আবারও আলোড়ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, শেয়ার বাজারের লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীকে ‘ধান্দাবাজ’ ও ‘কিছু লোক’ বলে তামাশা করার মাধ্যমে হৈচৈ তো তুলেছিলেনই, ঝামেলাও কম পাকাননি জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত। কেলেঙ্কারির খলনায়কদের নামগুলো ‘ডিলিট’ করতে চাওয়ার মধ্য দিয়েও নজীর ভালোই তৈরি করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। বলেছিলেন, জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হলে সরকার ‘বেকায়দায়’ পড়তে পারে। এ থেকে তখন বুঝতে বাকি থাকেনি যে, শেয়ারবাজার আসলে কারা লুণ্ঠন করেছিল। আঙুল শুধু সরকারের দিকে ওঠেনি, ক্ষমতাসীনদের অনেকের নামও মুখে মুখে আলোচিত হয়েছিল। বলা হয়, মূলত অর্থমন্ত্রীর কথা ও কাজের কারণেই দেশের শেয়ারবাজারের সর্বনাশ ঘটেছিল, রাস্তায় পড়েছিল বিনিয়োগকারীরা।
সেবারের দুর্নাম ঘুঁচতে না ঘুঁচতেই এবার একই অর্থমন্ত্রী হঠাৎ বিচিত্র কিছু কথা শুনিয়েছেন জাতীয় সংসদের অভ্যন্তরে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের ব্যাপারে প্রথমবারের মতো অভিযোগও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। গত ৭ জুন মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে একজন এমপির উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেয়ার পাশাপাশি যথারীতি নাটকীয়তারও আশ্রয় নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ওই এমপির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ‘কিছু ক্ষেত্রে’ যে লুটপাট হয়েছে তা কেবল ‘পুকুর চুরি’ নয়, ‘সাগর চুরি’। উল্লেখ্য, সম্পূরক বাজেটে ব্যাংকিং খাতের জন্য ২৩৮ কোটি দুই লাখ ৪৪ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দের বিরোধিতা করে ওই এমপি বলেছিলেন, ডেসটিনি ও হল-মার্ক কেলেংকারির পরপর সম্প্রতি ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাও ফাঁস হয়েছে, প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের ব্যাংকগুলোতে প্রকৃতপক্ষে পচন ধরেছে। কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় পৌনে তিন লাখ হাজার কোটি টাকা। চুরি হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব ঘটনাকে ‘পুকুর চুরি’ না বলে ‘সাগর চুরি’ বলা যায়। শুনে অর্থমন্ত্রী মুহিতও দেরি করেননি, একাত্মতা ঘোষণা করেছেন ওই এমপির বক্তব্যের সঙ্গে। বলেছেন, আসলেও একে শুধু ‘পুকুর চুরি’ বলা যায় না, বলতে হয় ‘সাগর চুরি’। অর্থমন্ত্রী চাতুরিও কম করেননি। কথার মারপ্যাঁচে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সব কিছুর দায়দায়িত্ব সরকার বা তিনি নিজে নিতে রাজি নন। কারণ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে’ লুটপাট হয়েছে, সব ক্ষেত্রে হয়নি!
লক্ষণীয় যে, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে’ লুটপাট হয়েছে কথাটা বলার মধ্য দিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রকৃতপক্ষে নিজের এবং সরকারের দায়দায়িত্ব এবং অপরাধ আড়াল ও অস্বীকার করারই চেষ্টা করেছেন। অথচ সত্য হলো, ডেসটিনি ও হল-মার্ক থেকে সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি পর্যন্ত অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত হলেও এসবের কোনো একটির বিষয়েই সরকারকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। দেশের ভেতরে প্রবল জনমতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সরকার বড়জোর লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলোর কোনো কোনোটি কিছুটা তদন্ত করলেও তাদের মাঝপথে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যাকালে সাবেক অর্থ উপদেষ্টাসহ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হল-মার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও বেসিক ব্যাংক কেলেংকারি এবং শেয়ার বাজারসহ আর্থিক খাত থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ৩০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। অপরাধ অনেক বড় ও ভয়ংকর হলেও এসব ঘটনায় দু’-চারজন মাত্র অফিসার বা কর্মচারীকে অপসারণসহ কিছু বিভাগীয় ব্যবস্থার বাইরে শাস্তিমূলক এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি যার ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ চেষ্টাকে প্রতিরোধ ও প্রাতিহত করা সম্ভব হতে পারে। প্রভাবশালী হিসেবে বর্ণিতজনদেরও কোনো একজনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালীদের কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা পর্যন্ত দায়ের করেনি সরকার।
এজন্যই একের পর এক শুধু নতুন নতুন কেলেংকারি ঘটেছে, যার সর্বশেষ প্রমাণ হিসেবে প্রাধান্যে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি। কিন্তু এ ব্যাপারেও সরকারকে তথা অর্থমন্ত্রীকে কোনো ব্যবস্থাই নিতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, আওয়ামী ঘরানার লোক হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেই পার পেয়ে গেছেন সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান। অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত ইশারা-ইঙ্গিতে ব্যঙ্গ করা ছাড়া কিছুই করেননি তার ব্যাপারে। অথচ অনুসন্ধানে জানা গেছে, সবই জানা ছিল ওই গবর্নরের। সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীও জেনেছিলেন যথাসময়েই। কিন্তু তারপরও অর্থমন্ত্রী প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছিলেন দুই দুটি সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর। এই বিলম্বের সুযোগ নিয়েই সরে পড়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আওয়ামী গবর্নর। তাকেও আজ পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়নি।
জনমনে ভীতি ও উদ্বেগ বাড়ার কারণ হলো, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও অযোগ্যতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘুষ-দুর্নীতি বেড়ে চলেছে বলেই দেশকে ক্রমাগত বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে। এখনো বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারেনি সরকার। একই কারণে বৈদেশিক সহায়তাও কমতে কমতে প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। কোনো দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নীত হয়নি বলে লাফিয়ে কমে যাচ্ছে রফতানি আয়। এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতির ওপর। আমরা উদ্বিগ্ন এজন্য যে, সর্বাত্মক ব্যর্থতা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীনদের মধ্যে পরিবর্তিত হওয়ার কিংবা বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মানতেই হবে, এভাবে কেবলই ‘সাগর চুরি’ ধরনের নাটকীয় সংলাপ উচ্চারণের আড়ালে দায়দায়িত্ব এড়িয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সংকট কাটিয়ে ওঠা বা সমৃদ্ধি অর্জন করা যাবে না। এজন্য সবচেয়ে বেশি দরকার সকলের আস্থা ফিরিয়ে আনা। বিশেষ করে ঘুষ-দুর্নীতির অবসান ঘটানো ছাড়া যে এই আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় সে কথাটা অর্থমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীনরা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন ততই মঙ্গল। আমরা আশা করতে চাই, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকার এসব বিষয়ে সততার সঙ্গে উদ্যোগী হয়ে উঠবে।
সেবারের দুর্নাম ঘুঁচতে না ঘুঁচতেই এবার একই অর্থমন্ত্রী হঠাৎ বিচিত্র কিছু কথা শুনিয়েছেন জাতীয় সংসদের অভ্যন্তরে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের ব্যাপারে প্রথমবারের মতো অভিযোগও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। গত ৭ জুন মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে একজন এমপির উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেয়ার পাশাপাশি যথারীতি নাটকীয়তারও আশ্রয় নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ওই এমপির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ‘কিছু ক্ষেত্রে’ যে লুটপাট হয়েছে তা কেবল ‘পুকুর চুরি’ নয়, ‘সাগর চুরি’। উল্লেখ্য, সম্পূরক বাজেটে ব্যাংকিং খাতের জন্য ২৩৮ কোটি দুই লাখ ৪৪ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দের বিরোধিতা করে ওই এমপি বলেছিলেন, ডেসটিনি ও হল-মার্ক কেলেংকারির পরপর সম্প্রতি ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাও ফাঁস হয়েছে, প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের ব্যাংকগুলোতে প্রকৃতপক্ষে পচন ধরেছে। কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় পৌনে তিন লাখ হাজার কোটি টাকা। চুরি হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব ঘটনাকে ‘পুকুর চুরি’ না বলে ‘সাগর চুরি’ বলা যায়। শুনে অর্থমন্ত্রী মুহিতও দেরি করেননি, একাত্মতা ঘোষণা করেছেন ওই এমপির বক্তব্যের সঙ্গে। বলেছেন, আসলেও একে শুধু ‘পুকুর চুরি’ বলা যায় না, বলতে হয় ‘সাগর চুরি’। অর্থমন্ত্রী চাতুরিও কম করেননি। কথার মারপ্যাঁচে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সব কিছুর দায়দায়িত্ব সরকার বা তিনি নিজে নিতে রাজি নন। কারণ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে’ লুটপাট হয়েছে, সব ক্ষেত্রে হয়নি!
লক্ষণীয় যে, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে’ লুটপাট হয়েছে কথাটা বলার মধ্য দিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রকৃতপক্ষে নিজের এবং সরকারের দায়দায়িত্ব এবং অপরাধ আড়াল ও অস্বীকার করারই চেষ্টা করেছেন। অথচ সত্য হলো, ডেসটিনি ও হল-মার্ক থেকে সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি পর্যন্ত অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত হলেও এসবের কোনো একটির বিষয়েই সরকারকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। দেশের ভেতরে প্রবল জনমতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সরকার বড়জোর লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলোর কোনো কোনোটি কিছুটা তদন্ত করলেও তাদের মাঝপথে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যাকালে সাবেক অর্থ উপদেষ্টাসহ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হল-মার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও বেসিক ব্যাংক কেলেংকারি এবং শেয়ার বাজারসহ আর্থিক খাত থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ৩০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। অপরাধ অনেক বড় ও ভয়ংকর হলেও এসব ঘটনায় দু’-চারজন মাত্র অফিসার বা কর্মচারীকে অপসারণসহ কিছু বিভাগীয় ব্যবস্থার বাইরে শাস্তিমূলক এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি যার ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ চেষ্টাকে প্রতিরোধ ও প্রাতিহত করা সম্ভব হতে পারে। প্রভাবশালী হিসেবে বর্ণিতজনদেরও কোনো একজনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালীদের কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা পর্যন্ত দায়ের করেনি সরকার।
এজন্যই একের পর এক শুধু নতুন নতুন কেলেংকারি ঘটেছে, যার সর্বশেষ প্রমাণ হিসেবে প্রাধান্যে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি। কিন্তু এ ব্যাপারেও সরকারকে তথা অর্থমন্ত্রীকে কোনো ব্যবস্থাই নিতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, আওয়ামী ঘরানার লোক হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেই পার পেয়ে গেছেন সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান। অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত ইশারা-ইঙ্গিতে ব্যঙ্গ করা ছাড়া কিছুই করেননি তার ব্যাপারে। অথচ অনুসন্ধানে জানা গেছে, সবই জানা ছিল ওই গবর্নরের। সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীও জেনেছিলেন যথাসময়েই। কিন্তু তারপরও অর্থমন্ত্রী প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছিলেন দুই দুটি সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর। এই বিলম্বের সুযোগ নিয়েই সরে পড়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আওয়ামী গবর্নর। তাকেও আজ পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়নি।
জনমনে ভীতি ও উদ্বেগ বাড়ার কারণ হলো, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও অযোগ্যতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘুষ-দুর্নীতি বেড়ে চলেছে বলেই দেশকে ক্রমাগত বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে। এখনো বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারেনি সরকার। একই কারণে বৈদেশিক সহায়তাও কমতে কমতে প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। কোনো দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নীত হয়নি বলে লাফিয়ে কমে যাচ্ছে রফতানি আয়। এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতির ওপর। আমরা উদ্বিগ্ন এজন্য যে, সর্বাত্মক ব্যর্থতা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীনদের মধ্যে পরিবর্তিত হওয়ার কিংবা বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মানতেই হবে, এভাবে কেবলই ‘সাগর চুরি’ ধরনের নাটকীয় সংলাপ উচ্চারণের আড়ালে দায়দায়িত্ব এড়িয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সংকট কাটিয়ে ওঠা বা সমৃদ্ধি অর্জন করা যাবে না। এজন্য সবচেয়ে বেশি দরকার সকলের আস্থা ফিরিয়ে আনা। বিশেষ করে ঘুষ-দুর্নীতির অবসান ঘটানো ছাড়া যে এই আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় সে কথাটা অর্থমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীনরা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন ততই মঙ্গল। আমরা আশা করতে চাই, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকার এসব বিষয়ে সততার সঙ্গে উদ্যোগী হয়ে উঠবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন