ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই আমাদের বসবাস। ঘটনা কখনো কাক্সিক্ষত হয়, কখনোবা হয় অনাকাক্সিক্ষত। কোনো সমাজে কাক্সিক্ষত ঘটনার পরিমাণ বেশি হলে সমাজ সুস্থির থাকে। এর বিপরীতে যদি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার দৌরাত্ম্য বেশি হয় তখন সমাজ অস্থির হয়ে ওঠে। এমন সমাজে মানুষ বসবাস করতে চায় না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সমাজকে মানুষের বসবাস উপযোগী করে তুলবে কারা? এই দায়িত্ব আসলে কাদের? মানবজাতি তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কাক্সিক্ষত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে এবং তার আলোকে নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। মূলত সরকার কাঠামোটাই হলো চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ। এর প্রভাব পড়ে সমাজের অন্যান্য কাঠামোতে। জনগণের আশা-আশাক্সক্ষা ও প্রয়োজনকে সামনে রেখেই সরকারের সমাজ তথা দেশ পরিচালনা করার কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এমন চিত্র তেমন লক্ষ্য করা যায় না। ফলে দেশে দেশে লক্ষ্য করা যায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও হিংসা-বিদ্বেষের উত্তপ্ত পরিবেশ। এমন পরিবেশ কখনো মানব বান্ধব হতে পারে না। অথচ এমন পরিবেশেই এখন বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের বসবাস।
এমন বাস্তবতায়ও মানুষের হতাশ হতে নেই। কারণ হতাশা কখনো মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না, বরং সংকটের মাত্রাই বাড়ায়। আমরা যখন অনাকাক্সিক্ষত সমাজ-বাস্তবতার কথা বলছি, তখন কিন্তু কোনো কোনো মানুষ আশাবাদের বীজ বপন করে চলছেন আমাদের এই প্রিয় পৃথিবীতেই। এদের একজন জন মাগুফুলি। পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট তার কাজ নিয়ে কোনো ধানাই-পানাই করেন না, কথাও বলেন সরাসরি। তাই তার আরেক নাম বুলডোজার। দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্য প্রতিজ্ঞা করেছেন জনগণের কাছে। ক্ষমতা গ্রহণ করেই মাগুফুলি কলমের এক খোঁচায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাঁকজমকের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করেছেন। বাতিল করে দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ আর গানের কনসার্ট। তিনি বলেছেন, অপব্যয় করার মতো অর্থনৈতিক অবস্থা তার দেশের নেই। দেশ যখন কলেরার প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত তখন এত অর্থ ব্যয় করার কোনো যুক্তি নেই। আর আড়ম্বরের পরিবর্তে তিনি যেটা করেছেন সেটা খুবই চমকপ্রদ। স্বাধীনতা দিবসে তিনি ঝাড়ু হাতে বেরিয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে। নিজের হাতে পরিষ্কার করেছেন রাস্তাঘাটের আবর্জনা। তার সঙ্গে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যোগ দিয়েছেন রাজধানী দারুস সালামের হাজার হাজার মানুষ। প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন গত অক্টোবর মাসে। এরপরই সরকারি ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। খবরটি পরিবেশন করেছে বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির ঝাড়ু অভিযানকে অনেকেই বিবেচনা করছেন শুদ্ধি অভিযানের প্রতীক হিসেবে। কোনো সমাজে বা দেশে দুর্নীতি ও অপচয়ের সংস্কৃতি অব্যাহত থাকলে সেই দেশের সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে না, বরং তাদের দুর্ভোগের মাত্রাই বাড়তে থাকে। ‘দুর্নীতি’ ও ‘অপচয়’ এমন দুটি কাজ যা সাধারণ মানুষ করতে পারে না। যারা ক্ষমতায় কিংবা ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থান করছেন তারা সহজেই দুর্নীতি ও অপচয়ের মতো কাজগুলো করতে পারেন। এই বিষয়টি সবারই জানা আছে, জানা আছে প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলিরও। তাই তিনি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আড়ম্বর ও জাঁকজমককে কাটছাঁট করেছেন এবং এর মাধ্যমে দুর্নীতি ও অপচয় বিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। এমন বার্তায় অবিচল থেকে তিনি যদি জনস্বার্থ রক্ষায় তার শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রাখতে পারেন তাহলে দেশটির জনগণের দুর্ভোগ কমতে পারে। বর্তমান নিষ্ঠুর বিশ্বব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট মাগুফুলির উদাহরণ থেকে তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের গ্রহণ করার মতো বিষয় রয়েছে বলে আমরা মনে করি।
এমন বাস্তবতায়ও মানুষের হতাশ হতে নেই। কারণ হতাশা কখনো মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না, বরং সংকটের মাত্রাই বাড়ায়। আমরা যখন অনাকাক্সিক্ষত সমাজ-বাস্তবতার কথা বলছি, তখন কিন্তু কোনো কোনো মানুষ আশাবাদের বীজ বপন করে চলছেন আমাদের এই প্রিয় পৃথিবীতেই। এদের একজন জন মাগুফুলি। পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট তার কাজ নিয়ে কোনো ধানাই-পানাই করেন না, কথাও বলেন সরাসরি। তাই তার আরেক নাম বুলডোজার। দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্য প্রতিজ্ঞা করেছেন জনগণের কাছে। ক্ষমতা গ্রহণ করেই মাগুফুলি কলমের এক খোঁচায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাঁকজমকের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করেছেন। বাতিল করে দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ আর গানের কনসার্ট। তিনি বলেছেন, অপব্যয় করার মতো অর্থনৈতিক অবস্থা তার দেশের নেই। দেশ যখন কলেরার প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত তখন এত অর্থ ব্যয় করার কোনো যুক্তি নেই। আর আড়ম্বরের পরিবর্তে তিনি যেটা করেছেন সেটা খুবই চমকপ্রদ। স্বাধীনতা দিবসে তিনি ঝাড়ু হাতে বেরিয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে। নিজের হাতে পরিষ্কার করেছেন রাস্তাঘাটের আবর্জনা। তার সঙ্গে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যোগ দিয়েছেন রাজধানী দারুস সালামের হাজার হাজার মানুষ। প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন গত অক্টোবর মাসে। এরপরই সরকারি ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। খবরটি পরিবেশন করেছে বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির ঝাড়ু অভিযানকে অনেকেই বিবেচনা করছেন শুদ্ধি অভিযানের প্রতীক হিসেবে। কোনো সমাজে বা দেশে দুর্নীতি ও অপচয়ের সংস্কৃতি অব্যাহত থাকলে সেই দেশের সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে না, বরং তাদের দুর্ভোগের মাত্রাই বাড়তে থাকে। ‘দুর্নীতি’ ও ‘অপচয়’ এমন দুটি কাজ যা সাধারণ মানুষ করতে পারে না। যারা ক্ষমতায় কিংবা ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থান করছেন তারা সহজেই দুর্নীতি ও অপচয়ের মতো কাজগুলো করতে পারেন। এই বিষয়টি সবারই জানা আছে, জানা আছে প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলিরও। তাই তিনি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আড়ম্বর ও জাঁকজমককে কাটছাঁট করেছেন এবং এর মাধ্যমে দুর্নীতি ও অপচয় বিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। এমন বার্তায় অবিচল থেকে তিনি যদি জনস্বার্থ রক্ষায় তার শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রাখতে পারেন তাহলে দেশটির জনগণের দুর্ভোগ কমতে পারে। বর্তমান নিষ্ঠুর বিশ্বব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট মাগুফুলির উদাহরণ থেকে তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের গ্রহণ করার মতো বিষয় রয়েছে বলে আমরা মনে করি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন