মিয়ানমারে গত রোববারের নির্বাচনে রোহিঙ্গা মুসলমানরা ভোট দিতে পারেননি। তবে নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই রোহিঙ্গারাই। বিশেষ করে মুসলিম বিরোধী অনুভূতি জাগ্রত করতে বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ও ভিক্ষুরা রোহিঙ্গাবিরোধী তুমুল প্রচারণা চালিয়েছেন। আরো লক্ষণীয় বিষয় হলো, দেশটির গণতন্ত্রপন্থী ও স্পষ্টভাষী নেতা হিসেবে পরিচিত বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সুকিও এই মানবিক ইস্যুটির ব্যাপারে আশ্চর্য নীরবতা পালন করেছেন। উল্টো বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নোবেলবিজয়ী সুকি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য যে, কয়েক দিন আগে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা রোহিঙ্গাদের অবস্থানকে গণহত্যার সম্ভাব্য প্রাথমিক পর্যায় বলে অভিহিত করেছেন।
আমাদের নিকট প্রতিবেশী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাথে যে নিপীড়নমূলক নির্মূল অভিযান চালানো হচ্ছে তা কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। শুধু ধর্মের কারণে একটি দেশের বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড বর্তমান সময়ে কী করে অব্যাহত থাকতে পারে তা এক বিস্ময়ের ব্যাপার! এ ব্যাপারে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা এবং জাতিসংঘসহ ক্ষমতাবান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব পালন না করার কারণে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। এদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ও ভিক্ষুরা নির্বিবাদে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ ও নির্মূল কর্মকা- এত সহজে চালিয়ে যেতে পারছে। এবারের নির্বাচনের আগে তো মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পক্ষে অনেক সুন্দর সুন্দর কথাবার্তা বলা হয়েছে। অথচ এমন বাতাবরণেও মজলুম রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক বক্তব্য নেই। কোনো ধরনের প্রতিবাদ নেই। উল্টো এবারের নির্বাচনে কোনো মুসলমানকে প্রার্থী হতে দেয়া হয়নি। নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কের দোহাই দিয়ে বরং লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এই হলো মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বাস্তব চিত্র। এছাড়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিশেষ ক্ষমতা ও নিষ্ঠুরতার বিষয় তো রয়েছেই।
মিয়ানমারে এখন রাজনৈতিক ও সামাজিক যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো উপাদান নেই। ব্যালট বাক্স তাদের জন্য আকর্ষণীয় বিষয় হয়ে উঠতে পারেনি, ফলে সাগরের দিকেই তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ। সামনের মওসুমে বাতাসের প্রবাহ কম থাকবে, সমুদ্রও তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকবে, ফলে এই মওসুমটাকেই মানব পাচারের জন্য বেছে নেয় পাচারকারীরা। এই সময়টায় জীবন বাঁচাতে নৌকায় আন্দামান সাগর পাড়ি দেবে রোহিঙ্গারা। এই সমুদ্রযাত্রায় রোহিঙ্গাদের অনেকেই অনাহার, রোগ-ব্যাধি কিংবা পাচারকারীদের নির্যাতনে মারা যাবে। আর যারা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উপকূলে পৌঁছাতে পারবে তাদের জন্য সেখানেও ওঁৎ পেতে থাকবে নতুন বিপদ। পাচারকারীরা মুক্তিপণের দাবিতে তাদের জঙ্গলের ক্যাম্পে বন্দী করে রাখবে বা দাস শ্রমিক হিসেবে বিক্রি করে দেবে। এমন নির্মম পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার পরেও তারা কেন এই ঝুঁকি নেয়? রাষ্ট্র কর্তৃক বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলমান সংখ্যালঘুর কাছে বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারের উদ্বাস্তু ক্যাম্পের জীবন যে আরো যন্ত্রণাদায়ক। সে কারণেই তারা বেঁচে থাকার আশায় সমুদ্র যাত্রার ঝুঁকি নেয়। এসব বিষয় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার কারিগরদের জানা আছে। কিন্তু কেউই রোহিঙ্গাদের বেঁচে থাকার মতো মৌলিক অধিকার প্রদানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসছে না। ফলে মিয়ানমারে এবার গণতন্ত্রের প্রোপাগান্ডায় ভোটের যে নাটক মঞ্চস্থ হলো তা রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো শুভবার্তা দিতে পারলো না। তাই এখন প্রশ্ন হলো, রোহিঙ্গা মুসলমানরা কি মিয়ানমারে নির্মূল হবে কিংবা সাগরযাত্রায় প্রাণ হারাবে? বর্তমান সভ্যতা ও বিশ্বব্যবস্থা কি তাদের জন্য এমন পরিণতিই নির্দিষ্ট করে রেখেছে?
আমাদের নিকট প্রতিবেশী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাথে যে নিপীড়নমূলক নির্মূল অভিযান চালানো হচ্ছে তা কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। শুধু ধর্মের কারণে একটি দেশের বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড বর্তমান সময়ে কী করে অব্যাহত থাকতে পারে তা এক বিস্ময়ের ব্যাপার! এ ব্যাপারে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা এবং জাতিসংঘসহ ক্ষমতাবান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব পালন না করার কারণে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। এদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ও ভিক্ষুরা নির্বিবাদে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ ও নির্মূল কর্মকা- এত সহজে চালিয়ে যেতে পারছে। এবারের নির্বাচনের আগে তো মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পক্ষে অনেক সুন্দর সুন্দর কথাবার্তা বলা হয়েছে। অথচ এমন বাতাবরণেও মজলুম রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক বক্তব্য নেই। কোনো ধরনের প্রতিবাদ নেই। উল্টো এবারের নির্বাচনে কোনো মুসলমানকে প্রার্থী হতে দেয়া হয়নি। নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কের দোহাই দিয়ে বরং লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এই হলো মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বাস্তব চিত্র। এছাড়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিশেষ ক্ষমতা ও নিষ্ঠুরতার বিষয় তো রয়েছেই।
মিয়ানমারে এখন রাজনৈতিক ও সামাজিক যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো উপাদান নেই। ব্যালট বাক্স তাদের জন্য আকর্ষণীয় বিষয় হয়ে উঠতে পারেনি, ফলে সাগরের দিকেই তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ। সামনের মওসুমে বাতাসের প্রবাহ কম থাকবে, সমুদ্রও তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকবে, ফলে এই মওসুমটাকেই মানব পাচারের জন্য বেছে নেয় পাচারকারীরা। এই সময়টায় জীবন বাঁচাতে নৌকায় আন্দামান সাগর পাড়ি দেবে রোহিঙ্গারা। এই সমুদ্রযাত্রায় রোহিঙ্গাদের অনেকেই অনাহার, রোগ-ব্যাধি কিংবা পাচারকারীদের নির্যাতনে মারা যাবে। আর যারা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উপকূলে পৌঁছাতে পারবে তাদের জন্য সেখানেও ওঁৎ পেতে থাকবে নতুন বিপদ। পাচারকারীরা মুক্তিপণের দাবিতে তাদের জঙ্গলের ক্যাম্পে বন্দী করে রাখবে বা দাস শ্রমিক হিসেবে বিক্রি করে দেবে। এমন নির্মম পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার পরেও তারা কেন এই ঝুঁকি নেয়? রাষ্ট্র কর্তৃক বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলমান সংখ্যালঘুর কাছে বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারের উদ্বাস্তু ক্যাম্পের জীবন যে আরো যন্ত্রণাদায়ক। সে কারণেই তারা বেঁচে থাকার আশায় সমুদ্র যাত্রার ঝুঁকি নেয়। এসব বিষয় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার কারিগরদের জানা আছে। কিন্তু কেউই রোহিঙ্গাদের বেঁচে থাকার মতো মৌলিক অধিকার প্রদানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসছে না। ফলে মিয়ানমারে এবার গণতন্ত্রের প্রোপাগান্ডায় ভোটের যে নাটক মঞ্চস্থ হলো তা রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো শুভবার্তা দিতে পারলো না। তাই এখন প্রশ্ন হলো, রোহিঙ্গা মুসলমানরা কি মিয়ানমারে নির্মূল হবে কিংবা সাগরযাত্রায় প্রাণ হারাবে? বর্তমান সভ্যতা ও বিশ্বব্যবস্থা কি তাদের জন্য এমন পরিণতিই নির্দিষ্ট করে রেখেছে?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন