রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

শাবাশ প্রধানমন্ত্রী উদ্ভট তত্ত্বের জন্য



অ লি উ ল্লা হ নো মা ন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। এখনও তিনি হাওয়া ভবন ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতার পরিবার ছাড়া আর কিছুই দেখেন না। গত বুধবার জাতীয় সংসদে সমাপনী ভাষণে তিনি সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেঙ্কারির জন্যও দায়ী করলেন বিরোধীদলীয় নেতার সাবেক কার্যালয় হাওয়া ভবনকে। শাবাশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনার যুগে হাওয়া বিলুপ্ত হাওয়া ভবনের এতই প্রভাব যে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় হাওয়া ভবনের লোকদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিল সোনালী ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে জাতিকে তথ্য দিলেন হলমার্কের এমডির উত্থান হাওয়া ভবন থেকে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে যাদের নিয়োগ দিয়েছেন, সবাই তার দলের লোক। বর্তমান শাসন যুগের পৌনে চার বছরে হাওয়া ভবন থেকে উত্থান হওয়া (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায়) তানভীরকে কীভাবে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হলো সেই জবাব কি তাদের কাছে চাওয়া হয়েছে!
আমরা জানতে পেরেছি হলমার্কের তানভীর প্রথম ঋণ পেয়েছিলেন বর্তমান শাসক জোটের আন্দোলনের ফসল মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকারের আমলে। তখন তো বর্তমান শাসক জোটের আন্দোলনের ফসলের মূল রোষের শিকার ছিল হাওয়া ভবন ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার। এই অবস্থায় তানভীর হওয়া ভবনের হয়ে থাকলে ঋণ পাওয়া কি সম্ভব ছিল? শুধু তাই নয়, জরুরি অবস্থার সরকারের আমলে হলমার্কের ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র একশ’ কোটি টাকা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগে এসে সেই ঋণ সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার হাওয়া ভবনের দুর্নীতির অনুসন্ধানে চিরুনি অভিযান চালিয়েছিল। বর্তমান সরকারও এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বিগত পৌনে ছয় বছর ধরে অব্যাহতভাবে রাষ্ট্রের সব এজেন্সি হাওয়া ভবনের দুর্নীতির অনুসন্ধান করে চলেছে। এই চিরুনি অভিযানের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় হাওয়া ভবন থেকে উত্থান হওয়া লোককে কীভাবে এত টাকা ঋণ দেয়া হয়? হাওয়া ভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে কত টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তারেক রহমানের কয়টা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে এবং সেগুলোতে কত টাকা রয়েছে?
সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর কৌতূহলী মনে অনেক খোঁজ-খবর নিয়েছি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের যে শাখা থেকে (শাহবাগের রূপসী বাংলা শাখা) হলমার্কের নামে ঋণ ইস্যু করা হয়েছে, সেই শাখার ম্যানেজারের বাড়ি গোপালগঞ্জ। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির লোক হিসেবে তিনি নিজেকে পরিচয় দিয়ে সবার ওপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করতেন। ম্যানেজার আজিজ সাহেব রূপসী বাংলা শাখায় যোগ দেন ২০০৭ সালের শুরুতে। ততদিনে জরুরি অবস্থা জারি হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ও মিত্রদের আন্দোলনের ফসল মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার তখন ক্ষমতায়। এই শাখা থেকে হলমার্ক প্রথম ঋণের টাকা পায় ২০০৭ সালের মার্চে। সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা শাখায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির আজিজ নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় সাড়ে ছয় বছর ধরে কর্মরত আছেন। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তিন বছরের বেশি একটি শাখায় কাজ করার সুযোগ থাকার কথা নয়। বর্তমান সরকারের আমলে গোপালি আজিজ প্রমোশন পেয়ে ডিজিএম হয়েছেন। প্রমোশন পাওয়ার পরও তার পোস্টিং একই শাখা রূপসি বাংলায়। ব্যাংক বা সরকারি কর্মকর্তাদের প্রমোশন হলে কর্মরত শাখা থেকে অন্যত্র পোস্টিং দেয়া হয়। কিন্তু গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির আজিজের বেলায় ব্যতিক্রম ঘটেছে। সবই হয়েছে হাল আমলে। তাতেও কি হাওয়া ভবনের প্রভাব! ব্যাংক ঋণ নিতে হলে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় শাখা থেকে শুরু করে হেড অফিস হয়ে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন লাগে। বর্তমান আমলে নিয়োজিত আওয়ামী পরিচালকরা কোন ক্রাইটেরিয়ায় হলমার্ককে এত বিপুল টাকা ঋণ অনুমোদন করলেন, সেই প্রশ্ন জনগণের।
আমাদের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, রূপসি বাংলা শাখায় দীর্ঘদিন থেকে কর্মরত ম্যানেজার (পরে পদোন্নতি পেয়ে ডিজিএম) আজিজ হলমার্কের ঋণ মঞ্জুরে নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তার মাধ্যমেই ঋণের টাকার কমিশন অন্যদের কাছে যেত। আজিজের প্রভাব এতই ছিল যে আগে ঋণের টাকা দিয়ে পরে বোর্ড থেকে মঞ্জুর করাতেন। ঋণ প্রদানের টাকার হিসাব মিলাতে না পারার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হলমার্কের কেলেঙ্কারি ধরা পড়ে। সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা শাখা হলমার্ককে মঞ্জুর করা ঋণের টাকার হিসাব মিলাতে পারছিল না। এতেই যত বিপাকে পড়তে হয়। অডিট করতে চাইলে সেখানেও নানা বাধাবিপত্তি আসে। যারাই অডিটের উদ্যোগ নিয়েছে তাদেরই বদলি করে দেয়া হতো। তারপরও সরকার বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিয়ে চুপ করে ছিল। এর রহস্য কী!
আজিজ নিয়মিত হলমার্কের এমডির অফিসে যাতায়াত করতেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডাক্তার মোদাচ্ছের হলমার্ক এমডি তানভীরের অফিসে গিয়েছেন একাধিকবার। সাভারে হলমার্কের সংশ্লিষ্ট এলাকায় একাধিকবার আরও গিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলমার্ক এমডি তানভীরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজনেরই ওঠা-বসা।
শুধু হলমার্ক কেলেঙ্কারি নয়, এই সরকারের ডিজিটাল যুগে শেয়ার মার্কেট থেকে লক্ষ-কোটি টাকার বেশি লুটপাট হয়েছে। কুইক রেন্টালে বিদ্যুতের নামে হাজার কোটি টাকা লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যুত্ সরবারাহ না করলেও কুইক রেন্টালের মালিকরা সরকারের কাছ থেকে টাকা পান। বিদ্যুেকন্দ্র বন্ধ রেখেও টাকা পাওয়া যায় কুইক রেন্টালে। এর চেয়ে বড় লুটপাট আর কী হতে পারে? বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতেও হাওয়া ভবনের কোনো প্রভাব আছে কিনা সেটা কে জানে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো যে কোনো সময় বোমা ফাটানো বক্তৃতা দিয়ে বলতে পারেন—কুইক রেন্টালের লুটপাটের পেছনেও হাওয়া ভবনের প্রভাব রয়েছে।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়েছে। এই দুর্নীতির পেছনেও আবার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া হাওয়া ভবনের কোনো প্রভাব রয়েছে কিনা কে জানেন!
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলে থাকাকালে সবকিছুতেই হাওয়া ভবন ও তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের প্রভাব দেখতেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কয়েকটি উক্তি আগে উল্লেখ করতে চাই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলে ছিলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়লে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের অন্ত থাকত না। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুনতে শুনতে তখন কান ঝালাপালা করত। শেয়ার মার্কেটের এ রকম লুটপাট দেখলে তিনি কী বলতেন, সেটা আল্লাহ মালুম। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জ্বালানির দাম বাড়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন, সরকার চায় না দেশের মানুষ খেয়ে-পরে বেঁচে থাকুক। তিনি তখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অভিযোগ এনে সরকারের পদত্যাগও দাবি করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব অভিযোগের তীর থাকত তখন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের প্রতি। বর্তমান আমলে দ্রব্যমূল্য কতটা বেড়েছে, সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। সবাই জানেন পরিস্থিতি। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতা থাকা অবস্থায় কী অভিযোগ করেছিলেন, সেটা। তার কয়েকটি উক্তি স্মরণ করে শুধু বলতে চাচ্ছি, ২০০৫ সালের ২৬ মে দৈনিক জনকণ্ঠের শিরোনাম : ‘সরকার চায় না দেশের মানুষ খেয়ে-পরে ভালো থাকুক—শেখ হাসিনা’; ডিজেল ও পেট্রলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, ডিজেল ও পেট্রলের মূল্য বৃদ্ধির দায় এসে পড়ছে দ্রব্যমূল্যে। এতে মানুষের কষ্ট বাড়ছে। ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেমালুম ভুলে গেছেন নিজের উক্তি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাঁচ দফায় জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এতে তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট বিদায়ের সময় ফার্নেস অয়েলের দাম ছিল প্রতি লিটার ২০ টাকা। বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চম দফায় মূল্য বৃদ্ধির পর প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা। তেমনিভাবে চারদলীয় জোট সরকারের বিদায়ের সময় ডিজেল-কেরোসিনের দাম ছিল প্রতি লিটার ৩৩ টাকা। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম হচ্ছে ৬১ টাকা। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে পেট্রলের দাম ছিল প্রতি লিটার ৫৬ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হচ্ছে ৯১ টাকা। অকটেন প্রতি লিটার ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৫৮ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসে দাম দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকায়। সিএনজির দাম বেড়েছে আরও বেশি। প্রতি ঘনমিটার সিএনজির মূল্য ছিল ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ৮ টাকা ৫০ পয়সা। বর্তমান সরকারের আমলে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কি তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে না? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় বলা যায়, সরকার চায় না দেশের মানুষ খেয়ে-পরে ভালো থাকুক!
২০০৫ সালের ১৫ জুন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার শিরোনাম ছিল : ‘লুটপাটের টাকা জায়েজ করতেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে—হাসিনা’। ১৪ জুন সাভারে শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছিলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে আবারও চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। তত্কালীন চারদলীয় জোট সরকারের পেশ করা বাজেটের সমালোচনা করে তিনি এসব উক্তি করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরবর্তী বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সরাসরি সুযোগ রাখা হয়েছিল। সর্বশেষ যা ঘটেছে সেটা আরও ন্যক্কারজনক।
২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে শেয়ার মার্কেটে লুটপাটের কারণে পতন আরম্ভ হয়। পতন অব্যাহত থাকে বছরজুড়ে। অব্যাহত পতনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। অনেকেই সব পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় বসেছেন। শেয়ার মার্কেট থেকে সরকারদলীয় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা লক্ষ-কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শেয়ার মার্কেটের কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটিও বলে দিয়েছে, কারা শেয়ার মার্কেটে লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সরকারের একজন মন্ত্রী পরিবারের কোম্পানি, অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতির কোম্পানি কীভাবে কারসাজি করে টাকা তুলে নিয়েছে শেয়ার মার্কেট থেকে, সেই বিবরণ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লুটপাটের কারণে শেয়ার মার্কেটের পতন যখন ঠেকানো যাচ্ছিল না, তখন সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে একটি পদক্ষেপ হচ্ছে উল্লেখযোগ্য। সরাসরি কালো টাকা বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। কালো টাকা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা হলে কোনো রকমের প্রশ্ন করা হবে না বলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২০১১-১২ অর্থবছর পুঁজিবাজার ও বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপ্রদর্শিত আয়ের উত্স জানতে চাইবে না বলে গেজেট জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। বর্তমানে শেয়ার মার্কেটে লুটপাট, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কারণে মন্ত্রী-উপদেষ্টাকে সরে যেতে হয়েছে, দুর্নীতির টাকাসহ ধরা পড়ায় সুরঞ্জিতের মন্ত্রিত্ব গেছে, সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকেই হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে তছরুপ করা হয়েছে। এর দায় কে নেবে!
লেখক : সাংবাদিক

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads