বর্তমান সভ্যতায় মানবাধিকারের বিষয়টি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশে-বিদেশে নানাভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আর আমরা তো একথা জানি যে, উন্নত ও সম্মানজনক জীবন-যাপনের জন্য মানবাধিকার আবশ্যিক বিষয়। মানবাধিকার যতটা লঙ্ঘিত হবে মানুষের জীবন ততটাই মানবেতর হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ কিন্তু মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে না। কারও অধিকার ক্ষুণ্ন করতে হলে ক্ষমতা প্রয়োজন, কালাকানুন প্রয়োজন। অর্থাৎ মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারেন শক্তিমানরাই। এই কথা সমাজ, রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক বলয়ে খুবই প্রাসঙ্গিক বর্তমান সময়ে।
মানবাধিকার নিয়ে বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন সংস্থা এবং রাষ্ট্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে, গবেষণাও করে থাকে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন মার্কিন কংগ্রেসের কাছে পেশ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার দেশটির ৪০তম বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে ১৯৯টি দেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয় : বিচারবহির্ভূত হত্যা, নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, গণগ্রেফতার, কারাবন্দিত্ব, বিচার বিভাগের সামর্থ্যহীনতা, নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন, গুম, ব্লগার-অনলাইন ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ, নিম্নমানের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকারহীনতা বাংলাদেশের প্রধান মানবাধিকার সংকট। এছাড়াও প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দুর্নীতি এবং সরকারের কাজকর্মের অস্বচ্ছতাকে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বিতর্কিত এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ঘাটতি ছিল বলে মত দিয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারে সততা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশের যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা মোটেও সম্মানজনক নয়। দেশের এমন চিত্র দেশের কোনো নাগরিকের ভালো লাগার কথা নয়। এমন রিপোর্ট সরকারের জন্যও অস্বস্তিকর। তবে মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে যদি কোনো ত্রুটি থাকে কিংবা ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়ে থাকে, তাহলে তার সংশোধন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবাদও জানাতে পারে। তবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি যে কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নেই তা দেশটির নাগরিকদের চাইতে আর কারো ভালো জানার কথা নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখা ভাল যে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উন্নত বিশ্ব যে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে তা আরও অর্থবহ হতো, যদি ওইসব দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হতো। পরাক্রমশালী কোনো কোনো দেশ তো নিজের সীমানা পেরিয়ে ভিন্ন দেশেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় বড় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এইসব উদাহরণ বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে তো বড় বড় দেশকে আমরা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দিতে দেখেছি। এক্ষেত্রেও আত্মসমালোচনা প্রয়োজন, প্রয়োজন সংশোধন।
মানবাধিকার নিয়ে বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন সংস্থা এবং রাষ্ট্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে, গবেষণাও করে থাকে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন মার্কিন কংগ্রেসের কাছে পেশ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার দেশটির ৪০তম বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে ১৯৯টি দেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয় : বিচারবহির্ভূত হত্যা, নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, গণগ্রেফতার, কারাবন্দিত্ব, বিচার বিভাগের সামর্থ্যহীনতা, নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন, গুম, ব্লগার-অনলাইন ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ, নিম্নমানের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকারহীনতা বাংলাদেশের প্রধান মানবাধিকার সংকট। এছাড়াও প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দুর্নীতি এবং সরকারের কাজকর্মের অস্বচ্ছতাকে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বিতর্কিত এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ঘাটতি ছিল বলে মত দিয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারে সততা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশের যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা মোটেও সম্মানজনক নয়। দেশের এমন চিত্র দেশের কোনো নাগরিকের ভালো লাগার কথা নয়। এমন রিপোর্ট সরকারের জন্যও অস্বস্তিকর। তবে মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে যদি কোনো ত্রুটি থাকে কিংবা ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়ে থাকে, তাহলে তার সংশোধন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবাদও জানাতে পারে। তবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি যে কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নেই তা দেশটির নাগরিকদের চাইতে আর কারো ভালো জানার কথা নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখা ভাল যে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উন্নত বিশ্ব যে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে তা আরও অর্থবহ হতো, যদি ওইসব দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হতো। পরাক্রমশালী কোনো কোনো দেশ তো নিজের সীমানা পেরিয়ে ভিন্ন দেশেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় বড় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এইসব উদাহরণ বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে তো বড় বড় দেশকে আমরা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দিতে দেখেছি। এক্ষেত্রেও আত্মসমালোচনা প্রয়োজন, প্রয়োজন সংশোধন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন