প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-নির্যাতন অমানবিকতার সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দমন-নির্যাতনের সঙ্গে সম্প্রতি শুরু হয়েছে ভয়াবহ গণহত্যাও। শত শত রোহিঙ্গা মুসলমানকে নির্বিচারে হত্যা করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ডের অসহায় শিকার হচ্ছে বিশেষ করে পুরুষ রোহিঙ্গারা। নারী ও শিশুরাও নিস্তার পাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ ধরনের অনেক চিত্রই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধারণ ও প্রচার করা হয়েছে।
মিয়ানমার সরকার অভিযোগ তুলেছে, রোহিঙ্গারা নাকি রাষ্ট্রদোহী এবং তাদের জঙ্গিরা নাকি সম্প্রতি কয়েকজন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে তথ্যভিত্তিক খবরে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নয়, কথিত ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী আসলে দেশটির মাদক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, যারা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সামগ্রী বাংলাদেশে চোরাচালানের অবৈধ পথে পাচার করে থাকে। সেনাদের হত্যার পেছনেও মাদক ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী চক্রই জড়িত রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য পাশ কাটিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযান শুরু করেছে।
বিস্ময়ের কারণ হলো, সুদীর্ঘ সেনা শাসনের পর মাত্র কিছুদিন আগে মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসেছে এবং শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু কি সে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আশা করা হয়েছিল, বিশেষ করে নতুন নেত্রী নিশ্চয়ই রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়াবেন এবং সেনাবাহিনীকে গণহত্যা চালানো থেকে নিরস্ত করবেন। অন্যদিকে নিজে ইয়াঙ্গুনের সামরিক সরকারের হাতে নির্যাতিত হলেও ক্ষমতায় আসার পর অং সান সু কিও মিয়ানমারের নিন্দিত রোহিঙ্গা নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশ্ববাসীকে হতবাক করে তিনিও ঘোষণা করেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমানরা নাকি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ‘বাঙালি’ এবং তাদের মিয়ানমারে বসবাস করার কোনো অধিকার নেই। রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমার থেকে বহিষ্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন অং সান সু কি। বলা হচ্ছে, নেত্রীর এই ঘোষণা দেশটির সেনাবাহিনীকে নিরস্ত করার পরিবর্তে গণহত্যার নিষ্ঠুর অভিযান চালানোর ব্যাপারে উল্টো প্রশ্রয় দিয়েছে। এমন অবস্থারই অসহায় শিকার হয়েছে রোহিঙ্গা মুসলমানরা।
এদিকে গণহত্যাসহ দমন-নির্যাতনের কারণে শুধু নয়, আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার কারণেও রোহিঙ্গা মুসলমানরা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। রাখাইন প্রদেশের প্রতিটি গ্রাম ও শহর থেকেই তাদের তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের কোথাও যাওয়ার এবং আশ্রয় নেয়ার মতো কোনো জায়গা পাচ্ছে না তারা। ফলে বাধ্য হয়ে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে। ছোট ছোট নৌকায় চড়ে তারা লুকিয়ে লুকিয়ে কক্সবাজারের উখিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে এসে হাজির হচ্ছে। যারা আসছে তাদের বেশিরভাগই স্বজন হারানো নারী ও শিশু। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। সরকারের নির্দেশে বিজিবি ও কোস্টগার্ড অনেককে জোর করে ফেরতও পাঠিয়েছে। এর অর্থ হলো, বাংলাদেশ এই অসহায় রোহিঙ্গাদের নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এখনো সরকারের ওই নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে গিয়ে পড়তে এবং মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে।
এমন অবস্থার মধ্যে সঙ্গত কারণেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ও প্রাণে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এই আহ্বানের জবাবে না হলেও সরকারকে কিছুটা ইতিবাচক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। গত বুধবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে প্রথমবারের মতো তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতের হাতে একটি কূটনৈতিক নোট তুলে দিয়েছেন। এতে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান দমন-নির্যাতন ও গণহত্যার ব্যাপারে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে অবিলম্বে এসব বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারের ভেতরেই হতে হবে। কথাটার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন কি না সে প্রশ্ন উঠলেও মিয়ানমারের ওপর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক পন্থায় চাপ সৃষ্টির উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-নির্যাতন ও গণহত্যার অভিযান নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আশংকাজনক এবং ভীতিকর। ঘটনাপ্রবাহে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘ, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তো বটেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা সম্পর্কেও জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিম দেশগুলোতে সামান্য কিছু ঘটলেও যারা দুনিয়াজুড়ে শোরগোল তোলে তাদের কেউই কেন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করছে না সে প্রশ্নও উঠেছে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই। অং সান সু কির সঙ্গে প্রাধান্যে এসেছে তিব্বতীদের বৌদ্ধ নেতা দালাই লামার ভূমিকার দিকটিও। কারণ, নিজে নির্যাতিত হলেও এই নোবেল বিজয়ী নেতাও এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পক্ষে এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি। ওদিকে অং সান সু কি তো রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও ‘বাঙ্গঙালি’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। এভাবে প্রমাণিত হয়েছে, মুসলমান হওয়াটাই আসলে রোহিঙ্গাদের প্রধান অপরাধ! ঘটনাপ্রবাহে তথাকথিত অহিংস ধর্মাবলম্বী বৌদ্ধদের স্বরূপও ন্যক্কারজনকভাবে উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। বৌদ্ধরা আসলে যে মোটেও অহিংস নীতিতে বিশ্বাস করে না এবং সুযোগ ও ক্ষমতা পেলে তারাও যে রক্তপিপাসু হয়ে ওঠে তারই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বর্তমান মিয়ানমারে।
আমরা মনে করি, সরকারের উচিত বিপন্ন রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দেয়া। সরকারকে একই সঙ্গে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক পন্থায় চাপও সৃষ্টি করতে হবে, দেশটি যাতে গণহত্যা ও দমন-নির্যাতনের অভিযান বন্ধ করে এবং রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিকের মর্যাদা ও অধিকার দিয়ে পুনর্বাসনের আশু পদক্ষেপ নেয়।
মিয়ানমার সরকার অভিযোগ তুলেছে, রোহিঙ্গারা নাকি রাষ্ট্রদোহী এবং তাদের জঙ্গিরা নাকি সম্প্রতি কয়েকজন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে তথ্যভিত্তিক খবরে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নয়, কথিত ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী আসলে দেশটির মাদক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, যারা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সামগ্রী বাংলাদেশে চোরাচালানের অবৈধ পথে পাচার করে থাকে। সেনাদের হত্যার পেছনেও মাদক ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী চক্রই জড়িত রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য পাশ কাটিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযান শুরু করেছে।
বিস্ময়ের কারণ হলো, সুদীর্ঘ সেনা শাসনের পর মাত্র কিছুদিন আগে মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসেছে এবং শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু কি সে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আশা করা হয়েছিল, বিশেষ করে নতুন নেত্রী নিশ্চয়ই রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়াবেন এবং সেনাবাহিনীকে গণহত্যা চালানো থেকে নিরস্ত করবেন। অন্যদিকে নিজে ইয়াঙ্গুনের সামরিক সরকারের হাতে নির্যাতিত হলেও ক্ষমতায় আসার পর অং সান সু কিও মিয়ানমারের নিন্দিত রোহিঙ্গা নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশ্ববাসীকে হতবাক করে তিনিও ঘোষণা করেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমানরা নাকি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ‘বাঙালি’ এবং তাদের মিয়ানমারে বসবাস করার কোনো অধিকার নেই। রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমার থেকে বহিষ্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন অং সান সু কি। বলা হচ্ছে, নেত্রীর এই ঘোষণা দেশটির সেনাবাহিনীকে নিরস্ত করার পরিবর্তে গণহত্যার নিষ্ঠুর অভিযান চালানোর ব্যাপারে উল্টো প্রশ্রয় দিয়েছে। এমন অবস্থারই অসহায় শিকার হয়েছে রোহিঙ্গা মুসলমানরা।
এদিকে গণহত্যাসহ দমন-নির্যাতনের কারণে শুধু নয়, আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার কারণেও রোহিঙ্গা মুসলমানরা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। রাখাইন প্রদেশের প্রতিটি গ্রাম ও শহর থেকেই তাদের তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের কোথাও যাওয়ার এবং আশ্রয় নেয়ার মতো কোনো জায়গা পাচ্ছে না তারা। ফলে বাধ্য হয়ে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে। ছোট ছোট নৌকায় চড়ে তারা লুকিয়ে লুকিয়ে কক্সবাজারের উখিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে এসে হাজির হচ্ছে। যারা আসছে তাদের বেশিরভাগই স্বজন হারানো নারী ও শিশু। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। সরকারের নির্দেশে বিজিবি ও কোস্টগার্ড অনেককে জোর করে ফেরতও পাঠিয়েছে। এর অর্থ হলো, বাংলাদেশ এই অসহায় রোহিঙ্গাদের নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এখনো সরকারের ওই নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে গিয়ে পড়তে এবং মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে।
এমন অবস্থার মধ্যে সঙ্গত কারণেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ও প্রাণে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এই আহ্বানের জবাবে না হলেও সরকারকে কিছুটা ইতিবাচক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। গত বুধবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে প্রথমবারের মতো তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতের হাতে একটি কূটনৈতিক নোট তুলে দিয়েছেন। এতে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান দমন-নির্যাতন ও গণহত্যার ব্যাপারে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে অবিলম্বে এসব বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারের ভেতরেই হতে হবে। কথাটার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন কি না সে প্রশ্ন উঠলেও মিয়ানমারের ওপর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক পন্থায় চাপ সৃষ্টির উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-নির্যাতন ও গণহত্যার অভিযান নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আশংকাজনক এবং ভীতিকর। ঘটনাপ্রবাহে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘ, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তো বটেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা সম্পর্কেও জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিম দেশগুলোতে সামান্য কিছু ঘটলেও যারা দুনিয়াজুড়ে শোরগোল তোলে তাদের কেউই কেন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করছে না সে প্রশ্নও উঠেছে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই। অং সান সু কির সঙ্গে প্রাধান্যে এসেছে তিব্বতীদের বৌদ্ধ নেতা দালাই লামার ভূমিকার দিকটিও। কারণ, নিজে নির্যাতিত হলেও এই নোবেল বিজয়ী নেতাও এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পক্ষে এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি। ওদিকে অং সান সু কি তো রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও ‘বাঙ্গঙালি’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। এভাবে প্রমাণিত হয়েছে, মুসলমান হওয়াটাই আসলে রোহিঙ্গাদের প্রধান অপরাধ! ঘটনাপ্রবাহে তথাকথিত অহিংস ধর্মাবলম্বী বৌদ্ধদের স্বরূপও ন্যক্কারজনকভাবে উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। বৌদ্ধরা আসলে যে মোটেও অহিংস নীতিতে বিশ্বাস করে না এবং সুযোগ ও ক্ষমতা পেলে তারাও যে রক্তপিপাসু হয়ে ওঠে তারই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বর্তমান মিয়ানমারে।
আমরা মনে করি, সরকারের উচিত বিপন্ন রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দেয়া। সরকারকে একই সঙ্গে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক পন্থায় চাপও সৃষ্টি করতে হবে, দেশটি যাতে গণহত্যা ও দমন-নির্যাতনের অভিযান বন্ধ করে এবং রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিকের মর্যাদা ও অধিকার দিয়ে পুনর্বাসনের আশু পদক্ষেপ নেয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন