বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০১৫

গোয়েবলসীয় সভ্যতায় এখন আমাদের বসবাস


গোয়েবলস-এর মত লোকদের অভাব কখনো পৃথিবীতে ছিল না। এখনো নেই। এরা মিথ্যাকে সত্যের মত প্রচার করে থাকে। নিজের দোষ কৌশলে অপরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। এদের কারণে এই পৃথিবীতে সহজ-সরল লোকদের জীবন-যাপন কঠিন হয়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে গোয়েবলস প্রজাতির লোকদের আধিক্য লক্ষ্য করার মতো। ফলে ভদ্রলোকেরা এখন আর রাজনীতিতে আসতে চান না। তবে আদর্শিক ও নৈতিক দিক থেকে যারা বলিষ্ঠ, তারা চ্যালেঞ্জগ্রহণ করেই রাজনীতিতে আসছেন- কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, তারা কাক্সিক্ষত ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পরিম-লে যে এখন গোয়েবলসদের দৌরাত্ম্য চলছে। বলা যেতে পারে, গোয়েবলসীয় সভ্যতায় এখন আমাদের বসবাস।
এই পৃথিবীতে মানুষের সমাজ একরকম নয়। ধর্ম-দর্শন তথা জীবন-দর্শনের কারণে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। তবে গোয়েবলস-প্রজাতির মানুষের কারণে এই বৈচিত্র্য কখনো কখনো মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব সংঘাত ও হিংসাবিদ্বেষের রূপ পরিগ্রহ করে। সমাজে এর দায়-দায়িত্ব কেউ স্বীকার করতে চায় না। তবে কি ভিনগ্রহ থেকে এলিয়ানরা এসে ওই সব কর্মকা- করে যায়? ক্ষমতাসীনদের প্রভাব যে কোন সমাজেই লক্ষ্য করা যায়। আর সমাজে সংঘটিত ভাল-মন্দের দায়-দায়িত্ব ক্ষমতাসীন তথা সরকারের ওপর বিশেষভাবে বর্তায়। এ কারণে সরকারি ঘরনার লোকজন সব সময় ভাল ভাল কথা বলেন। কোন মন্দ কর্মের দায় তারা নিতে চান না। নিজেরা কোন মন্দ কাজ করলেও তার দায় এড়াতে রীতিমত গোয়েবলস-এর ভূমিকায় নেমে পড়েন। বিরোধী ঘরানার চতুর নেতারাও এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এমন বাস্তবতা লক্ষ্য করা যায়। সরকারি ঘরানার লোকজন সংখ্যালঘু নিপীড়নসহ হিংসাত্মক কাজের দায় ঢালাওভাবে চাপিয়ে দেন বিরোধী দলের ওপর। আসল চিত্র কি তা-ই?
বরগুনার তালতলী উপজেলার চন্দনতলা গ্রামের ১৪টি হিন্দু পরিবারকে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যুবলীগের এক নেতা ও তার বড় ভাই সন্ত্রাসীদের দিয়ে এসব করিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ মার্চ প্রথম আলো পত্রিকায় মুদ্রিত খবরে আরো বলা হয়Ñ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালের শুরুতে সুমন্ত সরকার, রণজিৎ সরকার ও শ্যামল সরকার ভিটা ছেড়ে বরগুনা শহরে আশ্রয় নেন। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে জিতেন সরকার ও বাবুল রায়ের পরিবার ভিটা ছাড়া হয়। গত ১২ মার্চ গ্রামের অন্য ৯ জনের পরিবারও এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরমধ্যে ৭টি পরিবার বরগুনা শহরে ও দুটি পরিবার তালতলীর ছোটবগীর আবাসন প্রকল্পে আশ্রয় নিয়েছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ১২ মার্চ রাতে ৯টি পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে যাওয়ার পর ১৩ মার্চ সকালে আব্দুর রশিদ, যুবলীগের নেতা জাকির হোসেন সরদার ও তার ভাই আব্দুস সালামের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল পরিবারগুলোর বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয় এবং সব মালামাল লুট করে। সন্ত্রাসীরা বাড়ির বড় বড় গাছও কেটে নিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বরগুনা জেলার যুবলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দানকারী জাকির হোসেন ও আব্দুস সালাম এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুর রশিদ ও তার বাহিনীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব হিন্দু পরিবারের সদস্যদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান যুবরাজ প্রথম আলোকে বলেন, জাকির হোসেন আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও জেলা যুবলীগ কমিটির কেউ নন। এদিকে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম পাটোয়ারী বলেন, ‘জাকির সরদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন সন্ত্রাসী। জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। ওই নেতাদের সম্মানার্থেই জাকিরকে সদস্য পদ দিয়েছিলাম।’ ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার মূলহোতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এর পেছনে আরো কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। পুলিশ সুপার আরো বলেন, হিন্দু পরিবারগুলোকে তাদের নিজ ভিটায় ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হিন্দু পরিবারগুলোকে তাদের নিজ ভিটায় ফেরত আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন পুলিশ সুপার। নিজ ভিটায় বসবাসের অধিকার তো নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। কেউই ‘নাগরিকদের এই মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে না। কিন্তু বরগুনার চন্দনতলা গ্রামের ১৪টি হিন্দু পরিবারের সেই মৌলিক অধিকার রক্ষিত হয়নি। তাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর তাতে নেতৃত্ব দিয়েছে সরকারি ঘরানার লোকজন। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, হিন্দু পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করার আগে দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সেখানে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এবং পুলিশ ও প্রশাসন থাকার পরও এমন জুলুম নির্যাতন ও উচ্ছেদের ঘটনা ঘটে কেমন করে? ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা তো সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও প্রগতির বুলি উচ্চারণে সোচ্চার। কিন্তু তারা বর্তমান থাকা অবস্থায় এইসব হিন্দু পরিবারের ওপর তাদেরই লোকজন এমন জুলুম-নির্যাতন ও উচ্ছেদের কর্মকা- চালায় কেমন করে? কথা ও কাজে এমন গরমিলের দৃশ্য অবলোকন করে প্রশ্ন জাগে, তারা মুখে যা উচ্চারণ করেন বাস্তবে তা বিশ্বাস করেন কি? আর পুলিশ প্রশাসন বলছেন, উচ্ছেদ করা হিন্দু পরিবারগুলোকে তাদের ভিটায় ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, উচ্ছেদের আগে কিংবা উচ্ছেদের সময় তারা কী করেছেন? এই মজলুম মানুষের জন্য কি তাদের কিছুই করণীয় ছিল না? দীর্ঘদিন ধরেই তো সরকারি ঘরানার লোকজন ও সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সরকারি ঘরানার লোকদের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালনে কি কোনো বাধা আছে? নাকি নিজেদের স্বার্থ চিন্তায় সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের প্রশ্রয় দেয়াকে তারা এখন নিজেদের দায়িত্ব বলে বিবেচনা করছেন? বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর আচরণ করতে তো বর্তমান সময়ে পুলিশ সদস্যরা মোটেও কুণ্ঠিত নন। এটাও কি পেশাগত দায়িত্ব ভুলে স্বার্থ চিন্তার কারণেই হয়ে থাকে? অথচ আমরা জানি যে- পুলিশ, প্রশাসন এবং সরকারের অনুরাগ ও বিরাগের ঊর্ধ্বে থেকেই দায়িত্ব পালন করার কথা। আর তেমনটা হলেই তো দেশের জনগণ আইনের শাসন তথা সুশাসন পেতে পারে। এই সুশাসনের অভাবেই দেশের মানুষ এখন নির্যাতিত হচ্ছে এবং বরগুনার ১৪টি হিন্দু পরিবার উচ্ছেদের কারণও কিন্তু সেখানেই নিহিত। জানি না, আমাদের পুলিশ, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ ও সরকার কখন বিষয়টি উপলব্ধি করবেন?’
সংখ্যালঘু কিংবা যে কোন মানুষের প্রতি মানবিক ও সঙ্গত আচরণের জন্য প্রয়োজন উন্নত আদর্শ ও নীতিবোধ। শুধু মুখের কথায় সঙ্গত আচরণ উপহার দেওয়া যায় না। চাতুর্যের মাধ্যমে রাজনীতি করা যায়, চাকরিতে পদোন্নতিও লাভ করা যায়- কিন্তু মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করা যায় না, আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করা যায় না। এমন কি পুণ্যার্থীদের স্নানোৎসবের মতো একটি পবিত্র অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় ও সক্ষমতা প্রদর্শন করা যায় না। লাঙ্গলবন্দ, ট্যাজেডির কথা মানুষের অনেকদিন মনে থাকবে। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী স্নানোৎসবটি এবার বিষাদে পরিণত হয়েছে। পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন ১০ জন, আহত হয়েছেন বহু। এ ঘটনায় দুঃখ-কষ্ট ও ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন পুণ্যার্থীরা। শুক্রবারের দুর্ঘটনাটিকে তারা প্রশাসনের চরম অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ দখলদারদের আগ্রাসনের ফল বলে মনে করছেন। আগে থেকে সংশ্লিষ্টরা নজরদারি রাখলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না বলেও তারা মনে করেন।
২৮ মার্চ শনিবার শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী স্নানোৎসব। এই স্নানোৎসবে ১০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার কথা। ঘটনা প্রসঙ্গে পূজা উদযাপন কমিটি ও স্নানোৎসব কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন- তদন্তে যাই হোক না কেন, আগামীতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে স্নান ঘাটে পুণ্যার্থীদের স্নানোৎসব নির্বিঘ্ন করতে হবে। এছাড়া চলাচলের পথকেও করতে হবে প্রশস্ত। উল্লেখ্য যে, শুক্রবার সকাল পৌনে আটটার দিকে রাজঘাট ও বেইলি ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে পদদলিত হয়ে ৭ নারীসহ ১০ জন নিহত হয়। শুক্রবার ভোর থেকে তিথি শুরু হওয়ার পরপরই ব্রহ্মপুত্র নদের ১৬টি ঘাটে স্নান করতে নামেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। মানিকগঞ্জের ঘিওর থেকে আসা মিনতি রাণী (৩২) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত চিকন রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসা যাওয়া করতে পারে? ঘাটে যাওয়ার মধ্যেও কোনো শৃঙ্খলা নেই। তাছাড়া স্নানের জায়গাইবা কোথায়? কচুরিপানায় সয়লাব ছিল নদী। চরম অব্যবস্থাপনায় পুণ্যার্থীরা ঠিকমত স্নানোৎসব করতে পারেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে আসা রাখাল চন্দ্র শীল বলেন, প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতা ছিল। যেহেতু চলাচলের পথ মাত্র একটি, সেহেতু মাঝে দড়ি বা বাঁশ দিয়ে ওয়ান-ওয়ে করে দিলে চলাচলে সুবিধা হতো। সেটা করা হয়নি। ঘাটগুলোতেও ওয়ান ওয়ে করা হয়নি। ফলে বিশৃঙ্খলা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাছাড়া নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার না করায় কচুরিপানার মধ্যেই স্নান করতে হয়েছে পুণ্যার্থীদের। এদিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনারা নাজমীন সাংবাদিকদের জানান, বন্ধের দিন হওয়ায় স্নান ঘাটে ঢল নেমেছিল পুণ্যার্থীদের। গত বছর রাস্তাটি ১২ ফুট ছিল, এবার বাড়িয়ে ১৬ ফুট করা হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা।
লাঙ্গলবন্দ ট্র্যাজেডির পর জনমনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। পুণ্যার্থীদের বক্তব্যে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবের কথা ফুটে উঠেছে। এছাড়া অবৈধ দখলদারদের কারণেও পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। এসব বিষয়ে প্রশাসন আগে থেকেই ব্যবস্থা নিলে এত বড় ট্র্যাজেডি নাও ঘটতে পারতো বলে পুণ্যার্থীরা মনে করেন। পূজা উদযাপন কমিটি স্নানোৎসব কমিটি আগামীতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার দু’পাশের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও চলাচলের পথকে আরো প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন অবশ্য বলেছে, গত বছরের ১২ ফুট রাস্তাটি প্রশস্ত করে এবার ১৬ ফুট করা হয়েছে। তবে তাদের উদ্যোগ যে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়, দুর্ঘটনার চিত্রে তা প্রমাণিত হয়েছে। আর ঐতিহ্যবাহী এ স্নানোৎসব তো প্রতিবছরই হয়ে থাকে। যে উৎসবটি প্রতিবছর হয়ে থাকে তা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য তো বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। লাখ লাখ মানুষের এই স্নানোৎসবে কাক্সিক্ষত ব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা যায়নি। এ ব্যাপারে আমরা আগামীতে প্রশাসন এবং পূজা উদযাপন কমিটি ও স্নানোৎসব কমিটির পক্ষ থেকে যথাযথ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা আশা করছি। আর অষ্টমীর স্নানোৎসবে যেসব পুণ্যার্থী নর-নারী আগমন করে থাকেন, তাদের কাছ থেকেও আমরা আরো সতর্কতা ও সংযম কামনা করছি। সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাক্সিক্ষত দায়িত্ব পালন করলে আগামীতে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে পুণ্যার্থীরা রক্ষা পেতে পারেন। দায়িত্বের বিষয়টি আমাদের রাজনীতিবিদরাও ভেবে দেখতে পারেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads