বৃটেনে বসবাসকারী মুসলমানদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রতিবাদে লন্ডনের ফিনসবুরি পার্ক মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, মুসলমানদের উপর হামলা চালিয়ে বর্ণবাদীরা কমিউনিটিকে বিভক্ত করতে পারবে না। উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে একজন হামলাকারী ফিনসবুরি পার্ক মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। ওই হামলার প্রেক্ষিতেই জেরেমি করবিন উপরোক্ত বক্তব্য পেশ করেন। খবরটি পরিবেশন করেছে ডেইলি মিরর।
সমাবেশে জেরেমি করবিন আরো কিছু বক্তব্য রেখেছেন, যা আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের কমিউনিটিকে বিভক্ত করা। এক জাতিগোষ্ঠীকে আরেক জাতিগোষ্ঠীর শত্রু বানানো। এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এটা ব্যর্থ হবে, এটা সব সময় ব্যর্থ হবে, কেননা ফিনসবুরি পার্কে আমাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি নিয়ে আমরা গর্বিত। করবিন বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি নিয়ে গর্বের যে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন তা বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা ও বিশ্ব সভ্যতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত এই উপলব্ধির বিকাশের উপরই নির্ভর করছে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। আমরা একথা জানি যে, এই পৃথিবীতে বহু ধর্ম ও বহু মতের মানুষের বসবাস। পৃথিবী কখনোই এক ধর্ম কিংবা এক মতের মানুষের আবাসস্থল হবে না। কেউ জোরজবরদস্তি করে তা করতে চাইলে পৃথিবী হিংসা-বিদ্বেষের রণভূমিতে পরিণত হবে। এই বিষয়টি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথও তাঁর সময়ে উপলব্ধি করেছিলেন। তাইতো তিনি বলে গেছেন, ‘এখন জগৎ জুড়িয়া সমস্যা এই নহে যে, কি করিয়া ভেদ ঘুচাইয়া মিলন হইবে, কিন্তু কি করিয়া ভেদ রক্ষা করিয়া মিলন হইবে সেইটাই আসল কথা। কারণ সেইখানে কোনো ফাঁকি চলে না, প্রত্যেকের জন্য প্রত্যেকের জায়গা ছাড়িয়া দিতে হয়।’ এখানে Unity in diversity বা বৈচিত্র্যের ঐক্যের আকাক্সক্ষাই ব্যক্ত হয়েছে। এতদিন পরে লন্ডনের ফিনসবুরি পার্ক মসজিদের প্রাঙ্গণে সেই একই কথা উচ্চারণ করলেন জেরেমি করবিনও। আসলে সত্য সব সময় একই রকম থাকে। সময় বা প্রযুক্তির কারণে সত্য কখনো পরিবর্তিত হয় না। এই পৃথিবীকে মানুষের বসবাসযোগ্য রাখতে হলে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষকে সত্যকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে।
‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ বিষয়টি কোনো নতুন কিংবা আধুনিক বিষয় নয়। এটি শাশ্বত বিষয়। সৃষ্টির শুরুতে যেমন বৈচিত্র্যের ঐক্য লক্ষ্য করা গেছে, তেমনি ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে তা লক্ষ্য করা গেছে শুদ্ধ সমাজে। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর সময়ে মদীনা সনদে ও মদীনার সমাজে আমরা বৈচিত্র্যের ঐক্য লক্ষ্য করেছি। ওই সমাজে সবাই যার যার বিশ্বাস ও প্রথা নিয়ে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছে। ইসলাম ব্যক্তি বা সমাজের ওপর জোরজবরদস্তি বা চাপিয়ে দেয়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে না। ফলে দমন-পীড়ন ও সন্ত্রাস ইসলামে পরিত্যাজ্য বিষয়। এই সত্যকে বিভ্রান্ত মুসলমানদের যেমন বুঝতে হবে, তেমনি উপলব্ধি করতে হবে পাশ্চাত্যকেও। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, প্যারিসে যারা হামলা চালিয়েছে তারা যেমন ভুল পথের পথিক, তেমনি এখন যারা ইউরোপ-আমেরিকায় মুসলমানদের উপর হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে তারাও ভুল পথের পথিক। উভয় গোষ্ঠীকে উপলব্ধি করতে হবে বৈচিত্র্যের ঐক্যের মর্মকথা। এটাই সময়ের দাবি।
সমাবেশে জেরেমি করবিন আরো কিছু বক্তব্য রেখেছেন, যা আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের কমিউনিটিকে বিভক্ত করা। এক জাতিগোষ্ঠীকে আরেক জাতিগোষ্ঠীর শত্রু বানানো। এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এটা ব্যর্থ হবে, এটা সব সময় ব্যর্থ হবে, কেননা ফিনসবুরি পার্কে আমাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি নিয়ে আমরা গর্বিত। করবিন বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি নিয়ে গর্বের যে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন তা বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা ও বিশ্ব সভ্যতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত এই উপলব্ধির বিকাশের উপরই নির্ভর করছে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। আমরা একথা জানি যে, এই পৃথিবীতে বহু ধর্ম ও বহু মতের মানুষের বসবাস। পৃথিবী কখনোই এক ধর্ম কিংবা এক মতের মানুষের আবাসস্থল হবে না। কেউ জোরজবরদস্তি করে তা করতে চাইলে পৃথিবী হিংসা-বিদ্বেষের রণভূমিতে পরিণত হবে। এই বিষয়টি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথও তাঁর সময়ে উপলব্ধি করেছিলেন। তাইতো তিনি বলে গেছেন, ‘এখন জগৎ জুড়িয়া সমস্যা এই নহে যে, কি করিয়া ভেদ ঘুচাইয়া মিলন হইবে, কিন্তু কি করিয়া ভেদ রক্ষা করিয়া মিলন হইবে সেইটাই আসল কথা। কারণ সেইখানে কোনো ফাঁকি চলে না, প্রত্যেকের জন্য প্রত্যেকের জায়গা ছাড়িয়া দিতে হয়।’ এখানে Unity in diversity বা বৈচিত্র্যের ঐক্যের আকাক্সক্ষাই ব্যক্ত হয়েছে। এতদিন পরে লন্ডনের ফিনসবুরি পার্ক মসজিদের প্রাঙ্গণে সেই একই কথা উচ্চারণ করলেন জেরেমি করবিনও। আসলে সত্য সব সময় একই রকম থাকে। সময় বা প্রযুক্তির কারণে সত্য কখনো পরিবর্তিত হয় না। এই পৃথিবীকে মানুষের বসবাসযোগ্য রাখতে হলে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষকে সত্যকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে।
‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ বিষয়টি কোনো নতুন কিংবা আধুনিক বিষয় নয়। এটি শাশ্বত বিষয়। সৃষ্টির শুরুতে যেমন বৈচিত্র্যের ঐক্য লক্ষ্য করা গেছে, তেমনি ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে তা লক্ষ্য করা গেছে শুদ্ধ সমাজে। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর সময়ে মদীনা সনদে ও মদীনার সমাজে আমরা বৈচিত্র্যের ঐক্য লক্ষ্য করেছি। ওই সমাজে সবাই যার যার বিশ্বাস ও প্রথা নিয়ে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছে। ইসলাম ব্যক্তি বা সমাজের ওপর জোরজবরদস্তি বা চাপিয়ে দেয়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে না। ফলে দমন-পীড়ন ও সন্ত্রাস ইসলামে পরিত্যাজ্য বিষয়। এই সত্যকে বিভ্রান্ত মুসলমানদের যেমন বুঝতে হবে, তেমনি উপলব্ধি করতে হবে পাশ্চাত্যকেও। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, প্যারিসে যারা হামলা চালিয়েছে তারা যেমন ভুল পথের পথিক, তেমনি এখন যারা ইউরোপ-আমেরিকায় মুসলমানদের উপর হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে তারাও ভুল পথের পথিক। উভয় গোষ্ঠীকে উপলব্ধি করতে হবে বৈচিত্র্যের ঐক্যের মর্মকথা। এটাই সময়ের দাবি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন