রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫

প্রকাশ্যে বিবস্ত্রকরণযজ্ঞ কে থামাবে? অপমানদগ্ধ নারীকে কে বাঁচাবে?


বস্ত্রহীন-বিপন্ন নারীর বাঁচাও বাঁচাও আর্তচিৎকার প্রায় সবাই শুনেছেন। পহেলা বৈশাখের দিন নারীর প্রতি সহিংসতা ও চরম অবমাননার ঘটনাটি সবার নজরে এসেছে। অবশ্য এটাও ঠিক যে, অনেক ঘটনা নজরের বাইরেই রয়ে গেছে। সব খবর সবসময় প্রকাশ পায় না। কখনো আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্তরাও লোকলজ্জার ভয়ে অনেক কালো দাগ আর যন্ত্রণা চেপে রাখে। জাহাঙ্গীরনগরে ধর্ষণের সেঞ্চুরির খবর এসেছিল। যারা সেঞ্চুরি করতে পারেনি, তাদের খবর হয়তো আসেনি। একজন আদিবাসী ছাত্রীকেও সম্প্রতি পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে সেখানে। এসবই রতন-মানিকদের কীর্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মুক্তবুদ্ধি ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্রের সন্নিকটে জাতীয় পর্যায়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারীকে বিবস্ত্র ও লাঞ্ছিত করার খবরটিও চেপে রাখা যায়নি। কেউ কেউ মোবাইল ফোনে ধারণও করেছে। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক বা সামাজিক মিডিয়ায় সবিস্তারে ও সচিত্র বিবরণ প্রকাশ পেয়েছে। চরম নৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের এহেন অবক্ষয় পৃথিবীর অন্যত্র দেখা যায় কিনা, সন্দেহ। শাহবাগকেন্দ্রিক কথিত আন্দোলনের নামে তরুণ-তরুণীদের উত্তেজিত করার পাশাপাশি পর্দার আড়ালে আদিরসের খেলা জমানো হয়েছিল। এসব বদমায়েশি উগ্র-রাজনীতির উন্মাদনা করেছে এমনই পশুরা, যারা উত্তেজনা-উস্কানি ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। অন্ধকারের এসব নেতিবাচক শক্তির পশুত্বই বারবার প্রত্যক্ষ করেছে সমগ্র জাতি। মুখে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ আর মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের ধুয়া তুলে জঘন্যতম নারী নির্যাতনের খলনায়করা এখন সত্যকে মিথ্যা আর ভালোকে মন্দ বলে অভিহিত করছে। সময় এসেছে আয়নায় উদ্ভাসিত এদের কুচরিত্র ও আসল অবয়ব প্রকাশ এবং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করার। এরা যে আসলে কত নিকৃষ্ট, সেটাও মানুষের অনুধাবনের প্রয়োজন রয়েছে। না হলে এই ঘৃণ্য অপশক্তিই ঘৃণা আর পশুত্বের দ্বারা নারীত্ব আর মানবতার চরম লাঞ্ছনা ঘটাতেই থাকবে। ধর্ম, দর্শন, নৈতিকতার বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। বাংলাদেশকে লুটপাটের দেশ আর নারীদের পথে-ঘাটে উপভোগের সামগ্রীতে পরিণত করবে। মানুষ নিশ্চয় নিজের মা-বোনদের ইজ্জত-আব্রু, নিজের বিশ্বাসকে প্রকাশ্যে পদদলিত হতে দেবে না।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাস ও বাস্তবতা লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে রাজনৈতিক বিপর্যয় যথেষ্ট হয়েছে। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও সামান্য নয়। আইনশৃঙ্খলার বিপর্যয় তো অতলস্পর্শী। নৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অনেকবারই পহেলা বৈশাখ বা এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। এবার সেটা আরো আগ্রাসী রূপেই ঘটেছে এবং লক্ষ করার বিষয় হলো, নিগৃহীত নারীর বাঁচাও বাঁচার চিৎকারে দু-একজন ছাড়া অন্যদের মধ্যে সামাজিক প্রতিরোধ তৈরি হয়নি। জাতির বিবেকের পক্ষেও সুতীব্র প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়নি। কর্তাব্যক্তিরা নারীর অপমানে বিশেষ কুণ্ঠিত হয়েছেন বলেও মনে হয় না। হলে, সেখানে দায়িত্বরত অথচ অকর্মন্য পুলিশের চাকরি থাকার কথা নয়। যারা সেখানে প্রত্যক্ষদর্শী রূপে উপস্থিত ছিলেন এবং যারা খবরটি পরে জেনেছেন, তাদেরও অপমানে নতজানু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিশেষ কিছুই হয়নি। এদেশে হত্যার বিচার না হলে কিংবা গুম-হওয়া মানুষ পাওয়া না গেলে যেমন কিছুই হয় না; দেশের প্রধান শহরে দিবালোকে নারীর বস্ত্রহরণ করলেও মনে হচ্ছে মানুষের বিবেকের দরজায় সশব্দ প্রতিবাদ ও ঘৃণার স্ফূলিঙ্গ জ্বলে ওঠে না। মানুষ বরং আনন্দিত হয় চটুল বিতর্কে, রুটিহীন আক্রমণে, অশালীন বক্তৃতায়। কর্তারাও ঘটনার প্রতিবিধানের বদলে রাজনৈতিক ঘোলাজল ও প্রতিপক্ষ নিধনেই পারদর্শী। সাগর-রুনী, ইলিয়াস আলী, সালাহউদ্দিন ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে কার্যকর তৎপরতার বদলে বাজার-মাৎ-করা রাজনীতি যথেষ্ট হয়েছে। এদেশে যে কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনার কার্যকারণ অনুসন্ধানের চেয়ে সেটি নিয়ে গুজব উৎপাদন ও রাজনৈতিক যুদ্ধ শুরু করাই সহজ। এ কারণেই কেন পহেলা বৈশাখের মতো আয়োজনের মধ্যে প্রকাশ্য-জনসমক্ষে নারীকে উলঙ্গ করার মতো ঘটনা ঘটেছে, সেটা অনুধাবন করা জরুরি। বিশ্বের যেসব দেশকে ফ্রি সেক্স বা উদার জীবনযাপনের জন্য আমরা নিন্দা করি, সেসব দেশেও এমন অনাচার করার সাহস কেউ পায় না! প্রায়ই অনেকে ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলেন এবং হিন্দি ছবির কদর্যতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যে হচ্ছে, সেটাও সত্য। সেই ভারতেও নারী একাকী থাকলে কখনো কখনো নিগৃহীত বা ধর্ষিতা হয়; কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বা উৎসব আমেজের মধ্যে দলবদ্ধ হয়ে নারীকে বস্ত্রহীন করা হয় না।
তাহলে প্রশ্ন হলো, এদেশে এমনটি হচ্ছে কেন? এদেশে তো ধর্মীয় রক্ষণশীলতা না থাকলেও শালীনতা আছে। মানবাধিকারের বিরাট বিরাট প্রবক্তা আছেন। নারী আন্দোলনের অনেক অগ্নিময়ী সেনানী আছেন। তদুপরি রাজনীতির ময়দানের পক্ষ আর প্রতিপক্ষ দুর্গের কর্ণধার হয়ে আছেন দুজন নারী। শুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চার বহু ব্যক্তি ও সংগঠন আছে। সবাই মিলে এতদিন তাহলে কী করলেন যে কতিপয় কামাসক্ত সদম্ভে তাদের পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে পারলো? এসব অপরাধী কারা? কী তাদের আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক ও আদর্শিক পরিচয়? এসব প্রশ্ন নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং সঠিক উত্তর বের করতে হবে। যারা ঘটনার অনুসন্ধান করবেন তারাই শুধু নয়; প্রতিটি সচেতন নাগরিককেই এখন এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর রাজনৈতিক ঘোলাজল সরিয়ে বের করতে হবে। জানতে হবে, আমরা কাদের সঙ্গে আছি বা কারা আমাদের সঙ্গে আছে। পহেলা বৈশাখ, থার্টি ফার্স্ট ইত্যাদি উৎসব কেন অপরাধীদের দাপট দেখানোর ক্ষেত্রে পরিণত হয়? চারদিকে কেন পাশবিক শক্তির অভয়ারণ্য? এসবই এখন ব্যক্তি মানুষ বা সামাজিক মানবগোষ্ঠীর কল্যাণ যারা চান, তাদের চিন্তা-ভাবনার বিষয়।
মনে রাখা ভালো, শুধু গান-বাজনার নাম সংস্কৃতি নয়, সংস্কৃতি হলো শুদ্ধবোধ ও বিশ্বাস। ধর্মীয়, নৈতিক ও আদর্শিক দৃঢ়তা সংস্কৃতির শক্তি। সেটা নস্যাৎ হয়ে গেলে হৈ-হুল্লোড়, উগ্র-উচ্ছ্বাস, বাড়াবাড়ি ও বেলেল্লাপনা বাড়বেই; বিপর্যয় আসবেই। রাজনীতি বা অর্থনীতিতে যেমন এসেছে; সংস্কৃতিতেও এখন তেমনি বিপর্যয় ধেয়ে আসছে। অর্থাৎ একটি ক্ষেত্রের বিপর্যয় আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রে ধস ডেকে আনছে। বৈশাখী আয়োজনে নারীর বস্ত্রহরণের ঘটনার মাধ্যমে সর্বব্যাপী ধস ও বিপর্যয়ের চিত্রটিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল অপরাধীরা এবং অপরাধীরা যে এখন আর কাউকে পরোয়া করে না, সে বার্তাটিও জানিয়ে গেলো প্রকাশ্য সূর্যালোকে হাজার হাজার মানুষের সামনেই অপকর্মটি সংগঠিত করার দ্বারা। এসব অপরাধের ফলে সৃষ্ট ক্ষত আর লজ্জা কার?
অপরাধের আগেই উচিত অপরাধের কারণ বন্ধ করা। আল্লামা সাঈদী ইংরেজি নববর্ষের নামে রাতভর মদ্যপান আর উচ্ছৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জনমত গড়েছেন সারা জীবন। প্রাজ্ঞ আলেম ও চিন্তাবিদ জানতেন, এসব কুপ্রবণতা মানুষের পশুত্বকে বলবান করবে। তাই তিনি মুসলমানদের নিজের ধর্ম-সংস্কৃতি আঁকড়ে থাকার আহ্বান জানাতেন। তথাকথিত সেক্যুলার ও প্রগতিশীল মহল আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল। শুধু তাকেই নয়, যারাই ইসলাম আর নৈতিকতার কথা বলেছেন, তাদেরই মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক, যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে ফেলা হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব যেমন জনআন্দোলনকারী বিপ্লবীদের জঙ্গি নাম দিচ্ছে, এখানেও ইসলাম, নৈতিক মূল্যবোধ ও শিষ্টাচারের পক্ষের মানুষদের চরিত্রহনন করা হচ্ছে। তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়েও দেয়া হচ্ছে। যারা অন্যায়, অনৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদেরই যদি সরিয়ে দেয়া হয়, তখন তো পাশবিক শক্তিরই জয়জয়াকার। এমন পাশবিক অপশক্তিই চারদিক থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে সমাজ ও মানুষকে ক্রমেই ঘিরে ফেলছে। আমাদের নারীরা, আমাদের সমাজের আদর্শ মানুষ, আলো ও আদর্শের পতাকাবাহী তরুণেই তাই আজকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। আর ধর্ষণের সেঞ্চুরিকারীরা পুরস্কৃত।
এমন পরিস্থিতি অবশ্যই চিন্তার কারণ। এতে সমাজ ও মানুষের মানমর্যাদা-নিরাপত্তা ভূলুণ্ঠিত হতে বাধ্য। তারপরও এ অবক্ষয়ের মধ্যেও রয়েছে আলোর দিশা। ইউরোপ-আমেরিকার প্রচ- ভোগবাদ ও ইন্দ্রীয় সুখের নামে বিকৃতি ও বিপদ টের পেয়ে সেখানে দলে দলে মানুষ যেভাবে ইসলামে দাখিল হচ্ছে, পর্দা মেনে নিচ্ছে, বাংলাদেশেও সেটা হবে; হতে বাধ্য। ইউরোপ-আমেরিকায় ইসলামের নৈতিক ও আদর্শিক দিকগুলোকে ব্যবহারিক জীবনে সবচেয়ে বেশি মেনে নিচ্ছে সেসব দেশের নারী সমাজ। কারণ তারা দেখেছে পশ্চিমা সমাজ কি নৃশংসভাবে নারীকে উপভোগ করে এবং এক সময় পরিত্যাগ করে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। আর ইসলাম? নারী এবং অপরাপর মানুষকে ইহ ও পরকালীন জীবনে মর্যাদার নিশ্চয়তা আর সম্মান দান করে। করে বলেই মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েও অকুতোভয়চিত্তে নন্দিত জননেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান হাসতে হাসতে শাহাদাতের পেয়ালা পান করেন। শহীদ আবদুর কাদের মোল্লা আদর্শের জমিনে অটল থাকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। শহীদ আবদুল মালেক থেকে এদেশের মাটিতে ইসলাম, নৈতিক মূল্যবোধ ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার যে চলমান সংগ্রাম, তা নারীকে লাঞ্ছনার হাত থেকে বাঁচাতে এবং মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতে উচ্চমর্যাদায় আসীন করার প্রত্যয়ে দীপ্ত। দেশের সর্বত্র অবদমিত ও নিগৃহীত নারী-পুরুষ ক্রমে ক্রমে আদর্শের বাতিঘরের আলোকস্তম্ভ দেখতে পাচ্ছেন। অন্যদিকে তারা এটাও দেখতে পাচ্ছেন খলনায়ক ও উত্তেজনার নামে মানুষকে দিকভ্রান্তকারীদের কুচরিত্র। সত্য আর মিথ্যার নিরন্তন দ্বন্দ্বে আকীর্ণ বাংলাদেশ আদর্শের পথে মহৎ আত্মত্যাগের প্রেরণায় মানবতাবিরোধী প্রকৃত অপশক্তির ছদ্মবেশ অচিরেই উন্মোচিত করবে এবং এদের পদাঘাতে পদাঘাতে পর্যুদস্ত করে সত্য ও মানবিক মর্যাদার আলোকমালা প্রজ্বলিত করবেই। কারণ কোনো মহৎ ও আদর্শিক ত্যাগ ও সংগ্রাম কখনোই ব্যর্থ হয় না। বিশেষত যখন চারদিকে নির্যাতিত নারী ও মানুষের আহাজারি আর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার, তখন ইসলাম ও মুসলমানদেরই ঐতিহাসিক দায়িত্বে মানবতার ত্রাণে এগিয়ে আসতে হবে। এটাই শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে মুসলমানদের মূল দায়িত্ব এবং ইসলামের স্বর্ণালী যুগে স্পেন থেকে সুদূর চীন পর্যন্ত মুসলমানরা মানবতাবাদী এমন আদর্শিক দায়িত্বই পালন করেছেন। বিপর্যস্ত মানবিক-মর্যাদা ও অধিকারহীনতার বাংলাদেশে এখন সেই নৈতিক-আদর্শিক দায়িত্ব পালনের দায়িত্ব চূড়ান্ত পর্যায় চলছে। সম্মিলিত ইসলামী আন্দোলনকে এখন আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বিপর্যয় ও অবক্ষয় প্রতিহত করে মানুষ ও মানবতাকে বাঁচাতে হবে। কারণ এযাবতকাল মানুষ তথাকথিত উদার ও আদর্শহীন রাজনীতিকে দেখেছে মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠস্বরূপ। এদের দ্বারা গুণগত-আদর্শিক উত্তরণ আসলেই সম্ভব নয়। এরা একে অপরের প্রকাশ্য শত্রু হলেও মূলগত বন্ধু। এখন প্রয়োজন সাচ্চা, পরীক্ষিত, আদর্শবাদী আন্দোলনের দিন। যারা সামনের কাতারে এসে নারীর লজ্জা মুছে দেবে। নারীকে প্রকাশ্যে বস্ত্রহীনতা থেকে রক্ষা করবে। আর কাউকে ইজ্জত-আব্রুর জন্য বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে দেবে না। যারা নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যও আপস করেন না; তারা এবং তাদের অনুসারীরাই বিপন্ন নারী-পুরুষ-মানবতাকে বাঁচাতে পারবে। এই সত্য যত দ্রুত মানুষ উপলব্ধি করবে; তত দ্রুত বাংলাদেশের বিদ্যমান কালো অধ্যায় ও অন্ধকার কেটে যাবে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads