রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

গণতন্ত্রের কাঁধে যখন ইচ্ছাতন্ত্র

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল-২০১৪প্রবল সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত গত ১৭ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হলো। এর মাধ্যমে কার্যত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা চলে গেল সংসদের হাতে। সংসদের হাতে চলে যাওয়ার অপর অর্থ প্রধানমন্ত্রীর হাতে চলে যাওয়া। এই সংশোধনী পাস হওয়ার আগে-পরে এ নিয়ে প্রবল সমালোচনা আসে। সমালোচনা হচ্ছে এর ফলে বিচারপতিরা ভয়ে ভয়ে থাকবেন, কখন পান থেকে চুন খসলে অপসারণ হতে হয়। তাই এই সংশোধনী ন্যায়বিচার বিঘিœত করবে। বিচারপতিরা এখন বিচারকাজ চালাতে গিয়ে মানসিক ও প্রশাসনিক চাপে থাকবেন। বিচারপতিরা এখন চাকরি হারানোর ভয়ে এর প্রতিবাদও করতে পারবেন না। আইনজীবীদের সেই ভয় নেই; তাই এর বিরুদ্ধে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, করতে পারছেন। কিন্তু যে যা-ই বলুক, এ সংশোধনী না হলে তো বিচারকদের ওপর কার্যত প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ নিরঙ্কুশ হবে না। অতএব প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাই শেষ পর্যন্ত পূরণ হলো।
এরও কিছু দিন আগে সরকার একটি সম্প্রচার নীতিমালা ঘোষণা করে অবিলম্বে তা কার্যকর করেছে। এই নীতিমালা ঘোষণার আগে ও পরে নীতিমালাটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গণমাধ্যম গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব ও টকশো ব্যক্তিত্বসহ সুশীল সমাজ থেকে এ নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা একবাক্যে যে অভিমত রেখেছেন তা মোটামুটি এরূপ : এই নীতিমালা একটি ভীতিমালা। এ নীতিমালা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণমূলক। এ ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালা নয়, প্রয়োজন ন্যায়মালা। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর শাসকদের কর্তৃত্ববাদী আকাক্সা নতুন মাত্রায় উপনীত। আমরা এখন এক অদ্ভুত গণতান্ত্রিক বাস্তবতায় বসবাস করছি। সেই ধারাবাহিকতারই ফসল এ নীতিমালা। এ সম্প্রচার নীতিমালা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণীত হয়েছে নীতিমালা। সাংবাদিকতার প্রথম পাঠÑ পৃথিবীর সব সরকার মিথ্যাবাদী। সরকার তথ্য লুকায়। সাংবাদিকেরা সে তথ্য বের করে আনেন। সাংবাদিকেরা যাতে তা করতে না পারেন, সে জন্যই এই নিয়ন্ত্রণমূলক সম্প্রচার নীতিমালা। অবশ্য এ সরকারের জন্য এমনটির প্রয়োজনও ছিল না। কারণ, পাঁচটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করতে এ সরকারের কোনো নীতিমালার প্রয়োজন হয়নি। এমন আরো কত কী সমালোচনা পথেঘাটে, চায়ের টেবিলে, পত্রপত্রিকায়, টকশোর আলোচনায়। তাতে কী যায়-আসে। যে যা-ই বলুক, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নাকে নিয়ন্ত্রণের আংটা পরাতে হবেই। কারণ, এ সরকারের মতে, সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর ভাষায়Ñ ‘সাংবাদিকেরা চরিত্রহীন, খবিশ। দুই টাকার সাংবাদিক তার আবার এত গুরুত্ব কেন। এর ওপর এ সরকার যারা চালান, তাদের সুদৃঢ় বিশ্বাসÑ ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে গণমাধ্যম ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর কঠোর দমন-পীড়নের কোনো বিকল্প নেই। তাই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে চাই এক মোক্ষম হাতিয়ার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা। সেই সূত্রে জাতির ঘাড়ে চাপাল বহুল সমালোচিত এই নীতিমালা, যা এখন অভিহিত হচ্ছে ভীতিমালা নামে। আর দাবি উঠেছেÑ এই নীতিমালা-ভীতিমালা চাই না, চাই ন্যায়মালা। কিন্তু সরকার সে আবদার শুনবে কেন। এর আগে একই উদ্দেশ্যে সরকার বিতর্কিত নানা ধারা সংবলিত তথ্যপ্রযুক্তি আইন করেছে। এবার সম্প্রচার নীতিমালা হলো। এবার সরকারের ইচ্ছা জেগেছে আরেকটি অনলাইন আইন প্রণয়নের। ইচ্ছাতন্ত্রের ওপর ভর করে এক সময় তাও আসবে।
সরকারের ইচ্ছাতন্ত্র বরাবরই প্রবল। ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনী ব্যবস্থা কায়েমের ইচ্ছা যখন আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থক দলগুলোর মাথায় চাপল, তখন হরতাল-জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্য দিয়েই তা আদায় করা হলো। আবার ক্ষমতায় গিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য ইচ্ছা জাগল, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। হলোও তাই। জনগণ যতই বলুক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী ইচ্ছাতন্ত্রেরই জয় হলো। সংবিধান থেকে বিদায় করা হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। দলীয় সরকারের আওতায় ভোটারবিহীন, প্রতিদ্বন্দ্বীহীন নির্বাচন করে ইচ্ছাতন্ত্রীরা ৫ জানুয়ারির পর গঠন করলেন এক অদ্ভুত সরকার। যেখানে বিরোধী দল সরকারেও আছে, বিরোধী দলেও আছেÑ গাছেও খাচ্ছে, তলায়ও কুড়াচ্ছে। চার দিকে এ নিয়ে কত সমালোচনা। তাতে কী; আওয়ামী লীগের ইচ্ছাতন্ত্রের অনুমোদন স্বতঃস্ফূর্ত। অতএব যেমনটি চলার তেমনটিই চলছে। আর তেমনটি করতে গিয়ে জাতীয় পার্টিতে রওশন এরশাদ ও রওশন এরশাদকে নিয়ে যে কী অদ্ভুত নির্বাচনী খেলা চলেছে এবং এখনো এর জের চলছে, দেশবাসীর সামনেই তা কারো অজানা নয়। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কী ভয়াবহ রাজনৈতিক নোংরামির সূচনা করেছে, তা ভবিষ্যৎ ইতিহাসে কিভাবে ঠাঁই নেবে, সেটা এক বড় প্রশ্ন।
আওয়ামী ইচ্ছাতন্ত্রের নানা উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে আমাদের চোখের সামনেই। এর মধ্যে বড় একটি উদাহরণ হয়ে আছে ১৯৭৫ সালে দেশে বহুদলীয় রাজনীতিকে গলাটিপে হত্যা করে সেখানে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা। এবং সে ব্যবস্থার সমালোচনার পথ চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার জন্য মূলত চারটি দৈনিক পত্রিকা সরকারি পরিচালনায় রেখে বঙ্গবন্ধুর সরকার  দেশের বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়। একই সাথে বঙ্গবন্ধুকে করা হয় দেশের আজীবন প্রেসিডেন্ট। একমাত্র ইচ্ছাতন্ত্র ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিকতন্ত্রই তো এ ধরনের কোনো ব্যবস্থাকে সমর্থন করে না। ইচ্ছাতন্ত্রীরা ছাড়া আর কেউ এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে না, সমর্থন করতে পারে না।
অতিসম্প্রতি আওয়ামী লীগের ইচ্ছাতন্ত্রের একটি নব্য সংস্করণের অবির্ভাব দেখতে পেয়েছি। ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন, বিরোধী দলবিহীন এবং  দেশে-বিদেশে প্রবলভাবে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা আওয়ামী নেতৃত্বাধীন জোট সরকার পুরো পাঁচ বছর মেয়াদে আগামী ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়। যদিও এ নির্বাচনের আগে তারা এই ধৃচ্ছাতন্ত্রীরা বলেছিলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সাংবিধানিক প্রয়োজন মেটানোর নির্বাচন। এ নির্বাচনের পর শিগগিরই সব দলের অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এখন সে সুর বদলে পাঁচ বছর ক্ষমতার ইচ্ছাই প্রবল হয়ে উঠেছে এ সরকারের। যদিও দেশে-বিদেশে প্রায় সব মহলেই দাবি দ্রুত সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন। কিন্তু সব কিছু দেখে মনে হয়, সরকারের ইচ্ছাতন্ত্রের কাছে এসব দাবি নির্ঘাত মার খাচ্ছে বারবার। আর সরকার ইচ্ছাতন্ত্রের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে একে একে বিচার বিভাগ; গণমাধ্যম, দুদক, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন সব কিছুতেই নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় যা কিছু দরকার তাই করছে। আর সর্বোপরি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে অস্তিত্বহীন করার ইচ্ছা-পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বিরামহীনভাবে তা বাস্তবায়ন করে চলেছে।
বলা হচ্ছে, এ সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ কথা বলেই কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াসহ ২০ দলীয় জোটের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের মামলার ক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকেই অজুহাত হিসেবে খাড়া করা হচ্ছে। সমালোচনা এসেছেÑ আসলে সরকার বিরোধী রাজনীতিবিদদের অস্তিত্বহীন করে দেয়ার জন্যই তা করছে। নইলে সরকারি দলের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকেও মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতি গড়ে তুললেও পার পেয়ে যাচ্ছেন মহাজোট সরকারের বেশ কয়েক দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি। জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেয়া চার সচিব ও একজন যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেই। তারা এখনো যথারীতি চাকরিতে বহাল। প্রশ্ন হচ্ছেÑ এরা কি আইনের ঊর্ধ্বে? তাদের বেলায় সরকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার নীতিবাক্য কোথায়? তবে আইনের শাসনের তোড়জোড় সবই চলছে বেগম জিয়া ও তার দল-জোটের নেতাদের ব্যাপারেই। এসব মামলার মাধ্যমে বেগম জিয়াসহ তার দল-জোটের জনপ্রিয় সব সম্ভাবনাময় নেতার এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে, যাতে তারা আগামী নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েন। গণমাধ্যমে খবর এসেছে, প্রয়োজনে আইয়ুব আমলের পাকিস্তানি এবডো আইনের আদলে আইন করে অনেককেই নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। তখন আরো একটি ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে আবার নতুন করে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
বস্তুত এসব উদ্যোগ-আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার একদলীয় একটি ব্যবস্থার দিকেই এগিয়ে যাবে, যেখানে গণতন্ত্রের আবরণে চলবে একদলীয় শাসন। সেখানে থাকবে না কোনো বিরোধী দল। থাকলেও তা হবে গৃহপালিত বিরোধী দল, যা সরকারের কথায় উঠবে-বসবে। কিংবা আজকের জাতীয় পার্টির মতো বিরোধী দলÑ যা সরকারেও থাকবে, বিরোধী দলেও থাকবে। আর সরকারপ্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী নামের একজনই হবেন রাজনীতির মাঠে একক সর্বেসর্বা। যিনি আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের চোখে দ্য ওয়ান অ্যান্ড অনলি ওয়ান
জানি না, এই দ্য ওয়ান অ্যান্ড অনলি ওয়ানজাতিকে শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবেন। তবে কেন জানি প্রশ্ন ও সংশয় জাগে, তিনি যে ইচ্ছাতন্ত্রের রথে চড়ে বসেছেন, তা শেষ পর্যন্ত দেশকে অ্যাবসলিউটিজম তথা নিরঙ্কুশবাদের থাবায় ঠেলে দেয় কি না? কারণ, কোনো দেশের রাজনীতিতে একজনই সর্বেসর্বাহয়ে ওঠার, অপর অর্থ দেশে অ্যাবসলিউটিজমের প্রতিষ্ঠা পাওয়া। রাজনীতিবিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে এই অ্যাবসলিউটিজম পদবাচ্যটি কম-বেশি জানা থাকলেও সাধারণ অনেক পাঠকের কাছে তা অজানা বলেই মনে হয়। সে জন্য এ সম্পর্কিত একটি টিকা উপস্থাপনের তাগিদ এখানে অনুভব করছি।
অ্যাবসলিউটিজম বা নিরঙ্কুশবাদ মতে, একটি দেশের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশভাবে থাকবে সে দেশের শাসকের হাতে। সে শাসকের পদবি রাজা বা অন্য যাই হোক না কেন। তিনি এমন দাবি করেও বলতে পারেন, এটি এর ঐশ্বরিক অধিকার রাখেন। এটি এমন ধরনের এক সরকার, যেখানে শাসক হবেন অ্যাবসলিউট ডিক্টেটর বা নিরঙ্কুশ বা চরম স্বৈরশাসক। নিরঙ্কুশবাদ মতে, ওই শাসক আইন জারি, বিচার পরিচালনা ও রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখেন। সেই সাথে শাসক নির্ধারণ করবেন বিদেশ নীতি। চতুর্দশ লুইয়ের শাসন ছিল অ্যাবসলিউটিজমের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ষোড়শ শতাব্দীর শেষ পাদে চতুর্দশ লুই হয়ে ওঠেন একজন নিরঙ্কুশবাদী রাজা। সেই সাথে তিনি আবির্ভূত হন ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষমতাধর শক্তির প্রতীক হিসেবে। তার ৭২ বছরের শাসনামলে তিনি ছিলেন খুবই স্বাধীন শাসক। লুই যাবতীয় ক্ষমতা তুলে নিয়েছিলেন নিজ হাতে। তার অ্যাবসলিউটিজম ফ্রান্সের ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।
ষোড়শ শতাব্দী আর একুশতম শতক এক নয়। আধুনিক এ সমাজে অ্যাবসলিউটিজম একেবারে অচল। ষোড়শ লুই পুরো শাসনামলে মাত্র একবার তার সভাসদদের তথা এস্টেট জেনারেলদের সভা ডেকেছিলেন। বাকি কাজ চালিয়েছেন একাই, নিজেকে সর্বেসর্বা ঘোষণা করে। আজকের দিনে এ কি সম্ভব? সম্ভব নয়। তাই কোনো দেশে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার যেকোনো প্রয়াসও আজকের দিনে অচল। এসব অপপ্রয়াস ঠেকাতে আজকের দিনের সচেতন জনগণ ও গণমাধ্যমই মুখ্য ভরসা, যখন রাজনৈতিক দলগুলো হয় এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ।
গ্রামসির দেয়া তত্ত্ব মতে, যখন কোনো দেশে ফ্যাসিবাদ শেকড় গাড়ে, তখন রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্ব হারায়। আর তখন গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করতে হয়। জানি না, গণমাধ্যম যাতে সে ভূমিকা পালন করতে না পারে, সে লক্ষ্যেই চালু হলো কি না বহুলালোচিত ও প্রবল বিতর্কিত সম্প্রচার নীতিমালা। তবে এটুকু বলা যায়, আওয়ামী লীগ নেত্রীর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েমের ইচ্ছাতন্ত্রের ফাঁদে আটকে পড়েছে দেশের গণতন্ত্র।
গোলাপ মুনীর

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads