গণতান্ত্রিক দেশে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন, মিছিল, অনশন বা ঘেরাও কর্মসূচির মতো তৎপরতা কেউ চালাতেই পারেন। এসব আইনানুগভাবে নিষিদ্ধও নয়। কিন্তু আমাদের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণির সদস্য অতিউৎসাহী হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ, জলকামান, টিয়ারশেল, পিপারশেল প্রভৃতি নিক্ষেপ করে মারাত্মকভাবে জখম করছে। এমনকি নারী আন্দোলনকারীদেরও রেহাই দিচ্ছে না পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণির সদস্য। এদের তৎপরতা দেখে মনে হয় এদেশের নাগরিকরা এখনও ঔপনিবেশিক যুগের বাসিন্দা। তাদের কোনও দাবিদাওয়া থাকতে পারে না। আন্দোলন-সংগ্রাম করবার অধিকারও তাদের যেন এখন নেই।
সম্প্রতি ডেন্টাল ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ। তারা তাদের চারদফা দাবিতে কর্মসূচি দিয়ে ঘেরাও করতে চেয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হ্যাঁ, পুলিশ মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচিতে বাধা অবশ্যই দিতে পারে। কিন্তু তাই বলে ছাত্রদের ওপর জলকামান, টিয়ারশেল নিক্ষেপের মতো নিষ্ঠুর আচরণ করতে হবে কেন? লাঠিপেটা করবার মতো নির্মমতা চালাতেই বা হবে কি জন্য? পুলিশ অথবা অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যারা কাজ করছেন, তারা কি এদেশের মানুষের সন্তান না? তাদের ছেলেমেয়েরা কি ডেন্টালে কিংবা নার্সিং-এ পড়ে না। কিছুদিন আগে নার্সিংয়ের নারী শিক্ষার্থীদের ওপরও চড়াও হয় পুলিশ। এমনকি একজন নার্সিং ছাত্রীর পশ্চাদদেশে বেদম প্রহার করতে থাকে জনৈক পুলিশ, যা অশ্লীলতাকেও হার মানায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ঔপনিবেশিক আমলে ঠিক এভাবেই এদেশের নাগরিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালানো হতো। মানুষের কথা বলবার কোনও অধিকার ছিল না তখন। যখন-তখন চলতো নাগরিকদের ওপর জুুলুম-নির্যাতন। সামান্য কারণে তাদের জেলে পুরে পচানোর ব্যবস্থা করা হতো। এমনকি অনেক মানুষকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যাও করেছে ঔপনিবেশিক আমলের পুলিশ। কালাপানিতে নির্বাসন দেয়ার কথা তো অনেকেরই জানা। অবস্থা দেখে মনে হয় এদেশের এখনকার পুলিশও সেই আমলের মতো হিংস্র ও নিষ্ঠুর। তবে পুলিশ বাহিনী কিংবা অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের চাকরি করতে হবে। তারা জনগণের প্রভু নয়, সেবক। বরং জনগণের ট্যাক্সের অর্থে তাদের বেতন দেয়া হয়। সেবক হয়ে প্রভুকে বেধড়ক পেটানোর কোনও আইনানুগ নিয়ম বা প্রথা কোনও সংস্থার নেই বলে আমরা জানি। বুঝলাম, তারা সরকারি হুকুম তামিল করেছে। এটা হয়তো তাদের করতেই হবে। তাই বলে কর্মসূচি বানচাল বা আন্দোলনের কর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর আচরণ করবার অধিকার কারুর থাকতে পারে না। থাকা যৌক্তিকও নয়। অথচ আমাদের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণির সদস্য আন্দোলন দমাতে গিয়ে নাগরিকদের ওপর অন্যায় আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের আরেকটি কথা মনে রাখা দরকার। সেটি হচ্ছে সরকার স্থায়ীভাবে থাকবে না। পরিবর্তন হবে সরকারের। কিন্তু তাদের চাকরি ছেড়ে চলে যাবার নিয়ম নেই। তখন তারা কী করবেন? শুধু রাজনৈতিক নেতাদেরই গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে- এমন নয়, পুলিশ, বিজিবি, বিশেষ বাহিনী সবাইকে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালনে যত্নবান হতে হবে। ক্ষমতাসীনদের এর ব্যত্যয় ঘটানো ঠিক নয়।
ব্যত্যয় ঘটালে বিপর্যয় ত্বরান্বিত হয়। এমনকি পতনও। তবে বর্তমানে যারা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেষ্টা করছেন, তাদের কথা ভিন্ন। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে যারা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে সচেষ্ট, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, মানুষের মর্যাদা এসব তাদের কাছে নীতিকথা মাত্র। তারা চান- ‘যেনতেন প্রকারণ’ ক্ষমতায় টিকে থাকতে। এসব নীতিনৈতিকতা নিয়ে ভাববার সময় তাদের কোথায়?
সম্প্রতি ডেন্টাল ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ। তারা তাদের চারদফা দাবিতে কর্মসূচি দিয়ে ঘেরাও করতে চেয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হ্যাঁ, পুলিশ মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচিতে বাধা অবশ্যই দিতে পারে। কিন্তু তাই বলে ছাত্রদের ওপর জলকামান, টিয়ারশেল নিক্ষেপের মতো নিষ্ঠুর আচরণ করতে হবে কেন? লাঠিপেটা করবার মতো নির্মমতা চালাতেই বা হবে কি জন্য? পুলিশ অথবা অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যারা কাজ করছেন, তারা কি এদেশের মানুষের সন্তান না? তাদের ছেলেমেয়েরা কি ডেন্টালে কিংবা নার্সিং-এ পড়ে না। কিছুদিন আগে নার্সিংয়ের নারী শিক্ষার্থীদের ওপরও চড়াও হয় পুলিশ। এমনকি একজন নার্সিং ছাত্রীর পশ্চাদদেশে বেদম প্রহার করতে থাকে জনৈক পুলিশ, যা অশ্লীলতাকেও হার মানায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ঔপনিবেশিক আমলে ঠিক এভাবেই এদেশের নাগরিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালানো হতো। মানুষের কথা বলবার কোনও অধিকার ছিল না তখন। যখন-তখন চলতো নাগরিকদের ওপর জুুলুম-নির্যাতন। সামান্য কারণে তাদের জেলে পুরে পচানোর ব্যবস্থা করা হতো। এমনকি অনেক মানুষকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যাও করেছে ঔপনিবেশিক আমলের পুলিশ। কালাপানিতে নির্বাসন দেয়ার কথা তো অনেকেরই জানা। অবস্থা দেখে মনে হয় এদেশের এখনকার পুলিশও সেই আমলের মতো হিংস্র ও নিষ্ঠুর। তবে পুলিশ বাহিনী কিংবা অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের চাকরি করতে হবে। তারা জনগণের প্রভু নয়, সেবক। বরং জনগণের ট্যাক্সের অর্থে তাদের বেতন দেয়া হয়। সেবক হয়ে প্রভুকে বেধড়ক পেটানোর কোনও আইনানুগ নিয়ম বা প্রথা কোনও সংস্থার নেই বলে আমরা জানি। বুঝলাম, তারা সরকারি হুকুম তামিল করেছে। এটা হয়তো তাদের করতেই হবে। তাই বলে কর্মসূচি বানচাল বা আন্দোলনের কর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর আচরণ করবার অধিকার কারুর থাকতে পারে না। থাকা যৌক্তিকও নয়। অথচ আমাদের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণির সদস্য আন্দোলন দমাতে গিয়ে নাগরিকদের ওপর অন্যায় আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের আরেকটি কথা মনে রাখা দরকার। সেটি হচ্ছে সরকার স্থায়ীভাবে থাকবে না। পরিবর্তন হবে সরকারের। কিন্তু তাদের চাকরি ছেড়ে চলে যাবার নিয়ম নেই। তখন তারা কী করবেন? শুধু রাজনৈতিক নেতাদেরই গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে- এমন নয়, পুলিশ, বিজিবি, বিশেষ বাহিনী সবাইকে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালনে যত্নবান হতে হবে। ক্ষমতাসীনদের এর ব্যত্যয় ঘটানো ঠিক নয়।
ব্যত্যয় ঘটালে বিপর্যয় ত্বরান্বিত হয়। এমনকি পতনও। তবে বর্তমানে যারা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেষ্টা করছেন, তাদের কথা ভিন্ন। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে যারা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে সচেষ্ট, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, মানুষের মর্যাদা এসব তাদের কাছে নীতিকথা মাত্র। তারা চান- ‘যেনতেন প্রকারণ’ ক্ষমতায় টিকে থাকতে। এসব নীতিনৈতিকতা নিয়ে ভাববার সময় তাদের কোথায়?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন