মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

ভারতীয় অবরোধ জাতিসংঘে তুললো নেপাল


সাবাস নেপাল, নেপালের রাজনীতিক ও জনগণ, সাবাস। ভারতের সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী অবরোধের বিরুদ্ধে তারা নিজেদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অভিযোগ উত্থাপন করেছে। সেখানে প্রদত্ত ভাষণে নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী স্থলবেষ্টিত তাদের দেশে ভারতের অবরোধের ফলে যে অর্থনৈতিক ও  মানবিক সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে, তা বিশ্বসভায় তুলে ধরেছেন। নেপালীদের ‘অপরাধ’ তারা নিজ দেশে ভারতের পছন্দমতো সংবিধান কেন প্রণয়ন করলেন না। এর শাস্তি হিসেবে ভারত তার সীমান্তে জ্বালানি-ওষুধসহ সকল নেপালমুখী পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দিয়েছে। এতে নেপালের জনগণ অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত নেপালি কংগ্রেসসহ সকল রাজনৈতিক দল ভারতের এই রক্তচক্ষুকে দৃঢ়তার সঙ্গে উপেক্ষা করেছে।
তারা বিগত আট বছর ধরে নানা ঝড়-ঝঞ্ঝা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত পেরিয়ে সত্যিকারের একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক ও অংশগ্রহণমূলক সংবিধান রচনা করেছেন ও গ্রহণ করেছেন। সংবিধান প্রণয়ন সভার ৫৯৮ জন সদস্যের মধ্যে এই সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫০৮ জন। আবার এই সংবিধান যারা প্রণয়ন করেছেন, তারা বাংলাদেশের মতো দলীয় সঙ্কীর্ণতায় নিজেদের আবদ্ধ রাখেননি। বাংলাদেশের সংবিধান যারা রচনা করেছিলেন, তারা লক্ষ্য রেখেছিলেন, কীভাবে  দীর্ঘকাল ধরে আওয়ামী লীগের স্বার্থ রক্ষা করা যায়। ফলে সে সংবিধান এখন কার্যত অস্তিত্বহীন। এখন সংবিধানের নামে বাংলাদেশে যা আছে, তা আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনাকে হাজার বছর ক্ষমতায় রাখার এক দলিল।
কিন্তু নেপাল এক অসাধারণ নজির স্থাপন করেছে। সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে তারা জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিই মনোযোগী থেকেছেন, দলীয় সংকীর্ণতায় আটকে যাননি। এই সংবিধান প্রণয়ন সভায় নেপালের ভিন্ন ভিন্ন আদর্শের সবাই ছিলেন। কট্টর ভারতপন্থী নেপালি কংগ্রেস ছিল। নেপালি কম্যুনিস্ট পার্টি ছিল। প্রচন্ডের নেতৃত্বাধীন মাওবাদী কম্যুনিস্টরা ছিল। সেখানকার আঞ্চলিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব ছিল। তারা আলাপ-আলোচনা করেছেন। তর্ক করেছেন। ওয়াকআউট করেছেন। তাতে ২০১২ সালে ভেঙে গিয়েছিল প্রথম সংবিধান প্রণয়ন পরিষদ। নির্বাচনের মাধ্যমে আবার গঠিত হয় নতুন সংবিধান প্রণয়ন সভা। সে সভাকে অভিনন্দন এই কারণে যে, তারা শেষ পর্যন্ত একটি সর্বজনীন সংবিধান প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই সংবিধানের বিরোধিতা যারা করছেন, তারা খুব বেশি হালে পানি পাচ্ছেন না। করণ নেপালিরা জেনে গেছেন যে, এই বিরোধিতা তাদের দিয়ে করাচ্ছে ভারত। তবে সংবিধান প্রণেতারা কোনো অনড় অবস্থান গ্রহণ করেননি। তারা প্রয়োজনে আরও সংশোধনের জন্য দু’ বছর সময় রেখেছেন।
নেপালে এই সংবিধান প্রণয়নের পর ভারতের মদদে এক সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হয়। যাদের দিয়ে ভারত এই চেষ্টা চালায়, তারা ভারতীয় এবং গত দুই দশক ধরে নেপালে এসে ভারতীয় সীমান্তবর্তী সমতলভূমি তেরাই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করে। পরে ইন্দিরা গান্ধী চাপ দিয়ে নেপালকে এই অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দিতে বাধ্য করেন। এরা সংবিধানের সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব মানতে অস্বীকার করছে। তা নিয়ে সংঘাতেরও সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন মানুষ।
জাতিসংঘে নেপাল যখন ভারতীয় অবরোধের বিরুদ্ধে বিশ্বসভায় অভিযোগ উত্থাপন করল, তখন ভারতের দখলকৃত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডও জাতিসংঘে অভিযোগ তুলেছে যে, ভারত জবরদস্তিমূলকভাবে গত ৬০ চছর ধরে তাদের দখলে রেখে ধারাবাহিক নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। নাগা নেতারা বিশ্বসভায় এর প্রতিকার চেয়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো এমন এক সময় উত্থাপিত হলো যখন হিন্দুত্ববাদী চরম সাম্প্রদায়িক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতিসংঘের স্থায়ী আসনের জন্য বিশ্বব্যাপী তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অভিযোগ নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য মারাত্মক ইমেজ সঙ্কটের সৃষ্টি করবে এবং মার্কিন সমর্থন সত্ত্বেও তাদের জাতিসংঘে স্থায়ী আসন লাভের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।
গত ৩রা অক্টোবর নেপাল অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে অনেককে বিস্মিত করে ভারতেন বিরুদ্ধে তাদের ওপর অঘোষিত অবরোধের বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করে। এতে নেপালজুড়ে পেট্রোলিয়াম পণ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে নেপালী প্রতিনিধিদলের প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী প্রকাশ মান সিং বিশ্বসভার কাছে এটা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান যে, পৃথিবীর স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর ট্রানজিট সুবিধা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। একই সঙ্গে তিনি ভিয়েনা অ্যাকশন কর্মসূচি ২০১৪-২০২৪ এর আওতায় নেপালের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিকটবর্তী সমুদ্রবন্দরে যাবার পথ সম্পূর্ণ বাধামুক্ত রাখারও আহ্বান জানান।
মান সিং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি এই অবরোধের ফলে নেপালি জনগণ যে অবর্ণনীয় দুর্দশার ভেতরে পড়েছেন, তাও তুলে ধরেন। আর ভারত এমন এক সময় এই অবরোধ আরোপ করেছে, যখন নেপালের মানুষ গত ২৪ এপ্রিল ৮০ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। ঐ ভূমিকম্পে নেপালের প্রায় ১০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। আহত হয় হাজার হাজার। ঘরবাড়ি হারায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। জাতিসংঘ মহাসচিব ভারতীয় অবরোধে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী ভারতের এই আগ্রাসী অবরোধ প্রসঙ্গ নেপাল জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়ায় ভারত স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। দীর্ঘকাল ধরে নেপাল কার্যত ভারতের কব্জাবন্দী দেশ হিসেবেই আছে। নেপালের রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে ভারত। তারা শত ভাগ পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি করে ভারত থেকে। অন্যান্য পণ্যের ৬০ ভাগ। তা সত্ত্বেও নেপাল ভারতের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই বিষয়টি কীভাবে জাতিসংঘে তুলতে সাহস পেলো, এটাই ভারতের ভাবনা। কেউ কেউ বলছেন, এটা ভারতের কূটনৈতিক ব্যর্থতা। ভারতের উচিত ছিল, নেপালের মনোভাব উপলব্ধি করা এবং আগেই এর একটা সম্মানজনক মীমাংসা করা। তাতে মোদি এরকম একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে পারতেন। আর একটি মত হচ্ছে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সদ্যগৃহীত সংবিধানের বিরুদ্ধে ভারত মাধেশীদের হাঙ্গামায় মদদ দিয়েছে। তার ফলে নেপালের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে জাতিসংঘে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই অবস্থার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভারত বলতে শুরু করে যে, সীমান্ত বাণিজ্যে তারা কোনো অবরোধ আরোপ করেনি। মাধেশী বিক্ষোভকারীরা সীমান্ত চৌকিগুলো বন্ধ করে দেয়। আর তারাই ভারতীয় জ্বালানি তেলবাহী ট্রাকগুলোকে ভারতে প্রবেশে বাধা দিতে থাকে। কিন্তু এ যুক্তি কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এর ফলে নেপাল জুড়ে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা রাজধানী কাঠমান্ডুসহ প্রায় সকল শহরে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করতে থাকে। পরিস্থিতি যে এই পর্যায়ে যাবে, ভারত সরকার তা বোধকরি কল্পনাও করতে পারেনি। ফলে অবরোধের এগারো দিনের মাথায় ভারত জ্বালানি তেল ও অন্যান্য পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে অবরোধ খানিকটা শিথিল করে নেয়। তবে গত ৫ অক্টোবর ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত দীপ কুমার উপাধ্যায় ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন যে, ভারতের নিশ্চয়তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি তখনও স্বাভাবিক হয়নি। তিনি ভারতীয় সীমান্ত চৌকি দিয়ে অবাধে ট্রাক চলাচল করতে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি ভারতীয় কর্মকর্তাদের জানান যে, তারা যেন নেপালের পিঠ দেওয়ালে ঠেলে না দেন। তাতে ভৌত অসুবিধা সত্ত্বেও নেপাল চীনের দিকে ঝুঁকে পড়তে বাধ্য হবে। ইতিমধ্যে গত ১১ অক্টোবর নতুন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেপালী কংগ্রেসের সুশীল কৈরালা এই নির্বাচনে প্রায় শত ভোটে হেরে গেছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন কম্যুনিস্ট পার্টির কে পি শর্মা ওলি। এটাও ভারতের জন্য আর একটি ধাক্কা।
এখানে ২০০৬ সালে নেপালে বিক্ষোভের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। সে সময়  ভারতের কংগ্রেস সরকার ও তাদের ঘৃণীত গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ নেপালী কংগ্রেস, মাওবাদী কম্যুনিস্ট পার্টি ও মার্কসবাদী লেনিনবাদী কম্যুনিস্ট পার্টির দুর্নীতিবাজ নেতাদের টাকা দিয়ে কিনে ফেলে। এই দুর্নীতিবাজরা ২০০৫ সালের ১২ নবেম্বর ভারতের সঙ্গে ১২-দফার এক চুক্তি করে আন্দোলন উস্কে দেয়। দিল্লির জওয়াহেরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এসডি মুনি ঐ দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ভারতের সমঝোতা করিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দ্য হিন্দু পত্রিকায় এক নিবন্ধ লিখে খোলামেলাভাবে স্বীকার করেছেন যে, ঐ অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য ভারত ১০০ কোটি রুপি খরচ করেছিল। সেই রাজনীতিকদের মধ্যে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গিরিজা প্রসাদ কৈরালা ছাড়া বাকি সবাই এখনও জীবিত আছেন।
নেপালের সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর মাধেশীরা যে আন্দোলন করছে, তার পেছনেও ভারতের ইন্ধন রয়েছে। কার্যত উপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বাধীন মাধেশীদের দল ফেডারেল সোশালিস্ট ফোরামের নেতা অশোক রাই গত মাসের শেষে জানান যে, ‘ভারতের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা আন্দোলনের ধরন পরিবর্তন করে সীমান্ত চৌকি ও মহাসড়ক অবরোধ করি। ভারত আমাদের আন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছে। আর ভারত সীমান্তে অঘোষিত অবরোধ আরোপ করে দিয়েছে।’
কিন্তু কেন ভারত এভাবে মাধেশীদের মদদ দিচ্ছে? নেপাল বিশ্লেষকরা বলছেন, আসলে তেরাই এলাকা নিয়ে ভারতের গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। ১৯৯৫ সালে খুব সহজে বিনা বাধায়, বিনা প্রশ্নে ভারত সিকিম দখল করার পর ইন্দিরা গান্ধীর আমলেই নেপালের তেরাই অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা নেয়া হয়। আর এর ভিত্তিভূমি তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয় ‘র’কে। মাধেশীদের এবারের বিক্ষোভ সে পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ারই অংশ।
এ সময় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গিয়েছিলেন এর এক ক্ষুদ্র প্রতিবেশি মালদ্বীপ সফর করতে। মালদ্বীপে ভারতের দালাল বলে নিন্দিত মোহাম্মদ নাশিদ গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে হেরে গেলে ভারত প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। নানা কৌশল সত্ত্বেও নাশিদ তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়ামিনের কাছে হেরে যান। নাশিদকে ক্ষমতায় রাখতে ভারত সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। এতে নরেন্দ্র মোদি তার মালদ্বীপ সফর বাতিল করে দেন। আর মাত্র কয়েক দিন আগে অজ্ঞাতনামা ঘাতকরা প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে বোমা বিস্ফোরণে খুন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আর তাই প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুষমাকে তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারে হুশিয়ার করে দেন। প্রেসিডেন্ট ভবনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মালদ্বীপ সরকার তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের দেশের কোনো চাপ বরদাশত করবে না।
কিন্তু বাংলাদেশে আমরা ভিন্ন চিত্র দেখি। উপমহাদেশে এখন বাংলাদেশ সরকারই ভারতের সবচেয়ে বড় সেবাদাস। ভারত যা চাইছে বা চাইতে পারে, তার সব কিছুই বিনা প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে দিয়ে দিয়েছে। গোটা রাষ্ট্রের সকল দ্বার সরকার ভারতের জন্য খুলে দিয়েছে। নিজ প্রদেশের ভারত যে সুবিধা পায় না, বাংলাদেশ সরকার তাও দিয়ে দিয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। আর তাই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে আমাদের নাগরিকদের হত্যা করছে। পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। সরকার মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। একটি প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভারতীয় সেবাদাস সরকার নেপাল ও মালদ্বীপের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads