মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংক তাসকিন আর তনু হত্যা


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন তরুণ সমাজের প্রাণ। দিনরাত তারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই জনপ্রিয় মাধ্যম ব্যবহার করছে। স্ট্যাটাস, কমেন্ট, লাইক, মন্তব্যে ভরিয়ে তুলছে। এ অনেকটা নেশার মতো। তাছাড়া নানা ধরনের ইন্টারেস্টিং বিষয়ও তারা আপলোড করছে। তুলে ধরছে নানা ধরনের সামাজিক সঙ্গতি অসঙ্গতির কথাও। এ মাধ্যম অপ্রতিরোধ্য। ভিন্নমতের প্রতি চরম অসহিষ্ণু এ সরকার মাঝে মাঝে নানা ধরনের এলান জারি করে তরুণ সমাজের কণ্ঠ চেপে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে খুব বেশি ফলোদয় হয়নি। তরুণরা পথ বের করেই নেয়। তাদের মত নানা কৌশলে প্রকাশ করে। এই নিয়ম না মানাই তারুণ্যের ধর্ম। কোটি কোটি তরুণ প্রাণের আত্মপ্রকাশের এই আকাক্সক্ষাকে বালির বাঁধ দিয়ে রোধ করা যায় না। হিন্দি সিরিয়ালের মতো এতে আসক্ত হয়ে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ গৃহবধূও। যে যা এনজয় করেন, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সব কিছুই পাওয়া যায়।
সে ক্ষেত্রে আমি প্রবীণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব কিছু আমি ঠিক মতো বুঝিও না, চালাতেও পারি না। মাঝে মাঝে ফেসবুকে বসে দেখেছি, কোথা দিয়ে দু’ তিন ঘণ্টা সময় কেটে যায়, বোঝা যায় না। এতো সময়ও আমার নেই। ফলে ভয়ে বসি না এসব যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু তারুণ্যই আমাদের শক্তি। তার তেজেই, তার অমিত বিক্রমেই নির্মিত হয় দেশের ভবিষ্যৎ। কোনো বিষয়কে আমি যেভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করি, তরুণরা তা করে না। সেটাও খুব স্বাভাবিক। তা যদি করতো, তা হলে এদেশে কোনো আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস রচিত হতো না। তারুণ্য নদীর গতিধারার মতো আপন বেগে চলেছে বলে এদেশে এক একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন হয়েছে। এক একটি নায্য দাবি আদায় হয়েছে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন যে, যদি সরকার আরোপিত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু তারুণ্য সারা রাত ধরে সংগঠিত হয়ে সকালে ১৪৪ ধারা ভেঙে বসলো। গুলী হলো। তারুণ্যই প্রাণ দিল। প্রতিষ্ঠিত হলো রাষ্ট্রভাষার অধিকার।
একইভাবে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধও হয়েছে। ঐ বছর ২৪ মার্চও যখন রাজনৈতিক সমঝোতার আশা করছিলেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ততোক্ষণে ছাত্রসমাজ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তৈরি করে তা উত্তোলন করে ফেলেছে। লুঙ্গি কাছা দিয়ে কাঠের বন্দুক কাঁধে লেফট-রাইট করতে শুরু করেছে। কারণ সে সময়কার তারুণ্য উপলব্ধি করেছিল যে, যেহেতু জাতীয় সংসদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকাল পিছিয়ে দেয়া হলো, যখন বোঝা গেল শেখ মুজিবুর রহমানকে সামরিক-বেসামরিক আমলারা আর জুলফিকার আলী ভুট্টো গং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে না, তখন তারুণ্য উপলব্ধি করেছিল, স্বাধীনতা ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নেই। আর সে স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে যুদ্ধ করেই। অতএব তৈরি হয়ে গিয়েছিল তারুণ্য, রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনেক আগেই। আর তাই দেশে দেশে কালে কালে কবি সাহিত্যিক শিল্পীরা তারুণ্যের জয়গান গেয়েছেন। বলেছেন, ওরে তরুণ, ওরে আমার কাঁচা, আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা। আসলে তারুণ্যই বাঁচায়।
আর তাই সকল দেশের সকল স্বৈরাচারী শাসকরা ক্ষমতায় আসীন হয়েই প্রথমেই তারুণ্যের শক্তিকে ধ্বংস করতে চায়। প্রথমে চালায় দমন-পীড়ন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই দমন-পীড়ন কোনো কাজ দেয় না। দমন-পীড়নে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে তারুণ্যের শক্তি। এই শক্তি কখনও কখনও স্বৈরাচারের ভিত নাড়িয়ে দেয়। এমন কি পতন ঘটায় স্বৈরাচারী শক্তির। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান। সে অভ্যুত্থানে পতন ঘটেছিল আইউব খানের স্বৈরশাসনের। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন আইউব খান। বাংলাদেশে গণতন্ত্রঘাতক স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারেরও পতন ঘটিয়েছিল তরুণ সমাজই। এরশাদের পতনের ব্যাপারে চূড়ান্ত আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন নানা দোটানায়, তখন ছাত্রসমাজ রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুখাপেক্ষী না থেকে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের দুর্বার আন্দোলনের মুখে শেষমেষ রাজনৈতিক নেতৃত্বও সে আন্দোলনে শরিক হয়। আর তাতে শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। সে কারণে স্বৈরশাসকেরা অনেক সময় তারুণ্যকে বিপথে-কুপথে ঠেলে দিতে তাদের সামনে লোভ-লালসা চরিতার্থ করার পথ অবারিত করে দেয়। ধ্বংস করে দিতে চায় তারুণ্যের শক্তি। এরশাদও সে চেষ্টা করেছিলেন। শেখ হাসিনাও করছেন।
গত কয়েক দিনে এ সময়ের তরুণদের কয়েক জনের সঙ্গে কথা হলো। আমার কিংবা আমার বয়েসিদের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে যে তাদের চিন্তার খুব একটা সাজুয্য পাওয়া যাবে না, সেটা ধরেই নিয়েছিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমিটির নির্লজ্জ ষড়যন্ত্র, তাসকিনকে খেলার অযোগ্য ঘোষণা, বাংলাদেশ দলকে জরিমানা এবং সর্বশেষ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসে ভিক্টোরিয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ অনার্সের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমার নিজস্ব বিশ্লেষণ আছে। এখন তার বয়স্ক পিতা-মাতা, ভাই-বোনকে নিয়ে যা করা হচ্ছে, সেটিও আমার দৃষ্টিতে চরম নির্যাতন। কিন্তু তরুণরা সবগুলো ঘটনাকে একই সূত্রে গেঁথে নিয়েছে।
তারা বলতে চাইছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির সঙ্গে অবশ্যই সরকারের কোনো না কোনো প্রভাবশালী মহল জড়িত আছে। সেটা তো অর্থমন্ত্রীর কথার মধ্য দিয়েও প্রমাণিত হয়। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ৮০০ কোটি টাকা চুরির সঙ্গে ব্যাংকের কর্মকর্তারা শতভাগ জড়িত। তরুণদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর বিষয়টা লুকিয়ে রেখে ঐ টাকা চুরিতে সহায়তা করেছেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি টাকা চুরির পর তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে টাকাটা ফিলিপিন্সের মার্কেটে ছিল। তারপর সেটা পাচার হয়ে গেছে হংকং-এ। অর্থাৎ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এদিকে পত্রিকায় খবর বের হয়েছে যে, আতিউর ৭ ফেব্রুয়ারিই ঘটনাটা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও কি তবে আতিউরকে এই টাকা চুরির ব্যাপারটা চেপে যেতে বলেছিলেন? বললে, কেনো বলেছিলেন? অথচ সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে এই টাকা উদ্ধার সম্ভব হতো। নিউ ইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংকের এই টাকা লেনদেনে সুইফট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বলা হলো সুইফটের প্রযুক্তি হ্যাকড হয়েছে। সুইফটের বিশেষজ্ঞরা ঢাকা এসে সরকারকে নিশ্চিত করে গেছেন যে, সুইফটের প্রযুক্তি হ্যাকড হয়নি। হবার কোনো ব্যবস্থাই নেই। বরং এই টাকা চুরি হয়েছে। আর এর সঙ্গে যুক্ত আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের কর্মকর্তারা, যারা ফেডারেল রিজার্ভ থেকে টাকা লেনদেনের অন্ধিসন্ধি সব জানেন।
সুইফটের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বলা হয়েছিল, ঐ কক্ষ থাকবে সংরক্ষিত। সেখানে কোনো আইটির লোক ঢুকবে না। যে কম্পিউটারের মাধ্যমে লেনদেন হবে, সে কম্পিউটার অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অথচ ড. আতিউর তাদের সাড়ে তিন হাজার কম্পিউটারের সঙ্গে সুইফটের সংযোগ দেন। সুইফট দেখিয়ে দিয়েছে, ঐ কম্পিউটারে গান শোনা হয়েছে, গেম খেলা হয়েছে। সেখানে আইটির লোকদের নিয়োজিত করা হয়েছে। যা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছেন সুইফটের লোকেরা। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর জায়গায় কেন রাকেশ আস্তানা নামের একজন ভারতীয় নাগরিককে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে? কেন দুজন মুসলমান ডেপুটি গভর্নর বরখাস্ত হলেন? কেন সংখ্যালঘু বাকি দুজন বরখাস্ত হলেন না? দোষ হলে চারজনেরই হয়েছে। না হলে কারও হয়নি। আবার রাকেশ জাতিসংঘের ডেপুটি তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন। তাকে কেন আইটি বিশেষজ্ঞ বলে চালিয়ে দেয়া হলো?
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরিতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকেরা জড়িত, এটা যখন একেবারে প্রমাণের দ্বারপ্রান্তে, তখন এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য অপহরণ করা হলো আইটি বিশেষজ্ঞ তানভীর আহমদ জোহাকে। এর লক্ষ্য ছিল, মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফিরিয়ে দেয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরির টাকা উদ্ধারের বদলে যাতে মানুষ দাবি করতে থাকে যে, জোহার উদ্ধার বা সন্ধান চাই। আবার জোহা উদ্ধারের দাবি যখন জোরদার হয়ে উঠলো, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সব বিরক্তিকর হেঁয়ালি করতে থাকলেন যে, সেটা সহ্য করাও কঠিন। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জোহাকে বাসায় ফিরিয়ে দিয়ে গেল বটে, তবে বন্ধ করে দেয়া হলো জোহার মুখ। অথচ এই জোহাই টাকা চুরির রহস্য উদঘাটনে র‌্যাব-পুলিশকে সহায়তা করছিলেন। তরুণরা আমাকে বোঝাতে চাইলো এই টাকা চুরির সঙ্গে ভারতেরও হাত আছে। এই কথাটা আমার কাছে নতুন। বললাম, কীভাবে? তারা বললো, এই যে রাকেশ আস্তানা। এটা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট। নইলে ফেডারেল রিজার্ভে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা লেনদেন করছে বহুকাল ধরে। কখনও তো এমন ঘটনা ঘটেনি। রাকেশ আসার পরপরই কেন চুরি হয়ে গেল বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা। আর চুরি হতে হতে বেঁচে গেল প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।
তারা জানালো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা সাধারণত কারেন্ট ইস্যু নিয়েই লেখালেখি করি। টাকা চুরির মূল হোতারা যখন ধরা পড়ে পড়ে, তখন আইসিসির মাধ্যমে বাংলাদেশ দলের তাসকিনকে টি-২০ ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করিয়ে দিল। আইসিসি তো ভারতের পা-চাটা। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তাসকিনকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরব হয়ে উঠল। তাসকিন ও বাংলাদেশ দলের প্রতি আইসিসি যেন যুদ্ধ ঘোষণা করল? ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করলেন যে, আইসিসি ভারতের প্রতি বড় বেশি দুর্বল। যে কারণে বাংলাদেশের তাসকিনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, একই কারণে ভারতের অনেক ক্রিকেটারকেও নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। কিন্তু আইসিসির লক্ষ্য ছিল, যে করেই হোক ভারতকে জেতাতে হবে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা যা করার তা করেই ফেললো। একজন তো ঝটপট মোবাইলে সার্চ দিয়ে আমাকে দেখালো যে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের রান যোগ করলে দাঁড়ায় ১৪৬। অথচ আইসিসি স্কোর বোর্ডে তা দেখানো হয় ১৪৫। সে হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ খেলা ড্র হবার কথা। এটাও ভারতীয়দের ষড়যন্ত্র।
এর মধ্যে গত ২০ মার্চ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের আবাসিক এলাকায়     শ্লীলতাহানির পর খুন করা হলো অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে। এই খুনের ঘটনা নিয়ে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-সংস্কৃতিসেবী সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসলো। কিন্তু গত ১০ দিনেও কোনো অপরাধী গ্রেফতার হয়নি। বরং এই হত্যাকা- নিয়ে তনুর পরিবারকেই হয়রানি করা হচ্ছে। তার প্রবীণ পিতামাতা আর ভাই-বোনকে মধ্যরাতে তুলে এনে ভোর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন এই অত্যাচার? কেন এই চাপ সৃষ্টি? কেউ কেউ বললেন, ভারত শেখ হাসিনা সরকারকে কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। এটাও তাদেরই ষড়যন্ত্র। সেটা দুভাবে। প্রথমত, তনু হত্যাকা- নিয়ে সারাদেশে যে তোলপাড় হবে, সেটা জানত ভারত সরকার। ফলে আড়াল হয়ে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনা। আর ঘটনাটা সেনানিবাসের ভেতরে হওয়ায় সাধারণ মানুষ যাতে সেনাবাহিনীকে ঘৃণা করতে শুরু করে। অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইল ভারত।
আমি মনোযোগ দিয়ে তাদের এই চিন্তার ধারাটা শুনলাম। আমার চিন্তা বা দ্রোহের সঙ্গে কোথায়ও তাদের কথা মিলে গেল। কোথায়ও মনে হলো, আমি পশ্চাৎপদই রয়ে গেছি। কিন্তু জীবনভর তো দেখলাম শেষ বিচারে তারুণ্য ও তাদের চিন্তা চেতনা লড়াইয়েরই জয় হয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এবারও হবে।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads