জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দমন ও নির্মূল করার উদ্দেশ্যে আবারও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। গুলশানের হোটেলে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার আয়োজিত এক শোক সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি করা হলে প্রকৃত অপরাধীদের দমন করা যাবে না বরং তারা পার পেয়ে যাবে। মির্জা আলমগীর প্রসঙ্গত আরো বলেছেন, যখনই কোনো হামলা বা হত্যাকা- ঘটে তখনই আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করে বক্তৃতা শুরু করে দেন। এর মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদেরকেই খুশি করা হয়। তারা একই সাথে নতুন নতুন অপরাধ সংঘটনের সুযোগ পেয়ে যায়। এভাবে দোষারোপের রাজনীতি চলতে থাকলে দেশ থেকে কোনোদিনই জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দমন ও নির্মূল করা সম্ভব হবে না। সত্যিই সদিচ্ছা থাকলে সরকারের উচিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে সাড়া দেয়া এবং দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া।
বিরোধী দলকে দায়ী করার মধ্য দিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার যে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে মির্জা আলমগীর তারও সমালোচনা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের ওপর ক্ষমতাসীনরা যে আঘাত হেনেছেন তার পরিণতিতেই দেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের তৎপরতা এতটা বিপদজনকভাবে বেড়ে গেছে। জনগণের মধ্যেও আতংক বেড়ে চলেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এসব কর্মকা- আরো বাড়তেই থাকবে এবং গোটা জাতিই আক্রান্ত হয়ে পড়বে বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। তার মতে, বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দেশকে ধ্বংসও করে দিতে পারে। অমন আশংকার বিপরীতে জনগণের ঐক্যই কেবল দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। আর এজন্য দরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সে কারণে সরকারের উচিত বেগম জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দেয়া।
মঙ্গলবারের ওই শোক সমাবেশে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির অন্য নেতারাও একই ধরনের বক্তব্য রেখেছেন এবং মূল কথায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দমন ও নির্মূল করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা এই অভিমত ও আহ্বানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। কারণ, সরকারের পক্ষ থেকে যা কিছু বোঝানোরই চেষ্টা চালানো হোক না কেন, একথা প্রতিটি উপলক্ষে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে না। সরকারের বিরামহীন প্রচারণা সত্ত্বেও জনগণও সেটাই বিশ্বাস করে এসেছে। অন্যদিকে সব জেনেবুঝেও ক্ষমতাসীনরা দোষারোপের রাজনীতি থেকে সরে আসেননি। এখনো পর্যন্ত সরে আসার নাম করছেন না। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মূলত ক্ষমতাসীনদের এই বিচিত্র ও ধ্বংসাত্মক কৌশল ও মনোভাবের কারণেই বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকা- কেবল বেড়েই চলেছে। প্রসঙ্গক্রমে এখানে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সর্বশেষ একটি মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারে। তিনদিনের আকস্মিক সফরের শেষ পর্যায়ে মঙ্গলবার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি বলেছেন, হত্যা-সন্ত্রাসের বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ফসল বলে মনে করতো। কিন্তু এতদিনে সরকারের চিন্তায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হত্যা-সন্ত্রাসের সঙ্গে যে বৈশ্বিক রাজনীতির সম্পর্ক আছে সরকার সেটা মেনে নিতে শুরু করেছে। মার্কিন মন্ত্রীর মতে এটা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেছেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে যেহেতু আন্তর্জাতিক যোগসাজশ রয়েছে সেহেতু যে দেশেই ঘটুক না কেন তা মোকাবিলায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আমরা মনে করি, কিছুটা ঘুরিয়ে নিজেদের মতো করে বললেও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মূল কথায় জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টিকেই গুরুত্বের সঙ্গে প্রাধান্যে এনেছেন। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দমন ও মোকাবিলার জন্য তিনিও জনগণকে সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, ইঙ্গিতে তারও উল্লেখ রয়েছে মার্কিন মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে। তিনি বলেছেন, সরকার অতীতে হত্যা-সন্ত্রাসকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ফসল মনে করতো। কিন্তু এতদিনে এসে সরকার বুঝতে শুরু করেছে, এর সঙ্গে বৈশ্বিক সন্ত্রাসের যোগসাজশ রয়েছে।
আমরা অবশ্য মন্ত্রী বিসওয়ালের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একমত পোষণ করতে পারি না। কারণ, তিনি বোঝাতে চাইলেও বাস্তবে সত্য হলো, সরকার প্রথম থেকেই জানতো যে, জঙ্গিবাদ তথা হত্যা-সন্ত্রাসের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে তৎপর কিছু গোষ্ঠীর যোগসাজশ ও অংশগ্রহণ রয়েছে। কিন্তু সব জেনেও দেশের ভেতরে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার এবং বিরোধী দলকে চাপের মুখে ফেলার কৌশল থেকে সরকার দোষারোপের রাজনীতি করে এসেছে। সে রাজনীতি থেকে এখনো সরে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও আমরা আশা করতে চাই, সরকার নিজের ভুল বুঝতে পারবে এবং দেশকে ভয়ংকর পরিণতির কবল থেকে বাঁচানোর সদিচ্ছার ভিত্তিতে অবিলম্বে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দেবে। সরকারকে একই সঙ্গে দোষারোপের রাজনীতিও বন্ধ করতে হবে।
বিরোধী দলকে দায়ী করার মধ্য দিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার যে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে মির্জা আলমগীর তারও সমালোচনা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের ওপর ক্ষমতাসীনরা যে আঘাত হেনেছেন তার পরিণতিতেই দেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের তৎপরতা এতটা বিপদজনকভাবে বেড়ে গেছে। জনগণের মধ্যেও আতংক বেড়ে চলেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এসব কর্মকা- আরো বাড়তেই থাকবে এবং গোটা জাতিই আক্রান্ত হয়ে পড়বে বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। তার মতে, বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দেশকে ধ্বংসও করে দিতে পারে। অমন আশংকার বিপরীতে জনগণের ঐক্যই কেবল দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। আর এজন্য দরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সে কারণে সরকারের উচিত বেগম জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দেয়া।
মঙ্গলবারের ওই শোক সমাবেশে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির অন্য নেতারাও একই ধরনের বক্তব্য রেখেছেন এবং মূল কথায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দমন ও নির্মূল করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা এই অভিমত ও আহ্বানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। কারণ, সরকারের পক্ষ থেকে যা কিছু বোঝানোরই চেষ্টা চালানো হোক না কেন, একথা প্রতিটি উপলক্ষে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে না। সরকারের বিরামহীন প্রচারণা সত্ত্বেও জনগণও সেটাই বিশ্বাস করে এসেছে। অন্যদিকে সব জেনেবুঝেও ক্ষমতাসীনরা দোষারোপের রাজনীতি থেকে সরে আসেননি। এখনো পর্যন্ত সরে আসার নাম করছেন না। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মূলত ক্ষমতাসীনদের এই বিচিত্র ও ধ্বংসাত্মক কৌশল ও মনোভাবের কারণেই বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকা- কেবল বেড়েই চলেছে। প্রসঙ্গক্রমে এখানে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সর্বশেষ একটি মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারে। তিনদিনের আকস্মিক সফরের শেষ পর্যায়ে মঙ্গলবার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি বলেছেন, হত্যা-সন্ত্রাসের বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ফসল বলে মনে করতো। কিন্তু এতদিনে সরকারের চিন্তায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হত্যা-সন্ত্রাসের সঙ্গে যে বৈশ্বিক রাজনীতির সম্পর্ক আছে সরকার সেটা মেনে নিতে শুরু করেছে। মার্কিন মন্ত্রীর মতে এটা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেছেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে যেহেতু আন্তর্জাতিক যোগসাজশ রয়েছে সেহেতু যে দেশেই ঘটুক না কেন তা মোকাবিলায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আমরা মনে করি, কিছুটা ঘুরিয়ে নিজেদের মতো করে বললেও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মূল কথায় জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টিকেই গুরুত্বের সঙ্গে প্রাধান্যে এনেছেন। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দমন ও মোকাবিলার জন্য তিনিও জনগণকে সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, ইঙ্গিতে তারও উল্লেখ রয়েছে মার্কিন মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে। তিনি বলেছেন, সরকার অতীতে হত্যা-সন্ত্রাসকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ফসল মনে করতো। কিন্তু এতদিনে এসে সরকার বুঝতে শুরু করেছে, এর সঙ্গে বৈশ্বিক সন্ত্রাসের যোগসাজশ রয়েছে।
আমরা অবশ্য মন্ত্রী বিসওয়ালের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একমত পোষণ করতে পারি না। কারণ, তিনি বোঝাতে চাইলেও বাস্তবে সত্য হলো, সরকার প্রথম থেকেই জানতো যে, জঙ্গিবাদ তথা হত্যা-সন্ত্রাসের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে তৎপর কিছু গোষ্ঠীর যোগসাজশ ও অংশগ্রহণ রয়েছে। কিন্তু সব জেনেও দেশের ভেতরে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার এবং বিরোধী দলকে চাপের মুখে ফেলার কৌশল থেকে সরকার দোষারোপের রাজনীতি করে এসেছে। সে রাজনীতি থেকে এখনো সরে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও আমরা আশা করতে চাই, সরকার নিজের ভুল বুঝতে পারবে এবং দেশকে ভয়ংকর পরিণতির কবল থেকে বাঁচানোর সদিচ্ছার ভিত্তিতে অবিলম্বে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দেবে। সরকারকে একই সঙ্গে দোষারোপের রাজনীতিও বন্ধ করতে হবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন