সিটি নির্বাচন ও আচরণ প্রসঙ্গ
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পর জনগণ কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। ভেবেছিল, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে হয়তো গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ মানেই স্থিতিশীল সমাজ। দরিদ্র এই দেশটির মানুষ স্থিতিশীল অবস্থায় পরিশ্রম করে, আয়-উন্নতি করে বেঁচে থাকতে চায়। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে জনগণের আশাবাদ ততই ফিকে হয়ে উঠছে। কারণ অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে নানা আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ২৫ এপ্রিল তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় মুদ্রিত প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে অস্থির রাজনীতিতে স্বস্তি ফিরে আসার একটা লক্ষণ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ১৮ মার্চ নির্বাচনের তফসিলের পর থেকে ইসির বিতর্কিত ভূমিকা, খালেদা জিয়ার উপর তিন দফা হামলা, কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন, রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্যসহ বিভিন্ন কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।
সরকার ও প্রশাসনের কোনো কোনো কর্মকান্ড শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মৌলিক অধিকারকেও উপহাস করেছে। উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে নামায পড়তে মসজিদে ঢুকতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। মানব জমিন পত্রিকায় ২৫ এপ্রিল মুদ্রিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শুক্রবার তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো এলাকায় রহিমা মেটাল জামে মসজিদে গণসংযোগ শেষে জুমার নামায পড়তে যান তাবিথ আউয়াল। আগের দিন তার গণসংযোগের সিডিউলেও বিষয়টির উল্লেখ ছিল। কিন্তু মসজিদের গেটে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাবিথ আউয়ালকে বাধা দেন। পুলিশ সদস্যরা বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই মসজিদে নামায পড়বেন, তাই তিনি এই মসজিদে ঢুকতে পারবেন না। বাধা পেয়ে তাবিথ আউয়াল নাখালপাড়া রেলগেট জামে মসজিদে নামায পড়েন। এমন ঘটনায় প্রশ্ন জাগে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে মসজিদে নামায পড়বেন সেই মসজিদে একজন মেয়র প্রার্থী নামায পড়তে পারবেন না-এমন বিধান কোথায় আছে? এমন উদাহরণ থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, স্বচ্ছ নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ও ধর্মীয় অধিকার এখন আর নিরাপদ নেই। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এবং সরকারি ঘরানার লোকজন এখন যেন আইনের ঊর্ধ্বে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের কাছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন ভোট চাইলেন। গত শুক্রবার জুমা নামায শেষে মোনাজাতের আগে ভোট চেয়ে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এমন বাস্তবতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করা যায় কী? আর নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও অবাধ না হয় তাহলে রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তি ফিরে আসবে কেমন করে? তাহলে কি আবার হরতাল-অবরোধ এবং দমন-অবদমন ও গুম-গুলীর দৌরাত্ম্য ফিরে আসবে? জনগণ তো এমন পরিস্থিতি চায় না। কর্তাব্যক্তিরা কি বিষয়টি উপলব্ধি করবেন?
সরকার ও প্রশাসনের কোনো কোনো কর্মকান্ড শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মৌলিক অধিকারকেও উপহাস করেছে। উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে নামায পড়তে মসজিদে ঢুকতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। মানব জমিন পত্রিকায় ২৫ এপ্রিল মুদ্রিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শুক্রবার তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো এলাকায় রহিমা মেটাল জামে মসজিদে গণসংযোগ শেষে জুমার নামায পড়তে যান তাবিথ আউয়াল। আগের দিন তার গণসংযোগের সিডিউলেও বিষয়টির উল্লেখ ছিল। কিন্তু মসজিদের গেটে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাবিথ আউয়ালকে বাধা দেন। পুলিশ সদস্যরা বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই মসজিদে নামায পড়বেন, তাই তিনি এই মসজিদে ঢুকতে পারবেন না। বাধা পেয়ে তাবিথ আউয়াল নাখালপাড়া রেলগেট জামে মসজিদে নামায পড়েন। এমন ঘটনায় প্রশ্ন জাগে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে মসজিদে নামায পড়বেন সেই মসজিদে একজন মেয়র প্রার্থী নামায পড়তে পারবেন না-এমন বিধান কোথায় আছে? এমন উদাহরণ থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, স্বচ্ছ নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ও ধর্মীয় অধিকার এখন আর নিরাপদ নেই। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এবং সরকারি ঘরানার লোকজন এখন যেন আইনের ঊর্ধ্বে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের কাছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন ভোট চাইলেন। গত শুক্রবার জুমা নামায শেষে মোনাজাতের আগে ভোট চেয়ে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এমন বাস্তবতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করা যায় কী? আর নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও অবাধ না হয় তাহলে রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তি ফিরে আসবে কেমন করে? তাহলে কি আবার হরতাল-অবরোধ এবং দমন-অবদমন ও গুম-গুলীর দৌরাত্ম্য ফিরে আসবে? জনগণ তো এমন পরিস্থিতি চায় না। কর্তাব্যক্তিরা কি বিষয়টি উপলব্ধি করবেন?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন