২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এবার প্রশ্ন উত্থাপন করেছে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)। বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতার বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে ওই নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত’ হিসেবে উল্লেখ করে ডিএফআইডি বলেছে, নির্বাচনটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, সংবিধানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হলেও বিরোধী দলের বয়কট করা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই অওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে। সেজন্য প্রকৃত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নির্বাচনটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। রিপোর্টে নির্বাচনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী লিগ্যাল রিভিউ বা আইনগত পর্যালোচনা করার জন্য সুপারিশ করার পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনের দু’মাসের ব্যবধানে আয়োজিত উপজেলা নির্বাচনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের ভুল-ত্রুটিরও কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। কমিশনের সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতার ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছে ডিএফআইডি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসারদের ওপর কমিশনের সম্পূর্ণ বা যথাযথ নিয়ন্ত্রণ না থাকার আশংকার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে কমিশন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবকে আরো জোরদার ও নিশ্চিত করেছে। অভিযোগের সমর্থনে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ফুটেজের উল্লেখ করে ডিএফআইডি বলেছে, আওয়ামী লীগ ও এর জোটের প্রার্থীদের কোনো অন্যায় ও বেআইনী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধেই কমিশন ব্যবস্থা নেয়নি। এই সুযোগে নির্বাচনী আইন লংঘন করা হয়েছে যথেচ্ছভাবে। এসবের মধ্য দিয়ে কমিশনের দুর্বলতারই শুধু প্রকাশ ঘটেনি, এমন অনুমানও শক্তিশালী হয়েছে যে, এই কমিশনকে দিয়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। রিপোর্টে প্রসঙ্গক্রমে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকেই নতুন করে আবারও একটি সংসদ নির্বাচন অনুষষ্ঠানের জন্য পাশ্চাত্যের দেশগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি তাগিদ দিয়ে এসেছে। দাতা সংস্থাগুলো যে নির্বাচন কমিশনকে দেয়া সাহায্য প্রথমে অর্ধেক করার পর ২০১৫ সালের জুলাই থেকে সাহায্য সম্পূর্ণ স্থগিত করেছে সে তথ্যেরও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই ডিএফআইডি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে, যাতে আগামী নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সরকারের প্রভাবমুক্ত হতে পারে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই ডিএফআইডি সামান্য বাড়িয়ে বলেনি। বড় কথা, ডিএফআইডির মাধ্যমে যুক্তরাজ্য আসলে প্রকৃত চিত্রই তুলে ধরেছে। কারণ, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের নামে যে ভোটারবিহীন ও একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং যে কোনোভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসাই যে এর উদ্দেশ্য ছিল সে ব্যাপারে জানা গেছে প্রাথমিক দিনগুলোতেই। একই কারণে একমাত্র ভারত ছাড়া বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাই নির্বাচনটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। বর্তমান সরকারও তাই এখনো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ওদিকে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কেও ডিএফআইডির রিপোর্টে সঠিক তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। কারণ, প্রমাণিত সত্য হলো, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আওয়ামী লীগ এবং তার জোটভুক্ত দলগুলো ছাড়া দেশের কোনো রাজনৈতিক দলেরই আস্থা নেই। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীসহ বিদেশী কূটনীতিকদের বক্তব্য ও কার্যক্রমের মধ্য দিয়েও একই অনাস্থার প্রকাশ ঘটে চলেছে। দেশের ব্যাপকভাবে জনসমর্থিত দুই দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রথম থেকেই ইসির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেছে। কমিশনকে ‘মেরুদ-হীন’ ও ‘অথর্ব’ আখ্যায়িত করে বিএনপির চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক আগেই বলেছেন, এই কমিশনের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই এবং কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। শুধু বিএনপি ও জামায়াতের কথাই বা বলা কেন। বিভিন্ন সময়ে মুখ খুলেছেন এমনকি মহাজোটের দ্বিতীয় প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও। বলেছেন, নানা কর্মকা-ের মাধ্যমে ইসি বিতর্কিত হয়ে পড়েছে এবং জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। অতীতের বিভিন্ন উপলক্ষের মতো এই সময়ে চলমান পৌর নির্বাচনেও কথাটার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কমিশনের সাম্প্রতিক সকল কর্মকাণ্ডে ও বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে, পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যেমন হবে না তেমনি ভবিষ্যতের সব নির্বাচনও হবে একতরফাই।
আমরা মনে করি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য ও অভিযোগের পাশাপাশি ডিএফআইডির রিপোর্টের মূলকথার মধ্য দিয়েও এ আশংকাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আসলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সেবাদাসের ভূমিকা পালন করে চলেছে। একই কারণে এই কমিশনের অধীনে অন্তত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। কমিশনের বরং ব্যাপক সংস্কার করা দরকার। এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে যারা সব মহলের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। এটা কঠিন কোনো কাজও নয়। কারণ, সংবিধান কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে। সে অনুযায়ী অবস্থান নিলে এবং ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করলেই কমিশন আবারও গ্রহণযোগ্যতা ফিরে পেতে পারে। কথাটা অনুধাবন করে যতো তাড়াতাড়ি কমিশনকে সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে ততই দেশ ও জাতির এবং গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল বলে আমরা মনে করি। সরকারকে একই সাথে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেও উদ্যোগী হতে হবে যার তাগিদ রয়েছে ডিএফআইডির আলোচ্য রিপোর্টে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই ডিএফআইডি সামান্য বাড়িয়ে বলেনি। বড় কথা, ডিএফআইডির মাধ্যমে যুক্তরাজ্য আসলে প্রকৃত চিত্রই তুলে ধরেছে। কারণ, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের নামে যে ভোটারবিহীন ও একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং যে কোনোভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসাই যে এর উদ্দেশ্য ছিল সে ব্যাপারে জানা গেছে প্রাথমিক দিনগুলোতেই। একই কারণে একমাত্র ভারত ছাড়া বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাই নির্বাচনটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। বর্তমান সরকারও তাই এখনো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ওদিকে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কেও ডিএফআইডির রিপোর্টে সঠিক তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। কারণ, প্রমাণিত সত্য হলো, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আওয়ামী লীগ এবং তার জোটভুক্ত দলগুলো ছাড়া দেশের কোনো রাজনৈতিক দলেরই আস্থা নেই। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীসহ বিদেশী কূটনীতিকদের বক্তব্য ও কার্যক্রমের মধ্য দিয়েও একই অনাস্থার প্রকাশ ঘটে চলেছে। দেশের ব্যাপকভাবে জনসমর্থিত দুই দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রথম থেকেই ইসির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেছে। কমিশনকে ‘মেরুদ-হীন’ ও ‘অথর্ব’ আখ্যায়িত করে বিএনপির চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক আগেই বলেছেন, এই কমিশনের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই এবং কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। শুধু বিএনপি ও জামায়াতের কথাই বা বলা কেন। বিভিন্ন সময়ে মুখ খুলেছেন এমনকি মহাজোটের দ্বিতীয় প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও। বলেছেন, নানা কর্মকা-ের মাধ্যমে ইসি বিতর্কিত হয়ে পড়েছে এবং জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। অতীতের বিভিন্ন উপলক্ষের মতো এই সময়ে চলমান পৌর নির্বাচনেও কথাটার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কমিশনের সাম্প্রতিক সকল কর্মকাণ্ডে ও বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে, পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যেমন হবে না তেমনি ভবিষ্যতের সব নির্বাচনও হবে একতরফাই।
আমরা মনে করি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য ও অভিযোগের পাশাপাশি ডিএফআইডির রিপোর্টের মূলকথার মধ্য দিয়েও এ আশংকাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আসলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সেবাদাসের ভূমিকা পালন করে চলেছে। একই কারণে এই কমিশনের অধীনে অন্তত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। কমিশনের বরং ব্যাপক সংস্কার করা দরকার। এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে যারা সব মহলের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। এটা কঠিন কোনো কাজও নয়। কারণ, সংবিধান কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে। সে অনুযায়ী অবস্থান নিলে এবং ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করলেই কমিশন আবারও গ্রহণযোগ্যতা ফিরে পেতে পারে। কথাটা অনুধাবন করে যতো তাড়াতাড়ি কমিশনকে সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে ততই দেশ ও জাতির এবং গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল বলে আমরা মনে করি। সরকারকে একই সাথে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেও উদ্যোগী হতে হবে যার তাগিদ রয়েছে ডিএফআইডির আলোচ্য রিপোর্টে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন