মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬

ইস্ দুনিয়া মে সব চোর চোর


সম্ভবত পঞ্চাশ-ষাটের দশকে নির্মিত হয়েছিল হিন্দি সিনেমা ‘ভাই ভাই’। সে সিনেমা আমি দেখিনি। তবে ছেলেবেলায় হাটের দিন কোথা থেকে নানা ঢঙের অদ্ভুত পোশাক পরে বিনোদন দিতে আসতো কিছু লোক। তারা নানা হিন্দি-উর্দু গান গাইতো। ঢোল-ডগরা, খোল-করতাল বাজাতো। নাচতো। আর আমরা গোল হয়ে কেউ বসে কেউ দাঁড়িয়ে সে গান শুনতাম। আমাদের জন্য সেটা একটা দারুণ মজাদার ব্যাপার ছিল। মুরুব্বিরা বলতেন, ওদিকে যাসনে। ওরা সব পকেটমারের দল। আমাদের পকেটে থাকতোই দু’এক পয়সা। তার আর পকেট মার কি হবে। আমরা যেতাম। গানওয়ালারাও বারবার সতর্ক করতেন : ভাই সাহেবেরা, মিয়া ভাইরা, দাদাবাবুরা, যার যার পকেট সাবধান। গান-বাজনা শেষ করে তারা খুব দ্রুত সন্ধ্যার আগেই সব গুটিয়ে চলে যেতেন। কিন্তু পরে শোনা যেতো অনেকেরই পকেট কাটা গিয়েছে হাটের মধ্যে।
‘ভাই ভাই’ ছবিতে লতা মুঙ্গেশকরের গাওয়া বিখ্যাত গানও তারা গাইতো। ছবিটাও সম্ভবত পকেটমারদের নিয়েই তৈরি হয়েছিল। হিন্দি উর্দু ভাষা সম্পর্কে খুব একটা ধারণা আমাদের ছিল না। কিন্তু যেসব শব্দ বাংলার কাছাকাছি, সেগুলো আমরা বুঝতাম। গানটির প্রথম চরণটি ছিলো এ রকম, ‘ইস দুনিয়া মে সব চোর চোর’। সিনেমাটির নায়িকা ছিলেন পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে হিন্দি ছবির সাড়া জাগানো নায়িকা নিম্মি। ঘাগড়া ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এই গান গেয়ে নাচতেন। আর তার দলের লোকেরা মানুষের পকেট কাটতো, মানিব্যাগ তুলে নিয়ে যেতো। ছবির অন্যান্য চরণ মোটামুটি এরকম : কেউ পয়সা চোর, কেউ মুরগি চোর আউর কেউ দিল কা চোর। ইস দুনিয়া মে সব চোর চোর। কেউ চুরি করে খাওয়ার পয়সার জন্য। কেউ বা এক আনা, দুই আনা। কেউ ছোট চোর, কেউ বড় চোর। কেউ রাতে ডাকাতি করে, কেউ সিঁদ কাটে। কেউ কেউ ফর্সা চোর, কেউ কেউ কালা চোর, আউর লাট সাহাব কা শালা চোর। ইস দুনিয়া মে সব চোর চোর। আমি দিল চুরির জন্য এসেছি। কোথায়ও কি এমন কোনো দিলওয়ালা চোর আছে? ইস দুনিয়ামে সব চোর চোর। আমরা খুব মজা পেতাম যখন খিলাড়িরা গাইতো, আউর লাট সাহাব কা শালা চোর- এই লাইনটি শুনে। সব চোর বুঝলাম। তাই বলে লাট সাহেবের শালাও চুরি করবেন?
এখন বাংলাদেশের অবস্থা ভাই ভাই ছবির চেয়েও করুণ। বাংলাদেশ মে সব চোর চোর। সর্বজনশ্রদ্ধেয় সাংবাদিক এবিএম মূসা টেলিভিশন টক-শোতে বলেছিলেন, সমাজের ভেতরে সর্বত্র চুরি একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তাই দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলাদের দেখলে আমরা যেন তাদের ‘চোর চোর’ বলে ধাওয়া দেই। মূসা ভাই জীবিত থাকলে হয়তো জিজ্ঞাসা করতাম, মূসা ভাই, কাকে ধাওয়া দেব, এই সরকারের সবই যে ‘চোর চোর’। বাংলাদেশের পরিচয় এখন চুরি ডাকাতি ছিনতাই মুক্তিপণ খুন গুম অপহরণ। আর তাতে কে না যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর থেকে শুরু করে সকল সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা চেয়ারম্যান, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ নানা লীগ টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি দখলবাজিতে লিপ্ত। সবার কাছেই নারীরা শিশুরা অনিরাপদ। সাধারণ নাগরিকের কারও কাছে যাবার জায়গা নেই। এই চোরদের কাছে এতোটাই অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা দেশবাসী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় আট হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সকল চোরা মিলে ‘মাত্র’ ৮০০ কোটি টাকা চুরি করতে পেরেছে। পৃথিবীর ব্যাংকিং ইতিহাসে কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এভাবে টাকা চুরির ঘটনা এটাই প্রথম। এ নিয়ে সারা বিশ্বে তোলপাড় চলছে। কোনো বিখ্যাত গণমাধ্যম এমনও লিখেছে যে, চোরদের ফাউন্ডেশন বানানটি ভুল হওয়ার জন্য তারা প্রায় আট হাজার কোটি টাকা চুরি করতে পারেনি। চোরদের এখন উচিত, নিজেদের পাছায় লাত্থি মারা। কিন্তু কী আশ্চর্য নির্বিকার ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি এক মাস নয় দিন এই বিশাল চুরির কথা গোপন রেখে হাওয়ার ভেতরে টাকা অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন। কিন্তু হাওয়ায় কি আর চোরাই টাকা ওড়ে! ঐ ৮০০ কোটি টাকা নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক হয়ে চলে যায় ফিলিপিন্স আর শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে। এ ঘটনা নিয়ে সেখানকার পত্রপত্রিকায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়, তাও এক মাস পরে। তার আগে টাকা চুরি যাওয়ার পরও ফুরফুরে মেজাজে গবর্নর ড. আতিউর বিদেশে ভ্রমণ করতে থাকেন। শেষমেষ ভারতে চার দিনের প্রমোদ ভ্রমণ শেষে ১৪ মার্চ ঢাকা ফিরে আসেন। তার আগেই সব কিছু ফাঁস হয়ে যায়। সকল নিয়ম ভেঙে পরদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। অশ্রুশিক্ত নয়নে প্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগে আতিউর এক আবেগ-তাড়িত ‘বিদায় ভাষণ’ দেন। সেখানে ‘আমি যখন যাচ্ছি...’, ‘আমি যখন যাচ্ছি...’, ‘আমি যখন যাচ্ছি..’ এমনিভাবে তার ‘সাফল্যে’র এক কাল্পনিক ফিরিস্তি তুলে ধরেন। যা ছিল নিতান্তই বগি আওয়াজ। ভ্রমণ আর বক্তৃতা ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে আতিউরের আর কোনো সাফল্য নেই। তবু তার পদত্যাপত্র নিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন!
প্রথম প্রথম স্বাভাবিকভাবেই আতিউরকেই দূষলো সবাই। কিন্তু শাহবাগীদের এক গ্রুপ অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলো। আর আস্তে আস্তে থলের বিড়াল বের হতে শুরু করলো। একটি ঘোর সরকার সমর্থক পত্রিকা ২০ মার্চ রিপোর্ট করলো যে, ড. আতিউর ৪ ফেব্রুয়ারি টাকা চুরি হওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীকে জানান। অর্থাৎ ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার একমাস আগেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও টাকা চুরির ব্যাপারে অবহিত ছিলেন। তারপরও তারা ‘যুক্তি করে’ চুপটি করে বসে ছিলেন। আশা ছিল বাতাসে ভেসে ভেসে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা আবার নিউইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংকে ঢুকে যাবে। এই ধোকা না বোঝার মতো বোকা নেই মানুষ।
পত্রিকাগুলো গোটা বিষয়টাকে সরকারি মর্জি মাফিক ধামাচাপা দেবার মিশনে লেগেছে। ঘটনা প্রকাশিত হবার পরপরই নাকি ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরকে জানিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশ যদি চুপ করে থাকে, তবে তারা চুরি যাওয়া টাকার পুরোটাই ফেরত পাবে। এ যেন স্বপ্নে পাওয়া তাবিজের মতো। কিংবা শ্রীপুরের আশ্চর্য বড়ি। গিললেই সর্ব রোগের সমাধান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর আর ও প্রধানমন্ত্রী এই ধোঁকায় বিশ্বাস করে চুপ করে রইলেন। আর গোটা টাকাটা ক্যাসিনো বা জুয়ার খেলাধূলা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে চলে গেল হংকং। শ্রীপুরের বড়িতে কোনো কাজ হলো না। এখন ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এই টাকা ফেরত পাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। আর টাকাটা হংকং পাচার নিশ্চিত হওয়ার পর ‘সৎ সাহসী’ আতিউর পদত্যাগ করলেন। মিশন অ্যাকমপ্লিশড।
এরপর অর্থমন্ত্রী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন। গবর্নর আতিউরকে দায়ী করলেন এবং তিনি জানালেন যে এই টাকা চুরির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা শতভাগ জড়িত। এমন কি প্রক্রিয়ায় নিউ ইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে টাকা হস্তান্তরের আদেশ দেয়া হয়, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও করেন। ফলে এটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর থেকেই কেউ এই কাজ করেছে। তারা তো ভেতরেই আছে। যাদের আঙুলের ছাপ দেখে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এই টাকা ছাড় করেছে। তারা তো ব্যাংকেরই কর্মকর্তা। কিন্তু আশ্চর্যের ঘটনা এই যে, তাদের আটক না করে ঘটনার ৪০ দিন পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নামমাত্র মামলা দায়ের করেছে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে। তাহলে এই আঙুলের ছাপওয়ালা কর্মকর্তারা কি আতিউরের মতোই? অর্থমন্ত্রীর চাইতেও অনেক বেশি শক্তিশালী? এখন প্রমাণিত হচ্ছে তাই।
এরপর গত ২০ শে মার্চ আওয়ামী লীগের কার্যনির্র্বাহী সংসদে বৈঠক বসেছিল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রধানমনস্ত্রীর নেতৃত্বেই। সেখানে আওয়ামী নেতারা একযোগে অর্থমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। অর্থমন্ত্রী আব্দুল মুহিত কেন গবর্নর আতিউরের বিরুদ্ধে কথা বললেন। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে নিজেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে রোববার দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে একই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের নেতারা অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা নীরব থাকেন। তিনি কোনো মন্তব্য না করে নেতাদের বক্তব্য শোনেন। তবে গবর্নর আতিউরের সমালোচনা করায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল আলম লেনিনকে ভর্ৎসনা করেন। পার্টির সিদ্ধান্তের বাইরে লেনিন কেন এমন মন্তব্য করলেন তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী । এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংকের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি অর্থমন্ত্রীরও কড়া সমালোচনা করেন। তাকে সমর্থন করেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। তারা একই সঙ্গে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন। ড.মিজান বলেছিলেন, আতিউর বলির পাঁঠা হয়েছেন। অর্থাৎ আতিউরের অযোগ্যতার প্রতি পুরো সমর্থন জানান প্রধানমন্ত্রী নিজে।
এখন যেহেতু শেখ হাসিনা আতিউরের পক্ষে, অতএব চাপাবাজ কলমবাজের দল একেবারে কাছা দিয়ে নেমে পড়েছেন মুহিতের বিরুদ্ধে। তারা বলছেন, ক’টাই তো মাত্র টাকা। তা নিয়ে আতিউরের বিরুদ্ধে এত কথা বলার যৌক্তিকতা কি? এর আগে হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে খেয়েছে চার হাজার কটি টাকা। বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর কারসাজিতে লুট হয়ে গেছে ৬ হাজার কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বাংকের সব অর্ডার যদি পার পেয়েও যেত, তাহলে মাত্র আট হাজার কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতো। সেটা আর কয়টা পয়সা। আবার ড. আতিউরের আকাশছোঁয়া যোগ্যতার ফলে মাত্র আট শ’ কোটি টাকা চুরি হয়েছে, তার জন্য এতো কথা কেন। মুহিতের কথায় যেমন ‘চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না’ সেখানে আট শ’ কোটি টাকা তো কানাকড়ির সমান। সুতারাং আতিউরকে নিয়ে এতো তোলপাড়ের কিছু নেই। আর সে কারণেই বেচারা আতিউরের শোকে নাকি টাকার শোকে প্রধানমন্ত্রীর চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রু ঝরছিল।
তাহলে আর বসে থাকা কেন? এবার জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তা দিলকুশার লোকাল অফিস থেকে এফডিআরের অর্থ তুলে আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টের পেয়ে তার কাছ থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। জনতা লোকাল অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজিব হাসান ধীর ধীরে ঐ শাখার এফডিআর অনুবিভাগে কাজ করে আসছেন। সেখানে বেশ আগে থেকে ভাউচার দিয়ে টাকা তুলছিলেন তিনি। এত দিন বিষয়টা কেউ বুঝতে না পারলেও গত রোববার ভাউচারে গরমিল পাওয়ায়, তা মিলিয়ে দেখতে গিয়েই বেরিয়ে আসে বিপুল টাকা চুরির কাহিনী। এরপর সোমবার রাজিব হাসানের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে বস্তা ভর্তি টাকা উদ্ধার করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। তার ড্রয়ার ভর্তি ছিল লাখ লাখ টাকা। দুই কোটি টাকা উদ্ধার করলেও তিনি ঠিক কত কোটি টাকা চুরি করেছেন তার কোনো হিসাব ব্যাংকের কাছে নেই। এখানেও আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে, এই চোর কর্মকর্তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। কোনো জিডি বা মামলাও করা হয়নি। রাজিব আহসানের বাড়ি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানায়। ৫ বছর আগে তিনি জনতা বাংকে যোগদান করেছেন। আর সর্বশষ সংবাদ হলো গত মঙ্গলবার এই রাজিব আহসানকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর না করে নিরাপদে বাড়িতে চলে যেতে দেওয়া হয়েছে এবং ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি টাকা চুুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্থাৎ এই চোর রাজিব আহসান জনতা বাংকের সব প্রশাসন, আইন-শৃংখলা বাহিনী-সবার উপর অনেক বেশি শক্তিশালী। অতএব যে যেখানে আছেন ’হরি বোল’ বলে চুরি ডাকাতি দুর্নীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। কেননা ‘ইস্ বাংলাদেশ মে সব চোর চোর।’
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads