দুর্বৃত্তদের সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কথা আমরা দীর্ঘকাল ধরেই শুনে আসছি। এখন শোনা যাচ্ছে যৌন-সন্ত্রাসের কথা। পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে এখন বেশ লেখালেখি হচ্ছে। সারাদেশে এখন নারী-নির্যাতনের পাশাপাশি যৌননির্যাতনের মাত্রাও বেড়েই চলেছে। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বয়স্ক নারী থেকে শুরু করে কোমলমতি শিশু-কিশোরী কেউই। ধর্ষকরা কৌশল বদলে এখন যৌন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এসব অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায় ক্রমেই তাদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে খোদ রাজধানীর রাস্তা থেকে আদিবাসী এক তরুণীকে তুলে নিয়ে চলন্ত মাইক্রোবাসে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর ১০ দিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও-এ চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক গার্মেন্টস কর্মী। ধর্ষণের এমন ঘৃণ্য ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন নারী সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা।
মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী চলতি বছরে প্রথম ৪ মাসে সারাদেশে ১৫৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬১ নারী ও ৯৩ জন শিশু। এদের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৬ জন। তারমধ্যে আবার ৩৯ জনই শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২০ জনকে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে ২ নারী ও শিশু। এদিকে পুলিশ সদর দফতরের হিসাব অনুযায়ী গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ এই ৩ মাসে সারাদেশে ৭০৯টি ধর্ষণের মামলা হয়। এর এক বছর পরের চিত্রে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই ৩ মাসে ৭৯৭টি ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ, অর্থাৎ ধর্ষণের হার বেড়েই চলেছে। তবে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রকৃত চিত্র এরচেয়ে অনেক বেশি বলে পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। লোকলজ্জা ও হুমকি-ধমকির কারণে অনেকেই ধর্ষণের কথা প্রকাশ করতে চান না।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা না থাকা এবং জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব ধর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধির বড় কারণ। ধর্ষণ মামলা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা ও ভিকটিম সুরক্ষার নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কথাও তিনি জানান। প্রসঙ্গত তিনি আরো বলেন, আমাদের ভাল ভাল আইন আছে কিন্তু তার বিধি নাই। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব ধরনের ভিডিও চিত্র বিনাবাধায় দেখতে পাচ্ছে সব স্তরের লোকজন। অনেক ধরনের ভিডিও চিত্র বিকৃত যৌনাচারে উৎসাহ যোগায় মানুষকে। পুলিশ অনেক দেরী করে মামলা করে যাতে আসামীরা পার পেয়ে যায়। নীতিনৈতিকতাবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার পাশাপাশি বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে জোর দেন সালমা আলী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের চিকিৎসকরা বলেছেন, দীর্ঘসূত্রতার কারণে বেশির ভাগ মামলা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না। এতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আগ্রহ হারান। যদি ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর পরিবার দরিদ্র হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত তারা মামলায় আপোষ করেন। অনেক ক্ষেত্রে আসামী পক্ষের চাপেও তারা আপোষ করতে বাধ্য হন। এছাড়া লোকলজ্জার ভয়েও অনেকে মামলায় যেতে চান না। ফলে ধর্ষণের সাথে জড়িতরা পার পেয়ে যায়। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টে আরও বলা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষপাতমূলক তদন্ত এবং ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের চাপের কারণেও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা রক্ষা পেয়ে যায়। আমাদের সমাজকে মানুষের বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এসব বিষয়ে সঙ্গত সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। মানুষতো জানমাল ইজ্জতের নিরাপত্তা ও শান্তিময় জীবন-যাপনের জন্য সরকার নির্বাচন করে থাকে। সরকার আইনের শাসন তথা সুশাসনের মাধ্যমে জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারে। জন-আকাক্সক্ষা পূরণ শুধু অঙ্গীকারের বিষয় নয়, সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের বিষয়ও বটে। যৌন-সন্ত্রাস রোধে দেশের নাগরিক সমাজ, অভিভাবক, মিডিয়া, সংস্কৃতিসেবী এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদেরও দায় দায়িত্ব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে আসলে এই অনাচার থেকে আমাদের সমাজ মুক্তি পেতে পারে।
মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী চলতি বছরে প্রথম ৪ মাসে সারাদেশে ১৫৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬১ নারী ও ৯৩ জন শিশু। এদের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৬ জন। তারমধ্যে আবার ৩৯ জনই শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২০ জনকে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে ২ নারী ও শিশু। এদিকে পুলিশ সদর দফতরের হিসাব অনুযায়ী গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ এই ৩ মাসে সারাদেশে ৭০৯টি ধর্ষণের মামলা হয়। এর এক বছর পরের চিত্রে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই ৩ মাসে ৭৯৭টি ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ, অর্থাৎ ধর্ষণের হার বেড়েই চলেছে। তবে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রকৃত চিত্র এরচেয়ে অনেক বেশি বলে পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। লোকলজ্জা ও হুমকি-ধমকির কারণে অনেকেই ধর্ষণের কথা প্রকাশ করতে চান না।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা না থাকা এবং জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব ধর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধির বড় কারণ। ধর্ষণ মামলা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা ও ভিকটিম সুরক্ষার নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কথাও তিনি জানান। প্রসঙ্গত তিনি আরো বলেন, আমাদের ভাল ভাল আইন আছে কিন্তু তার বিধি নাই। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব ধরনের ভিডিও চিত্র বিনাবাধায় দেখতে পাচ্ছে সব স্তরের লোকজন। অনেক ধরনের ভিডিও চিত্র বিকৃত যৌনাচারে উৎসাহ যোগায় মানুষকে। পুলিশ অনেক দেরী করে মামলা করে যাতে আসামীরা পার পেয়ে যায়। নীতিনৈতিকতাবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার পাশাপাশি বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে জোর দেন সালমা আলী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের চিকিৎসকরা বলেছেন, দীর্ঘসূত্রতার কারণে বেশির ভাগ মামলা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না। এতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আগ্রহ হারান। যদি ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর পরিবার দরিদ্র হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত তারা মামলায় আপোষ করেন। অনেক ক্ষেত্রে আসামী পক্ষের চাপেও তারা আপোষ করতে বাধ্য হন। এছাড়া লোকলজ্জার ভয়েও অনেকে মামলায় যেতে চান না। ফলে ধর্ষণের সাথে জড়িতরা পার পেয়ে যায়। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টে আরও বলা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষপাতমূলক তদন্ত এবং ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের চাপের কারণেও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা রক্ষা পেয়ে যায়। আমাদের সমাজকে মানুষের বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এসব বিষয়ে সঙ্গত সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। মানুষতো জানমাল ইজ্জতের নিরাপত্তা ও শান্তিময় জীবন-যাপনের জন্য সরকার নির্বাচন করে থাকে। সরকার আইনের শাসন তথা সুশাসনের মাধ্যমে জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারে। জন-আকাক্সক্ষা পূরণ শুধু অঙ্গীকারের বিষয় নয়, সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের বিষয়ও বটে। যৌন-সন্ত্রাস রোধে দেশের নাগরিক সমাজ, অভিভাবক, মিডিয়া, সংস্কৃতিসেবী এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদেরও দায় দায়িত্ব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে আসলে এই অনাচার থেকে আমাদের সমাজ মুক্তি পেতে পারে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন