতি উস্কে দিতেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির উস্কানিতে বর্ধমান ঘটনা নিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অতিরঞ্জিত করে  নানা কথা বলা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল, সুসংগঠিত ও মতলবি প্রচারণার ফলে তদন্ত টিমের তদন্তকে প্রভাবিত করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের কথিত পরিকল্পনার কোনো উল্লেখ নেই ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) প্রতিবেদনে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেনি এনআইএ। ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ধমান বিস্ফোরণ ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে এনআইএ। সেখানে হাসিনা এবং খালেদাকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলা নিয়ে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ার পরিকল্পনা ছিল জেএমবির। জেলা তিনটি হলো মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও নদীয়া।
চার
বিজিপির কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ এমন একটি দাবী তুলেছেন যেটি শুধুমাত্র আজগুবিই নয়, বরং যেটি পড়লে চোখ কপালে উঠে যায়। তার এই দাবী প্রকাশিত হয়েছে কলকাতার ‘আনন্দ বাজার পত্রিকায়’। খবরটির শিরোনাম,‘জামায়াতের হাত ধরেই ক্ষমতায় মমতা, অভিযোগ বিজেপির’। রিপোর্টটিতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে পালাবদলের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের জোটের সঙ্গে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির গোপন সমঝোতা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহের দাবি, জামায়াতের সাহায্য নিয়েই রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ৭৫টি বিধানসভা আসনের অধিকাংশ আসনে জিতেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। এই সমঝোতার কারণেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে ঢাকা সফর বাতিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তি রূখে দিয়েছিলেন কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
মঙ্গলবার কলকাতায় সিদ্ধার্থনাথ বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর সাহায্য নিয়েই সীমান্ত এলাকার ৭৫টি আসনের অধিকাংশে জিতেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। তৃণমূল জিতেছিল ৩২টি এবং কংগ্রেস ১৩টিতে।” সিদ্ধার্থনাথের দাবি, নির্বাচনে সাহায্য পাওয়ার বিনিময়ে তৃণমূল জামায়াত নেতৃত্বকে আশ্বাস দিয়েছিল, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা যথাসাধ্য সাহায্য করবে।
আনন্দবাজার লিখেছে, সিদ্ধার্থনাথের প্রশ্ন, এই সমঝোতার ফলেই কি মনমোহন সিংহের সঙ্গে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিলেন মমতা? ২০১১-র ওই সফরে দু’দেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে তা হতে পারেনি। সিদ্ধার্থনাথ বলেন, “বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের রিপোর্ট দু’পক্ষের এই সমঝোতার কথাই বলছে। ও দেশের সংবাদপত্রেই এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।” তার তোলা এই অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হলে তিনি দুঃখপ্রকাশ করবেন বলেও জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা।
তবে সিদ্ধার্থনাথের অভিযোগকে ‘কাল্পনিক’ আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার মন্তব্য, “কলকাতায় বসে সিদ্ধার্থ নাথ বাবু হালে পানি পাননি। এখন চলে গিয়েছেন সীমান্তে। পাগলে কী না বলে। এর পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বলার এবং তৎপর হওয়ার কথা, যে তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে থাকার কথা, তা একজন প্রাদেশিক নেতার কাছে থাকে কীভাবে? সন্দেহ হয়, রাজনাথ সিংহ কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেই?” তার আরও অভিযোগ, “যে সময়ের কথা উনি বলছেন, তখন তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল না”
কংগ্রেসও সিদ্ধার্থনাথের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “বিজেপি যা খুশি তাই বলছে। বিধানসভা নির্বাচনে ভোটটা কি বাংলাদেশের মানুষ এসে দিয়ে গিয়েছিল?”
দেখা যাচ্ছে যে জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করার জন্য শুধুমাত্র আওয়ামী লীগই আদা পানি খেয়ে নামেনি, ওই ধারে ভারতের একটি মহল জামায়াতকে ক্রাশ করতে চায়। জামায়াত নাকি পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার নির্বাচনে তৃণমূলকে ৩২টি আসনে জিতিয়ে দিয়েছে। এসব উন্মাদের কথা নিয়ে আলোচনা করারও প্রবৃত্তি হয় না। কিন্তু যথাযথ উত্তর না দিলে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই আজ এই বিষয়টি নিয়ে লিখলাম। কারণ ইন্ডিয়া এবং আওয়ামী ক্যাম্পের মিডিয়া শক্তি প্রবল। ওরা দিনকে রাত এবং রাতকে দিন বানাতে পারে শুধু মাত্র মিডিয়া শক্তির জোরে। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অবশ্যই বুঝবেন যে জামায়াত যদি এতোই শক্তিশালী হতো তাহলে বাংলাদেশে তারা পড়ে পড়ে মার খেত না। 
আসিফ আরসালান 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads