বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা


হঠাৎ করেই যেন আমরা ডুবে গেলাম। না, এটা কোনো নৌকাডুবির ঘটনা নয়। কাক্সিক্ষত বৃষ্টি নামলো, এতেই ডুবে গেল রাজধানী ঢাকা। মাত্র দেড় ঘণ্টার ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক। ফলে থমকে যায় রাজধানীর জনজীবন। সেপ্টেম্বরের প্রথমদিনেই জলজটের সঙ্গে যোগ হয় অসহনীয় যানজট। কোনো কোনো সড়কে কোমর সমান পানি জমায় যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকে রাস্তায়। ছাত্র-ছাত্রী, অফিসগামী লোকজন তথা নাগরিকরা পতিত হয় এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই নয়, চট্টগ্রাম এবং সিলেটসহ অন্যান্য নগরীতেও ভারী বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। বৃষ্টি তো আমাদের কাক্সিক্ষত বিষয়, কিন্তু এই বৃষ্টির কারণে আমরা ডুবে যাব, দুর্ভোগে পতিত হব- এমন বাস্তবতা তো মেনে নেয়া যায় না। প্রকৃতির কাক্সিক্ষত বর্ষণকে আমরা যদি উপভোগ করতে না পারি, উপকৃত হতে না পারি, তাহলে আমাদের সরকার, প্রশাসন কিংবা সিটি করপোরেশন রয়েছে কী জন্য?
নগর-পরিকল্পনাবিদরা, স্থপতিরা জলজটের এই দুর্ভোগকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তারা বলছেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা ও জলজটের সংকট একদিনে তৈরি হয়নি। বিভিন্ন মহলের দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির কারণে দিনে দিনে এই সংকটের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখন কাক্সিক্ষত বৃষ্টিপাতে আমরা ডুবে যাচ্ছি, অচল হয়ে পড়ছি। এজন্য তারা রাজধানীর চারপাশের নদী-নালা ও খালগুলোর যতœ নিতে বলেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে কো-অর্ডিনেশন সেল করার কথা বলছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এজন্য যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও নৈতিক মেরুদ- প্রয়োজন, তা আমাদের আছে কি? বিপরীত চিত্রইতো আমরা সর্বত্র লক্ষ্য করছি।
শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার খবরটি দেশের পত্র-পত্রিকায় গুরুত্বের সাথে মুদ্রিত হয়েছে। মানবজমিন-এর ৩১ আগস্ট সংখ্যায় মুদ্রিত খবরটিতে বলা হয়: ভিসির পক্ষ নিয়ে শাবিতে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছত্রলীগ। একই সঙ্গে দফায় দফায় লাঞ্ছিত করা হয়েছে সাংবাদিকদের। ছাত্রলীগের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। দুপুরে তারা বৈঠক করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য যে, গত কয়েক মাস ধরে সরকার সমর্থক শিক্ষকদের একাংশ ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছেন। শিক্ষকদের এই আন্দোলনের মুখে সিন্ডিকেট সভা, একাডেমিক কাউন্সিলের সভাসহ কোনো ধরনের নীতি-নির্ধারণী সভা করতে পারেননি ভিসি। এমন অবস্থায় ৩০ আগস্ট সভা ডাকেন ভিসি অধ্যাপক আমিনুল হক ভূঁইয়া। আর এই সভা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। আর এমন মুখোমুখি পরিস্থিতিতে ভিসি’র পক্ষ নিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
শাবিতে শিক্ষকদের ওপর ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেছেন, “যে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্লোগানের এত বড় অপমান আমি আমার জীবনে দেখিনি।” ক্ষুব্ধ জাফর ইকবাল আরো বলেন, “এখানে যে ছাত্ররা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তারা আমার ছাত্র হয়ে থাকলে আমার গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়া উচিত।” জনপ্রিয় এ লেখক আরো জানান, ‘তিনি সরাসরি শিক্ষকদের আন্দোলনে অংশ না নিলেও, আন্দোলনকারীদের প্রতি তার মায়া, ভালবাসা আছে। তারা যে আন্দোলন করছেন আমি তা ১০০ ভাগ সমর্থন করি। এ ভিসি যোগদানের দু’মাসের পর আমি তার সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি উনি মিথ্যা কথা বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলেন, তার সঙ্গে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যে পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভিসি’র সাথে কাজ করতে রাজি নন, তার পদত্যাগই এখন তাদের কাম্য। এদিকে ভিসি মহোদয় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ করে শিক্ষকদের পেটালেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন পরিস্থিতি এক সময় অকল্পনীয় ছিল। আসলে ভ্রষ্ট রাজনীতি ধীরে ধীরে সব কিছুই গ্রাস করতে চাইছে। আদর্শ ও নীতিবর্জিত রাজনীতি এবং অন্ধ দলীয়করণ ও কোটারি স্বার্থ আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে এখন অকেজো করে ফেলছে। এক্ষেত্রে সরকার ও সশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনেক কিছু করার আছে। কিন্তু সঙ্গত পদক্ষেপ গ্রহণের উদাহরণ তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এরই পরিণতিতে জাতি শাবিতে লক্ষ্য করলো এক কলঙ্কজনক ঘটনা। আমাদের সরকার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই কলঙ্ক মোচনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসে কিনা- সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে কলঙ্ক মোচনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব কিংবা সরকারের কাক্সিক্ষত ভূমিকা তেমন লক্ষ্য করা যায় না। বরং এক্ষেত্রে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ রক্ষা এবং ব্লেমগেমের প্রবণতাই প্রকট হয়ে ওঠে। এ কারণেই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটে যাচ্ছে। বিধিবিধান ও আইনের প্রয়োগ তথা সুশাসনের অভাবে অপরাধীরা উপলব্ধি করেছে যে, দলীয় সমর্থন ও অর্থবল থাকলে অপরাধ করেও সহজে পার পাওয়া যায়। অবাক ব্যাপার  হলো, এ জাতীয় নি¤œকৃষ্টির লোকজন রাজনৈতিক দলের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান পায় কেমন করে? আসলে রাজনীতি এখন রাজনীতির কাক্সিক্ষত জায়গায় নেই। ক্ষমতালিপ্সার কারণে রাজনীতি এখন দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়ে গেছে। ফলে গুম-খুনও এখন রাজনীতির বিষয় হয়ে উঠেছে।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের অবিলম্বে খুঁজে বের করার জন্য বৈশ্বিক নীতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। সময় নষ্ট না করে এখনই তা করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। এক্ষেত্রে গুম হওয়া ব্যক্তির স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী, আইন সহায়তাকারী ও অনুসন্ধানে জড়িতদের নিরাপত্তা দিতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ডে অব দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্স (আন্তর্জাতিক গুম দিবস) উপলক্ষে ৩০ আগস্ট এমন আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দু’টি গ্রুপ। উল্লেখ্য যে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গুমের ঘনা ঘটে, এশিয়ায়। এ বিষয়ে জাতিসংঘে রিপোর্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের নামও রয়েছে।
যে পরিবারের সদস্যকে গুম করা হয়, তারা জানেন নিষ্ঠুর ও অমানবিক এই কাজের বেদনা কত গভীর ও মর্মান্তিক। একজনের গুমের ঘটনায় একটি পরিবার অচল হয়ে পড়ে এবং তাদের জীবন থেকে শান্তি বিদায় নিয়ে আতঙ্ক ভর করে থাকে। বাংলাদেশেও আমরা দেখেছি রাজনৈতিক কারণে এবং সম্পত্তির লোভ ও ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে গুমের বহু নিষ্ঠুর ঘটনা। এদিকে গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে খসড়া চুক্তি করাসহ পদ্ধতিগতভাবে সব রকম ব্যবস্থা নিতে সরকারসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস ও দ্য ওয়ার্কিং গ্রুপ অব এনফোর্সড অব ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপারেন্সেস। জেনেভা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত দু’বছরে সারা বিশ্বে মোট ২৪৬টি গুমের ঘটনা নিয়ে তারা কাজ করেছেন। পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় যে, এই বর্বরোচিত কর্মকা-ের চর্চা অনেকগুলো দেশেই চলছে। হাজার হাজার এ রকম ঘটনার মধ্যে এ সংখ্যা সামান্যই। বাকি ঘটনাগুলোর কথা প্রতিশোধ ও নিরাপত্তাভীতির কারণে রিপোর্ট করা হয়নি। গুমের এ রকম অনেক ঘটনা জাতিসংঘের কাছেও রিপোর্ট করা হয়নি।
আমরা জানি যে, কোনো সভ্য দেশে গুমের ঘটনা চলতে পারে না। তারপরও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে গুমের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘ তো গুম হওয়া ব্যক্তিদের অবিলম্বে খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছে, সরকারসমূহকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশের জাতিসংঘের আহ্বানের বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পূর্ব নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্তৃৃপক্ষ। মানবজমিন-এ প্রকাশিত খবরটিতে বলা হয়, ৩০ আগস্ট প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল। গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার, আফাদ, এএলআরসি, এফআইডিএইচ ও অধিকার যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল। অধিকার টিম ও ভিকটিম পরিবারগুলো জানিয়েছে, পূর্ব-নির্ধারিত ওই অনুষ্ঠানে গুমের শিকার পরিবারগুলোর সাক্ষ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কথা ছিল। এ অনুষ্ঠান করার জন্য গত ১১ জুলাই প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়াম বুকিং দেয়া হয়েছিল এবং হল ভাড়াও পরিশোধ করা হয়েছিল। ২৯ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অধিকারে ফোন করে প্রেস ক্লাবের এক কর্মচারী জানান যে, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের নির্দেশে অডিটোরিয়ামের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। এর আগে দুপুরে গুমের শিকার ব্যক্তিদের কয়েকটি পরিবারকে বিভিন্ন অজ্ঞাত স্থান থেকে ফোন করে উল্লেখিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। এছাড়া শনিবার বিকালে সাদা পোশাকধারী লোক অধিকার অফিসের মূল গেটে এসে সংগঠনের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের অবস্থান জানতে চায়। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, গুমের শিকার পরিবারগুলো তাদের মর্মবেদনার কথা দেশের মানুষ কিংবা সরকারকে জানাতে পারলো না। বাংলাদেশের মত একটি গণতান্ত্রিক দেশে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালন করতে পারলো না দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এর চাইতে দুঃখের বিষয় আর কী হতে পারে? বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি কেমন করে সৃষ্টি হলো? আমরা তো এ কথা জানি যে, সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেস ক্লাব সবসময় সাধারণ মানুষের পক্ষে এবং স্বাধীন মত প্রকাশের পক্ষে সাহসী ভূমিকা পালন করে এসেছে। কিন্তু এবার এমন কি হয়েছে যে, গুমের শিকার পরিবারগুলোর অনুষ্ঠান বাতিল করে দিল প্রেস ক্লাব? এমন ঘটনায় জাতির সামনে মাথা হেট হয়ে গেছে সাংবাদিক সমাজের। অনেকে বলছেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের বর্তমান কর্তৃপক্ষ তো প্রেস ক্লাবের সদস্যদের ভোটে বৈধভাবে নির্বাচিত কোনো কর্তৃপক্ষ নয়। তাই এমন কর্তৃৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্তের দায় সাংবাদিক সমাজ নিতে পারে না। যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ দায় শুধু তাদের ওপরই বর্তাবে। দেশের নাগরিকরাও হয়তো বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। আমাদের রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠানের আজ যে দুর্দশা, তা একদিনে হয়নি। দিনের পর দিন আমরা আদর্শহীনতার পথে চলেছি, অনৈতিক কর্মকা-কে প্রশ্রয় দিয়েছি। প্রতিষ্ঠানের কাছে, বিবেকের কাছে, স্রষ্টার কাছে জবাবদিহিতার চেতনা হারিয়ে ফেলেছি। এমন এক অমানবিক ও অনৈতিক বাতাবরণে মানুষের জীবন ও সমাজ যে অধঃপতনে যাওয়ার কথা, এখন আমরা তাই প্রত্যক্ষ করছি। দিনে দিনে আমাদের দেনা অনেক বেড়ে গেছে। সেই দেনা পরিশোধের পথ দেখাবার মত কেউ আছেন কি?

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads