‘বন্ধু’ শব্দটি মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। আর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ মানুষের জীবনকে আনন্দ ও সুখে মন্ডিত করতে পারে। এ কারণে মানুষ বন্ধুত্বের সম্পর্ককে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর এ বিষয়টির গুরুত্ব ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র কেউই অস্বীকার করতে পারে না। মানুষ তো প্রতিবেশীর কাছ থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণই আশা করে থাকে। রাষ্ট্রও প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আশা করে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ। আমাদের সৌভাগ্য যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ পেয়েছিলাম। এই কারণে আমরা কৃতজ্ঞ বটে।
বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর বন্ধুত্বকে দৃঢ় করতে চায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বিষয়টি সেভাবে অগ্রসর হতে পারছে না। তাহলে কি শাসকরা জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা অনুযায়ী দেশ পরিচালনায় সমর্থ হচ্ছে না। আমরা জানি, বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অনেক বড় দেশ। তাদের শক্তি-সামর্থ্যও অনেক বেশি। ফলে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে ভারত বাংলাদেশের সাথে উদার আচরণ করতে পারে। কিন্তু কি কারণে যেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতের শাসকগোষ্ঠী উদারতা প্রদর্শনে সক্ষম হচ্ছে না। এ বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণকে আহত করেছে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের উজানে ফারাক্কাসহ বিভিন্ন বাঁধের কথা উল্লেখ করা যায়।
প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ভারতের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় অহঙ্কারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও ভারত থেকে তেমন সম্মানজনক আচরণই আশা করে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, প্রায় প্রতিদিনই ভারতের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএএসএফ) যেভাবে বাংলাদেশের নাগরিকদের গুলী করে হত্যা করে চলেছে তাতে বিস্মিত হতে হয়। কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের আচরণ তো এমন হতে পারে না। গত ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবারেও কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে দুই বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। রৌমারী উপজেলার গয়টাপাড়া সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত গরু ব্যবসায়ীর নাম দুখু মিয়া (২৮)। আর ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলীতে নিহত বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীর নাম জসিম ম-ল (২৭)। আমরা জানি, সীমান্ত এলাকায় যারা বসবাস করেন তারা জীবন ধারণের লক্ষ্যে ব্যবসাসহ নানা পেশায় জড়িয়ে আছেন। যারা গরুর ব্যবসায় জড়িত আছেন তাদের কেউ কেউ ভুল করতে পারেন, আইন লঙ্ঘনের মত অপরাধও করতে পারেন। সীমান্ত এলাকায় যে কোনো দেশের নাগরিক আইন লঙ্ঘন করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা যায়। বিচারের মাধ্যমে শাস্তিও প্রদান করা যায়। কিন্তু দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করার বিষয়টিকে কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বহুবার প্রতিবাদ জানিয়েছে, পতাকা বৈঠক করেছে। সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে অনেকবার আলোচনা হয়েছে। আর গুলি করে হত্যা করা হবে না বলে ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস বাণীও শোনানো হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বন্ধু রাষ্ট্রের কথায় ও কাজে মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি তা ভারত বিরোধিতার জন্য বলছি না। বরং নিজেদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চেতনাকে সমুন্নত রেখে উভয় দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে অর্থবহ করে তোলার জন্যই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে চাইছি।
আমরা মনে করি, এ বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণের মত ভারতের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণও উপলব্ধি করতে সমর্থ হবেন। তবে ভারত সরকার বিষয়টি সেভাবে উপলব্ধি করে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর বন্ধুত্বকে দৃঢ় করতে চায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বিষয়টি সেভাবে অগ্রসর হতে পারছে না। তাহলে কি শাসকরা জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা অনুযায়ী দেশ পরিচালনায় সমর্থ হচ্ছে না। আমরা জানি, বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অনেক বড় দেশ। তাদের শক্তি-সামর্থ্যও অনেক বেশি। ফলে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে ভারত বাংলাদেশের সাথে উদার আচরণ করতে পারে। কিন্তু কি কারণে যেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতের শাসকগোষ্ঠী উদারতা প্রদর্শনে সক্ষম হচ্ছে না। এ বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণকে আহত করেছে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের উজানে ফারাক্কাসহ বিভিন্ন বাঁধের কথা উল্লেখ করা যায়।
প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ভারতের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় অহঙ্কারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও ভারত থেকে তেমন সম্মানজনক আচরণই আশা করে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, প্রায় প্রতিদিনই ভারতের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএএসএফ) যেভাবে বাংলাদেশের নাগরিকদের গুলী করে হত্যা করে চলেছে তাতে বিস্মিত হতে হয়। কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের আচরণ তো এমন হতে পারে না। গত ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবারেও কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে দুই বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। রৌমারী উপজেলার গয়টাপাড়া সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত গরু ব্যবসায়ীর নাম দুখু মিয়া (২৮)। আর ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলীতে নিহত বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীর নাম জসিম ম-ল (২৭)। আমরা জানি, সীমান্ত এলাকায় যারা বসবাস করেন তারা জীবন ধারণের লক্ষ্যে ব্যবসাসহ নানা পেশায় জড়িয়ে আছেন। যারা গরুর ব্যবসায় জড়িত আছেন তাদের কেউ কেউ ভুল করতে পারেন, আইন লঙ্ঘনের মত অপরাধও করতে পারেন। সীমান্ত এলাকায় যে কোনো দেশের নাগরিক আইন লঙ্ঘন করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা যায়। বিচারের মাধ্যমে শাস্তিও প্রদান করা যায়। কিন্তু দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করার বিষয়টিকে কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বহুবার প্রতিবাদ জানিয়েছে, পতাকা বৈঠক করেছে। সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে অনেকবার আলোচনা হয়েছে। আর গুলি করে হত্যা করা হবে না বলে ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস বাণীও শোনানো হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বন্ধু রাষ্ট্রের কথায় ও কাজে মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি তা ভারত বিরোধিতার জন্য বলছি না। বরং নিজেদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চেতনাকে সমুন্নত রেখে উভয় দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে অর্থবহ করে তোলার জন্যই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে চাইছি।
আমরা মনে করি, এ বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণের মত ভারতের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণও উপলব্ধি করতে সমর্থ হবেন। তবে ভারত সরকার বিষয়টি সেভাবে উপলব্ধি করে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন