সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

শিক্ষাঙ্গনের বিষফোঁড়া ছাত্রলীগকে সামলান!


আর কতকাল সংবাদ শিরোনামে ছাত্রলীগের জায়গা নির্দিষ্ট করা থাকবে? শিরোনাম যদি ইতিবাচক হতো খুশি হতাম। কিন্তু ছাত্রলীগ ইতিবাচক শিরোনামে থেকেছে এমন উদাহরণ নেই বললেই চলে। তাদের খবর মানে খুনাখোনির খবর, শিক্ষককে লঞ্ছিত করার খবর। আমরা বড্ড কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে এক একটি দিন অতিবাহিত করছি। মন খুলে সব কথা বলা ও লেখা মুশকিল। ইচ্ছে করলেই সব কিছু লেখা যায় না। স্বাধীন দেশের জনগণ হিসেবে এরকম পরিস্থিতি আর কত দিন থাকবে আল্লাহ মালুম। সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর যে বর্বর নারকীয় হামলা করা হয়েছে তার নিন্দা করার ভাষা অভিধানেও নেই। খবর বেরিয়েছে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগ তার বেপরোয়াপনার আরেক কলংকিত নজির দেশে স্থাপন করল। টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে হল দখল, হল জ্বালিয়ে দেয়া, শিক্ষককে পেটানো ছাত্রলীগের এসব কাজের সঙ্গে দেশের মানুষ আগে থেকেই পরিচিত। তাদের সহিংসতা এমনই দুর্বিনীত হয়ে উঠেছে যে, তারা নিজেদের মধ্যেও খুনাখোনির মতো নির্মম ঘটনায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। কতটা নীচ, কতটা নির্লজ্জ হলে পরে কোনো ছাত্র তার পিতৃতুল্য শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে পারে? আজও ভুলিনি শাহ মুহাম্মদ সগীরের বন্দনা কবিতার কথা। তিনি শিক্ষকদের শুধু বাবা-মার পরেই স্থান দেননি, বলেছেন তারা আমাদের দ্বিতীয় জন্ম দেন। সেই অর্থে শিক্ষক বাবা-মার  সমতুল্য। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে মার্স্টাস পর্যন্ত পড়াশুনা করা সময়ে স্যারদের নিকট থেকে কত যে সহায়তা পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বাবা-মা জন্মদাতা। তাদের অবদান কোনো কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। তেমনিভাবে একজন শিক্ষককেও জীবন গঠনের জন্মদাতা বলা যায়। পৃথিবীর কোনো দেশে আমাদের দেশের মতো ক্যাম্পাস ও হল দখলের রাজনীতি নেই। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে তাকালেও এরকম ন্যাক্কারজনক দৃশ্য দেখা যায় না।
জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক গণমাধ্যমে শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলার সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকার পাতায় মুদ্রিত ড.জাফর ইকবালের ছবিটি সত্যিই আমাকে মর্মাহত করেছে। বৃষ্টির দিনে যেখানে আমরা সবাই বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ছাতাকে উঁচু করে মাথার উপর ধরে রাখি সেখানে তিনি হতভম্ব, ক্ষুব্ধ ও অপমানের জ্বালায় ছাতা গুটিয়ে বসেছিলেন। শাবিপ্রবিতে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা বা প্রতিবাদের ভাষা আমার জানা নেই। জাফর ইকবাল গণমাধ্যমে বলেছেন আমার খুব কষ্ট লেগেছে, যখন ছাত্রলীগের ছেলেরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা করেছে। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্লোগানের এতো বড় অপমান আমার জীবনে দেখিনি। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার তো গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত।’ প্রকাশিত সংবাদ থেকে জেনেছি- গত রোববার সকাল ৯টা থেকে ভিসির অপসারণের দাবিতে ভিসি ভবনের সামনে পূর্বনিধারিত অবস্থান কর্মসূচি ছিল শিক্ষক পরিষদের। সকাল ৭টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষরা ভিসি ভবনের সামনে উপস্থিত হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের সঙ্গে শুরুতে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর হামলা চালান। ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে শিক্ষকদের মারধর করেন। মারধরের শিকার হন ড.ইয়াসমিন হক, অধ্যাপক মো.ইউনুছ, দীপেন দেবনাথ, সৈয়দ সামসুল আলম, মো. ফারুক উদ্দিন, মোস্তফা কামাল মাসুদ, মোহাম্মদ ওমর ফারুকসহ কয়েকজন শিক্ষক। সাধারণ ছাত্ররা কখনো শিক্ষকদের উপর হামলা করার সাহস পেত না। সরকারের সোনার ছেলেরা কেন শিক্ষকদের উপর নারকীয় হামলা চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। এই হামলা তো শুধু শাবিপ্রবির শিক্ষকদের উপর করা হয়নি। এ হামলা করা হয়েছে গোটা জাতির উপর। সেজন্যে রাষ্ট্র এ দায় এড়াতে পারে না। শাবিপ্রবিতে গেল কয়েক মাস থেকে যা ঘটেছে, তা শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী কারোই অজানা থাকার কথা নয়। ছাত্রলীগ, যুবলীগের বেপোরোয়া কর্মকা- দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার হওয়ার পরও তাদের টুঁটি চেপে ধরতে পারছে না। মায়ের পেটের শিশু ও ছাত্রলীগ যুবলীগের নিকট নিরাপদ নয়। শুধু কি তাই! চাঁদার জন্য স্কুলের বাচ্চাদের মেরে হাসপাতালে পাঠাতে ও কুন্ঠাবোধ করছে না। এমন পরিস্থিতিতে দেশে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব কতটুকু রয়েছে তা সহজে অনুমেয়।
গত ৩০ আগস্ট শাহজালালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যে তুলকালাম কা- ঘটিয়েছে, তা নজিরবিহীন। এ নারকীয় হামলার পরদিন দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর শিরোনাম হচ্ছে : যুগান্তের শিরোনাম হলো, শাবিতে শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত দশ, ভিসি লাঞ্ছিত। প্রথম আলোর শিরোনাম হলো, ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষক এবং শিক্ষকের হাতে উপাচার্য লাঞ্ছিত শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম হলো, শাহজালালে শিক্ষকদের পেটালো ছাত্রলীগ। দৈনিক নয়া দিগন্তের শিরোনাম হলো, শাবি শিক্ষকদের পেটালো ছাত্রলীগ, আহত দশ। দৈনিক সংগ্রামের শিরোনাম  হলো, শাবিতে ড. জাফর ইকবালের স্ত্রীসহ ১০ শিক্ষককে পেটালো ছাত্রলীগ। এ ঘটনাটির চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিই মূলত দায়ী।
আমি যখন লেখাটি লিখতে বসেছি তখন দেশের সবোর্চ্চ বিদ্যাপিঠগুলোতে ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলে রক্ত ঝরছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ আঙ্গিনা। আর লেখাটি যখন প্রকাশিত হবে তখনও হয়তবা খুনাখোনির শিরোনামে ছাত্রলীগের নাম ওঠে আসবে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের একটি গৌরবোজ্জল সোনালি অতীত ছিল। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২-শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা ও ১১ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামেও ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিল সংগঠনটি। সত্যিকার অর্থে ছাত্রলীগের অধঃপতন শেখ মুজিবুর রহমানের আমল থেকেই যাত্রা শুরু করেছে। তাদের অপর্কমে বিরক্ত হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান সংসদে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ করে বলেছিলেন ছাত্রলীগ পচে গেছে গলে গেছে তাদের দিয়ে কিছু হবার নয়। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে যেখানে শেখ মুজিবুর রহমান সন্তুষ্ট হতে পারেননি সেখানে ছাত্রলীগকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতাদের সংগঠন থেকে আগাছা উপড়ে ফেলতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এর দুই দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বরিশালে সরকারি বিএম কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে গাছে বেঁধে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রশংসার দাবি রাখে। তবে ছাত্রলীগের চরিত্র বদলানো আগাছা বদলানোর চেয়ে জরুরী হয়ে পড়েছে।
দেশের সব প্রতিষ্ঠানেই সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের দলীয় কোন্দল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির ভাগাভাগি নিয়ে অস্থিরতা বেড়েই চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকেরাও শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। কোথাও যেন এতটুকু শিক্ষার পরিবেশ নেই যেখানে নিবিঘ্নে  দাঁড়িয়ে একজন শিক্ষার্থী বলতে পারে আমরা ভালো আছি। আওয়ামী সরকারের সোনার ছেলেরা এমন কোনো অপর্কম নেই যা তারা করে নাই। তাই তো সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছে ছাত্র লীগ মানেই ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, ছাত্র লীগ মানেই হত্যার রাজনীতি। সরকারের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ আজ ভয়ানক দানবে পরিণত হয়েছে। ছাত্র-লীগের টুঁটি চেপে এখনই যদি ধরা না যায় তাহলে সামনের দিনগুলোতে অস্থিরতা বাড়বে বৈ কমবে না। ছাত্র রাজনীতির গৌরবময় অধ্যায়ে কলংকের তিলক এই দেশে প্রথম ছাত্রলীগই লেপন করেছে। আওয়ামী-লীগ সরকারের আগের পাঁচ বছর আর এই দেড় বছরের শাসনামলে ছাত্রলীগের ইতিবাচক সংবাদ এজাতি দেখেছে বলে মনে হয় না। মুজিবের স্বপ্নের ছাত্রলীগ যখন দুঃস্বপ্নে চলে তখন তাদের কাছ থেকে হত্যা, খুন, টেন্ডারবাজি ব্যতীত আর কি আশা করা যেতে পারে?
সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪ সালের ২২ নবেম্বর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস। শাবিপ্রবিতে শুধু যে রক্তের দাগ তা কিন্তু নয়। দেশের সবকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কাছে জিম্মি। ড.জাফর ইকবাল নিজে আক্ষেপ করে বলেছেন- শিক্ষক হিসেবে আমার গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়া উচিত। এরাই আমাদের ছাত্র, এদের আমরা পড়াই। ড.জাফর ইকবাল স্বনামধন্য শিক্ষক। তাকে ছোট করা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। তারপরেও বিবেকের তাড়নায় কিছু সত্য বিষয়  জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। প্রশ্ন হলো আমাদের শিক্ষাঙ্গনে কেন এমন নিষ্ঠুরতার তা-বলীলা চলছে? প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার শিক্ষক বলে যারা দাবি করেন, তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন- পিতৃতুল্য শিক্ষকদের গায়ে ছাত্ররা কি  হাত তুলতে পারে?  কেমন শিক্ষা দিচ্ছেন? ছোটবেলা প্রবাদে পড়েছি- বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়। বৃক্ষের পরিচয় তার ফলের মধ্যে অন্তর্নিহিত রয়েছে। আম গাছ লাগিয়ে কোনো পাগলও কাঁঠাল প্রত্যাশা করে না। অথচ  একশ্রেণীর শিক্ষাবিদরা ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক শিক্ষা দেয়া তো দূরের কথা ইসলামের কথা শুনলেই তাদের গায়ে আগুন ধরে যায়। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা না শিখিয়ে তাদের কাছে সভ্যতা প্রত্যাশা করেন কেমন করে?
মেঘ বেশিক্ষণ সূর্যকে আড়াল করে রাখতে পারে না। সূর্য তার আপন মহিমায় ঠিক সময়েই ফিরে আসে। শত চেষ্টা করেও শাক দিয়ে মাছকে ঢেকে রাখা যায় না। সত্য একদিন অবশ্যই প্রকাশিত হবে। হয়তো সে সত্য কারো কাছে তিক্ত মনে হবে। কিন্তু সত্য যে প্রকাশিত হবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। অধ্যাপক জাফর ইকবাল মনে কষ্ট পেয়েছেন জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা করার কারণে। তাহলে তিনি কি চেয়েছিলেন অন্য কোন ব্যানারে স্লোগান হোক। যাতে করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা যায়। গত বছর সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আগুন দেয়া হয়নি? কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দেয়ার সময়  জয় বাংলা স্লোগান দেয়া হয়নি? একই স্লোগান দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভিসিকে পিটিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়নি? তখন কোথায় ছিলেন ড.জাফর ইকবাল? তখন কোথায় ছিল মানবতাবোধ? এদেশের একজন জননন্দিত মাওলানাকে একজন ভিসি কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিলেন। দিন কয়েক এর ব্যবধানে সেই ভিসিকে তারই একজন শিক্ষক কুত্তার বাচ্চা বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আজ আমার কাল তোমার। সুতরাং প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিবেকবান মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি।
আওয়ামী-লীগ ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন করে ক্ষমতার মসনদ চর দখলের মতো  দখল করে নিয়েছে। এদেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলেই ছাত্রলীগের রশি টেনে ধরতে পারছে না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমরা সবাই। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানের হত্যা, খুন, অপহরণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তার সাথে নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে ছাত্রলীগের সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনের নৈরাজ্যতা। এদের মধ্যে যে এখন আদর্শের ছিটেফোঁটাও নেই তা বুঝার জন্য শেখ মুজিব হওয়ার প্রয়োজন নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের শিক্ষক পেটানোর ঘটনাই যথেষ্ট। তাদের নারকীয় হামলায় এটা স্পষ্ট যে, ছাত্রলীগের কর্মীরা মুখে যতই জয় বাংলা বা জয় বঙ্গবন্ধু বলুক না কেন, বাস্তবে তারা কোনো আদশর্ই ধারণ করে না। এ ধরনের অঙ্গসংগঠন টিকিয়ে রাখবেন কি-না তা আওয়ামী সরকারের ভেবে দেখা উচিত।
মোঃ তোফাজ্জল বিন আমীন

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads