মাগুরা শহরে দোয়ারপাড় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলীবিদ্ধ আবদুল মোমিন (৬২) শনিবার মধ্যরাতে মাগুরার সদর হাসপাতালে মারা গেছেন। ডা. শফিউর রহমান জানান, শুক্রবার রাতে আবদুল মোমিনের অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে রাত ২টার পর তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের দোয়ারপাড়ের যুবলীগ কর্মী আজিবর ও মোহাম্মদ আলী গ্রুপের সঙ্গে অপর যুবলীগ কর্মী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ভূঁইয়ার গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপ গুলী ছুঁড়লে কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম, চাচা আবদুল মোমিন ভূঁইয়া ও প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন গুলীবিদ্ধ হন। আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার রাতে আবদুল মোমিনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে নাজমা বেগমকে ঐ রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। মায়ের পাশাপাশি নবজাতকেরও ঘাড় ও চোখে গুলী লেগেছে। শিশুটির বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী শনিবার দুপুরে শহরে মিছিল শেষে চৌরঙ্গি মোড়ে মানববন্ধন করে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসমূলক ঘটনা জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। ছাত্রলীগের সদস্যরাই তো একসময় যুবলীগ করে এবং অবশেষে যুবলীগের সদস্যরাই যোগ দেয় আওয়ামী লীগে। এই যে চেইন তা একটি সংগঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি আওয়ামী লীগের মত একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দলের নেতা-নেত্রীরা বেশ ভালই বোঝেন। তাই ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগের সদস্যরা যখন সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে তখন তারা শুধু বিব্রতই হন না, শঙ্কিতও হয়ে পড়েন। এ কারণে মাঝে মাঝে ছাত্রলীগ ও যুবলীগে বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটে থাকে। সাম্প্রতিককালে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী ও সন্ত্রাসী ঘটনার মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনটির সাথে সম্পর্ক ছিন্নও করেছিলেন। এভাবে নানা হুমকি ও চাপের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন হলো, ছাত্রলীগ কি ঐতিহ্যের ধারায় ফিরে এসে শৃঙ্খলায় সমুন্নত হতে পেরেছে? প্রশ্নটির বাস্তবতা এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
আমরা মনে করি, ছাত্রলীগসহ দেশের সব ছাত্র সংগঠনই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছাত্র সংগঠনগুলো নিজ নিজ গঠনতন্ত্র মেনে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হলে তা শুধু ছাত্র সমাজের জন্যই নয়, দেশের জন্যও কল্যাণকর হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, দেশের ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ক্ষেত্রেই যেন ঐতিহ্যের ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধিতেও আছে। এ কারণেই হয়তো ২৫ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয়। তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালীর প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে জড়িত। আমি এটুকুই চাইবো, ছাত্রলীগ যেন সব সময় একটা আদর্শ নিয়ে চলে। কারণ, আদর্শহীন সংগঠন ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করতে পারে, জাতির স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে না। আমাদের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। কারণ এখন আদর্শনিষ্ঠ সংগঠন ও আদর্শবান নেতা-নেত্রীর সংকট খুবই প্রকট। এর অভাবে আমাদের সমাজে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানাবিধ সংকট চলছে। কথা ও কাজে মিল না থাকার কারণে জনমনেও হতাশার মাত্রা বাড়ছে। তাই আমরা মনে করি, শুধু ছাত্র সংগঠনই নয়, রাজনৈতিক সংগঠনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও যদি আদর্শনিষ্ঠ হয়ে যৌক্তিক ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসে তাহলে জনমনে আবার নতুন করে আশার সঞ্চার হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসমূলক ঘটনা জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। ছাত্রলীগের সদস্যরাই তো একসময় যুবলীগ করে এবং অবশেষে যুবলীগের সদস্যরাই যোগ দেয় আওয়ামী লীগে। এই যে চেইন তা একটি সংগঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি আওয়ামী লীগের মত একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দলের নেতা-নেত্রীরা বেশ ভালই বোঝেন। তাই ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগের সদস্যরা যখন সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে তখন তারা শুধু বিব্রতই হন না, শঙ্কিতও হয়ে পড়েন। এ কারণে মাঝে মাঝে ছাত্রলীগ ও যুবলীগে বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটে থাকে। সাম্প্রতিককালে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী ও সন্ত্রাসী ঘটনার মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনটির সাথে সম্পর্ক ছিন্নও করেছিলেন। এভাবে নানা হুমকি ও চাপের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন হলো, ছাত্রলীগ কি ঐতিহ্যের ধারায় ফিরে এসে শৃঙ্খলায় সমুন্নত হতে পেরেছে? প্রশ্নটির বাস্তবতা এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
আমরা মনে করি, ছাত্রলীগসহ দেশের সব ছাত্র সংগঠনই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছাত্র সংগঠনগুলো নিজ নিজ গঠনতন্ত্র মেনে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হলে তা শুধু ছাত্র সমাজের জন্যই নয়, দেশের জন্যও কল্যাণকর হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, দেশের ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ক্ষেত্রেই যেন ঐতিহ্যের ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধিতেও আছে। এ কারণেই হয়তো ২৫ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয়। তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালীর প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে জড়িত। আমি এটুকুই চাইবো, ছাত্রলীগ যেন সব সময় একটা আদর্শ নিয়ে চলে। কারণ, আদর্শহীন সংগঠন ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করতে পারে, জাতির স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে না। আমাদের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। কারণ এখন আদর্শনিষ্ঠ সংগঠন ও আদর্শবান নেতা-নেত্রীর সংকট খুবই প্রকট। এর অভাবে আমাদের সমাজে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানাবিধ সংকট চলছে। কথা ও কাজে মিল না থাকার কারণে জনমনেও হতাশার মাত্রা বাড়ছে। তাই আমরা মনে করি, শুধু ছাত্র সংগঠনই নয়, রাজনৈতিক সংগঠনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও যদি আদর্শনিষ্ঠ হয়ে যৌক্তিক ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসে তাহলে জনমনে আবার নতুন করে আশার সঞ্চার হতে পারে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন