মানবাধিকার নিয়ে আলোচনার কমতি নেই বর্তমান বিশ্বে। এত আলোচনা এবং পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতির পরেও বিশ্বে মানবাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না কেন?- এমন প্রশ্নের আকার দিন দিনই বড় হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো তো মানবাধিকারের ব্যাপারে বেশ সোচ্চার। আর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিষয়টি তো বিশ্ব-মিডিয়ায় বেশ ফলাও করে প্রচার হয়ে থাকে। কিন্তু খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকার নিশ্চিত হয়েছে কি? যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা কর্মস্থল, স্বাস্থ্যসেবা থেকে কারাগার- সব ক্ষেত্রেই চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্ব সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নারীর সমতা প্রতিষ্ঠায় ওবামা প্রশাসন প্রশংসিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘প্রবল মেরুকরণ’-এর পরিপ্রেক্ষিতে নারী অধিকারের বিষয়টি অবজ্ঞার মধ্যেই রয়ে গেছে।
বিশ্ব সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। বিবৃতিটিতে বলা হয়, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, অভিবাসী নারী শ্রমিক, আফ্রিকান-আমেরিকান, স্প্যানিশ ও স্থানীয় নারীরা বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। শারীরিকভাবে অচল নারীদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার সময় গ্রেফতার হওয়া নারীদের অবস্থাও করুণ। পর্যবেক্ষণে আরও উঠে এসেছে যে, কর্মস্থলে পুরুষ সহকর্মীদের চেয়ে কম বেতন পাওয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে অনেক নারীই মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সালে প্রসবকালীন মৃত্যুর হার ১৩৬ শতাংশ বেড়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। আফ্রিকান-আমেরিকানদের মধ্যে এ ঝুঁকি ৪ গুণ বেশি। ক্লিনিকে মায়েদের হয়রানির শিকার হওয়া এবং আন্তরিক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ারও প্রমাণ মিলেছে বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শনের সময়। নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে মার্কিন প্রশাসনের দৃঢ় অঙ্গীকার সত্ত্বেও বন্দুক নিয়ন্ত্রণে যথাযথ আইন না থাকায় নারীরা প্রচণ্ড হুমকির মধ্যে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারসমূহে নারী কয়েদিদের মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ্য যে, বিশ্বের যে ৭টি দেশ এখনও নারীর প্রতি বৈষম্যসংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেনি, যুক্তরাষ্ট্র তার অন্যতম। এই উদাহরণ থেকে মার্কিন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির একটি পরিচয় পাওয়া যায়। মানবাধিকার আসলে কোনো প্রচারণার বিষয় নয়, মানবাধিকার কোনো পণ্যও নয়। মানবাধিকার আসলে একটি নৈতিক বিষয়। মানুষের মধ্যে যদি নীতিবোধ না থাকে তাহলে সে অন্যের অধিকার নিশ্চিত করবে কীভাবে? নীতিবোধের অভাবে মানবাধিকার বিষয়টি এখন প্রচারণা ও প্রহসনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আদর্শ ও নীতিবোধের অভাবে বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার বিষয়টি যত উচ্চকণ্ঠে প্রচার করা হচ্ছে, ততই যেন মানবাধিকার পদদলিত হচ্ছে। বিশ্বের দেশে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অনাকাক্সিক্ষত এই পরিস্থিতি দূর করতে হলে প্রথমেই মানবাধিকারের প্রবক্তাদের প্রহসনের কৌশল থেকে সরে আসতে হবে। বিষয়টি তাদের না বোঝার কথা নয়।
বিশ্ব সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। বিবৃতিটিতে বলা হয়, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, অভিবাসী নারী শ্রমিক, আফ্রিকান-আমেরিকান, স্প্যানিশ ও স্থানীয় নারীরা বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। শারীরিকভাবে অচল নারীদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার সময় গ্রেফতার হওয়া নারীদের অবস্থাও করুণ। পর্যবেক্ষণে আরও উঠে এসেছে যে, কর্মস্থলে পুরুষ সহকর্মীদের চেয়ে কম বেতন পাওয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে অনেক নারীই মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সালে প্রসবকালীন মৃত্যুর হার ১৩৬ শতাংশ বেড়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। আফ্রিকান-আমেরিকানদের মধ্যে এ ঝুঁকি ৪ গুণ বেশি। ক্লিনিকে মায়েদের হয়রানির শিকার হওয়া এবং আন্তরিক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ারও প্রমাণ মিলেছে বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শনের সময়। নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে মার্কিন প্রশাসনের দৃঢ় অঙ্গীকার সত্ত্বেও বন্দুক নিয়ন্ত্রণে যথাযথ আইন না থাকায় নারীরা প্রচণ্ড হুমকির মধ্যে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারসমূহে নারী কয়েদিদের মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ্য যে, বিশ্বের যে ৭টি দেশ এখনও নারীর প্রতি বৈষম্যসংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেনি, যুক্তরাষ্ট্র তার অন্যতম। এই উদাহরণ থেকে মার্কিন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির একটি পরিচয় পাওয়া যায়। মানবাধিকার আসলে কোনো প্রচারণার বিষয় নয়, মানবাধিকার কোনো পণ্যও নয়। মানবাধিকার আসলে একটি নৈতিক বিষয়। মানুষের মধ্যে যদি নীতিবোধ না থাকে তাহলে সে অন্যের অধিকার নিশ্চিত করবে কীভাবে? নীতিবোধের অভাবে মানবাধিকার বিষয়টি এখন প্রচারণা ও প্রহসনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আদর্শ ও নীতিবোধের অভাবে বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার বিষয়টি যত উচ্চকণ্ঠে প্রচার করা হচ্ছে, ততই যেন মানবাধিকার পদদলিত হচ্ছে। বিশ্বের দেশে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অনাকাক্সিক্ষত এই পরিস্থিতি দূর করতে হলে প্রথমেই মানবাধিকারের প্রবক্তাদের প্রহসনের কৌশল থেকে সরে আসতে হবে। বিষয়টি তাদের না বোঝার কথা নয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন