ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেমন হচ্ছে তা সবারই জানা। কিন্তু এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভিক্ষুক ফজিলা বেগমের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাবে কেন? নাটোরের বাকনাই গ্রামের বাসিন্দা ফজিলা বেগম। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি বেড়া আর টিনের ছাউনি দেয়া তার ঘরটি রাজনীতির আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে গেল। মাথা গোঁজার এই ঠাঁইটুকু হারিয়ে সে এখন দিশেহারা। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও ভিক্ষার জন্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ফজিলা। হঠাৎ শতাধিক লোক হাতে লাঠি, ফালা নিয়ে পেছনের মাঠ দিয়ে তাদের গ্রামে ঢোকে। তারা আগুন ধরিয়ে দেয় ফজিলার ঘরসহ দু’টি বাড়িতে। ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় আরো কিছু বাড়িতে। আতঙ্কে ওইসব বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। পালাননি কেবল ফজিলা। হামলাকারীদের বারবার অনুরোধ করেন আগুন না লাগানোর জন্য। কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। মুহূর্তেই চোখের সামনে ফজিলার বসত ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরে থাকা হাঁড়ি-পাতিল, কাপড়-চোপড়সহ টুকিটাকি যা ছিল সব পুড়ে যায়। ফজিলা বলেন, তিনি কোনো রাজনীতি বোঝেন না, নেতা বোঝেন না। তার বাড়ির পাশের আব্দুল হান্নান ১ নম্বর লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রতিপক্ষ ইউসুফ আলী বিজয়ী হয়েছেন। এরপর আব্দুল হান্নানকে শায়েস্তা করতে এসে তার ঘরসহ আরো কটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ইউসুফ আলীর লোকজন।
এবার যেভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে তাতে নির্বাচন সম্পর্কে জনমনে হতাশার মাত্রাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩২ জন। আহতদের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মাথাব্যথাই নেই। অবস্থা এই পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, ইউপি নির্বাচনে প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বললেন- ‘এ কেমন কমিশন লড়েও না চড়েও না’। বিরোধী রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষের কাছে ইউপি নির্বাচনের বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষ মরছে। কারচুপির বিষয়টি প্রকাশ্যেই ঘটছে। ফলে পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হচ্ছে ‘এ কেমন ইসি?’ নির্বাচনব্যবস্থা এখন ধ্বংসের পথে যাচ্ছে বলে বিশিষ্টজনরা মনে করছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসি ব্যর্থ। তাঁরা যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে সরে যেতে হবে। সহিংসতার দায় অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে ইসির ব্যর্থতা আরো স্পষ্ট হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব ইসির। সেই দায়িত্ব পালন করতে না পারলে অবশ্যই তাদের সরে যেতে হবে। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’ ১১৮ অনুচ্ছেদের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবলই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবিধান তো ইসিকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ তো লক্ষ্য করা যায় না। ফলে দেশে একের পর এক অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। তাই জনমনে এখন প্রশ্ন, ইসির সমস্যা আসলে কোথায়? এ প্রশ্নের জওয়াব দিতে পারেন নির্বাচন কমিশন। সরকারও এমন প্রশ্নের বাইরে নন। জনগণ প্রশ্নের সঠিক জবাব পাবেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এবার যেভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে তাতে নির্বাচন সম্পর্কে জনমনে হতাশার মাত্রাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩২ জন। আহতদের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মাথাব্যথাই নেই। অবস্থা এই পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, ইউপি নির্বাচনে প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বললেন- ‘এ কেমন কমিশন লড়েও না চড়েও না’। বিরোধী রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষের কাছে ইউপি নির্বাচনের বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষ মরছে। কারচুপির বিষয়টি প্রকাশ্যেই ঘটছে। ফলে পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হচ্ছে ‘এ কেমন ইসি?’ নির্বাচনব্যবস্থা এখন ধ্বংসের পথে যাচ্ছে বলে বিশিষ্টজনরা মনে করছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসি ব্যর্থ। তাঁরা যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে সরে যেতে হবে। সহিংসতার দায় অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে ইসির ব্যর্থতা আরো স্পষ্ট হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব ইসির। সেই দায়িত্ব পালন করতে না পারলে অবশ্যই তাদের সরে যেতে হবে। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’ ১১৮ অনুচ্ছেদের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবলই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবিধান তো ইসিকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ তো লক্ষ্য করা যায় না। ফলে দেশে একের পর এক অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। তাই জনমনে এখন প্রশ্ন, ইসির সমস্যা আসলে কোথায়? এ প্রশ্নের জওয়াব দিতে পারেন নির্বাচন কমিশন। সরকারও এমন প্রশ্নের বাইরে নন। জনগণ প্রশ্নের সঠিক জবাব পাবেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন