মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

গণতন্ত্রের আবরণে একদলীয় শাসন!


ইংরেজি ডেমোক্র্যাসি থেকে গণতন্ত্রের উৎপত্তি। আর বিশেষ অর্থে গণতন্ত্র বলতে বুঝায় সর্বশ্রেণীর লোকের প্রতি সমান ব্যবহারমূলক ব্যবস্থা। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা নিয়ে আছে নানা মত ও পথ। আর থাকাটাই তো স্বাভাবিক! দেশে গণতন্ত্রের যে রূপ দেখা যাচ্ছে, তাতে গণতন্ত্র শব্দটি শুনলেই মনের মাঝে একটু দাগ কাটে। আমি যখন এই লেখাটি লিখতে বসেছি, তখনও গণতন্ত্রের বুকফাটা কান্নার আওয়াজ চারদিকে প্রবাহিত হচ্ছে। হত্যা, গুম, খুন, অপহরণের এই দেশে গণতন্ত্রের মরণঘণ্টা বাজবেই তো? যে গণতন্ত্রের জন্য জীবনের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন অগণিত যুদ্ধা। সেই গণতন্ত্র আজ ডিলেটের পথে। লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মতামত ব্যক্ত করলে রাজাকারের খাতায় নাম ওঠতে একটুও দেরি হয় না। গণতন্ত্রের যাত্রা পথে মেজর জলিল হয়েছিলেন রাজাকার। তার পরের রাজাকার উপাধি পেয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী; অবশেষে পেলেন একে খন্দকার। একটি কথা না লিখলেই নয়- দেশের নামি-দামি লেখকেরা যে পরিমাণে রাজাকারের গল্প কাহিনী নিয়ে বই লিখেছেন, সে তুলনায় যদি গণতন্ত্র চর্চার বই লিখতেন তাহলে গণতন্ত্রের সাফল্য একটু হলেও জাতি দেখতে পারত। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাটি চালান দিয়েও গণতন্ত্রকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই তো কবি শামসুর লিখেছিলেন, ‘অদ্ভুত উঠের পিঠে চলছে স্বদেশ। নিকট অতীতে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘দেশ এখন বাজিকরদের হাতে। এই দুই বিজ্ঞজনের কথার মর্ম এখন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। সুতরাং এ কথা বলা যায় যে, বাজিকররা দেশটাকে হাতে নিয়ে অদ্ভুত উঠের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। দেশে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই, আছে পরিবারতন্ত্র। তার সাথে যোগ হয়েছে স্বৈরাতন্ত্রের একদলীয় শাসন। গণতন্ত্রের বিয়োগান্ত উপাখ্যানগুলো ইচ্ছে করলেই মুছে দেয়া সম্ভব নয়। আর এগুলোর পুনরাবৃত্তি পরিহার করতে চাইলে অবশ্যই এসব ঘটনাকে সকলেরই মনে রাখা প্রয়োজন।
ইতিহাসকে ইরেজার দিয়ে মুছে দেয়া বা ছিঁড়ে ফেলা যায় না। আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম গায়েবি ভোটের অতীত ইতিহাস। কিন্তু এবারের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচনে জনগণ লজ্জা অনুভব করলেও সুশিক্ষিত নির্বাচন কমিশন একটুও লজ্জা পায়নি। লীগ শাসকরাও উল্লসিত। তবু তো হয়েছে ভোট। কলঙ্কিত হোক, তাতে কি এমন আসে বা যায়। ভোটাররা ভোট না দিলেও যখন ভোট হয়, তখন এত কসরত কেন? সকালে শূন্য, দুপুরে সামান্য, বিকালে একদম বোঝাই। ভোটের ভারে এমন বোঝাই হয়ে গেল- নৌকা ডুবে ডুবে ভাব। কোনোমতে তীরে নৌকা পৌঁছলেও নৌকার হাল নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল খালি মাঠে গোল দেয়ার মতো একটি খেলা। যে খেলার প্লেয়ার টিম A আছে, B নেই । বল আছে গোলরক্ষক নেই। সারা মাঠই ফাঁকা- যেদিকে বল যাবে সেদিকেই গোল হবে। কারণ গোলপোস্ট নেই।
৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অনেকে বয়কট করলেও করেনি রাজধানীর বস্তির বাসিন্দারা। তাদের মনে বয়েছিল আনন্দের সুবাতাস। তিন আসনে ভোট দিয়ে একেকজন হাজার টাকা করে কামিয়েছিল। লাইনে দাঁড়ালেই পয়সা পাওয়া গেছে। আসল কাজটা সেরে ফেলেছে ভোটের কারিগররা। আগে যেমনটা ঘটেনি, এবার ঘটেছে। প্রিসাইডিং অফিসার যেখানে সিল দিয়েছেন, সেখানে ভোটের হিসাব মেলানো কঠিন নয়। পত্রিকায় ছবি দেখে প্রিসাইডিং অফিসার সাময়িক লজ্জা পেলেও তার জন্য প্রমোশন অপেক্ষা করছে। গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য এবার অমোচনীয় কালিরও দরকার হয়নি। লীগ সরকারের উপদেষ্টা এইচটি ইমাম খাঁটি কথা বলেছিলেন। এবারের ভোট নাকি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। উদাহরণ তো বটেই, ভোটে না দাঁড়িয়েও জিতেছে লীগ। হাসপাতালের কেবিনে বসে ফোকলা দাঁতে হেসেছে এরশাদ। এটাও সম্ভব। সব সম্ভরের এই দেশে ১৫৩ জন যেখানে বিনা লড়াইয়ে জিতে যায়, সেখানে ভোটের হিসাব নিয়ে মন্তব্য না করাই শ্রেয়। একতরফাভাবে গায়েবি ভোটের দৌড়ে হাসিনা স্বৈরাচার এরশাদকে পিছনে ফেলে চলে এলেন প্রথমে। খালেদার মতো তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড তৈরি করেছেন হাসিনা। যেহেতু তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন শেখ হাসিনা, সেখানে সমঝোতা হতে আপত্তি কোথায়? আসলে কি তা হতে পারে? বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হয়।
গণতন্ত্রের কথা লীগ সরকারের মুখে আদও মানায় কিনা, তার বিচারের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম। এই সরকার কি বৈধ, নাকি অবৈধ- সে প্রশ্নের উত্তর অজনাই রয়ে গেল। যখন ২০ দলীয় জোটের নেতা বা নেত্রীরা বলেন এই সরকার বৈধ নয়, তখন মনে হয় তারাতো বলবেই। কারণ তারাতো বিরোধী দলে আছে। কিন্তু সেই কথা যখন শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, তখন সেটি বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। সেই কথাটি তিনি বলেছেন, দেশে উচ্চ আদালতের এজলাসে এবং একজন এমিকাস কিউরী হিসেবে। বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার ও বিচারপতি খোরশেদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই বিষয়ে রিটের শুনানিকালে এমিকাস কিউরী হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় ড. কামাল হোসেন বলেন, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপিদের জনগণের প্রতিনিধি বলা যাবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ভালোবাসে বলেই সবসময়ই প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে কখনো পিছুপা হননি। কিন্তু এবারের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের তামাশায় ভোট প্রদান করতে অনেকে ভোট কেন্দ্রের সীমানায় পর্যন্ত যাননি। গণতন্ত্রের সমালোচনা করতে গিয়ে অনেক দার্শনিকই বলেছেন, গণতন্ত্র হচ্ছে মূর্খের শাসন। সত্যিকারার্থে গণতন্ত্র এসেছিল সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করার জন্য। কিন্তু ধিক চরিত্রের লীগ সরকার ক্ষমতার দম্ভে গণতন্ত্রকে গলা টিপে একদলীয় শাসনের ডিপ ফ্রিজে রেখেছে। স্বাধীনতার ৪৩ বছরের ইতিহাসে গণতন্ত্র হোঁচট খেলেও রাজতন্ত্রের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত হয়ে বারবার ফিরে এসেছে জনতার সামনে। ক্ষমতার হালুয়া-রুটি ভাগাভাগি করার প্রয়াসে লীগ সরকার বিরোধী দলের টুঁটি চেপে ধরার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে পুলিশি রাষ্ট্র গঠন করেছে। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারছে না। অবৈধভাবে ক্ষমতার আসনে আরোহণ করেই লীগ সরকার সম্প্রচার নীতিমালা ঘোষণা করে তা কার্যকর করছে। এই নীতিমালা ঘোষণার আগে ও পরে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলেও সরকার পিছপা হয়নি। দেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, পেশাজীবীসহ সুশীল সমাজের সকলে এক বাক্যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, এই নীতিমালা হচ্ছে গণমাধ্যমের জন্য একটি ভীতিমালা। সম্প্রচার নীতিমালার পর পরই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল ২০১৪ প্রবল সমালোচনার মুখে অবশেষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হলো। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা চলে গেলে সংসদের হাতে। এমনিতে তো বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। আর বিচারপতিদের অপসারণের ফলে বিচার যদি হয়ে উঠে অবিচার তাহলে তো বিচার প্রার্থীদের দুঃখের সীমার শেষ নেই। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলন পর্যন্ত প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল গণতন্ত্রকে সুরক্ষার প্রয়াসে। বাংলাদেশের রাজনীতি সব সময়ই ছিল অস্থির ও সংঘাতময়। এই অস্থিরতার পথ ধরেই আমরা এক একটি সরকারের সময় অতিক্রম করে আসছি। বর্তমান সময়ে গুম, খুন, অপহরণ এমনভাবে বেড়েছে যা লিখে শেষ করা যাবে না। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে নোংরা রাজনীতির অশ্লীল কথার কথোপকথন।
বামপন্থী বৃদ্ধিজীবী ও এক শ্রেণীর মিডিয়া থেকে শুরু করে লীগ সরকার পর্যন্ত সকলে জামায়াতে ইসলামীকে একটি জঙ্গি, সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য এদেশের মানুষ যেন আর জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন না করেন। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয়ই প্রমাণ করেছে জামায়াতে ইসলামীর স্থান রয়েছে এদেশের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। স্বাধীনতার ৪৩ বছরের ইতিহাসে জামায়াতে ইসলামী প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচন করেছে। সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী অতীতের যে কোন আন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে তো কোন সংহিংসতার রাজনীতি করেননি, তাহলে আজকে কেন তাদেরকে সহিংস পথ বেছে নিতে হলো। এই প্রশ্নের উত্তর বিবেকবান মানুষের একটু হলেও ভেবে দেখা দরকার। জামায়াতে ইসলামী যে রাজনীতির কারণে আজকের এই নারকীয় পরিস্থিতির শিকার তা যদি উল্টো সরকার তথা আওয়ামী লীগের বেলায় হতো, তাহলে তাদের আচরণ কেমন হতো? জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনকে যারা তোতা পাখির শেখানো বুলির মতো সহিংস বলছেন। আপনারা কি ভুলে গেছেন ২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার নিষ্ঠুর সে কাহিনী। সে দিনের আকাশে কোন কালো মেঘ জমে ছিল না, ছিল না রোদ্রের তীব্রতা, তারপরেও নেমে এসেছিল লগি-বৈঠার নিষ্ঠুরতা। আপনারা যারা সুশীল সমাজ বলে নিজকে দাবি করেন, দয়া করে একটু ভাবুন তো! সেদিনের লগি-বৈঠার তা-বে যদি আপনার কোন প্রিয়জন বাবা অথবা ভাই নিহত হতেন তাহলে আপনি কতটুকু হিং¯্রতার পরিচয় দিতেন। এই প্রশ্নের উত্তর নিজেকে একটি বার হলেও করুণ তাহলে আশা করি উত্তর মিলবে। লগি-বৈঠার আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে প্রাণগুলো চলে গেল না ফেরার দেশে। তাদের স্বজনরা আজও ডুকরে ডুকরে কাঁদছে আর স্বজনদের হত্যার বিচার চাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে বিএনপিকে যেভাবে রাজপথের আন্দোলনে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করেছিল বিএনপিও যদি এবার আওয়ামী লগিকে সেভাবে বাধ্য করতে পারে তবে সমাধান একভাবে হবে। নতুবা ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে। ইতিহাসকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার সাধ্য কারও নেই বিধায় ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করতে পারে না। আমরা যদি একটু পিছনের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন কায়েম করে যে গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়েছিল, সেই দিন থেকেই বাংলাদেশ নামক দেশটির গণতন্ত্রের জিন্দা দাফন শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় এসেছে তা বুঝার জন্য মহা প-িত হওয়ার প্রয়োজন নেই। একটু-আধটু বাংলা লেখা পড়তে পারলেই যথেষ্ট। এ দলটি ইতিহাসের নামে অন্যদের গালমন্দ করলেও নিজেরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। তারা নিজেদের অতীত ইতিহাস এমনকি সে ইতিহাসের ধিকৃত ভুল-ভ্রান্তিগুলোর অন্ধ অনুকরণ সূচনা লগ্ন থেকে করে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কোন সম্ভাবনা ছিল না, তা সত্ত্বেও সেদিন আওয়ামী লীগ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাঁধে ভর করে বহু কেন্দ্রে ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির মতো জঘন্যতম কাজ করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেনি। আমরা এও লক্ষ্য করেছি যে, স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতাসীন হবার পর গণতন্ত্রের পতাকা উড়িয়ে জনগণের সমর্থন লাভ করতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। তার মতো এতো জনপ্রিয়তা নিয়ে আর কোন নেতা ক্ষমতার আসনে আসীন হয়েছেন কিনা সন্দেহ। কিন্তু সে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা মুহূর্তের মধ্যেই বিনষ্ট হয়ে মাটিতে পড়তে সময় লাগেনি, কারণ সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা, দলীয়করণ দেশব্যাপী নৈরাজ্য আর খুনের মতো ঘটনায় জনগণকে অস্থির করে তুলেছিল। যার ফরে পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ের সম্ভাবনা অনিশ্চিত দেখা দিতেই মুজিবের গণতন্ত্রের মুখোশ জাতির সামনে খসে পড়েছিল। সে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এ জাতি আর দেখতে চায় না। দিন দিন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। নামসর্বস্ব বিরোধীদল দিয়ে নাটক করা যায় বটে কিন্তু দেশ পরিচালনা করা যায় না। এই কথাটি অবুঝ শিশুরা বুঝলেও লীগ সরকার বুঝতে পারছে না। সরকারকে বিনয়ের সাথে বলতে চাই জনগণের কাতারে এসে জনগণের ভাষা বুঝার চেষ্টা করুন। গুম, খুন, অপহরণের ভয়াবহতা বন্ধ করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে একাদশ নির্বাচনের ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশবাসীকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করুন।
মোঃ তোফাজ্জল বিন আমীন 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads