গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে সাংবিধানিক মানবাধিকার ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। মানবাধিকার লংঘনে এই সরকার অতীতের সকল ইতিহাসকে ছাড়িয়ে গেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের পাশাপাশি হত্যার ক্ষেত্রেও ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে সরকার। প্রাসঙ্গিক সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার নাম উল্লেখ করে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, তাকে আসলে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। জামায়াতের অন্য শীর্ষ নেতাদের ব্যাপারেও একই পন্থায় হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা। এই পরিকল্পনাকে প্রতিহত করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে বলে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছেন তারা। এই লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলারও উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
আমরা এই আহ্বানসহ গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত বক্তবের সঙ্গে সচেতন সকলেই একমত প্রকাশ করার মত। এবারের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের নিষ্ঠুর অভিযান এরই মধ্যে আসলেও ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বস্তুত দেশে হত্যা-সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে যেন মানুষের জীবন কোনো ছেলেখেলার বিষয়! প্রসঙ্গক্রমে জানানো ও স্মরণ করা দরকার যে, নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করার এবং বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার অঙ্গিকার করেছিল। মানবাধিকার লংঘনও কঠোরভাবে বন্ধ করার ঘোষণা ছিল ইশতেহারে। অন্যদিকে ঘটে চলেছে সম্পূর্ণ উল্টো রকম। আওয়ামী লীগের এবারের আমলে এমন কোনো দিন বা মাসের কথা বলা যাবে না যখন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কেউ না কেউ বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার না হয়েছে। কারা হেফাজতেও বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এখনো ঘটেই চলেছে। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে আদালতের আড়াল নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা- শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা যার অসহায় শিকার হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বন্ধ করার দাবি জানাই এবং মনে করি, কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন অবস্থা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বলা দরকার, আদালতের আড়াল নেয়া হলেও হত্যাকান্ডের পেছনে সরকারের উদ্দেশ্য গোপন থাকছে না। প্রকৃতপক্ষে বিরোধী দল, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীকে নির্মূল করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে চরমভাবে। সে কথাটাই মঙ্গলবারের গোলটেবিল বৈঠকে বলেছেন বিশিষ্টজনেরা। তাদের বক্তব্য ও অভিমতের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার সুযোগ নেই বলেই আমরা মনে করি। ক্ষমতাসীনদের উচিত তাদের পরামর্শ মেনে নেয়া এবং হত্যাসহ মানবাধিকার লংঘনের অভিযান বন্ধ করা। নাহলে সরকারকে গণআন্দোলনের মুখে বিদায় নিতে হবে- যার ঘোষণাও এসেছে গোলটেবিল বৈঠকে।
আমরা এই আহ্বানসহ গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত বক্তবের সঙ্গে সচেতন সকলেই একমত প্রকাশ করার মত। এবারের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের নিষ্ঠুর অভিযান এরই মধ্যে আসলেও ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বস্তুত দেশে হত্যা-সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে যেন মানুষের জীবন কোনো ছেলেখেলার বিষয়! প্রসঙ্গক্রমে জানানো ও স্মরণ করা দরকার যে, নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করার এবং বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার অঙ্গিকার করেছিল। মানবাধিকার লংঘনও কঠোরভাবে বন্ধ করার ঘোষণা ছিল ইশতেহারে। অন্যদিকে ঘটে চলেছে সম্পূর্ণ উল্টো রকম। আওয়ামী লীগের এবারের আমলে এমন কোনো দিন বা মাসের কথা বলা যাবে না যখন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কেউ না কেউ বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার না হয়েছে। কারা হেফাজতেও বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এখনো ঘটেই চলেছে। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে আদালতের আড়াল নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা- শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা যার অসহায় শিকার হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বন্ধ করার দাবি জানাই এবং মনে করি, কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন অবস্থা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বলা দরকার, আদালতের আড়াল নেয়া হলেও হত্যাকান্ডের পেছনে সরকারের উদ্দেশ্য গোপন থাকছে না। প্রকৃতপক্ষে বিরোধী দল, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীকে নির্মূল করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে চরমভাবে। সে কথাটাই মঙ্গলবারের গোলটেবিল বৈঠকে বলেছেন বিশিষ্টজনেরা। তাদের বক্তব্য ও অভিমতের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার সুযোগ নেই বলেই আমরা মনে করি। ক্ষমতাসীনদের উচিত তাদের পরামর্শ মেনে নেয়া এবং হত্যাসহ মানবাধিকার লংঘনের অভিযান বন্ধ করা। নাহলে সরকারকে গণআন্দোলনের মুখে বিদায় নিতে হবে- যার ঘোষণাও এসেছে গোলটেবিল বৈঠকে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন