‘অভিযানের রাজনীতি, রাজনীতির অভিযান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন মুদ্রিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায়। ১৩ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, রাজধানীসহ সারা দেশে জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলেও এরই মধ্যে গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। চলমান অভিযান কোনভাবেই শুধু জঙ্গি আটকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করছে, তাদের নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে বিভিন্ন অজুহাতে। অনেককে আটকের পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে, টাকা না পেয়ে পেন্ডিং মামলায় জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে অনেককেই। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গি বিরোধী অভিযানের প্রথম ২ দিনে জঙ্গিসহ মোট ৫ হাজার ৩২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের সংখ্যা ৮৫। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, অভিযানকে কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা ঠিক নয়। অভিযান সুনির্দিষ্ট অপরাধীদের মধ্যেই সীমিত রাখা উচিত। বিশেষ করে জঙ্গিদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স থাকতে হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। আবার অকারণে কোনো নিরীহ মানুষ যাতে গ্রেফতার না হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে কোনভাবেই যাতে গ্রেফতার বাণিজ্য না হয়।
সারা দেশে জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও এ প্রসঙ্গে কথা বলছেন। মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। কিন্তু অভিযান যেন কোনভাবেই রাজনৈতিক প্রতিশোধের জন্য না হয়। স্পর্শকাতর এসব অভিযানে পুলিশ সদর দফতরের কঠোর মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। নইলে অপারেশনকে কেন্দ্র করে অসৎ সদস্যদের নানা ধরনের অনিয়ম এবং অন্যায় কর্মকাণ্ডের দায়ভার নিতে হবে পুলিশ বাহিনীকে। বর্তমান অভিযানে নিরাপত্তা বিশ্লেষকের এমন পরামর্শকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। তবে সরকার ও পুলিশ প্রশাসন এসব পরামর্শকে কতটা গুরুত্ব দেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অভিযোগ ওঠেছে, রমযানের শুরুতে বিশেষ করে ঈদের আগে শুরু হওয়া এই অভিযান অসৎ প্রকৃতির ও দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য অনেকটা মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো। নিরীহ এবং সহজ-সরল মানুষকে ধরে নিয়ে এসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ছেড়ে দেয়া ব্যক্তিদের বলা হচ্ছে কোনভাবে এই বিষয়টি লিকড হয়ে গেলে তাদের ক্রসফায়ারে দেয়া হবে। ঝিনাইদহ সদর থানা এবং যশোরে এমন কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ভুক্তভোগীদের কেউই তাদের নাম প্রকাশে রাজি নন। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তৃতীয় দিন পর্যন্ত পুলিশী অভিযানে বিএনপিরই মাঠ পর্যায়ের অন্তত ২ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। পরে পেন্ডিং মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। এটা আদালত অবমাননার শামিল। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ঈদ বখশিশের জন্যই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ধরনের অভিযান আগেও হয়েছে। কিন্তু কতটুকু সফল হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আগাম ঘোষণা দিয়ে অভিযান চালানো হলে জঙ্গিরা আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ আগেও ছিল, এখনও আছে। বিনা বিচারে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এ অভিযান চালাতে হবে। এ ধরনের পর্যবেক্ষণে যথেষ্ট বাস্তবতা রয়েছে বলে আমরা মনে করি। জঙ্গি দমন অভিযানের নামে কোনভাবেই যেন সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নিপীড়ন ও ভোগান্তির শিকার না হন এ ব্যাপারে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ন্যায়নিষ্ঠ ও সচেতন ভূমিকা পালন প্রয়োজন। এর অন্যথা হলে আইনের শাসন সমুন্নত হবে না। আর রমযানের এই পবিত্র মাসে অন্যায়ভাবে একজন নাগরিকও জুলুম-নির্যাতনের শিকার হলে স্রষ্টার আদালতে এর দায়ভার বেশ বড় হয়েই দেখা দেবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাই উপলব্ধি করলেই মঙ্গল।
সারা দেশে জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও এ প্রসঙ্গে কথা বলছেন। মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। কিন্তু অভিযান যেন কোনভাবেই রাজনৈতিক প্রতিশোধের জন্য না হয়। স্পর্শকাতর এসব অভিযানে পুলিশ সদর দফতরের কঠোর মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। নইলে অপারেশনকে কেন্দ্র করে অসৎ সদস্যদের নানা ধরনের অনিয়ম এবং অন্যায় কর্মকাণ্ডের দায়ভার নিতে হবে পুলিশ বাহিনীকে। বর্তমান অভিযানে নিরাপত্তা বিশ্লেষকের এমন পরামর্শকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। তবে সরকার ও পুলিশ প্রশাসন এসব পরামর্শকে কতটা গুরুত্ব দেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অভিযোগ ওঠেছে, রমযানের শুরুতে বিশেষ করে ঈদের আগে শুরু হওয়া এই অভিযান অসৎ প্রকৃতির ও দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য অনেকটা মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো। নিরীহ এবং সহজ-সরল মানুষকে ধরে নিয়ে এসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ছেড়ে দেয়া ব্যক্তিদের বলা হচ্ছে কোনভাবে এই বিষয়টি লিকড হয়ে গেলে তাদের ক্রসফায়ারে দেয়া হবে। ঝিনাইদহ সদর থানা এবং যশোরে এমন কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ভুক্তভোগীদের কেউই তাদের নাম প্রকাশে রাজি নন। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তৃতীয় দিন পর্যন্ত পুলিশী অভিযানে বিএনপিরই মাঠ পর্যায়ের অন্তত ২ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। পরে পেন্ডিং মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। এটা আদালত অবমাননার শামিল। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ঈদ বখশিশের জন্যই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ধরনের অভিযান আগেও হয়েছে। কিন্তু কতটুকু সফল হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আগাম ঘোষণা দিয়ে অভিযান চালানো হলে জঙ্গিরা আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ আগেও ছিল, এখনও আছে। বিনা বিচারে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এ অভিযান চালাতে হবে। এ ধরনের পর্যবেক্ষণে যথেষ্ট বাস্তবতা রয়েছে বলে আমরা মনে করি। জঙ্গি দমন অভিযানের নামে কোনভাবেই যেন সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নিপীড়ন ও ভোগান্তির শিকার না হন এ ব্যাপারে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ন্যায়নিষ্ঠ ও সচেতন ভূমিকা পালন প্রয়োজন। এর অন্যথা হলে আইনের শাসন সমুন্নত হবে না। আর রমযানের এই পবিত্র মাসে অন্যায়ভাবে একজন নাগরিকও জুলুম-নির্যাতনের শিকার হলে স্রষ্টার আদালতে এর দায়ভার বেশ বড় হয়েই দেখা দেবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাই উপলব্ধি করলেই মঙ্গল।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন