অস্ট্রলিয়া এবং ব্রিটেনের পর জার্মানিও বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কার্গো ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে সরাসরি কোনো বিমানই জার্মানিতে যেতে পারবে না। এমনকি জার্মানির রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা লুফথান্সার কোনো বিমানও ঢাকা থেকে ওঠানো পণ্য নিয়ে সে দেশে ঢুকতে পারবে না। লুফথান্সাকেও জার্মানির অনুমোদিত তৃতীয় কোনো দেশের বিমানবন্দরে পণ্যগুলো রি-স্ক্যানিং করাতে হবে। সেখানে অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেলেই ঢাকা থেকে নেয়া পণ্যসহ লুফথান্সার বিমান দেশটিতে ঢুকতে ও পণ্য খালাস করতে পারবে। নিষেধাজ্ঞার কারণ জানাতে গিয়ে খবরে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের রফতানি টার্মিনালে যারা কাজ করে তাদের বেশিরভাগই বহিরাগত। নামমাত্র স্ক্যানিং করেই তারা টার্মিনালে ঢুকে পড়ে এবং যখন-তখন বাইরে যাতায়াত করে। তারা যে পণ্যের সঙ্গে বোমা বা অন্য কোনো বিস্ফোরক এবং ধ্বংসাত্মক কিছু পাঠাবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। একই কারণে অনেকদিন ধরে সতর্ক করার পর চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে জার্মানি বলেছিল, এর মধ্যে বহিরাগতদের বিদায় করে নিজস্ব কর্মচারী নিযুক্তি না দেয়া হলে দেশটি বাংলাদেশ বিমান এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অন্য কোনো দেশের বিমানকে কার্গো পরিবহন করতে দেবে না।
উল্লেখ্য, মূলত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা প্রথম চাপিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে বাংলাদেশের রফতানিকারকদের প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান গুণতে হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার পর গত মার্চে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটেন। এজন্যও বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশের রফতানি। এ দুটি দেশের পাশাপাশি জার্মানির নিষেধাজ্ঞা ক্ষতির পরিমাণকে কেবল বাড়াবেই। তাছাড়া একযোগে বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ন হবে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা। উদ্বেগের কারণ হলো, বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ব্রিটেনে বছরে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বা ৮৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য রফতানি করা হয়। দেশ তিনটির মধ্যে আমদানির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এতদিন শুধু লুফথান্সার মাধ্যমেই মাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতো বিমান। নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই নিশ্চিত আয় বন্ধ হয়ে যাবে। ওদিকে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, গার্মেন্ট পণ্যের নমুনাসহ তৈরি পোশাক খাতের বড় অংশই আকাশ পথে শুল্কমুক্ত সুবিধায় জার্মানিতে যেতো। এ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ।
এদিকে অনুসন্ধানেও কেবল অভিযোগের সত্যতাই পাওয়া যায়নি, বেরিয়ে এসেছে ভীতিকর বিভিন্ন তথ্যও। যেমন হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুরো কার্গো রফতানি টার্মিনালই বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন- বাপা নামের একটি সংগঠনের দখলে রয়েছে। বাপা কর্মীদের অধিকাংশই চোরাচালানসহ বিভিন্ন মামলার আসামী, রাজনৈতিক দলের ক্যাডার এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী। তারা নামমাত্র স্ক্যানিং করিয়েই কার্গো টার্মিনালে ঢুকে পড়ে এবং সর্বত্র অবাধে তৎপরতা চালায়। যখন-তখন টার্মিনালের বাইরে যাতায়াত তো করেই, তাদের নানা ধরনের পণ্যও আনা নেয়া করতে দেখা যায়। বাপার এসব কর্মীর মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের বিমানে রফতানি পণ্য ওঠানো বা লোড করা হয়। বিমান থেকে পণ্য খালাসও তারাই করে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্যটি হলো, কার্গো টার্মিনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রেডলাইন নামের যে ব্রিটিশ সিকিউরিটি কোম্পানিকে নিযুক্তি দিয়েছে সে কোম্পানির সঙ্গেও বাপা কর্মীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে গোপন লেনদেনের বিষয়টিও বিভিন্ন উপলক্ষে ফাঁস হয়েছে। এভাবে সব মিলিয়েই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় ও আশংকার সৃষ্টি হয়েছে এবং সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের পর জার্মানি কার্গো পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বিমানের কার্গো পরিবহনের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অর্থনৈতিক দিক থেকেই শুধু ক্ষতিকর নয়, দেশের ভাবমর্যাদার জন্যও অত্যন্ত লজ্জাকর। অথচ বিমান কর্তৃপক্ষ যদি আপত্তি সম্পর্কে জানার পর থেকেই বহিরাগতদের বিদায় করে কার্গো টার্মিনালে নিজস্ব জনবল বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতো তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের পর জার্মানির জন্য এতটা কঠোর ও অসম্মানজনক পদক্ষেপ নেয়ার অজুহাত জুটতো না। কথাটা বলার কারণ, পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, বহিরাগতদের ব্যাপারে কোনো দেশের অভিযোগই অসত্য বা অমূলক নয়। আসলেও জনা কয়েক নিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া টার্মিনালে কর্মরতরা সবাই বহিরাগত। তারা দফায় দফায় বাইরে যাতায়াত করে। অনেকে নানা পণ্যও বহন করে। কিন্তু কোনোবারই আর স্ক্যানিং বা সার্চ করা হয় না। এর ফলে তাদের পক্ষে বিস্ফোরক বা অন্য যে কোনো ধ্বংসাত্মক বস্তু পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করেই বিভিন্ন দেশ বিমান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ বা সরকার গুরুত্ব দেয়নি। সেজন্যই পরিস্থিতি এতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আমরা মনে করি, হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালকেন্দ্রিক সমস্যার অবশ্যই আশু সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কারণ, দেশের ভাবমর্যাদার প্রশ্ন তো রয়েছেই, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এসেছে অর্থনৈতিক স্বার্থ। নিষেধাজ্ঞার ফলে রফতানি খাতে হাজার কোটি টাকার অংকে ক্ষতির শিকার হবে দেশ। বাস্তবে এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরুও করেছেন রফতানিকারকরা। এভাবে চলতে থাকলে ইইউভুক্ত অন্য দেশগুলোও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে। তেমন অবস্থায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। ফলে গার্মেন্ট শিল্প শুধু নয়, কৃষি খাতও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে শাক-সবজিও কার্গোর মাধ্যমেই রফতানি করা হয়। অর্থাৎ কার্গো নিষিদ্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতি হবে সর্বাত্মক। এজন্যই টার্মিনাল থেকে বহিরাগতদের বিদায় করাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে এমনভাবে নেয়া দরকার, যাতে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও জার্মানির মতো দেশগুলো তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্য কোনো দেশ যাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে।
উল্লেখ্য, মূলত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা প্রথম চাপিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে বাংলাদেশের রফতানিকারকদের প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান গুণতে হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার পর গত মার্চে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটেন। এজন্যও বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশের রফতানি। এ দুটি দেশের পাশাপাশি জার্মানির নিষেধাজ্ঞা ক্ষতির পরিমাণকে কেবল বাড়াবেই। তাছাড়া একযোগে বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ন হবে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা। উদ্বেগের কারণ হলো, বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ব্রিটেনে বছরে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বা ৮৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য রফতানি করা হয়। দেশ তিনটির মধ্যে আমদানির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এতদিন শুধু লুফথান্সার মাধ্যমেই মাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতো বিমান। নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই নিশ্চিত আয় বন্ধ হয়ে যাবে। ওদিকে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, গার্মেন্ট পণ্যের নমুনাসহ তৈরি পোশাক খাতের বড় অংশই আকাশ পথে শুল্কমুক্ত সুবিধায় জার্মানিতে যেতো। এ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ।
এদিকে অনুসন্ধানেও কেবল অভিযোগের সত্যতাই পাওয়া যায়নি, বেরিয়ে এসেছে ভীতিকর বিভিন্ন তথ্যও। যেমন হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুরো কার্গো রফতানি টার্মিনালই বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন- বাপা নামের একটি সংগঠনের দখলে রয়েছে। বাপা কর্মীদের অধিকাংশই চোরাচালানসহ বিভিন্ন মামলার আসামী, রাজনৈতিক দলের ক্যাডার এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী। তারা নামমাত্র স্ক্যানিং করিয়েই কার্গো টার্মিনালে ঢুকে পড়ে এবং সর্বত্র অবাধে তৎপরতা চালায়। যখন-তখন টার্মিনালের বাইরে যাতায়াত তো করেই, তাদের নানা ধরনের পণ্যও আনা নেয়া করতে দেখা যায়। বাপার এসব কর্মীর মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের বিমানে রফতানি পণ্য ওঠানো বা লোড করা হয়। বিমান থেকে পণ্য খালাসও তারাই করে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্যটি হলো, কার্গো টার্মিনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রেডলাইন নামের যে ব্রিটিশ সিকিউরিটি কোম্পানিকে নিযুক্তি দিয়েছে সে কোম্পানির সঙ্গেও বাপা কর্মীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে গোপন লেনদেনের বিষয়টিও বিভিন্ন উপলক্ষে ফাঁস হয়েছে। এভাবে সব মিলিয়েই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় ও আশংকার সৃষ্টি হয়েছে এবং সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের পর জার্মানি কার্গো পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বিমানের কার্গো পরিবহনের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অর্থনৈতিক দিক থেকেই শুধু ক্ষতিকর নয়, দেশের ভাবমর্যাদার জন্যও অত্যন্ত লজ্জাকর। অথচ বিমান কর্তৃপক্ষ যদি আপত্তি সম্পর্কে জানার পর থেকেই বহিরাগতদের বিদায় করে কার্গো টার্মিনালে নিজস্ব জনবল বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতো তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের পর জার্মানির জন্য এতটা কঠোর ও অসম্মানজনক পদক্ষেপ নেয়ার অজুহাত জুটতো না। কথাটা বলার কারণ, পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, বহিরাগতদের ব্যাপারে কোনো দেশের অভিযোগই অসত্য বা অমূলক নয়। আসলেও জনা কয়েক নিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া টার্মিনালে কর্মরতরা সবাই বহিরাগত। তারা দফায় দফায় বাইরে যাতায়াত করে। অনেকে নানা পণ্যও বহন করে। কিন্তু কোনোবারই আর স্ক্যানিং বা সার্চ করা হয় না। এর ফলে তাদের পক্ষে বিস্ফোরক বা অন্য যে কোনো ধ্বংসাত্মক বস্তু পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করেই বিভিন্ন দেশ বিমান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ বা সরকার গুরুত্ব দেয়নি। সেজন্যই পরিস্থিতি এতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আমরা মনে করি, হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালকেন্দ্রিক সমস্যার অবশ্যই আশু সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কারণ, দেশের ভাবমর্যাদার প্রশ্ন তো রয়েছেই, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এসেছে অর্থনৈতিক স্বার্থ। নিষেধাজ্ঞার ফলে রফতানি খাতে হাজার কোটি টাকার অংকে ক্ষতির শিকার হবে দেশ। বাস্তবে এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরুও করেছেন রফতানিকারকরা। এভাবে চলতে থাকলে ইইউভুক্ত অন্য দেশগুলোও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে। তেমন অবস্থায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। ফলে গার্মেন্ট শিল্প শুধু নয়, কৃষি খাতও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে শাক-সবজিও কার্গোর মাধ্যমেই রফতানি করা হয়। অর্থাৎ কার্গো নিষিদ্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতি হবে সর্বাত্মক। এজন্যই টার্মিনাল থেকে বহিরাগতদের বিদায় করাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে এমনভাবে নেয়া দরকার, যাতে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও জার্মানির মতো দেশগুলো তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্য কোনো দেশ যাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে।