রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীদের ব্যাপারে এখন জনমনে অনেক প্রশ্ন। কেন তারা এভাবে ইমেজ সংকটে পড়লেন? এক সময়ে তো আমরা রাজনীতিবিদদের বেশ সমীহ করতাম, শ্রদ্ধাও করতাম। কথাবার্তা, আচার-আচরণ এবং জীবনযাপনে তখন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা বেশ সচেতন ছিলেন। তারা নিজেদের আদর্শবাদী মনে করতেন; মনে করতেন দেশ ও জনগণের সেবক। পোশাকে-আশাকে, খাওয়া-দাওয়ায় এবং জীবনযাপনে তারা ছিলেন সাধারণ মানুষের কাছাকাছি। বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মতো দাপট, দৌরাত্ম্য ও জৌলুস তাদের ছিল না। মনে প্রশ্ন জাগে- এমন রূপান্তর কী করে হলো? এজন্য কি ব্যক্তিরা দায়ী, দল দায়ী, নাকি ব্যক্তি ও দল উভয়ই দায়ী। কেউ কেউ রাজনৈতিক অঙ্গনে অনাকাক্সিক্ষত রূপান্তরের জন্য আদর্শ ও লক্ষ্যচ্যুতিকে প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং এর সাথে যুক্ত করছেন নৈতিক অধঃপতনকে। রাজনৈকি অঙ্গনের এই রূপান্তরকে নিয়ে ভাবছেন পর্যবেক্ষকরা; কিন্তু যারা প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে আছেন- এ নিয়ে তাদের মনোজগতে কোনো ভাবনা আছে কি? রূপান্তরের বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার মতো সময় বা রুচি তাদের আছে কি? অথচ রাজনৈতিক অঙ্গনের অনাকাক্সিক্ষত রূপান্তর বিষয়ে তাদের উপলব্ধি ও আচরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ডাকাতির একটি ঘটনা পত্র-পত্রিকায় মুদ্রিত হয়েছে। ওই ঘটনায় ব্যাংকের নৈশপ্রহরীকে খুন করা হয়েছে। নৃশংস খুনের এমন ঘটনায় দুর্বৃত্তদেরই জড়িত থাকার কথা। কিন্তু ওই খুনের ঘটনায় যদি কোনো রাজনৈতিক ঘরানার নেতা-কর্মীদের যুক্ত থাকতে দেখা যায়, তখন দেশের রাজনীতি নিয়ে জনগণ আশাবাদী হবে কেমন করে? কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ১৬ মে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা ও নৈশপ্রহরীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই যুবলীগের নেতা-কর্মী বলে গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ২ জনকে পুলিশ খুঁজছে। খবরে আরও বলা হয়, আটককৃতরা ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের সাথে জড়িত। এ কারণে ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া এবং জড়িতরা ঘটনার কথা স্বীকার করার পরও হঠাৎ করে পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর গত শুক্রবার পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। অনেকে ফোনও ধরছেন না। এমন চিত্রে রাজনীতির অধঃপতনের সাথে সুশাসনের সংকটও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অনাকাক্সিক্ষত কর্মকাণ্ডের বিবরণ প্রায় প্রতিদিনই পত্র-পত্রিকায় মুদ্রিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার চিত্র তো আমরা জেনেছি। রাজধানীর বনানীতে একটি মুঠোফোনের দোকানে চুরির ঘটনায়ও যুক্ত হলো রাজনৈতিক দলের এক নেতা। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্য দেখে পুলিশ বলেছে, আজিজুল হকের পরিকল্পনায় চুরির ঘটনাটি ঘটে। আজিজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং দোকান মালিক বারেকুল ইসলামের পূর্বপরিচিত। ঘটনার কয়েকদিন পর আজিজ দোকান মালিককে সমবেদনাও জানিয়ে এসেছিল। সে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। দোকান মালিক বলেছে, চোরের দল তার দোকান থেকে নগদ ৮ লাখ টাকা এবং প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ১৮১টি মুঠোফোন সেটসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যায়। শুধু যে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই চুরি-ডাকাতি ও লুণ্ঠনের কাজে যুক্ত রয়েছেন, তা নয়। প্রশাসনের বড় কর্তারাও লুটপাটের কাজ বেশ ভালোভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে লুণ্ঠনের কাজ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের লোকজন মিলেমিশেই করে থাকেন। আসলে রাজনৈতিক অঙ্গনের অনাকাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে। আমরা জানি, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ আমাদের সামাজিক বাস্তবতায় একটি মহৎ প্রকল্প। কিন্তু এই মহৎ প্রকল্পটিও এখন লুটপাটের শিকার হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫ টাকার কলম ৫০ টাকায়, আর ২৫০ টাকার ব্যাগ ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকায় কেনা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা খাতে এভাবে বিপুল অর্থ লুটপাট হয়েছে, ভুয়া রসিদ জমা দিয়ে। এ নিয়ে ১৭ মে তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন মুদ্রিত হয়েছে। আসলে রাজনীতি একটি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজনীতি আদর্শচ্যুত ও নীতিভ্রষ্ট হলে তার প্রভাব সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। রজানৈতিক নেতা-কর্মী, পুলিশ-প্রশাসন কেউই তা থেকে রক্ষা পায় না। এ কারণেই বলা হয়, ভোট ও গদি দখলই রাজনীতির একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, রাজনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- আদর্শ ও লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা এবং আলোকিত ওই পথে দল ও দলের নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করা। বর্তমান সময়ে এ পথে রাজনীতির রূপান্তর ঘটলে দেশ ও জনগণের মঙ্গল হয়। বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতা-কর্মীরা উপলব্ধি করেন কিনা- সেটাই এখন দেখার বিষয়।
কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ডাকাতির একটি ঘটনা পত্র-পত্রিকায় মুদ্রিত হয়েছে। ওই ঘটনায় ব্যাংকের নৈশপ্রহরীকে খুন করা হয়েছে। নৃশংস খুনের এমন ঘটনায় দুর্বৃত্তদেরই জড়িত থাকার কথা। কিন্তু ওই খুনের ঘটনায় যদি কোনো রাজনৈতিক ঘরানার নেতা-কর্মীদের যুক্ত থাকতে দেখা যায়, তখন দেশের রাজনীতি নিয়ে জনগণ আশাবাদী হবে কেমন করে? কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ১৬ মে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা ও নৈশপ্রহরীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই যুবলীগের নেতা-কর্মী বলে গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ২ জনকে পুলিশ খুঁজছে। খবরে আরও বলা হয়, আটককৃতরা ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের সাথে জড়িত। এ কারণে ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া এবং জড়িতরা ঘটনার কথা স্বীকার করার পরও হঠাৎ করে পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর গত শুক্রবার পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। অনেকে ফোনও ধরছেন না। এমন চিত্রে রাজনীতির অধঃপতনের সাথে সুশাসনের সংকটও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অনাকাক্সিক্ষত কর্মকাণ্ডের বিবরণ প্রায় প্রতিদিনই পত্র-পত্রিকায় মুদ্রিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার চিত্র তো আমরা জেনেছি। রাজধানীর বনানীতে একটি মুঠোফোনের দোকানে চুরির ঘটনায়ও যুক্ত হলো রাজনৈতিক দলের এক নেতা। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্য দেখে পুলিশ বলেছে, আজিজুল হকের পরিকল্পনায় চুরির ঘটনাটি ঘটে। আজিজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং দোকান মালিক বারেকুল ইসলামের পূর্বপরিচিত। ঘটনার কয়েকদিন পর আজিজ দোকান মালিককে সমবেদনাও জানিয়ে এসেছিল। সে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। দোকান মালিক বলেছে, চোরের দল তার দোকান থেকে নগদ ৮ লাখ টাকা এবং প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ১৮১টি মুঠোফোন সেটসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যায়। শুধু যে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই চুরি-ডাকাতি ও লুণ্ঠনের কাজে যুক্ত রয়েছেন, তা নয়। প্রশাসনের বড় কর্তারাও লুটপাটের কাজ বেশ ভালোভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে লুণ্ঠনের কাজ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের লোকজন মিলেমিশেই করে থাকেন। আসলে রাজনৈতিক অঙ্গনের অনাকাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে। আমরা জানি, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ আমাদের সামাজিক বাস্তবতায় একটি মহৎ প্রকল্প। কিন্তু এই মহৎ প্রকল্পটিও এখন লুটপাটের শিকার হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫ টাকার কলম ৫০ টাকায়, আর ২৫০ টাকার ব্যাগ ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকায় কেনা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা খাতে এভাবে বিপুল অর্থ লুটপাট হয়েছে, ভুয়া রসিদ জমা দিয়ে। এ নিয়ে ১৭ মে তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন মুদ্রিত হয়েছে। আসলে রাজনীতি একটি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজনীতি আদর্শচ্যুত ও নীতিভ্রষ্ট হলে তার প্রভাব সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। রজানৈতিক নেতা-কর্মী, পুলিশ-প্রশাসন কেউই তা থেকে রক্ষা পায় না। এ কারণেই বলা হয়, ভোট ও গদি দখলই রাজনীতির একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, রাজনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- আদর্শ ও লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা এবং আলোকিত ওই পথে দল ও দলের নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করা। বর্তমান সময়ে এ পথে রাজনীতির রূপান্তর ঘটলে দেশ ও জনগণের মঙ্গল হয়। বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতা-কর্মীরা উপলব্ধি করেন কিনা- সেটাই এখন দেখার বিষয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন