শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫

ভারতীয় শিল্পীদের অশ্লীল নাচ বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে


অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে গত ২০ নবেম্বর শুক্রবার বিপিএলের তথা কথিত জমকালো উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে কোনো কোনো পত্রিকায় গর্বভরে বলা হয়েছিল যে, সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি করা হবে। আরও বলা হয়েছিল যে, বাংলাদেশকে কাঁপাতে এই অনুষ্ঠানে নাচ ও গান পরিবেশন করবেন ভারতের হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের নাচিয়ে অভিনেতা হৃত্বিক রোশন, শ্রীলঙ্কা বংশোদ্ভূত ভারতীয় বোম্বাইয়া নৃত্য পটিয়সী নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ এবং ভারতীয় কণ্ঠ শিল্পী কেকে। গতকাল শনিবার এ অনুষ্ঠানের বিবরণ ফলাও করে বিভিন্ন কাগজে ছাপা হয়েছে। বাংলাদেশের চ্যানেল নাইন এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে। স্বাভাবিক কারণেই এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের মনে বিপুল আগ্রহের সৃষ্টি করে এবং অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময় থেকেই কোটি কোটি মানুষ তাদের টিভি সেটের সামনে অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করে। কিন্তু শুরুতেই এ কথা স্পষ্ট বলে রাখা দরকার যে, এই অনুষ্ঠানটি এক দিকে কোটি কোটি দর্শককে যেমন মুগ্ধ করতে পারেনি, অন্যদিকে তেমনি বিদেশীদের নর্তন কুর্দনে এবং অশ্লীল দেহ সঞ্চালনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করতে পারেনি। বরং সাড়ে ৩ কোটি টাকা খরচ করে এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসারে বিপুলভাবে সাহায্য করেছে।
হৃত্বিক রোশন এবং জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নর্তন কুর্দন নিয়ে একটু পরে মন্তব্য করব। কিন্তু প্রথমেই হৃত্বিকের একটি উক্তি নিয়ে মন্তব্য না করলে বাংলাদেশের শিল্পী এবং সংস্কৃতিসেবীদের প্রতি অবিচার করা হবে। অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ঐ মহিলাটি হৃত্বিকের নাচ শেষে মঞ্চে তাৎক্ষণিকভাবে তার সাথে দু’চারটি কথা বলেন। এ ব্যাপারে কারো কিছু বলার নাই। তিনি যেসব প্রশ্ন করেন এবং হৃত্বিক যেসব উত্তর দেন সেসব হলো গতানুগতিক, গৎবাঁধা এবং স্টেল। কিন্তু প্রশ্নোত্তর শেষে হৃত্বিক সমবেত বিপুলসংখ্যক দর্শক শ্রোতাদেরকে হিন্দিতে প্রশ্ন করেন, আপনারা বাংলাদেশে ভারতীয় হিন্দি ছবি আসতে দিচ্ছেন না কেন? তার এই প্রশ্নে দর্শক সাধারণ বিরাট হোঁচট খায়। কারণ ভারতীয় ছবি বাংলাদেশের বড় পর্দায় কেন দেখানো হয় না সেটি আমাদের দেশের সচেতন মানুষ বিলক্ষণ জানেন। তারা ভদ্র এবং বিদেশীদেরকে সম্মান করতে জানেন। তারা আরও জানেন যে বিদেশীদের সম্মান কিভাবে রক্ষা করতে হয়। তাই তারা হৃত্বিককে পাল্টা প্রশ্ন করেন নি যে আপনাদের দেশে, এমনকি পশ্চিম বাংলাতেও বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে ঢুকতে দেন না কেন? অথচ বাংলাদেশের এক শ্রেণীর কলকাতা প্রেমী শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী এবং পশ্চিমবঙ্গের এক শ্রেণীর জ্ঞান দানকারী আঁতেল উঠতে বসতে ‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’ বলে পাগল পারা। হৃত্বিক বলেন যে, বাংলাদেশে যদি ভারতীয় হিন্দী ছবি ঢুকতে দেওয়া হয় তাহলে তিনি ফের বাংলাদেশে এসে মঞ্চে নাচবেন না। বরং সামনে উপবিষ্ট হাজার হাজার দর্শক শ্রোতার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে তিনি বলেন যে, আপনারা যদি বাংলাদেশে ভারতীয় হিন্দী ছবি প্রবেশ করতে দেন তাহলে মঞ্চ থেকে নেমে আপনাদের সাথে, অর্থাৎ দর্শকদের সাথে নাচবো। হৃত্বিক রোশন বাংলাদেশী দর্শকদের আবেগ ধরে নাড়া দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশী দর্শকরা তার কথায় আপ্লুত বা বিভ্রান্ত হয়নি।
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ এবং হৃত্বিক রোশনের নাচ নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। তাদের দুজনের সাথেই নেচেছেন এক দল ভারতীয় মেয়ে। এদের পরনে ছিল প্যান্টি এবং বক্ষ বন্ধনী। এসব সহচরীরা তাদের শরীরের লোভনীয় স্থানগুলি উত্তেজকভাবে সঞ্চালন করেন। আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করবো না। শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, ওরা নৃত্যের নামে যে লম্ফ ঝম্ফ করে গেলেন সেটি না বাঙালি সংস্কৃতি, না মুসলিম সংস্কৃতি। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা কেন ভুলে গেলেন যে এদেশের মানুষ ৯৯.৫ শতাংশ বাঙালি এবং একই সাথে ৯০ শতাংশ মুসলমান। তাদের সেন্টিমেন্ট এবং মূল্যবোধের প্রতি উদ্যোক্তাদের এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত ছিল।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বাংলাদেশের অভিনেত্রী এবং নৃত্য শিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ এর নেতৃত্বাধীন দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে। সাদিয়ার এই গ্রুপ নৃত্য একদিকে যেমন দর্শকবৃন্দকে আকৃষ্ট করে অন্যদিকে তেমনি শালীনতা এবং নৃত্য কুশলতায় তা ছিল হৃদয় গ্রাহী।
॥দুই॥
গত ১৯ নবেম্বর ডেইলি স্টারের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরের শিরোনাম, 'INTERNET, MOBILE APPS / Sudden shutdown follows verdict. ইন্টারনেট, মোবাইল এ্যাপ্স/রায়ের পর অকস্মাৎ বন্ধ’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সর্ব প্রথম সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। ফলে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসা ও চাকরি বাকরি সমূহ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৭৫ মিনিট ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পর সরকার ফেসবুক এবং অনলাইন ম্যাসেজিং বন্ধ করে দেয়। একই সাথে হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবারও বন্ধ করে দেয়া হয়।
ডিজিটাল জগতের বিশেষজ্ঞ এবং উদ্যোক্তারা বলেন, তাদের অনলাইন সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে ডিজিটাল ব্যবসা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাব থাকবে দীর্ঘ দিন। কম্পিউটার সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা জব্বার বলেন, আধুনিক জীবন, ব্যবসা এবং অফিস আদালতের লাইফ লাইন হলো ইন্টারনেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইট সমূহ ব্লক করা সরকারি মেকানিজমের সর্বাত্মক ব্যর্থতাই প্রমাণ করে। আলোচ্য ইংরেজি পত্রিকাটির রিপোর্ট মোতাবেক সর্বোচ্চ আদালত সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ পিটিশন খারিজ করার ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথেই ইন্টারনেট ব্লক করা হয়। ইতঃপূর্বে বিটিআরসি বা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ সংস্থা ফেসবুক, হোয়াটস এ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ট্যাংগো এবং ভাইবার বন্ধ করার জন্য সমস্ত মোবাইল কেরিয়ার, ইন্টারনেট গেটওয়ে এবং সার্ভিস প্রভাইডারদের নির্দেশ দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, অবাধে চ্যাট করার চেয়ে জনগণের নিরাপত্তা অনেক মূল্যবান। গত ১১ নবেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে বলেন যে, জঙ্গিদের গ্রেফতার এবং তাদের ক্রিমিনাল কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবার ব্লক করা হতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এ বছরের ১৮ জানুয়ারি ভাইবার, হোয়াটস এ্যাপ, ট্যাংগো এবং মাই পিপল লাইন ৪ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। বিডিআর ম্যাসাকারের পর সরকার ২০০৯ সালে ২৬০ দিনের জন্য ফেসবুক এবং ইউটিউব বন্ধ করে দেয়।
ডেইলি স্টারের রিপোর্ট মোতাবেক এসব ডিজিটাল সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে ই-কমার্স এবং অনলাইন ব্যাংকিং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া আউট সোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং এবং কল সেন্টারও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০ নবেম্বর ডেইলি স্টারের রিপোর্টে বলা হয়, ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস এ্যাপ বন্ধ করার ফলে মোবাইল ডাটার ব্যবহার ২২ শতাংশ কমে গেছে। গত ১৯ তারিখ তিনটি মোবাইল ক্যারিয়ারের নিকট থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায় যে, গত মঙ্গলবার যেখানে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ছিল ২৯৬ টেরাবাইট, সেখানে বুধবার নেমে এসে হয়েছে ২২৯ টেরাবাইটে। পরদিন সেটি আরও নেমে এসে হয়েছে ২০০ টেরাবাইট। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট তথ্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ফেসবুক। এমনকি অনেক ব্যবসা বাণিজ্যের সংবাদ দিতে হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। এ ব্যাপারে টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন থেকে বলা হয় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি ছাড়া তারা এই ব্লক উইথড্র করবে না। তারানা হালিম বলেন যে, ফেসবুকিং এবং ফ্রি চ্যাটিংয়ের চেয়ে একটি জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যদিও সোয়া ঘণ্টা পর ইন্টারনেট লাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, কিন্তু তারপর দেখা যাচ্ছে যে ইন্টারনেট স্পিড বা গতি দারুণভাবে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ের এক কর্ণধার জানান যে, ভাইবার এবং হোয়াটস এ্যাপ বন্ধ করার ফলে কতগুলো ওয়েব সাইটে ঢোকা যাচ্ছে না। ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতি মন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবার ছাড়াও টুইটার, ট্যাংগো, আইএমওসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য এ্যাপেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।
॥তিন॥
এসব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা সম্পর্কে গতকাল ২১ নবেম্বর একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছে, “এসব বন্ধ করা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ৯টি অ্যাপস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ, ট্যাংগো, হ্যাঙ্গআউট, ইউস্টার্ন ডট টিভি, কমিউর, লাইন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জঙ্গি তৎপরতা রোধ করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনার যেমন জন্ম দিয়েছে, তেমনি প্রযুক্তিবিদরাও এ সিদ্ধান্তের প্রতি দ্বিমত পোষণ করেছেন। প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারের যে লক্ষ্য তা পূরণ হবে না এবং কোনো সমাধানও আসবে না। এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে, একদিন না একদিন তো এসব যোগাযোগ মাধ্যম খুলতে হবে। তখন কি হবে? সরকার যে আশঙ্কায় এগুলো বন্ধ করেছে, তা কি নির্মূল হয়ে যাবে? সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গোষ্ঠী কি এসব অ্যাপস ব্যবহার বন্ধ করে দেবে? যদি তা মনে করা হয়, তবে তা অবৈজ্ঞানিক চিন্তাই শুধু নয়, এক ধরনের অজ্ঞতাও বটে। এ কারণেই বিভিন্ন অ্যাপস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রযুক্তিবিদদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি এবং তা অনেকটা অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। এতে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়া ছাড়া খুব একটা লাভ হচ্ছে না। কারণ, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম সংখ্যাগরিষ্ঠ যেসব সাধারণ ব্যবহারকারী ব্যবহার করছে, তারা ইতোমধ্যে অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।”
বিটিআরসি’র হিসাব মতেই দেশে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে শুধু ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। বাকিরা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করছে। পত্রিকাটির মতে এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণ প্রজন্ম মনে করছে, এটা তাদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদান ও মতামত প্রকাশের মতো মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। বিশ্বজুড়ে ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন আইএস তার বেশিরভাগ কার্যক্রম ও যোগাযোগ ইন্টারনেটের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করেই করছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর ও সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলো তো সেসব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করতে পারছে না বা বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। কারণ, তারা জানে, প্রযুক্তির এ যুগে তা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এক পথ বন্ধ করলে অসংখ্য পথ বের হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া সরকারের ভাবমর্যাদা কোনোভাবেই উজ্জ্বল করছে না। প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। কোনো অ্যাপস বন্ধ করে নয়।
আসিফ আরসালান

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads