দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাধর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের কিছু বক্তব্য নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। কারণ, বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন সম্পর্কে তার কথাগুলো ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। গত ১২ নবেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশ ও প্রশাসনের কার্যক্রমের পেছনে ছিল তার নিজের প্রত্যক্ষ ভ’মিকা। প্রতিটি উপজেলায় তিনি কথা বলেছেন, তাদের ‘রিক্রুটেড’ লোকজনকে দিয়ে মোবাইল কোর্ট করিয়ে তারা নির্বাচন করেছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন যে তাদের অর্থাৎ সরকারের ‘পাশে দাঁড়িয়েছিলেন’ এবং ‘বুক পেতে দিয়েছিলেন’ সে কথাটাও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গেই বলেছেন উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। একই অনুষ্ঠানের ভাষণে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের জন্য চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কেও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, কোনোভাবে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করলেই চলবে। বাকিটা তারা দেখবেন। এইচ টি ইমাম সাধারণ মন্ত্রী বা রাজনীতিক নন বরং অত্যন্ত ক্ষমতাধর উপদেষ্টা। তাছাড়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে সরাসরি অবদান রেখেছিলেন বলেও এইচ টি ইমামের কথাগুলো নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছিল। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রথম থেকে তারা যে অভিযোগ তুলে এসেছেন, গোপন কথা ফাঁস করার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা এতদিনে সে অভিযোগের সত্যতাই স্বীকার করেছেন। ক্ষমতাসীনদের প্রতিক্রিয়া অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই ছিল এইচ টি ইমামের বক্তব্য বিরোধী। অন্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও নেতারা তো বটেই, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত তার নিজের উপদেষ্টাকে তুলোধুনো করেছেন। মিস্টার ইমামও তাই পিছুটান না দিয়ে পারেননি। প্রথম দু-একদিন সুকৌশলে নীরবতা অবলম্বন করলেও শেষ পর্যন্ত ১৭ নবেম্বর তাকে সংবাদ সম্মেলন করতে হয়েছে। সেখানে লিখিত বক্তব্যে দিব্যি বলে বসেছেন, যে মন্তব্যের কারণে তার সমালোচনা করা হচ্ছে সে রকম কিছুই তিনি নাকি বলেননি! এ পর্যন্ত এসেও থেমে যাননি প্রধানমন্ত্রীর এই বিতর্কিত উপদেষ্টা। আওয়ামী কায়দায় সব দোষ চাপিয়েছেন গণমাধ্যমের ওপর। বলেছেন, সাংবাদিকরা নাকি মনগড়া রিপোর্ট করেছেন এবং সেটাই নাকি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে!
বিষয়টি নিয়ে সঙ্গত কারণেই নতুন পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে ‘আওয়ামী লীগের ইমাম’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এজন্যই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সেই সব সত্য ফাঁস করে দিয়েছেন যেগুলো সম্পর্কে বিরোধী দল এতদিন ধরে বলে আসছিল। নির্বাচনের সময় এইচ টি ইমাম ভোটের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন এবং তাদের ইচ্ছানুসারে তৈরি করিয়েছেন। ক্ষমতাসীনদের চাপে এখন তিনি বক্তব্য অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু জনগণ যা বোঝার তা বুঝে নিয়েছে। এ শুধু বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নয়, আমরাও মনে করি, মুখ ফস্কে হলেও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম যা কিছু বলে ফেলেছেন সে সবের কোনো কিছুই আর পাল্টে ফেলা যাবে না। কারণ, ‘ডিজিটাল যুগে’ চাইলেই কোনো সত্য অস্বীকার করা যায় না। ছাত্রলীগের আলোচ্য অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ইমাম যে বক্তব্য রেখেছিলেন তা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সংবাদে যেমন প্রচারিত হয়েছে তেমনি রিপোর্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে পরদিনের সংবাদপত্রেও। তার ভাষণের অডিও-ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে সংশ্লিষ্টদের কাছে। কোনো কোনো দৈনিক তো এরই মধ্যে ইন্টারনেটের লিংকও প্রকাশ করেছে, যেখানে মিস্টার ইমামের সেদিনের বক্তব্য শোনা ও দেখা যাচ্ছে। সুতরাং নিজের পিঠের চামড়া বাঁচানোর উদ্দেশ্যে তিনি চাইলেই বা সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা ফরমায়েসী বিবৃতিতে দাবি জানালেই চলবে না। যা কিছু সত্য তার সবই প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে গেছে। জনগণও জেনে ফেলেছে। আমরা তো মনে করি, গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ঢালাওভাবে মিথ্যাবাদী বলার মধ্য দিয়ে উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বরং নতুন করে বড় ধরনের অন্যায় করেছেন। তার উচিত সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের কাছে ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করা। এ সত্যও তাকে স্বীকার করতে হবে যে, গণমাধ্যমে সঠিক বক্তব্যই প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছিল এবং আসলেও তিনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে কর্তৃত্বসহ নেতৃত্বের ভ’মিকা পালন করেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে সঙ্গত কারণেই নতুন পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে ‘আওয়ামী লীগের ইমাম’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এজন্যই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সেই সব সত্য ফাঁস করে দিয়েছেন যেগুলো সম্পর্কে বিরোধী দল এতদিন ধরে বলে আসছিল। নির্বাচনের সময় এইচ টি ইমাম ভোটের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন এবং তাদের ইচ্ছানুসারে তৈরি করিয়েছেন। ক্ষমতাসীনদের চাপে এখন তিনি বক্তব্য অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু জনগণ যা বোঝার তা বুঝে নিয়েছে। এ শুধু বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নয়, আমরাও মনে করি, মুখ ফস্কে হলেও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম যা কিছু বলে ফেলেছেন সে সবের কোনো কিছুই আর পাল্টে ফেলা যাবে না। কারণ, ‘ডিজিটাল যুগে’ চাইলেই কোনো সত্য অস্বীকার করা যায় না। ছাত্রলীগের আলোচ্য অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ইমাম যে বক্তব্য রেখেছিলেন তা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সংবাদে যেমন প্রচারিত হয়েছে তেমনি রিপোর্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে পরদিনের সংবাদপত্রেও। তার ভাষণের অডিও-ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে সংশ্লিষ্টদের কাছে। কোনো কোনো দৈনিক তো এরই মধ্যে ইন্টারনেটের লিংকও প্রকাশ করেছে, যেখানে মিস্টার ইমামের সেদিনের বক্তব্য শোনা ও দেখা যাচ্ছে। সুতরাং নিজের পিঠের চামড়া বাঁচানোর উদ্দেশ্যে তিনি চাইলেই বা সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা ফরমায়েসী বিবৃতিতে দাবি জানালেই চলবে না। যা কিছু সত্য তার সবই প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে গেছে। জনগণও জেনে ফেলেছে। আমরা তো মনে করি, গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ঢালাওভাবে মিথ্যাবাদী বলার মধ্য দিয়ে উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বরং নতুন করে বড় ধরনের অন্যায় করেছেন। তার উচিত সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের কাছে ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করা। এ সত্যও তাকে স্বীকার করতে হবে যে, গণমাধ্যমে সঠিক বক্তব্যই প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছিল এবং আসলেও তিনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে কর্তৃত্বসহ নেতৃত্বের ভ’মিকা পালন করেছিলেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন