বিএনপির চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকারকে হতে হবে নিরপেক্ষ। গত ২৫ জুলাই এক অনুষ্ঠানে কথাটার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি আরো বলেছেন, ওই সরকারের নাম তত্ত্বাবধায়কই হবে তা নয়। নাম যা-ই হোক না কেন, আমরা এমন একটি সরকার চাই, যে সরকার জাতিকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। সরকারের নামের ব্যাপারে আপত্তি নেই জানিয়ে বেগম জিয়া বলেছেন, তবে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন যে সম্ভব নয় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে। এজন্যই আমরা নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছি। সরকারের উদ্দেশে তিনি হুশিয়ারিও উচ্চারণ করেছেন। বলেছেন, র্যাব-পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। তেমন চেষ্টা করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। আমরা তা চাই না। তাই সরকারকে বলবো, শুভবুদ্ধির পরিচয় দেয়ার জন্য এখনো সময় আছে। নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, ২০০৮ সালে মইন-ফখরুদ্দিনদের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায় এবং সে কারণেই দলটি সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
জাতীয় জীবনের অন্য কিছু প্রসঙ্গেও বলেছেন বেগম খালেদা জিয়া, কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তার নির্বাচনকালীন সরকার সংক্রান্ত প্রস্তাব ও বক্তব্য। কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, বেগম জিয়ার বক্তব্যের সবটুকু না শুনেই কিংবা অর্থ না বুঝেই ক্ষমতাসীনরা তার দাবি ও প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। ১৪ দলীয় আওয়ামী জোট তো বটেই, সরকার সমর্থক নাম সর্বস্ব ১০টি দলের জোটও একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। শুধু তা-ই নয়, তারা এর মধ্যে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ‘পরাজয়’ও আবিষ্কার করে বসেছে! এক ধাপ এগিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রী বলেছেন, সরকার পতনের আন্দোলনে লজ্জাকর ব্যর্থতার পর এতদিনে খালেদা জিয়া নাকি ‘পথে’ এসেছেন! আর পথে যখন এসেছেনই তখন তার উচিত হবে নির্বাচনের জন্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা। কারণ জানাতে গিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে তারা আরো বলেছেন, দেশে কোনো আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। আমরা কিন্তু ক্ষমতাসীনদের এ ধরনের ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়াকে সমর্থনযোগ্য এবং গণতন্ত্রের জন্য শুভ মনে করি না। আমাদের মতে, প্রাধান্যে আনা উচিত বরং বেগম জিয়ার উদ্দেশ্যের দিকটিকে। পর্যালোচনায় দেখা যাবে, তিনি আসলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করারই দাবি জানিয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, নির্বাচনকালীন সরকারের নাম প্রসঙ্গে তিনি যথেষ্ট ছাড় দিয়েছেন। বলেছেন, নাম যা-ই হোক না কেন, ওই সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হবে। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম নয়, এরও আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরেও তিনি সরকারের নামের আগে তত্ত্বাবধায়ক না রাখার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছিলেন। সেবার উপস্থাপিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখায় বেগম জিয়া বলেছিলেন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টার মধ্য থেকে সরকারি দল পাঁচজনের এবং বিরোধী দল পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করবে। আর প্রধান উপদেষ্টা করা হবে সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য সম্মানিত একজন নাগরিককে। শুধু রূপরেখা পেশ করেই থেমে যাননি বেগম খালেদা জিয়া। সদিচ্ছার প্রমাণ দিয়ে পরদিনই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। সংসদেও তার সে রূপরেখা পেশ করা হয়েছিল। জাতীয় ঐক্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বেগম জিয়া সেবার বলেছিলেন, দেশ ও জনগণকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রথমে দরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা এগিয়েছিলেন নিজেদের ছক অনুযায়ী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারা এমন একটি নির্বাচন করেছেন যা পৃথিবীর কোনো দেশের মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারও আগে জনগণের পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে তারা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই ‘সর্বদলীয়’ নামের এক বিচিত্র সরকার গঠন করেছিলেন। কিন্তু এত কিছুতেও কোনো লাভ হয়নি, দেশের রাজনৈতিক সংকট ক্রমাগত বরং আরো ভয়ংকর হয়েছে।
এমন এক অবস্থার মধ্যে ছাড় দিয়েছেন বলেই আমরা বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ প্রস্তাবকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় মনে করি। কারণ, মূলকথায় এবারও তিনি সমঝোতামুখী মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। আমরা আশা করতে চাই, বেগম জিয়ার এই গণতন্ত্রসম্মত প্রস্তাবটির যথোচিত মূল্যায়ন করা হবে এবং না বুঝে-শুনে নাকচ করার পরিবর্তে এর ভিত্তিতেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে ক্ষমতাসীনরা পদক্ষেপ নেবেন। বেগম খালেদা জিয়ার মতো আমরাও মনে করি, শুভবুদ্ধির পরিচয় দেয়ার জন্য এখনো সময় আছে।
জাতীয় জীবনের অন্য কিছু প্রসঙ্গেও বলেছেন বেগম খালেদা জিয়া, কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তার নির্বাচনকালীন সরকার সংক্রান্ত প্রস্তাব ও বক্তব্য। কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, বেগম জিয়ার বক্তব্যের সবটুকু না শুনেই কিংবা অর্থ না বুঝেই ক্ষমতাসীনরা তার দাবি ও প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। ১৪ দলীয় আওয়ামী জোট তো বটেই, সরকার সমর্থক নাম সর্বস্ব ১০টি দলের জোটও একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। শুধু তা-ই নয়, তারা এর মধ্যে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ‘পরাজয়’ও আবিষ্কার করে বসেছে! এক ধাপ এগিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রী বলেছেন, সরকার পতনের আন্দোলনে লজ্জাকর ব্যর্থতার পর এতদিনে খালেদা জিয়া নাকি ‘পথে’ এসেছেন! আর পথে যখন এসেছেনই তখন তার উচিত হবে নির্বাচনের জন্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা। কারণ জানাতে গিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে তারা আরো বলেছেন, দেশে কোনো আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। আমরা কিন্তু ক্ষমতাসীনদের এ ধরনের ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়াকে সমর্থনযোগ্য এবং গণতন্ত্রের জন্য শুভ মনে করি না। আমাদের মতে, প্রাধান্যে আনা উচিত বরং বেগম জিয়ার উদ্দেশ্যের দিকটিকে। পর্যালোচনায় দেখা যাবে, তিনি আসলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করারই দাবি জানিয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, নির্বাচনকালীন সরকারের নাম প্রসঙ্গে তিনি যথেষ্ট ছাড় দিয়েছেন। বলেছেন, নাম যা-ই হোক না কেন, ওই সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হবে। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম নয়, এরও আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরেও তিনি সরকারের নামের আগে তত্ত্বাবধায়ক না রাখার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছিলেন। সেবার উপস্থাপিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখায় বেগম জিয়া বলেছিলেন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টার মধ্য থেকে সরকারি দল পাঁচজনের এবং বিরোধী দল পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করবে। আর প্রধান উপদেষ্টা করা হবে সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য সম্মানিত একজন নাগরিককে। শুধু রূপরেখা পেশ করেই থেমে যাননি বেগম খালেদা জিয়া। সদিচ্ছার প্রমাণ দিয়ে পরদিনই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। সংসদেও তার সে রূপরেখা পেশ করা হয়েছিল। জাতীয় ঐক্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বেগম জিয়া সেবার বলেছিলেন, দেশ ও জনগণকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রথমে দরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা এগিয়েছিলেন নিজেদের ছক অনুযায়ী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারা এমন একটি নির্বাচন করেছেন যা পৃথিবীর কোনো দেশের মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারও আগে জনগণের পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে তারা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই ‘সর্বদলীয়’ নামের এক বিচিত্র সরকার গঠন করেছিলেন। কিন্তু এত কিছুতেও কোনো লাভ হয়নি, দেশের রাজনৈতিক সংকট ক্রমাগত বরং আরো ভয়ংকর হয়েছে।
এমন এক অবস্থার মধ্যে ছাড় দিয়েছেন বলেই আমরা বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ প্রস্তাবকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় মনে করি। কারণ, মূলকথায় এবারও তিনি সমঝোতামুখী মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। আমরা আশা করতে চাই, বেগম জিয়ার এই গণতন্ত্রসম্মত প্রস্তাবটির যথোচিত মূল্যায়ন করা হবে এবং না বুঝে-শুনে নাকচ করার পরিবর্তে এর ভিত্তিতেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে ক্ষমতাসীনরা পদক্ষেপ নেবেন। বেগম খালেদা জিয়ার মতো আমরাও মনে করি, শুভবুদ্ধির পরিচয় দেয়ার জন্য এখনো সময় আছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন